অরিন
অনেক ধন্যবাদ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। এই সময়ে ঘরের বাইরে যাবার ইচ্ছে নেই।
দেব্তাদের বজ্জাতির অন্ত আছে নাকি? বাবাকে শাস্তি দেবার জন্য ছেলে দুটোকে নিষ্ঠুর ভাবে মেরে ফেললো। তাদেরই ইনার্ডস দিয়ে শিকল বানিয়ে বাবার হাত-পা বেঁধে রাখলো। নিষ্ঠুরতা দেখে দেখে, শুনে শুনে হয়রান হয়ে যাই!
কেকে, এই চলছে একরকম। দুনিয়ার এই অবস্থা যে কবে ভালোর দিকে যাবে কেজানে!
কেকে, দ্যাখো ঐ তিন ভাইবোনকে যদি ওভাবে অবিচার করে নানাভাবে নানা জায়গায় আটকে না দিত, তাহলে কিন্তু মনে হয় পরবর্তী ঐ মারাত্মক ব্যাপারটা, বল্ডারের মৃত্যু, ওভাবে ঘটত না। কেজানে হয়তো নিজের ছেলেমেয়েদের উপরে অবিচারের শোধ নিতে গিয়েছিলেন ওদের বাবা। তার ফলে পর পর সব চেইনের মতন ঘটতে শুরু করল। কিন্তু ওঁর দেবী স্ত্রীর সন্তানরা কী করেছিল? তাদের কেন মারল দেবতারা? নাকি ওরা এমনি এমনি মরে গেল?
অ্যান্ডর,
হ্যাঁ, লিখতে হবে ঠিকই। এখনও অবশ্য শুরু করে উঠতে পারিনি। দেখি কী লেখা, কবে এসে দাঁড়ায়। তুমি ভালো আছো তো?
সবচেয়ে বড় কথা, দ্রি আর দীপাঞ্জন পুরো মিসিং। ওদিকে গেটসসাহেবের মাতামহ ইত্যাদিরা তো রেগে ফায়ার। ডিভোর্স হয়ে যাবে। এদিকে কিনা দ্রি দীপাঞ্জন সবাই চুপ!!!! জটায়ু থাকলে বলতেন, হাইলি সাসপিশাস। ঃ-)
স্যান্ডি, আপনি গেলেন কোথায়? বহুদিন সাড়া পাই না। আশা করি ভালো আছেন।
কেকে, অনেকদিন দেখি না যে তোমায়! ভালো আছো তো? নুড়িতলার নতুন পর্ব দেবে না?
চতুর্মাত্রিক, চলে গেছেন? আপনি ঠিক বলেছেন, একদিকে ভালো হয়েছে। ত্রিশঙ্কু হলে সর্বনাশ হত। কতদিন গড়াত কেজানে।
আপনাকে বলে লাভ নেই যদিও, তবুও রামমোহন ও রথচাইল্ড একটি ভয়ানক ঘাপলার জায়গা। রামমোহন ও দ্বারকানাথের ইংল্যান্ডে মৃত্যুও। যদিও সেসব লিখতে গেলে আমার কল্লা যাওয়া নিশ্চিত।
সত্যি বলতে কী অরিন, উপমহাদেশে ধর্মের জন্য বা রাজনীতির জন্য বহুরকম কিছু হতে পারে, কিন্তু জ্ঞানবিজ্ঞানের জন্য গুপ্তসংঘ, এই ব্যাপারটাই ধারণায় আসত না মনে হয়। কারণ জ্ঞানবিজ্ঞান জিনিসটাই তো অল্পসংখ্যক লোকের হাতে ছিল, সাধারণের হয়েছিল কি কোনোদিন? ইউরোপে কিন্তু অনেকটাই আলাদা চিত্র। আমাদের সমাজে বিজ্ঞান ইত্যাদি বাই ডিফল্ট সিক্রেট সোসাইটির মতন। তাই মনে হয় আলাদা করে আর কিছু লুকোনোর ছিল না।
এবং হ্যাঁ, আমি রামমোহনকে নিয়ে লিখব। রবীন্দ্রনাথের নোবেল নিয়ে লিখব। বিবেকানন্দকে নিয়ে লিখব। সুভাষকে নিয়ে লিখব। ৪৬-৪৭এর দাঙ্গা নিয়ে লিখব। দেখি কারা কারা আমাকে বিজেপির স্টুজ বলার ধক দেখায়।
অরিন, ধন্যবাদ। এই অশোকের এদের নিয়ে একটা কী যেন আগে দেখেছিলাম। খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না, পশ্চিমী বয়ানের গল্প। আমি আসলে খুঁজছিলাম কোনো বেঙ্গল রেনেসাঁর আমলের সিক্রেট সোসাইটি, জ্ঞানবিজ্ঞানের জন্য বানানো কোনো গুপ্তসংঘ, কিন্তু সেরকম কোনো ধারণা মনে হয় ছিল না আমাদের সমাজে।
গুরু একটা নাট্যশালা হয়ে উঠেছে। এখানে বীভৎস মজা চলছে। দু-চারজন ছাড়া কাউকে তার প্রতিবাদ করতে দেখিনি। প্রতিবাদ করতে চাইলে ইম্পারশিয়ালি করুন। দোহাই রুচিশীল পরিবেশ রক্ষার বাগাড়ম্বরটি আর করবেন না। কারণ ওটি বেশ কিছুদিন হল নেই হয়ে গেছে।
"আচ্ছা, এখানে তো অনেক জানাশুনো-ওয়ালা ব্যক্তিরা আসেন, একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন? বাংলায় (বড় করে ধরলে গোটা উপমহাদেশেই), গুপ্তসংঘ বলে কোনো ধারণা কি ছিল বা আছে?"
