ছবিগুলো মুকুন্দপুর প্রতিবন্ধী সম্মেলন আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। পুণ্যদা আর অরিত্রর থেকে নেওয়া। আরো কয়েকধাপ এগোলো ইন্টারিম অক্সিজেন ফেসিলিটেটেড কোভিড কেয়ার ফেসিলিটির কাজ, যা মুকুন্দপুরে শুরু হবে কাল থেকে, যাদবপুরে শুরু হয়ে যাবে দু'দিনের মধ্যে৷
ইন্টারিম অক্সিজেন ফেসিলিটেটেড কোভিড কেয়ার ফেসিলিটি।
যেখানে হাই ফ্লো অক্সিজেন দেওয়ার বন্দোবস্ত থাকবে, আর আনুষংিক চিকিতসার ব্যবস্থা। আর তার জন্য প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত। ছবিতে যেমন দেখছেন। ডাক্তার, সেবক সেবিকা, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোকজন থাকবেন তত্ত্বাবধানে। যাঁদের অক্সিজেন কমে যাচ্ছে, অন্য নানা কারণে হাসপাতাল প্রয়োজন, তাঁদের বেড না পাওয়া অব্দি সময়টুকু বাড়িতে রাখলে রিস্ক বেশি, বাড়িতে দিতে পারা অক্সিজেনে বেশিরভাগ সময়েই কাজ হয়না, দিতে হয় আরো কিছু চিকিতসাও। সে সময়টুকু এখানে থাকা যাবে, সেসব চিকিতসা পাওয়া যাবে।
এরকম সেন্টার চালু হয়ে গেছে পাটুলিতে, কালই চালু হচ্ছে মুকুন্দপুরে প্রতিবন্ধী সম্মিলনী কেন্দ্রে ( আর এন টেগোরে), আর দু'দিনে যাদবপুরে! নানা সংগঠন, ব্যক্তি, ছাত্রছাত্রীরা মিলে।
শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ,WBDF এর ডাক্তাররা দেখছেন। আরো ডাক্তার, সংগঠন আসছেন।
কেউ স্বেচ্ছাশ্রম, সপ্তাহে ১২-১৪ ঘণ্টা দিতে পারলে জানাবেন, ডাক্তাররা ট্রেনিং দেবেন।
এরকম ইণ্টারিম অক্সিজেন ফেসিলিটেটেড সেন্টার আরো তৈরি হচ্ছে, জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে হোক।
সেফ হোম/ আইসোলেশন সেন্টারের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোও।
কোথাও কেউ উদ্যোগ নিয়ে করতে আগ্রহী হলে জানাবেন।
প্রোটোকল প্রশিক্ষণ দেবার জন্য আছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
ছবিগুলো Punyabrata Goon দা আর Aritra Anto-bihin Aritra Anto-bihin র দেওয়াল থেকে। দেওয়ালেই আরো পেয়ে যাবেন, উদ্যোগগুলিতে সাহায্য করতে গেলে বিস্তারিত কী করতে হবে৷
এরপর থেকে সেন্সিভিটি নিয়ে কোন ক্যালকুলেশন করতে গেলেও রাজ্যপালের মুখ মনে ভাসবে, সেটা কি ভাল হবে যদুবাবু!
হ্যাঁ, অরিনদার নেমোনিকটা সুবিধার!
