রুচিহীন মন্তব্যকারীকে রুচিহীন মন্তব্য ফিরিয়ে দিতে হয় তাই। সেটা শরদিন্দুর স্টাইল কিনা সেটা না দেখলেও চলে বিশেষত ২০২১ সালে সেটা যখন চূড়ান্ত বালখিল্য বিষয়।
সিভিলিটিহীন গ্রাম্য ছ্যাঁচড়ামি যত।
এই লেখাটা তো শরদিন্দুর স্টাইলে লেখা হয়েছে। সেটা না বুঝে এলেবেলে এরকম রুচিহীন মন্তব্য করছেন কেন? লেখা কেমন তা এখানে অবান্তর।
আচ্ছা কুলদা রায়। হ্যাঁ, কিছুদিন আমার বন্ধু ছিলেন বটে। একটা লেখাও বোধহয় নিজের দেওয়ালে শেয়ার করেছিলেন। ভাগিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশে আমার প্রচুর বন্ধুবান্ধব আছেন। তাঁদের মুখে অনেক কিছুই শুনেছি। ফলত...
কিন্তু এ কী চিজ দেখলাম মাইরি! ঝিল্লিঝঙ্কার, শৃগালের যাম ঘোষণা (জাম খেতে চাইছে?), তৃণাবৃত প্রান্তর, সিক্ত কুন্তলরাশি, দহিন ঝর্ণা (দইয়ের?)... তবে নিঃসন্দেহে সেরা হল অস্খলিতসংকল্প। এটা প্রথম পার্ট। বাকিতে না জানি আরও কীসব আছে। ভাগ্যিস অ্যাদ্দিন একবর্ণ পড়িনি।
টর্নেডো পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতে এতই রেয়ার ঘটনা যে ও বস্তুর প্রেডিকশন এদেশে সম্ভবত: হয় না।
ট্যানের নিন্দে করার হলে এখান থেকে লাইন দিয়ে পড়ে নিন। কপাকপ করে দিন। যদ্দিন এখানে লেখা বেরোত না তদদিন গুরুতে এসে কুলদা রায়ের নাম না করে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে খিস্তি মেরে যেত। এখন চ্যানেল বানানো হয়ে গেছে এখন আর ওসব পেঁচানি নেই।
আমি খিস্তি করি না বা উটি আমার পছন্দের জিনিষ নয়।
খিস্তি খুব খারাপ জিনিষ আছে,মোহন বাবু। আমার লেখায় খিস্তি নাই।
এসেম, আপনার চচ্চার সময় খিস্তিট্যানকে সঙ্গী করে নেবেন। গাইড হিসেবেও বিবেচনা করতে পারেন। এই সাইটে ওই দোয়ানিটিই আপনার চচ্চার পোকিত সমঝদার।
আরে বামেরা পেতেই পারত বড়জোর গোটা আটেক সিট। সেই পরিস্থিতিটাও কেউ চাননি। সিম্পল। যত বিজেমূল-ফুল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গ্রামের লোকজনের অত সময় নেই বাকতেল্লাবাজি শোনার।
আরে বিজেমুলী স্ট্র্যাটেজির জন্যে গ্রামের মানুষের কাছে সিপিয়েম পাত্তা পায়নি। দীপঙ্করকে গ্রামের মানুষ চেনে কিনা তাতে কিছু এসে যায়না।
ওই কারণে কংগ্রেসের শূন্য হয়ে যাওয়াকে দুই আর দুইয়ে চার করা যাবে না। কারণ সে বিষয়ে দীপঙ্কর ফ্যাক্টরই নন।
দীপঙ্করবাবু একটুও অন্যায় বলেননি কিন্তু তিনোর এই ফলে তাঁর বলা রাজনৈতিক লাইন খুব বেশি গুরুত্ব ডিজার্ভ করে না। আরবান সেকশন ছাড়া তিনি পরিচিত নন। বাংলার গ্রামের মানুষ তাঁকে চেনেনও না, পাত্তাও দেন না।
উরিঃ!৷ এই যে এত টিন উড়ল , এগুলো কোথায় কী পড়ছে কে জানে! যে বাড়িগুলোর উড়ল, তাদের দুর্ভোগ তো বলাই বাহুল্য। আশ্চর্য, এর বিন্দুমাত্র কোন প্রেডিকশন ছিল? কদিন ধরে তো শুনলাম টিভিয়ে ইয়াশ ইয়াশ আসছে আসছে করে ঝালাপালা পালা চলেছে!