এই একটা
চলবে?
এলেবেলে, আপনাকে অনুরোধ করছি গালাগালি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। গুরুর রুচিশীল পরিবেশ বজায় রাখুন।
কোথায় থাকেন আপনারা যখন বিভিন্ন অচেনা নিক থেকে পিটিস্যারকে গত চারদিন যাচ্ছেতাই ভাষায় আক্রমণ করা হয়? কোথায় থাকেন তাঁকে যখন কেউ অবলীলায় 'মানসিক ভারসাম্যহীন' খেতাব দেন কিংবা 'চুতিয়ার বাচ্চা' বলেন? কেবল সুরে সুর না মেলার জন্য এসব বলা যায়? তখন আপনারা শীতঘুমে চলে যান? দিয়ে হঠাৎ এলেবেলে কথা বললে ধড়মড় করে জেগে ওঠেন? ওই 'বিজ্ঞের বি*' শব্দটি কে আমাকে ছুঁড়ে দিয়েছে আগে সেটা দেখুন। তার প্রতিবাদ করুন। নাহলে আপনাকে সিম্পলি ন্যাকাষষ্ঠী ছাড়া আর কিছু বলার উপায় থাকবে না।
আচ্ছা, এখানে তো অনেক জানাশুনো-ওয়ালা ব্যক্তিরা আসেন, একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন? বাংলায় (বড় করে ধরলে গোটা উপমহাদেশেই), গুপ্তসংঘ বলে কোনো ধারণা কি ছিল বা আছে? রাজনৈতিক না, এমনি গুপ্তসংঘ, সিক্রেট সোসাইটি। এই যেমন পশ্চিমে ইলুমিনাতি, স্কাল অ্যান্ড বোন, নাইট টেম্প্লার ---এইসব শোনা যায়, সেরকম কিছু কন্সেপ্ট কি আমাদের উপমহাদেশে ছিল বা আছে?
হ্যাঁ, এখন আর বিরোধী নেতা/নেত্রী নির্বাচনের তেমন কোনো অসুবিধে নেই। ঝটাপট হয়ে যাবে।
এইবার আসি। এই সাজেশনটি ভালো। ভোটালোচনার জন্য টই ব্যবহার করলে আমজনতার ফলো করা সুবিধা। ভাট্টা নয় যারা তেমন কোনও বিশেষ আলোচনায় কাউকেই ঋদ্ধ করতে পারেনা সেইসব টপিকের জন্যই রইলো।
তবে বিরোধীদের ব্যাপারটা এমন হওয়ায় একদিকে সুবিধা হয়েছে। মনে করুন যদি তিনদলের লোকেরা একসঙ্গে বিরোধীর সম্মান পেতেন তবে তাঁদের মধ্যে কে বিরোধী নেতা/নেত্রী নির্বাচিত হতেন? আরো মুশকিল হতো। তাচ্চেয়ে বোধহয় নাইট্রোজেনকে অক্সিজেনে পরিণত করা সোজা।
ভোটের জন্য তো অনেকগুলো টই আছে। সুধীজনেরা যাঁরা ভোট নিয়ে আলোচনা করতে চান, তাঁরা সেইসব টইগুলোতে যান অনুগ্রহ করে। সেখানে আলোচনা করুন। সব একজায়গায় থাকবেও, অনেক সুবিধেও হবে।
চতুর্মাত্রিক, নাইট্রোজেন থেকে অক্সিজেন? কারা করবেন? এ তো মারাত্মক কেস! প্রোটন এনে এনে নিউক্লিয়াসে ঢোকাতে হবে !!!! ঢোকে না তো, ভীষণ ঠেলা খেয়ে উল্টোদিকে চলে যায়।
অল্প সময়ের জন্য আসলুম এবংঅথবা বাবু। আপনি ভালো আছেন ত?
