কিন্তু মফস্বলের লোকজনের মধ্যে নিন্দে মন্দ করে সময় কাটানোর সময় প্রচুর থাকে।সর্বদাই কি যেন একটা অতৃপ্তি!
তুলনায় গ্রাম বাংলার লোকজন বিন্দাস থাকে।রাজনীতি প্রভাব কম থাকলে,গ্রাম বাংলায় আরাম আছে।
রমিত, আপনার কথাগুলো বহু আগে এলিয়ট বলে গেছেন। কিন্তু দিল্লি-লখনউ এর শোষণ আর কলকাতা-মুম্বাইয়ের শোষণ এক নয়। প্রথম দুটো ঐতিহ্যশালী, অন্যদুটো আচাভুয়া, হঠাৎ গজানো এবং সেই কারণে অপরিকল্পিত। তাই দুদিনের বিস্টিতেই ভেনিসের রূপ নেয়।
উত্তরবঙ্গ থেকে অদ্দুরে বাথরুমে আসা একটু ঝামেলার তো।
@elebele এরকম করে দেখতে গেলে সব বড় শ হর ই প্রায় লুঠ আর শোষণের টাকায় তিল তিল করে গড়ে উঠেছে। রক্ত কি লেগে নেই রোমের রাজপথে, কলো সিয়ামের গায়ে, ভার্সাই এর ইট কি শোষণ দেখেনি চোখে ? লন্ডনের টাওয়ার আর ধোঁয়া ওঠা চা কি ঘামের গন্ধ ঢাকে নি আতর দিয়ে ?
দ-দি গ্রেট। কিন্তু 'দক্ষিণবঙ্গের' বাথরুম কেন? মানে স্পেশাল কিছু?
*শোয়া বসা যায় না
ঔপনিবেশিক লুঠের তাড়নায় গড়ে ওঠা জনপদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র ভালোবাসা নেই। নেহাত ঠ্যাকায় না পড়লে ওই শহরের ত্রিসীমানায় আমি যাই না। দুঃখিত। শরীরের সব রক্ত মুখে সঞ্চিত হলে সে শরীর বিবর্ণ ও মৃত। অন্তত আমার কাছে।
নাহ কলকাতা নিয়ে আমার প্রেম বা বিদ্বেষ কিছুই নাই। কলকাতা হল দক্ষিণবঙ্গের বাথরুমের মত। আমার মতে বাথরুম যেমন যত সুন্দরই হোক না কেন সেখানে ঠিক শোয়া বসা আয় না, তেমনি কলকাতায়ও ঠিক বাস করা যায় না। গিয়ে প্রয়োজন সেরে ঘরে ফিরে আসতে হয়।
জানি ব্রতীনবাবু ফের 'আবাজ' দেবেন। তবুও সমর সেন থাকুন --
পাই,
ইয়ে কি বলব, যারপরনাই খুশি এবং লজ্জিত হলাম। কারণ, আমি একটু ছ্যাবলা এবং অসইভ্য টাইপ। লেখাতেও সেগুলো ফুটে ওঠে। তোমার দুই বাড়িতে সিনিয়ররা এসব পড়ে কী ভাববেন? চিন্তা রয়েই গেল।
এলেবেলে,
আমার বৌ এবং মেয়েরা ভয়ংকর কোলকাতা বিদ্বেষী। কিন্তু আমি কোলকাতাকে তার সব ভালমন্দ দোষগুণ শুদ্ধ ভালবাসি। ভালবাসা অহৈতুকী, তাতে বিচার নেই; কারণ ভালবাসা ইরেশনাল ইমোশন। যতই রাইকিশোরীটিকে বোঝান যে ওই ছেলেটা বখা, দাগাবাজ, তোর সব্বোনাশ করে ছাড়বে, সে রাত্তিরে পা টিপে টিপে দরজার ছিটকিনি খুলে অভিসারে যাবেই। কাজেই হুতোম এবং ভবানীচরণ যতই গাল দিন আমি বলব-সব সত্যি, কিন্তু আমি কোলকাতাকে ভালবাসি।
"সাঁঝবেলাতে তুলসীতলায় পিদিম জ্বালো হে কোলকাতা,
বাবুঘাটে গা' ধুয়েছ, ক্লান্ত চোখে কাজললতা।
তোমায় ছোঁয়ার যন্ত্রণাতে সুনীল গেল খুনি হতে ,
--লোকের মুখে হাতচাপা দিই,
জানি তুমি আমার মাতা।"
এসেমস্যার, আখতারি শোনানোর জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু ওই যে আমার কুচুটে মন। তাই হীরা বুলবুলের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে হিন্দু কলেজের হর্তাকর্তারা তাঁকে কী প্রচণ্ড অসম্মান করেছিলেন। সালটা ১৮৫৩।
ও হ্যাঁ বহুদিন আগে এলগিন রোডে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এই ৯৭-৯৮ সালের কথা। তো তাঁদের কথানুযায়ী কালীঘাটের পরে নাকি আর কলকাতা নেই! আর উত্তুরেরা যে দোখনোদের কী চোখে দেখেন সেটা গিরিশ পার্কের ভাড়াবাড়িতে থাকা পিসোমশাইকে দেখে বিলক্ষণ বুঝেছিলাম। যদিও তিনি আদিতে নবদ্বীপের বাসিন্দা। ফলে এক কলকাতার মধ্যেই অনেক কলকাতা লুকিয়ে আছে, তার অনেক তর-তমও আছে। সবটাই গোল গোল সমসত্ত্ব জাতীয় কিছু নয়।
সবচে বিভৎস বোধহয় দুর্ভিক্ষের মৃতদেহ ডিঙিয়ে ফার্পোর সাত কোর্স লাঞ্চ খেতে যাওয়া অভিজাত ও বনেদী বাঙালী।
ওগুলো ভাবলে আর কিছুই অসম্ভব মনে হয় না।
এসেম, কলকাতার এক সে বড়কর একদের ধরে ধরে টিকিতে টান মারা হচ্ছে। আরও হবে। এবারে কলকাতার দাঙ্গা ও বাংলা ভাগ নিয়ে হবে। আসলে জানেন না হয়তো এই কল্কেতার জোচ্চোর ও ঠগগুলো বাংলার মানুষদের কী ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি করেছিল ও করে চলেছে। ২০০০ সালের বন্যা মনে আছে? সে বছরে কলকাতার পুজোর রমরমায় সামান্যতম ঘাটতি হয়েছিল বলে মনে পড়ে?
