হেঃ হেঃই
সবচেয়ে ভালো হত সমস্ত শক্তিশালী রিজিওনাল দলগুলো মিলে মিলিজুলি সরকার তৈরী করে কেন্দ্রে বসলে। কিন্তু কর্তাভজার দেশে সে আর দেখা গেল না। হয় কর্তার ভূত বসে থাকে, নয়তো ড্যাশ অবতারেরা নৃত্য করে।
নিজের রাজ্যে যারা ম্যাসাকার করতে পারে, তারা গোটা দেশ হাতে পেলে কী করতে পারে---
২০১৪ এ এটাই ভেবেছিলাম মোদী এলে ইকোনমি ভালো করবে। করাপশন কমবে। তখন মিডিয়ায় সারাক্ষন UPA-2 সরকারের করাপশন , রোভার্ট ভদ্রার জমি নিয়ে করাপশন , সরকারের নীতি-পঙ্গুত্ব এসব নিয়ে পাতা জোড়া লেখা বেরোতো ২৪ বাই ৭। আরো ভেবেছিলাম গুজরাট দাঙ্গার রিপিট হয়তো আর হবেনা , একবার ক্ষমতায় চলে এলে হয়তো এস্টাব্লিশড সিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেট করে যাবে।
সবই যে কত বড়ো ভুল আর দিবাস্বপ্ন সেটা যখন মগজে ঢুকলো বছরখানেক পরে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এরা যে পুরো সিস্টেম টাকেই ১০০-% পাল্টে দিতে পারে সেটা ভেবে ওঠা আমার দ্বারা কুলোয়নি। আর গত এক বছর তো জাস্ট নাইটমেয়ার.
পার্থক্য ছিল, আছে এবং থাকবে। এটাই যা ভরসার কথা।
মোদী এলে দেশের ভালো হবে এটা ২০১৪ তে কী করে ভেবেছিলেন? গুজরাটের সেই ম্যাসাকার তো তার অনেক আগের কথা! নাকি ভেবেছিলেন ভুল সংশোধন করে ভালো হয়ে গেছে? এইবারে দেশের কল্যাণে কাজ করবে?
ডিম ফুরিয়ে গেলে, আলু-ভাত ফ্রি --
এটা ভালো ব্যবস্থা
২০১০ এর জুলাই গুজরাটের তৎকালীন গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ কে গ্রেফতার করে CBI.. কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার তখন। মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন "আমার মন্ত্রীসভার মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই..উনি আমাকে কিছুক্ষণ আগে ওনার উকিল মারফত মন্ত্রীসভা থেকে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন সংবিধান কে মান্যতা দিয়ে, আর আমি সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছি..বাকি আইনি লড়াই শ্রী অমিত শাহ নিজে কোর্টে লড়বেন" পরবর্তীকালে আইনি পথে লড়ে অমিত শাহ নির্দোষ প্রমানিত হয়েছিলেন। পার্থক্যটা এখানেই, আজকের আর সেদিনের ! সেদিনকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই অফিসের সামনে ধর্না দেননি। কোন ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক রাস্তাঘাটে ইঁঁট বৃষ্টি করেনি বা আইন অমান্য করেনি। পার্থক্য ছিল, আছে এবং থাকবে।
সেই আর কি। এবার মমতা ফিরে আসায় মুসলিমদের দৌরাত্ম্য আরো বাড়বে - ওপেনলি এসব কম্যুনাল হেট্ পোস্ট ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আরো মজা হলো তাদের মধ্যে কয়েকজন সৌদি বা অন্য গালফ দেশে কাজ করে দিব্যি। এদিকে হিন্দুত্বের জন্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণ দিয়ে দিচ্ছে। মানে ধর্ম আর জিরাফ (পয়সা ) পাশাপাশি আছে ঠিক।
