নূতন সরকারের সবচেয়ে আগে উচিত ইলেকশন কমিশনের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করা।
ইয়ার্কী নয়,সিরিয়াসলি।।
ধন্যবাদ sm । এ এক সাংঘাতিক সময়। আশা করব মমতা শক্ত হাতে সামলাবেন।
বাংলায় আট দফা ভোট করিয়ে, ঘন্ট পাকিয়ে,ভোট পাখিরা পালিয়ে গেছে।
এখন হাসপাতাল গুলোয় বেড নেই,অক্সিজেন বাড়ন্ত। এই অবস্থায় হাল ধরার সবচে যোগ্য ব্যক্তি হলো, মমতা।
শুধু তাই না, দুর্গাপুরের দুটো বেড়াল তিনটে নেংটি ধরে নি ক্যানো সেও পতনের অন্যতম কারণ। যাকগে, আমি বরং এটাই বলব যে নিজেদের দল জিতেছে মনপ্রাণ ঢেলে আনন্দ করুন। আমরা হেরেছি। যে পার্সেন্টেজ টার্গেট ছিল, অ্যাচিভ হবে না, আবার জিরো থেকে শুরু করতে হবে। দেখা যাক।
হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেলফ, বুঝলেন কিনা!!
বাঙ্গালী ৫৬ ইঞ্চির অধিক লম্বা দাড়ি দেখলেই চিরকাল তা উপড়ে ফেলেছে। তারা তাদের প্রাণাধিক প্রিয় ঠাকুরজীকেও রেয়াত করে নি। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। আবার বাঙ্গালী তার প্রমাণ রাখল। এই সঙ্কটের মুহুর্তে আমি মনেপ্রাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রদাসজী দামোদরদাসজী মোদীজীর পাশে আছি। হোঁদোল কুতকুতজী র ও।
আর একটা কথা না বললেই নয়, যেদিন পনীঢ়ের কাছে ডিমের পরাজয় ঘটবে, জানবেন সেদিন এই ব্রহ্মাণ্ডটির ধ্বংস আসন্ন।
সমস্ত দিদিভক্তদের হৃদয় থেকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম। সংগ্রাম দীর্ঘজীবী হউক।
দেখুন, এইগুলো আর চলে না। দশবছর হয়ে গ্যাছে। এই ঔদ্ধত্য ফত্তর ব্যাপার গুলো ফালতু অভিযোগ। সব দলের গুচ্ছ লোক ফেবুতে নানান বগ দেখিয়ে বেড়ায়, য্যানো মুলো আর চাড্ডিরা হাসিখুশি পোস্ট করে বেড়াচ্ছে। সমর্থকদের এইসব দিয়ে একটা দলের পার্সেপশন নির্ধারিত হয় না। নেতা, কর্মীদের বক্তব্য তাও কিছু প্রভাব ফেলে। আর এখন সকলেই সম্ভবতঃ নিজেদের অভিজ্ঞতার জাস্টিস হিসেবে এই রেজাল্ট দেখিয়ে যাবেন। তা দেখিয়েই যান, নতুন দেখছি না।
বেশিবুদ্ধি,সেলিম বাবু আই এস এফ এর সঙ্গে জোট করে,আরো বেশি সংখ্যা লঘু ভোট তিনোমুল্ এর দিকে পাইয়ে দিলেন। কারন ওনার চালাকি লোকজন ধরে ফেলেছে। এই জন্যই বলা হয়,বাংলার ভোটার!