এলেবেলে, হ্যাঁ, আমিও তেমনই জানি।
দমদি, ওয়েল... আমি এখানে মা লিখ অবলম্বন করলাম :)
ক'দিন আগে অন্য টইয়ে একটা মন্তব্য করেছিলাম (সঞ্চালিকা বনেদী কলকাত্তাই, যাকে বলে অভিজাত)
...কাল একটা ব্যাপার হলো। আমার মেয়ে অনাবাসীদের আয়োজিত একটা অনলাইন আবৃত্তি অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করছিল, সঞ্চালিকা ওর পরিচয় করাতে গিয়ে বললেন, ও কিন্তু আমাদের মত কলকাতার নয়, ওর মা বাবা ত্রিপুরা থেকে এসেছে, ওদের উচ্চারন হয়তো একটু অন্যরকম। এবার এতে আমি আহা দেখো কি ইনক্লুসিভ বলে আল্হাদে আটখানা হব, না ডিস্টিংক্ট ত্রিপুরা অরিজিন নিয়ে গর্বিত হব, না ব্যাপারটাকে উৎকট প্যাট্রনাইজিং হিসেবে নেবো, না একটা বাচ্চা যে কথা বলতেই শিখেছে দেশের বাইরে তার উচ্চারনে তার মা বাবার জন্মভূমির টান কতটা থাকতে পারে তার স্যাম্পল সার্ভে করবো - কিছু বুঝতে না পেরে মাথা চুলকোতে লাগলাম।
ব্রতীনবাবু, আমি ছাড়াও নদীয়ার আরও একজন আছেন। পিটিস্যার। তিনিও আমার মতোই কুটিল ও কুচুটে!
হে হে এসেম স্যার, এই নিন ভবানী বন্দ্যো -- ধন্য ধন্য ধার্মিক ধর্মাবতার ধর্মপ্রবর্তক দুষ্টনিবারক সৎপ্রজাপালক সদ্বিবেচক ইংরাজ কোম্পানি বাহাদুর অধিক ধনী হওনের অনেক পন্থা করিয়াছেন এই কলিকাতা নামক মহানগর আধুনিক কাল্পনিক বাবুদিগের পিতা কিম্বা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা আসিয়া স্বর্ণকার বর্ণকার কর্মকার চর্মকার চটকার পটকার মঠকার বেতনোপভুক হইয়া কিম্বা রাজের সাজের কাঠের খাটের ঘাটের মঠের ইটের সরদারি চৌকিদারী জুয়াচুরি পোদ্দারী করিয়া অথবা অগম্যাগমন মিথ্যাবচন পরকীয়রমণী-সংঘটনকামি ভাড়ামি রাস্তাবন্দ দাস্য দৌত্য গীতবাদ্যতৎপর হইয়া কিম্বা পৌরোহিত্য ভিক্ষাপুত্র গুরুশিষ্য ভাবে কিঞ্চিৎ অর্থসঙ্গতি করিয়া কোম্পানির কাগজ কিম্বা জমিদারি ক্রয়াধীন বহুতর দিবসাবসানে অধিকতর ধনাঢ্য হইয়াছেন ইহারা অখণ্ড দোর্দণ্ডপ্রতাপান্বিত অনবরত পণ্ডিতপরিসেবিত ক্রমাগত বিবিধবিত্তবিশিষ্ট বিদ্যাযুত শ্রীযুত বাবু জনগণ সন্নিধানে স্বস্ব নাম সম্ভ্রমাভিলাষী হইয়া প্রথমত পঞ্চম বর্ষবয়স্ক বালক বাবুদিগের শিক্ষাকারণ গুরুমহাশয় নিকটে নিযুক্ত করিয়া থাকেন।
হুতো, হুতোম বা আলাল আদি কল্কেতার বাসিন্দা ছিলেন বলেই জানি।
এস এম, কোভিডের চক্করে বাকি সব অসুখের টেস্টের অবস্থা খারাপ।
স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড, ভ্যাক্সিনেশন এসব নিয়েও ওভারবার্ডেন্ড। ব্লাড এক্সামিনেশন রেট খারাপ।
আদি কলকাতার অনেক লোক আছে। সে যাই হোক। যেমন আমার শ্বশুর বাড়ি । ওদের কলকাতার বাড়ির বয়েস ১৩০+
আমি যদি ও কলকাতায় থাকি না । কিন্তু তিন পুরুষ ঘটি।
না হে নিতান্ত অপরিচয় নয়
মাঝে মাঝে আবার পাশের বাড়ির নারকেল গাছে ঘুরতে যায়।