আর অন্যকে বলে কি হবে ? আমার নিজের ওপরেই ঘেন্না হয় আজকাল ভেবে যে ২০১৪ এ আমি ভেবেছিলাম মোদী এলে দেশের ভালো হবে আর সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লড়ে যেতাম।
আরে বহু লোকে তো বিজেপি কেন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কল্কি অবতারের আগমনের জন্য লালকার্পেট পাততে শুরু করল না, সেই দুঃখে আজও কেঁদে ভাসাচ্ছে।
একটা চূড়ান্ত লেভেলের নোংরামি চলছে পব তে। এর পরেও দেখছি হোওয়া গ্রুপে কিছু পাবলিক দিব্যি জাস্টিফাই করে যাচ্ছে যে বিজেপি র ক্যাডার দের ওপর পোস্ট ইলেকশন অত্যাচার থামানোর জন্যে এরকম একটা কড়া স্তেপ নেওয়ার দরকার ছিল। মানুষের সংখ্যা যে বেশ কমে আসছে , বদলে ইতরের সংখ্যা বাড়ছে - সোশ্যাল মিডিয়া তার সব থেকে বড়ো প্রমান।
সত্যিই এটা খুব ভালো প্রকল্প। আশা করি বন্ধ করবে না। কেলোদার পোস্টটি খুব ভালো লাগল।
আলু তো ভরপুর থাকে। তার ওপরে ডিম থাকে। যদি ডিম ফুরিয়ে যায় তবে শুধু আলুর তরকারী ভাত পাওয়া যায় যতক্ষণ স্টক থাকে। ডিম ফুরোলে শুধু আলুভাতে খেলে কোনো পয়সা নেওয়া হয় না। আলুভাত পুরো ফ্রী।
এই দেখুন, মানুষটি মাটিতে বসে মা প্রকল্পের আলুভাতে খাচ্ছেন।
আরে আমিও তো ভেবেছিলাম ভোটের পরই বুঝি বন্ধ করবে ডিমভাত স্টল। কিন্তু বন্ধ করেনি দেখে আশান্বিত। লোকের যে ভালোরকম প্রয়োজন, তা লাইন দেখেই বোঝা যায়। অনেকে বলবেন, ভর্তুকী দিয়ে জনগণকে খাওয়ানো ভালো না, তাতে অর্থনীতি ভেঙে যায়। কিন্তু সঙ্কটকালে সেই যুক্তি চলে না, আগে মানুষ বাঁচলে তবে তো অর্থনীতি!
স্টল খুলুক, ভাতের সঙ্গে নাহয় আধখান করেই ডিম দিক, সঙ্গে আলু দিয়ে পূরণ করে দিক।
অ্যান্ডর, আমিও ব্রহ্মাণ্ডের কাউন্টার শুণ্য দেখে ডিমের খোলার মত ভেঙ্গে পড়েছি। এখনই তো দরকার সবচাইতে বেশী ছিল।
প্রথমে ভেবেছিলাম ভোটের পর যে সরকারই আসুক ব্রহ্মাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু পুরোনো সরকার ফিরেও স্টল তুলে দেন নি। বরং লাইন আগের চেয়েও লম্বা হয়েছিল। লোকে বোধহয় বুঝেছিল 'শুনার বংলা' যখন হলই না তখন এই ডিম্বান্ন খেয়েই পরের ভোট অব্দি প্রাণটা ধরে রাখতে হবে। এই দেখুন ১৩ মে নতুন সরকারের আমলের ব্রহ্মাণ্ডের স্টল -
তবে আজ সবচে সঙ্কটের মুহুর্তে এরকম ঘুঘু চরছে কেন?
ওটা কি ধরাপড়া মন্ত্রীদের কারো বিভাগের প্রকল্প??
অন্য কোন কাজ তো বন্ধ নয়। আগামী দশ বারো দিন তো গাড়ীঘোড়া চলবে না বললেই হয়। অথচ কলকাতা পুলিশ এই মাঝরাতে এসে ফ্যাঁস ফ্যাঁস করে রাস্তার ওপর জেব্রা আঁকছে।
এর থেকে বেশী দরকারী কি ডিম্ভাতের স্টলটি চালানো নয়??
সেন্ট্রাল ভিস্তা আর এর চে বেশী কি অমানবিক হল!!