প্রথম থেকে ৮ দফার বিরোধিতা না করা, নিজেরা গিয়ে তারপর ৫ দফার বিরোধিতা করে আসা, এগুলোর কোন দায় আসে কিনা নিজেই ভেবে দেখিস। এটা বলতে কী সমস্যা হয়েছিল জাস্ট জানিনা।
বহু ভাল কাজের অনেকটাই এসবে আর ঔদ্ধত্যে নেগেট হয়ে যায় তো।
একতরফা চলে আসা বাইনারি ভোটের ব্যাপারটা ভাঙা যায় নি। সেকারণেই এই রেজাল্ট। এটা প্রচারের সময় থেকেই আন্দাজ পাচ্ছিলাম। এবং পোলারাইজেশনের ভোটে পাল্লা তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে সেও দেখছিলাম। ভাটে অনেক বার লিখেওছি যে মমতাই ফিরছে, চাদ্দিকের বিজেপির 'হাওয়া', অ্যামনকি গুচুর নানান টইতে আজব সিট প্রেদিকসন ঃ))) এসব শোনা ও দেখার পরেও।
লিডারশিপের ওল্ড নিউ কিছু না। বাঙালী উচ্চবিত্ত পঞ্চায়েত সমাজ পিটিদাকে নিয়ে মাথা ঘামায়, বাকিরা না। :) বাইনারি ভাঙা যায়নি। এটা হতই।
আর দিনের পর দিন সিপিএম এর কিছু লোকজন যেভাবে পিছনে লেগে গেছেন, ট্রোল করেছেন, গাদা গাদা মিথ্যাচারও, সর্বশক্তি নিয়োজিত করে অষ্টপ্রহর আক্রমণ, আইপ্যাকে পেরোলে থাকা, দালাল, কাটমানিখোর, চালচোর টয়াগিয়ে গেছেন,তাতে ওঁদের নিজেদের কী লাভ হয়েছে কে জানে ( দেখাই তো যাচ্ছে হয়নি), নিজেদের কমিটেড ভোটারের কাছে প্রিচিং টু কনভার্টেড করে গেছেন, কিন্তু এতে করে যাদের আক্রমণ করেছেন তাদের তো দূরে সরিয়েছেন বটেই, অন্য অনেক লোকের কাছ থেকেও দূরে সরেছেন। লোকে এসব দেখে পাতি বলেছে, ক্ষমতায় না থেকেই এদের এত ঔদ্ধত্য, ভোটপ্রার্থী একটা দলেরও ভোটের সময় পাব্লিককে এত হম্বিতম্বি, অপমান, চোখ্রাংানি, হুমকি ( হ্যাঁ, তাও দিয়েছে, ভোটে জিতে এসে সব দেখে নেবে, চামড়া গুটিয়ে সিধে করে নেবে ইত্যাদি, কিছু নমুনার স্ক্রিনশট দিলে আরো কত লোক বিরূপ হবেন ভেবে এই ভোটের বাজারে কাটিয়ে দিয়েছি) যে না জানি কী করবে, থাকাকালীন কী করত সেই নিয়ে অকারণে আবার খুঁচিয়ে ঘা হয়েছে, নিজেদের খোঁচাখুচির ফলেই। এছাড়াও লোকে ভোটের সময়ে অবাক হয়ে দেখছে একটা দলের এত কর্মী সমর্থক সারাদিন ফেসবুকে পড়ে থেকে এভাবে পিছনে লেগে যাওয়ার সময় পায়! আবার নতুন করে সিংুরের মডেল কত ভাল ছিল আর নিজেরাই খুঁচিয়ে নন্দীগ্রামকে ডিস্কোর্সে নিয়ে আসা, সেই কর্মসংস্থান, শিল্প মডেলকে জাস্টিফাই করা, এসব যে ব্যাকফায়ার করেছে, দেখাই যাচ্ছে।
আর বিজেপি কোথাও তৃণমূলের থেকে আডভান্টেজ পেলে, সেই নিয়ে এদের প্রকাশ্যে উল্লাস, সেও কালো ছাগলরা চুপচাপ দেখেছে এবং সেইমতো ছাপ দিয়েছে।
রেড ভলান্টিয়ার্স, শ্রমজীবী ক্যান্টিনের মতন দারুণ কাজ নেগেট করছে ওল্ড-স্কুল লিডারশিপ আর পিটিবাবুর মতন সমর্থকরা। লোকে এখনও উগ্র অ্যারোগেন্সের গন্ধ পায়।
এমনিতে সমস্ত গণহত্যার দায়ই সিপিয়েমকে নিতে হয় তো সেই হিসেবে এই পাঁচ দফা ইলেকশন সংক্রান্ত গণহত্যার দায়ও যে নিতে সে আর নোতুন কী! করোনার প্রকোপ বাড়তেই ইলেকশন র্যালি যতটা সম্ভব কম করা যায় সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এইই জানা গ্যাচে। তবে গণহত্যার ব্যাপারটা আসবেই। :)
রেড ভলান্টিয়ার্স খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ, কিন্তু ৫ দফার নির্বাচন নিয়ে সিপিএম বিরোধিতা না করলে লোক আরেকটু কম ভুগত আর মরত
রেড় ভলানিয়ার্স, শ্রমজীবী ক্যান্টিন অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।
কিন্তু ভোট পাওয়া দরকার।
আচ্ছা আসাম ছাড়া কংগ্রেস ত মোটামুটি গেল নাকি?