তবে কলকাতা চমৎকার জায়গা। লোকজনের কথা বলে লাভ কী, আদি কলকাতার আর ক'টা লোক, সবই তো আমার মত বাইরে থেকে আসা। তবে পূর্ববঙ্গীয়দের ধারনা আছে পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টভাষী এলাকাসমূহের লোকজন নাহ'ক কুচুটে ও কুটিল প্রকৃতির। সে বোধহয় নিতান্তই অপরিচয়ের কারনে; আমরা যারা স্বভাবত হাউমাউ করে কথা বলে অভ্যস্ত তারা ভাবি এই লোকটা এত ভেবেচিন্তে মিষ্টি করে কথা বলছে মানে নিশ্চয় কোন মতলব আছে।
আমার এখানে কী ভয়ানক টিকটিকি। ফ্যাকাশে, কালচে, খয়েরি - সবই নির্ভীক ও বাঘা সাইজ। এদের আবার নিজেদের এলাকা আছে, পোকা ধাওয়া করে একজনের এলাকার আরেকজন চলে এলে মারপিট হয়। পুরো মুক্তাঞ্চল বানিয়ে রেখেছে।
টিকটিকি দেখলেই হাতে গ্লাভস পরে খপাৎ করে ধরে জানলা দিয়ে বাইরে ফেলে দিন। শলার ঝাঁটা দিয়ে পিটিয়ে মেরেও ফেলতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে ফ্লিপ সাইড হল নিয়মিত মারলে হাতে টেনিস এলবো হবে।
যাক বাবা আমি কলকাতায় থাকিনা। আমি চেন্নাইতে থাকি আর গরমকালে রসম আর সম্বর খাই :-)
দুশো বছরের পুরনো ঝাঁঝালো রাগ! একি সহজে যাবার জিনিষ! এলেবেলে বাবু, ঘৃত কুমারী ট্রাই করে দেখবেন?
তবে, এটা ঠিক কলকাতার লোক জনের গুমোর বেশি। ধরে ধরে, টিকিতে টান দ্যান দেখি!
আমি তো আবার নদীয়ার একটি লোক কেই দেখলাম। তাকে যদি রিপ্রেজেন্টেটিভ ধরে নি, সরি টু সে কিন্তু নদীয়ার লোকে দের সম্পর্কে যে খুব উচ্চ ধারণা হ য় এমন বলতে পারি না। :)))
পাই, এভাবে জনসমক্ষে বলাটা কি ঠিক হল? খুবই লজ্জিত হলাম।
ব্রতীনবাবু কলকাতার ওপরে রাগ নেই তো, কলকাতার বাসিন্দাদের ওপরচালাকি আর গুমোরের প্রতি বিচ্ছিরি রকমের তাচ্ছিল্য আছে। ব্রিটিশের ধামাধরা কতগুলো লোকের তৈরি জনপদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে শঠতা, বিশ্বাসঘাতকতা, ওপরওয়ালাদের পদলেহন, মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা ও অতি জঘন্য বাবুয়ানির গুমোর এখনও নজরে পড়ে।
গড়িয়া নয়, যাদবপুর এইট বি-তে।
পাই, কিছু কিছু খবর রাখি। ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া এমন রোগ চেপে রাখা মুশকিল। সরকারী বা বেসরকারী ,ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি তে গত বছর কলকাতা ও পার্শববর্তী জেলা গুলোতে ভর্তি সংখ্যা কম। মৃত্যু সংখ্যাও কম।
টেস্ট সহজ লভ্য। ম্যালেরিয়া এন্টিজেন টেস্ট সব ল্যাব এই হচ্ছে।এন এস ওয়ান সরকারী ও পুরসভা কেন্দ্র গুলোতে ফ্রী হয় বলেই জানি। ম্যালেরিয়া স্লাইড টেস্টও পুরসভা কেন্দ্রে ফ্রী। ডেঙ্গি এ্যানটিবডি ফ্রী নয়।
সরকারী পরিসংখ্যান কি অন্য কিছু বলছে?
কলকাতার ওপর এত রাগ কেন? তোমার ও তো গড়িয়া তে একটা ফ্ল্যাট আছে । তাই না এলেবেলে দা ? :))