"Multiple public health experts, including some government medical researchers and members of national or state Covid-19 task forces, have expressed similar concerns to this newspaper over the past four weeks.
“We’re unable to articulate some of these things,” one expert had said on the condition of anonymity earlier this month. Another expert and member of a task force had said he believed India had collectively failed to act on some early warning signals.
Other scientists too had expressed concerns about policies not guided by evidence. One example, they said, was the Union health ministry’s persistent denial of community transmission of Covid-19 for which evidence had been available by April 2020."
পাই এর দেওয়া লিঙ্ক থেকে: "So when we say there is going to be 2 billion doses of vaccine in the last five months of this year, I am a bit skeptical because we haven't seen the previous predictions play out well," she said"
এতে আশ্চর্যের কিছু নেই, ভারতের নানান গোলমেলে সিদ্ধান্তের মধ্যে এই আজগুবি "মডেল" গুলো কম যায় না। মূলত এই ধরণের ভুল মডেলিং এর পরিণাম কত লক্ষ মানুষের জীবন দিয়ে হল, এবং এখনো চলছে এবং চলবে, এইটাই মর্মান্তিক। জর্জ বক্স বলতেন, সব মডেল ভুলভাল, কয়েকটা শুধু কাজের।
এখনো হাবিজাবি মডেল, উল্টোপাল্টা ওষুধ, আনপ্ল্যানড ভ্যাকসিনেশন - আর কতদিন এভাবে চলবে? দুটো ডোজ নেবার পর অঙ্কের নিয়মে বেশ কিছু ইনফেকশন দেখা যাবে, মানুষ নানা কারণে মারা যান, সব দোষ ভ্যাকসিনের নাও হতে পারে।
যে অসুখটা মূলত প্রতিষেধনের, এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা, সেখানে অসুখ ছড়াতে দিয়ে ঝষুধ নিয়ে হিরোগিরি করে লাভ নেই। এই সহজ সত্যটা ভারতীয়রা এবং তাঁদের নেতৃবৃন্দ কবে বুঝবেন?
হ্যাঁ, কোনো বিশেষ দলের কথা কেসিদা লেখেনি, ওটাকে আমার মনের মাধুরী বলতেই পারেন।
দাঙ্গাবাজ একটি দলের ইশারায় ভয়ানক কোভিড-পরিস্থিতিতে কলকাতার ঘুষখোর মেয়রকে অ্যারেস্ট করা হল। এদিকে পিএম কেয়ারের ভেন্টিলেটর, টিকার অপ্রতুলতা, অক্সিজেন না পাওয়ায় শয়ে শয়ে লোকের মৃত্যু, গঙ্গায় শবদেহ বিসর্জন, সাংবাদিকেরা এসব নিয়ে লিখলে তাঁদের বিরুদ্ধে FIR..., চলতেই থাকবে। এসব ছেড়ে ঘুষখোরের অ্যারেস্টে খুশি হওয়ার জন্য প্রায় অর্জুনের সব কিছু ছেড়ে পাখির চোখ দেখার মতো ট্যালেন্ট দরকার... আর এই সরল বিশ্বাস যে ঘুষখোরি বন্ধ করবার জন্যই এতো তৎপরতা।
খুনেদের শাস্তি না হোক, দুটো চোর ধরা পড়লে অন্তত চুরি তো কমবে। এনিওয়ে, যে যা ভেবে খুশি থাকে...