'চট করে অপমানিত হন এমন লোক'---হিহিহি ঃ-)
@অরিন-দাঃ আপনার pnemonic টা খুব কাজের, আমি এই spin, snout জানতাম না। আমার সবসময়েই মনে হয় যে সেন্সিটিভিটি, স্পেসিফিসিটির কোনটা কী মনে রাখা খুব শক্ত, বরং (ট্রু/ ফলস) + (পজিটিভ/নেগেটিভ) অনেক বেশী ইনটুইটিভ। এই নেমোনিক-টা সেইদিক থেকে খুব কাজের।
আমি ছোটোবেলায় এইভাবে মনে রাখার চেষ্টা করতাম যে সেন্সিটিভ মানে চট করে অপমানিত হন এমন একজন লোক, এখন চোখের সামনেই আছেন তাই উদাহরণ আর দিলাম না। আর স্পেসিফিক মানে ভয়ানক খুঁতখুঁতে, যেমন আমার মাতৃদেবী, বাজার থেকে সেরা জিনিষ আতশ কাঁচ দিয়ে বেছে আনলেও বলবেন এ মা অনেক বেশী দাম নিলো, ঢ্যাঁড়শটা বুড়ো, পটলটা জলেডোবা, পুরোই ঠকিয়ে দিয়েছে ইত্যাদি।
ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশনের প্রিন্সিপাল কেশব সেনের পরে কারা ছিলেন? এই যেমন ১৮৯৫-১৯০৫ সালের মধ্যে কোন তালিকা পা্ওয়া যাবে? ধন্যবাদ।
ত্রিপুর অবশ্য সেই হিসেবে থাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু ঐ আর কি
ডিস্ট্রিবিউশানটা বিজেপী রাজ্য আর নন বিজেপী তে দেখো প্যাটার্নটা বুঝবে।
রাজ্যে রাজ্যে টীকার ডিস্ট্রিবিউশনটা ঠিক কেমন? কোউইন সাইট নেড়েচেড়ে দেখলাম, অনেক রাজ্যে গ্রামের দিকে টীকা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাঙ্গালোরে শুনছিও অনেকে গ্রামে গিয়ে টীকা নিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গে কোথাও নেই। ত্রিপুরায়, উত্তর ত্রিপুরা জেলাতে টীকাকেন্দ্রই নেই। সদরে, সিপাহীজলাতেও নেই। সদরের কাছে বলে? ওদিকে ঊণকোটি, খোয়াইয়ে আছে। নাগাল্যান্ডে সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরেও।
জনঘনত্ব, চাহিদা - এসব কিছু দেখা হয় না?
ধুর, গ্রামের মানুষ তো মরবেই, কারই বা কি এসে যায়। শুধু বড় কিছু, মানে খবরের কাগজে ছাপার উপযুক্ত কিছু না হলেই হল। গ্রামের ঘরে ঘরে জ্বর। হাসপাতালে বেশিরভাগ সময় কিট নেই, হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে র্যাপিড টেস্ট। আর আছে সাধারণ মানুষের ভয়। তাই Oshudher dOkane pyarasiTamol kenar bhir. Sokarer khatay kichui Othe na ar sob changasi!!!
প্রথম যখন আখলাকের খবর আসে, আমরা সক্কলে কিছু না কিছু লিখেছিলাম। প্রচুর প্রচুর ক্রোধ, ক্ষোভ ভরে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরশুর হরিয়ানার জ্জিমের ছেলেটির হত্যাকান্ডও একই রকম ভয়াবহ হিংস্র। আমরা কেমন একটা চুপচাপ দেখে পাশ কাটালাম। নর্মালাইজড হয়ে গেছে।
কি রাজ্য রে বাবা!
পুরো দেশ টাকে খাদের ধারে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে এরা।আসলে চাইছেই একটা মেজর গন্ডগোল হোক যাতে আবার চাড্ডির দলবল জাতপাতের দাঙ্গা করতে পারে। ওটা ওদের কোর এক্সপার্টিজ ফিল্ড।
ওদিকে কৃষকেরা ১৭৩ দিন হল এখনো ধর্ণাতে বসে আছে! প্রায় ৬ মাস। আধ বছর ধরে তারা সেখানে স্থায়ী বসে আছে! কারো কিচ্ছু যায় আসে না। সব কিছু নর্মাল চলছে! এতখানি ক্রুয়েল একটা প্রশাসন। মানুষ আর কবে ক্ষেপে উঠবে! আর কবে মরিয়া হবে!