রাহুল গান্ধীর থেকে মমব্যান বিরোধী পিএম ফেস হিসেবে ঢের ভালো। একটা ইউনিফাইড অপসিশন একটাই পিএম ফেস তুলে ধরে লড়ুক। মোদী শাহ র দৌড় দেখা যাক।
আপনার চোখে সিপিয়েমের শহুরে সমর্থকদের যে ভূমিকা চোখে পড়ে মানে এই কুমীর ও বুদ্ধিজীবী ব্যাশিং ইত্যাদি, তার বাইরেও সমর্থকদের ভূমিকা আছে। এই যেমন এখন রেড ভলান্টিয়ার্স বা শ্রমজীবী ক্যান্টিন। তো, কিশুই না, বিন্দুতে সিন্ধু না ভাবলেই ভালো। যারা গত দশবছরে পার্টিতে এসেছে তারা খারাপ রেজাল্ট হতে পারে এটা জেনেই এসেছে এবং রাস্তাতেই থাকবে।যারা মাঠে নেমে লড়ে তাদের কাছে এই গুরুঠাকুর মার্কা বাণী পৌঁছয়ও না অবশ্য। এই কথাগুলো লেখার দরকার ছিল না, জাস্ট একজন কর্মী হিসেবে লিখলাম।
সিপিএমের উচিত কর্মী-সমর্থকদের ঠিকঠাক করে বাছা। হাম্বাগে ভরে গেলে সমস্যার। এখানে যেমন হয়েছে।
এবার মমতাকে পিএম মুখ করবে, তেজস্বী স্তালিন অখিলেশরা। কংগ্রেসও ঢুকবে।
সেটা বিজেপি জানত বলেই মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
আজকের দিনে বরং আনন্দ করুন। শিপিয়েম গোল্লায় গ্যাচে বা ভোগে গ্যাচে ভেবে বৃথা টাইম খচ্চা করবেন না। ওটা কর্মী সমর্থকদের উপর ছেড়ে দিন।
আমি তৃণমূলের সমর্থক নই।
কিন্তু বিজেপিকে যারা আটকাতে পারে তাদের স্বাগত জানাই দু'হাত তুলে।
সিপিএমের বিপুলসংখ্যক শহুরে সমর্থক হলদি নদীর কুমীর আর বুদ্ধিজীবির ভূমিকা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিজেপিকে টার্গেট করে বিরোধিতা করলে হয়তো এত দুরবস্থা হতো না। ভোটে হারজিত বড় কথা না, ওটা কোন কথাই না। একটা দুটো হার, বিরোধী অবস্থানে থাকা সেসব ঠিক আছে। কিন্তু এরকম একটা পরিনত সংগঠিত দলকে জাস্ট ভোগে পাঠিয়ে দেওয়া, এটা জঘন্য ব্যাপার হলো।
অপু, আচ্ছা আবার কদিন পিটিদাকে নিয়ে লিখবনা। যদিও তাতে পিটিদার ভয়ানক অস্বস্তি হবে, তাও কদিন থাক।
dc, তুমি এত পুরোনো ভাটুরে। ব্যক্তি আক্রমণ না করেও তো পিটিদার বিরুদ্ধে লেখা যায়। প্লিজ প্লিজ।
এদিকে আমার মা সকাল থেকে টেনশান করে বসেছিল, পাছে পবতে বিজেপি আসে। প্রায় সাড়ে নটা অবধি টিভিও দেখেনি, নিজের ঘরে শুয়ে বই পড়েছে। আমরাও কিছু বলিনি, হার্টের রুগি। আর এগারোটার পর থেকে সে কি খুশী! একে তো পবতে বিজেপি হারছে, তার ওপর কেরলে বামেদের ঐতিহাসিক জয়। একেবারে ডবল ডোজ :d
একটু আগে টুইটারে একজন লিখেছেন, লালমোহন বাবুর নতুন নভেল, "হেসটিংসে হাহাকার"
মমতা তো এগিয়ে গেছেন দেখাচ্ছে,
আইএনসি + টিএমসি মার্জ - সোনিয়া রিটায়ারিং, মমতা/থারুর সামনে, রাহুল পেছনের সিটে -- এলায়েন্স সঙ্গে DMK, YSR, SP, AAP --- বাইরে থেকে সাপোর্ট -- নবীন পটনায়েক -- নিউ গ্রুপ --- মমতা/থারুর/কেজ্রি/অখিলেশ দের সামনে রেখে --- ২০২৪
বিজেপিএমের পরাজয় শান্তভাবে মেনে নিন বন্ধু।
পিটি, চোর ডাকাত এর দল ,আত্ম প্রবঞ্চক বামেদের (নেতাদের) চাইতে ঢের বেশী ভালো।
বুকনিবাজ পণ্ডিতরাই যে হাম্বাগ হয়, সেটা বোঝাই যাচ্ছে ক্রমাগত।