এলেবেলে, আপনাকে অনুরোধ করছি গালাগালি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। গুরুর রুচিশীল পরিবেশ বজায় রাখুন।
চতুর্মাত্রিক, এসেছেন? এ তো একেবারে বিরোধীহীন হয়ে গেল! আপনিই একমাত্র বলেছিলেন বিরোধীদলের ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন তো সব সবুজ আর গেরুয়া, কোথাও কোনো বিরোধী নেই।
বলি, নাইট্রোজেনকে অক্সিজেনে পরিণত করার ব্যাপারটা কিছু এগোলো? পিটিবাবু থেকে আরম্ভ করে স্যান্ডিবাবু -- গুরুর এত্ত এত্ত কেমিস্ট কী করছেন? ডিডিদা বাবুরা নয় পুরোনো আমলের লোক; ওঁনাদের সময় পিরিয়ডিক টেবিলে হাইড্রোজেন থাকতো, এখনও আছে কিনা উনি তেমন সিওর না। কিন্তু বাকীরা?!
ওহে 'বিজ্ঞের বিচি' (আপনার ব্যবহার করা কয়েনেজ আপনাকেই ফেরত দিলাম, ট্যাঁকে গুজে রাখুন) কংগ্রেসের ভোট বেল্ট মুর্শিদাবাদ-মালদা-উত্তর দিনাজপুরে মুসলমান ভোটারদের সংখ্যা কত? সেটাকে জোচ্চুরি করে কং-এর পার্সেন্টেজের গোঁজামিল দিলে হবে? তিনোর ৪৭% ভোটের ৩০% মুসলমানদের, ৫ থেকে ৭% যাঁরা জীবনে তিনোকে দেননি এবং পরেও দেবেন না তাঁদের। এত চণ্ডীপাঠ, এত দুর্গাপুজোর ফিতেকাটা, এত রামনবমী, গনেশ পুজো করার পরেও হাতে রইল পেন্সিল ১০ থেকে ১২% হিন্দু ভোট। এই দিয়ে বিজেপিকে ঠ্যাকানো যাবে তো? ক্যা-বিরোধী কড়া অবস্থান নেওয়া যাবে তো? শপথ নেওয়ার পরেই লকডাউন আটকানো যাবে তো? কর্পোরেটকে রোখা যাবে তো? গেলে খুবই ভালো। আরও কিছুদিন বেঁচে থাকব এবং নিজের নিকেই লিখব। ২০২৩-এ দেখব কত ধানে কত চাল হয়। সাময়িক উচ্ছ্বাস ও প্রবল গালাগালির স্রোত বন্ধ হোক আগে। আর শীতলখুচি নিয়ে মুখে কুলুপ কেন? কোভিড নিয়ে? পাঁচ টাকার ডিম-ভাত প্রকল্প শহরাঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে? নাকি খেউড় ছাড়া স্টকে আর কিছু নেই? নাকি কুড়ি টাকা পাউচের খোঁয়াড়ি কিছুতেই কাটছে না?
এই মাঝরাতে মিথ্যে বলব না। আমিও মমতাকেও ভোট দিয়েছি। পরের মাসে ২৯ বছর বয়েস হবে। মফঃস্বলের অভাবী পরিবারে ছেলে। ছোটোবেলা থেকে দেখে এসেছি সিপিএমের গুন্ডাদের দাপট। ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি এসে হুমকি দিয়ে যেত ভোট যেন ঠিক জায়গায় পড়ে, কে কাকে ভোট দিচ্ছে সব খবর আমরা পাই। তখন মিলিটারি দিয়ে ভোট হত না। আমাদের বাড়ির সবাই গিয়ে সিপিএমকে ভোট দিয়ে আসত। ভোটের পরে ভাঙ্গচুড় মারপিট হতে দেখেছি, অবশ্য আমাদের এলাকায় অত হত না। আমাদের ওখানে টিএমসির তেমন জোর ছিল না তখন, তাতেই কি অত্যাচার করত সিপিএম। চাঁদা ঠিক সময়ে দেয় নি বলে একবার আমার দাদার কাঁচাতরকারির দোকানের সব মাল সিপিএমের গুন্ডারা টেনে উল্টে ফেলে দিল। দাদা পার্টি অফিসে বলতে গেল, ওখানে বলল যা এখন বাড়ি যা, আর কেউ ঝামেলা করবে না। পরের দিন পাড়ার এক বন্ধু বলল, ওর বাবা আর কাকা, আগেরবার বিগ্রেডের ম্যাটাডোরে ওঠে নি তাই ওরা রেগে ছিল ওদের ওপরেই।