"অরিনদা, আমি তো গ্রামেও RAT বুথের কথা, ঘরে ঘরে ফিভার সার্ভে, মাস সার্ভের ক্কথাই বল্লাম। পজিটিভ এলে কন্ট্যক্ট।"
এইখানেই তোমার RAT চমৎকার কাজে দেবে।
শুধু যেটা করলে বিশেষ করে ভাল হয়, backward contact tracing করা।
:-)
চেনাশোনাদের মধ্যে এতো খারাপ খবর আসছে গত কদিন ধরে , আর মাথার ঠিক থাকছে না।
তার ওপর যোগ হয়েছে যত রকমের নিরেট অশিক্ষিতপনা বা প্রাচীন 'ভারতীয়' জ্ঞান - শাঁখ বাজানো, যজ্ঞ করা, গাছ পোঁতা, গোমুত খাওয়া।
গত বছর হয়েছিল থালা বাজানো।
এবার জনগণের প্রতিনিধিরা এইসব হেঁকে যাচ্ছে।
সিএস, সেটাই। নেই। গ্রামের দিকে চলে গেলে কেস, মৃত্যু কোনকিছুরই আর কোন প্রকৃত হিসেব নেই। এদিকে রিপোর্টেড সব কিছু এবার দিনে দিনে কমবে, বড় শহরে যত কমবে।।
অরিনদা, আমি তো গ্রামেও RAT বুথের কথা, ঘরে ঘরে ফিভার সার্ভে, মাস সার্ভের ক্কথাই বল্লাম। পজিটিভ এলে কন্ট্যক্ট।
এইসব কেস সংখ্যা আর মৃত্যু সংখ্যার কোন মূল্য আছে আর ? বিভিন্ন লেখায় তো পড়ছি, গ্রাম কে গ্রাম, ছারখার হয়ে যাচ্ছে লোক মারা গিয়ে। মূলতঃ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোর খবরই চোখে পড়ে। কিন্তু সেই সব মৃত্যু যে কোভিডের জন্যই তার কোন 'প্রমাণ' নেই। গুজরাটে তো সেখানকার একটি কাগজ খবর করেছে , গত বছরের তুলনায় এই বছরে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ৬৫ হাজার বেশী ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে ! তার আগের বছর ধরলে সংখ্যাটা আরো বেশী হবে। অথচ গুজরাটে সরকারি হিসেব অনুযায়ী কত জন মারা গেছে ? সরকার যদিও যুক্তি দিয়েছে বেশী ডেথ সার্টিফিকেটের।
অতএব হেডলাইনটা ঠিক রাখতে পারলেই হল, সব শান্তি।
OPPO Man
নারদা কেস কি আরো জটিল হল?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটক, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদের পার্টি করা হল। এটার মানেটা বুঝলাম না।
শুনলাম বাকিদের নামে চার্জশিট জমা পড়েছে। এর মধ্যে মুকুল রায়ের নাম আছে ।
মোদী বিরোধীরা এতে খুশি হবেন।
কেস অন্যত্র সরিয়ে দেবে হয়তো।
বিদ্যে আছে তাই জাহির করছে, ও নিয়ে ভাবার কিছু নেই। হানুদা ঠিক নামই দিয়েছিল।
"কিছু গ্রামে কথা হল। খুবই খারাপ দশা। এক একটা গ্রামে হয়ত ২০০-৩০০ জনের জ্বর। টেসট হচছে যে ৪-৫ জনের, প্রায় সব পজিটিব্জ। টেস্টের কিট কম, করার সু্যোগ কম, মানুষ করতে চানও কম। মাস্কের সচেতনতাও খুব কম। অক্সিমিটার তো গ্রামের প্রায় কারুরই নেই। কিছু হলে চিকিতসা পেতে জান আরো জেরবার। অবিলম্বে টেস্টিং বুথ, সেফ হোম, ইন্টারিম কোভিড হাস্পাতাল গুলো গ্রামে গ্রামে দরকার।"
পাই, এর সঙ্গে এইখানেই RAT ভালো কাজে আসতে পারে । Rapid test করাও, নেগেটিভ দের মনিটর করতে থাকা, আর "একজনও" পজিটিভহলে গোটা এলাকার সবাইকে এবং তাঁদের যাঁরা কন্টাক্ট, শুধু forward না backward কন্টাক্ট, তাঁদের সরিয়ে নিয়ে আলাদা করে ফেলা ।