হাইকোর্ট জামিনের স্থগিতাদেশ দিল। তাই ৪ জন অভিযুক্তরা থাকবে প্রেসিডেন্সি জেলে।
বেচারা।
সেই অনেক আগে যখন ডিমভাতের ভরা প্যান্ডেল এর ছবি দিয়েছিলেন, সীমান্ত অরক্ষিত পেয়ে যেটা বসিয়ে গিয়েছিল, খুবই ভালো লেগেছিল। অন্নই ব্রহ্ম, তার উপরে আবার ডিম, যাকে বলে ব্রহ্মান্ড। দেখতে পেলেই ভালো লাগে।
কেলোদা, ডিমভাতের খালি প্যান্ডেলটা দেখে দুঃখ হল। নিয়ম মেনে ( অল্প লোক, সবাই মাস্কড, দূরে দূরে দাঁড়াবে, পাওয়ামাত্র নিয়ে চলে যাবে ) খোলা রাখলেই হত। খিদে তো লক ডাউন মানে না।
আজকের ঘটনায় জন সমাবেশের পুরো দায় রাজ্য সরকারের হোম মিনিস্ট্রির। কালকেই সরকারের দেওয়া কোনো নির্দেশই পুলিশ পালন করেনি। ঘুষখোরদের ধরায় আমি সোজাসুজিই খুশি বলেছিলাম। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের কথা আমি কই নাই। অভ্যুদয় তার মনের মাধুরী মিশায়ে আমার মনের রচনা যেটা করতে চেয়েছে, সেটা তার ভুল হয়েছে।
বক্তব্যটি লিপিবদ্ধ হইল।
ওদিকে দিলীপদা লিখেছেন, মহামান্য আদালত নাকি বেল অর্ডারে মন্তব্য করেছেন,
"Though there is a prayer for further investigation as against other FIR named accused persons but on behalf of the I.O. there is no prayer for CBI custody of the arrested persons."
তাহলে এত ডামাডোল কী নিয়ে?
দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৫-৭ দিন বাদে কোভিড এতজনের শুনছি, আমার পিসিদের, উপরে, আশেপাশের ফ্ল্যাটে। এগুলো টিকা নেবার ভীড় লাইন থেকেও হতে পারে। আর সবাই বেশ ভালমত অসুস্থ, কেউ কেউ হাসপাতালে।
তবে এই তরুণকুমারের জামাই তো টিকা নেবার পরপরই অসুস্থ হয়ে ৬ দিনের মাথায় চলে গেলেন বলেছে। কোভিড পজিটইভ কিনা বলেনি। হলেও টিকা নেওয়ার কদিন আগেই ইনফেক্টেড ও হয়ে থাকতে পারেন। আবার টিকার আডভার্স এফেক্টও হতেই পারে।
এমনিতে টিকার দুই ডোজ নেওয়ার এক দুই মাস বাদেও কত কত যে কেস শুনছি।
কোভিড পরিস্থিতির জন্য এ যাত্রায় ঘুষখোর পার পেয়ে গেল।
হাই কোর্ট বলেছে এই অবস্থায় তদন্ত সম্ভব নয়।
সিবিআই গুয়াহাটি বা ভুবনেশ্বর যাবে ।
কিন্তু ক্যাচাল হল প্রচুর লোক বাইরে ক্যাঁচোর ম্যাচোর করছিল। এরা অনেকে পজিটিভ হবে এবং আরো অনেককে করবে।
ভাজপাছাপ কোন কাজকেই বেনিফিট অফ ডাউট দেওয়া যাবে না, সেসবের পেছনে কোন সৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সাত বছর এদের ক্ষমতায় দেখার পরে এই রুল অফ থাম্ব মেনে চলতে হবে।
সকল বুদ্ধিমান লোকের তাই করা উচিত।
এখখুনি দেখলাম সবাই সেশন্স কোর্টে বেইল পেয়ে গেছে। এটাই এক্সপেক্টেড। এই স্টেপটা বোধহয় ব্যুমেরাং হোল।
দিল্লিতে " মোদীজি, আমার বাচ্চার ভ্যাকসিন কেন বিদেশে পাঠালে"? পোস্টার ফ্রেমে বাঁধিয়ে ল্যাম্পপোস্টে টাঙানোয় রিকশাওলা থেকে প্রিন্টার প্রায় ২৫এর বেশি লোককে অ্যারেস্ট করেছে। অনেকেই জামিন পেয়েছে।আপের নেতারা প্রেস কনফারেন্স করে বলছেন--এটা আমরা করিয়েছি। গরীবদের না ধরে আমাদের জেলে ঢোকাও, যত পার ধারা লাগাও।
এইস্টেপটাও মনে হয় ভোগাবে।