তা বেশ! কিন্তু দীপঙ্কর বাবু,কি এমন অন্যায় বললেন যে থুতু চাটবেন বা বর্জ্যকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবেন?? এ আপনার একান্তই রাগের কথা! তাপ্পর দেখুন দাদু,উনিজি, দীপঙ্কর বাবু -- তিনজনের ই লম্বা দাঁড়ি। কি মিল, কি মিল।
কি বলছেন কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। যার বক্তব্য বাস্তবের কাছাকাছি যায়, তার রাজনৈতিক বোধ বেশি, ক্রেডিবিলিটিও বেশি। যাকগে বাদ দিন।
আমার বইটা প্রকাশের দিন ডাক্তার সিদ্ধার্থ গুপ্ত অন্যতম বক্তা হিসেবে এসেছিলেন। রেজাল্ট দেখে লোক বিচার করেন বুঝি! তো আপনাকে ডাকব রামমোহনের দিন? পহা পাবেন না কিন্তু। উল্টে তেল পুড়িয়ে আসতে হবে। সিদ্ধার্থবাবু সঙ্গে করে সরোজ দত্তের ছেলেকে এনেছিলেন। আপনি কাকে আনবেন? দীপঙ্করকে? বেশ একটা বই উপহার দেব তাঁকে, কেমন?
আরে এই বুলেট কীকরে বের করে!
আশা করি, খুব ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি। ব্যান্ডেলের লোকজনের প্রস্তুতি কতটা ছিলও জানিনা। আর কোথাও কী হল, তাও।
যে দাবী কেউ করেনি, আপনি সেটাকে খন্ডন করছেন। লিবারেশন পোচ্চুর ভোট পাবে কেউ বলেনি। দীপঙ্করের বক্তব্য সিপিয়েমের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ছিল। সেটা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেছে। আনলাইক আপনার প্রেডিকশান।
আমি যদ্দুর জানতুম, দীপঙ্কর বাবু ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। র্যানক হোল্ডার।ফুটো কলসী মনে হয়, নয়। আর যুক্তি দিয়েই কথা বলেন। আর তাতে বাস্তবতা থাকে।
হ্যাঁ, ঝড়ে বক মরলে ফকিরের কেরামতি বাড়ে বটে। তবে দীপঙ্কর যে বাংলায় ফুটো কলসি সে কথা আমি প্রেডিকশনের বহু আগে বলেছিলাম। সরকার বা বসুর টইতে। যাকগে।
উনিশ শতক নিয়ে চর্চা করবেন অথচ গুড়গুড়ে ভটচাজকে চিনবেন না? গুড়ে মোলাসেস দেখে সেই আশা করলেন বুঝি!
বোঝা গেল না। দীপঙ্কর ভটচাজ সিপিয়েম তিনোমুল জোটের প্রস্তাব তুলেছিলেন। তা না শুনে সিপিয়েম বিজেমুলী প্রচারে নেমে পড়ে এবং গোহারা হেরে ভোটে একটা বড় সাইজের গোল্লা পায়। ওদিকে তিনোরা আপনার প্রেডিকশানকে বক দেখিয়ে দুশোর ওপর আসনে জেতে। দীপঙ্করের ত এখন ঘ্যাম নেওয়ার টাইম, গু খেয়ে হজম করতে হবে কেন?
নাকি বিদ্যাসাগরের ঐতিহাসিক ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এও খোলসা করবেন না?