এসব দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। লেখাপড়ায় মোটামুটি ভাল ছিলাম। কলেজের পড়া শেষ করে এখন চাকরি করছি।
তৃণমূল ভাল পার্টি না, এখন ওদের ছেলেগুলোকে দেখলে ছোটোবেলার স্মৃতি ফিরে আসে। কয়েকজন সিনিয়র সিপিএম দাদা তো এখন তৃণমুলে। কিছুই বদলালো না। বদলাবে বলে মনে হয় না। এইরকমই চলবে। আমাদের দুর্ভাগ্য।
বিজেপি ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে, আর বাম + কং ৭৬ থেকে ০ হয়েছে।
বিজেপি ১০.২% থেকে ৩৮.১% হয়েছে, আর বাম+কং ৩৮.৯% থেকে ৭.৬% হয়েছে।
কোথা থেকে বিজেপির "সো কলড হিন্দু ভোট কনসলিডেশন" এর যোগান এসেছে সেটা দেখানোর জন্য এবার যত খুশি বিজ্ঞের বিচি মার্কা বালামো করতে পারেন, ফ্যাক্ট এইটুকুই। আর এটা মিনিমাম যোগ বিয়োগ জানা লোককেও বুঝিয়ে দিতে হবে না। লোকসভায় বিজেপি ৪৩% ভোট পেয়েছিল মনে আছে তো? নাকি তখন এই হিন্দু ভোট কনসলিডেশনের তত্ত্বখানি টাকে আসেনি?
সিপিএমের ভেতর থেকে যারা এবার ভোটে বিজেপি কোনোমতে জিতে গেলেই মুলোদের দলটা উঠে যাবে বলে ফলস পার্সিপিয়েন্স ক্রিয়েট করে এই কনফিউজড ভোট শিফটিংএর পালে হাওয়া দিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে ক্যালান আখেরে কাজে দেবে। আর পরের বারে সিপিএম আর কংগ্রেস জোটবন্ধন আর গাঁটামো ছেড়ে সত্যিকারের মাঠে ঘাটে কাজ করে যদি নিজেদের ভোটার বেসটুকু অন্তত ফিরিয়ে আনতে পারে, বিজেপি ওই ১০% এর আশেপাশেই ঘোরাফেরা করবে। কেন্দ্রে ছড়ানোর মাশুলে আরো কমতেও পারে।
জুজু দেখিয়ে পয়সা না পেলে জুজু দেখানো বন্ধ করুন।
Aa হচ্ছে আরেকটি খোরাক মাল। এ ব্যাটা বলে বেড়ায় সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের পেছনে সিয়ার হাত ছিল। সিয়া এসে বামফ্রন্ট সরকার ফেলে দিল। আলিমুদ্দিনে পোচ্চুর জোকার পোষা আছে। বিজেপিটি, চামচে মুখুজ্জে আর এইসব মালগুলোকে দেখলেই বোঝা যায়।
Cpim meme নামালে খুব খারাপ, এদিকে সিপিআইএম কে খিল্লি করে মিম দেওয়া হচ্ছে। লোকজন হুলিয়ে গাল ও দিচ্ছে। দাও ভাইলোগ, 5 পার্সেন্ট পার্টি কে আরো গাল দিয়ে নিজেদের দেউলে পনা প্রমাণ করে দাও।
কমিউনিস্ট পার্টি ভোটে হারলে কথা আটকে যাবে? পার্টি তো দু তিনটে রাজ্য বাদে সব জায়গায় গো হারাই হেরে চলেছে।
কমিউনিস্ট দের discredit করে বেশিদিন চালানো যায় না। মানুষ খুব চালাক, এখন দক্ষিণ পন্থার দিকে ঝুঁকে আছে, বামপন্থীদের পাত্তা দিচ্ছে না (গুজরাট মডেল এর প্রতি মোহ এখনও কাটেনি।) বাম থেকে রাম মার্কা কথাগুলো তাই oversimplification। আগামী দিনে আবার পাল্টা হাওয়া উঠবে, তখন মানুষ দক্ষিণপন্থী দের কোনো কথাই বিশ্বাস করবে না। তৃতীয় বিশ্বে কমিউনিস্ট রা থাকবে। এই আর্টিকেল টা পড়ে নিন যদি না পড়ে থাকেন। বামপন্থা শেষ হয়ে গেল ভেবে আনন্দ বা দুঃখ করার কিছু নেই।
https://jacobinmag.com/2021/04/interview-alvaro-garcia-linera-mas-bolivia-coup