পাড়া লেভেলে "রিং" তৈরী করে ক্লাস্টার চিহ্নিত করে কাজ করলে উপকার হবে মনে হয় । গ্রামে ছড়ানোর যেমন বিপজ্জনক, তেমনি কন্ট্রোল করার কিছু সুবিধেও আছে । সুপারস্প্রেডিং ইভেন্ট গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা মস্ত চ্যালেঞ্জ ।
যাই হোক, এসব লিখলেই বলবে বিদ্যে জাহির করছে ।
https://epaper.anandabazar.com/imageview_56273_31631412_4_71_19-05-2021_8_i_1_sf.html
হ্যাঁ, এটাই স্বাভাবিক, কেসের ১০-২০ দিন বাদে সেটার জন্য মৃত্যু হয়। তাই মৃত্যু সংক্রান্ত ক্যালকুলেশনে অন্তত ১৫ দিন আগের কেস নিতে হয়।
কিন্তু আমার চিন্তা হচ্ছে অন্য জায়গায়। কেস কমছে শহরগুলোতে। অনেক ব্ড় শহরের ডাক্তাররাই বলছেন, গত কয়েক দিনে হাস্পাতালে আসা রোগীর চাপ ক্রমে কমছে। পজিটিভিটি রেটো কমছে যদিও কোলকাতায় এই সিবিয়াই এফেক্ট কো হবে পরের হপ্তা থেকে বোঝা যাবে। বড় শহরগুলোয় মনে হয় ভালনারেবল পপুলেশনের বিশাল অংশ আফেক্টেড হয়ে গিয়ে এবার ছড়ানো কম্বছে।
কিন্তু চিন্তা হল, ছড়াচ্ছে তো জেলায়, গ্রামে। আর সেখানে তো বেশিরভাগ জায়গায় টেস্ট হচ্ছে খুব খুব কম। তাই এই কেস কমা দিয়ে সত্যি কেস কমার কথা বলা যায়না। এক্ষেত্রে মৃত্যু হলেও কোভিড ডেথ ধরবেনা।
কিছু গ্রামে কথা হল। খুবই খারাপ দশা। এক একটা গ্রামে হয়ত ২০০-৩০০ জনের জ্বর। টেসট হচছে যে ৪-৫ জনের, প্রায় সব পজিটিব্জ। টেস্টের কিট কম, করার সু্যোগ কম, মানুষ করতে চানও কম। মাস্কের সচেতনতাও খুব কম। অক্সিমিটার তো গ্রামের প্রায় কারুরই নেই। কিছু হলে চিকিতসা পেতে জান আরো জেরবার। অবিলম্বে টেস্টিং বুথ, সেফ হোম, ইন্টারিম কোভিড হাস্পাতাল গুলো গ্রামে গ্রামে দরকার। বাড়ি বাড়ি মাস্ক পাঠানো, প্রতি আশা দিদিকে অক্সিমিটার দেওয়া। ম্যালেরিয়ার জন্য আমাদের যেমন ফিভার সার্ভে বা এন্ডেমিক এলাকায় মাস সার্ভে হয়, তেমনটা দরকার।
'সবার জম্য স্বাস্থ্য' - শ্রমজীবী উদ্যোগের তরফে অনেক অনেক সংগপঠন মিলে কিছু দাবিদাওয়া কাজের কথা ভাবা হয়েছে, কিছু শুরুও হয়ে গেছে, দেখা যাক।
হ্যা ঠিক। এটা আর একটা ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্টর হতে পারে। তবে ওভার টাইম মনে হয় দুটো গ্রাফ ম্যাচ করে যাওয়া উচিত। হইতো একসাথেই ফল করবে।
কেস সংখ্যা কমছে অথচ ডেথ কাউন্ট বাড়ছে।এটা মহামারী তে স্বাভাবিক ঘটনা।কারণ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গড়ে তিন লাখের ওপর কেস হচ্ছিল।বহু ক্রিটিকাল রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।স্বভাবতই নেক্সট কয়েক দিন মৃত্যু সংখ্যা বাড়তেই পারে।
মৃত্যু সংখ্যার সঙ্গে ডাইরেক্ট কোরিলেশন রয়েছে নাম্বার অফ ক্রিটিক্যালি সিক পেশেন্ট এর।
এটার হিসাব ওয়ার্ল্ডওমিটার দিচ্ছে।