অবিশ্যি দীপঙ্করের যে ডানহাত, যে আমাকে দীপঙ্করের সঙ্গে পরিচয় করাবে বলেছিল (আরে ওই যে মশাই ভোটের আগে যার নন্দীগ্রামের কুমির...) তিনি বিদ্যাসাগর প্রকাশের দিনটিতে এসে বইটি কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এখন দীপঙ্কর সেটি দেখার সুযোগ পেয়েছেন কি না বলতে পারবনাকো। আর পড়লেই বা কী? রাজনীতি করে খেতে হবে তো!
দীপঙ্কর ভটচাজকে এখন গু খেয়ে হজম করতে হবে। বিহারের দাপট বাংলায় চলবে না। তাই মমব্যানকে দেবী দুর্গা ঠাউরেছেন। তাঁকে পোধানমন্তী পোজেক্ট করে চাট্টি আসর গরম করার ছক। আপনি যেটি দিয়েছেন সেটি পুরনো জিনিস। আগুনখেকো অনীকও এখন হাফ-গেরস্তগিরি করে।
এসেম, আগে ঠিক করে নিন উনিজিকে সমোত্থোন করলে চাড্ডি হবেন কিনা! তাপ্পরে বাঁজাগোপালের চচ্চা!!
এই দেকুন এলেবেলেবাউ, গুরুর সাক্ষাৎকারে দীপঙ্কর ভটচাজ কী কয়েচেন।
দী. ভ.— একদম ঠিক। বাংলার সংস্কৃতির কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। বাংলার যে মনীষীরা… ধরুন রামমোহন রায়, বা ধরুন বিদ্যাসাগর… ওই সময়ে, অতকাল আগে, তাঁরা সতীদাহ প্রথা রুখে দিতে চাইছেন, বিধবা-বিবাহ চালু করতে চাইছেন। কী কঠিন সময় তখন, এখনকার থেকে অনেক কঠিন। মানে ধরুন, হিন্দুকোড বিল আনতে গিয়ে (ভীমরাও) আম্বেদকরকে যে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ১৯৫০-এর দশকে, তার থেকে বহুগুণ বাধা তখন ছিল, সেইটাকে অতিক্রম করে, তার বিরুদ্ধে তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তো। রামমোহন, বিদ্যাসাগররা সেইসময় যা অ্যাচিভ করতে পেরেছিলেন, সেটা তো বাংলার সংস্কৃতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে গিয়েছে। ফলে, ওই ‘জয় শ্রীরাম’ বলে রণহুঙ্কার—আপনি ওইসব মিছিলে মহিলাদের বেশি দেখবেন না। এই রণহুঙ্কার মানুষকে ভয় পাইয়ে দেয়।
পরশুরাম লিখে গেছেন,রাগ হলো সবচে দরকারি রিপু।রাগ না থাকলে দ্বিতীয় পাণ্ডব অসাড়।পরশুরাম কে ক্রোধ ছাড়া কে চালনা করবে।
আমাদের এলেবেলে বাবুর রাগ টিও বেশ উচ্চ মানের।আহা, কি চমৎকার!
সত্যিই তো, এই মুহূর্তে রাম মোহন নিয়ে ভারতে এতো বড় প্রজ্ঞাময় ব্যক্তি কোথায় খুঁজে পাবেন, উনিজী? নিজের মুখে না বললে কি হবে। ওনার মনীষা সিটি স্ক্যান এর মতন । সহস্র বার বিভক্ত না করে, চরিত্রের বিশ্লেষণ করেন ই না।
না না, বিদ্যাসাগরের ভুলটি পুনরাবৃত্তি করবেনই বা কেন? এ ত পোবোন্দো লেখার মত গুরুতর বিষয় নয়। ছোট করে সেরে দিন। অবজেক্টিভ কোশ্নো।
গুড়ে মোলাসেস বলেই জানতে চাইলুম, স্যান্ড হলে চেপে যেতাম।