আমি মায়ের বেলা দুবারই কো উইনের ভরসায় না থেকে সোজসুজি চলে গেছিলাম। নো হলদে সবুজ ওরাং ওটাং বিজিনেস। দুবারই হাতে লেখা রেজিস্ট্রেশন , রাত সাড়ে সাতটার মধ্যে লিঙ্ক ইত্যাদি। অবশ্য আন্তার্জাতিক শ্রম দিবসের পরে কি হবে বলা যাবে না।
শুনুন, কোউইনকে কারো পেছনে-- ।
আমি মার্চের ৬ তারিখে কোউইনে সাহায্য না পেয়ে ফর্টিসে ফোন করলাম,। বলল আধার কার্ড নিয়ে কাল দশটা নাগাদ আসুন। আগে কুড়ি জন ছিল। একঘন্টায় সব হয়ে গেল। এপ্রিলে ফোন করলাম। বলল ছ''সপ্তাহ হলে একদিন আগে ফোন করে জেনে নেবেন যে সেকন্ড ডোজ কটায় দেয়া হবে এবং সে হিসেবে চলে আসবেন। সাত সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখন আমি ঘরে বন্দী।
আমি নেগেটিভ, গিন্নি পজিটিভ এবং কোন সিম্পটম নেই। হয়ত প্রথম ডোজের সুফল। মেয়ে পজিটিভ। সব লক্ষণ আছে শ্বাস কষ্ট ছাড়া। অক্সিজেন লেভেল আমাদের তিনজনেরই ৯৭-৯৮।
আমি নেগেটিভ বলে ঘরে লক আপে আছি।যেন মানুষকে খাঁচায় পুরে বাঘেদের ছেড়ে রাখা হয়েছে।
দরজায় নক করে বা মোবাইলে ঘোষণা হয় যে খাবার/চা/গরম জল ইত্যাদি দেয়া হয়েছে। আমি ডাবল মাস্ক পরে হাতে স্যানিটাইজার ঘষে প্লেট ভেতরে নিয়ে যাই, এবং একই ভাবে বাইরে রেখে দিই। নেটফ্লিক্সে' 'রামপ্রসাদকে তেরহী' বা 'ডেঞ্জেল ওয়াশিংটনের ইজরায়েল এস্কোয়ার গোছের ফিল্ম দেখি। এলেবেলের বিদ্যাসাগর , 'থিংকিং ফাস্ট এন্ড স্লো' ইত্যাদি এবং 'মায়াবাদ' পড়ে টাইম পাস করি। নিজেকে খিস্তি করি।
এখন গিন্নির সেকন্ড ডোজ ও মেয়ের ফার্স্ট ডোজ ডাক্তারের হিসেবে তিনমাসের আগে নয়। ওদের অ্যান্টিবডি আগেই তৈরি হবে। আমার সেকড ডোজ তখনই নেব।
আপনাদের আলোচনায় ঋদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ।
সি এস দা হক কথা বলেছেন। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের বৃটিশ টীকা পছন্দ হয় নি, ফেরৎ পাঠিয়েছিল, তখন বাজারে বৃটিশ টীকায় সুনামী লেগে গেসলো। যে যাচ্ছে তাকেই ধরে এস্ট্রো জেনেকা ঠুসে দিচ্ছে।
এখন ব্রেসিলের কোভ্যাক্সিনের কারখানা পছন্দ হয় নি, এখন যে যাচ্ছে তাকেই কোভ্যাক্সিন ঠুসে দিচ্ছে।
এমনকি একটা লোক ইউ পি তে দুই আমলে দুবার গেছিল........ তাকে ........
আরে না না ডিসিদা, আমি অ্যাপের ফাঁকি দেখালাম মাত্র।
আপনি আবার সরি চেয়ে বসবেন না যেন!! আমার সব সরি দিতে দিতে ফুরিয়ে ফেলিচি। :)
হ্যাঁ, ব্রাজিলের তো কোভ্যাক্সিনের কারখানাটা পছন্দ হয়নি।
ইদিকে আমার নেওয়া কোভ্যাক্সিন নিয়ে ব্রেসিলিয়ানরা একথা বলেছে-
ইরেনীয়ানরাও ঐ টীকা কিনেছিল। তাদের লেখা কোনো ফার্সী পেপার চোখে পড়লে একটু জানাবেন তো!!
সব কো সাথ, সব কোভ্যাক্সিন।।
ভ্যাক্সিনের পেছনে দৌড়ে যদি ৯০ দিনে পৌছতে পারেন, তাহলে সব দিক থাকে।
সিংগল কে দা, আমি সরকারি সবকিছুই সন্দেহের চোখে দেখি আর সরকারের সমস্ত পরিষেবা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এই যে প্রথম ভ্যাক্সিন দেওয়ার সময় হাসপাতাল থেকে কো-উইনে রেজিস্টার করে দিয়েছে সেটা জানতাম না, আগে জানলে রিসেপশানে ঝোলাঝুলি করতাম যদি রেজিস্টার না করেই টিকা দেওয়া যায়। কাজেই কোউইনকে ভরসা করার প্রশ্নই নেই। মে মাসের মাঝামাঝি থেকেই হাসপাতালে ফোন করতে শুরু করবো (যেখানে প্রথম ডোজ দিয়েছিল), সেকেন্ড ডোজ সাপ্লাই আছে কিনা।
ডিসিদা কো উইনের দ্বারা ডিসিভড্ হয়েছেন।
ডিসিদার চিত্রটি দেখুন। যেখানে দেখাচ্ছে সেখানে পুরো গ্রীন গোল্লায় পূর্ণসংখ্যায় দেখাচ্ছে। শুধু দু এক জায়গায় এক দুটো কম। এই হাহাকারের বাজারে রিয়েল ওয়ার্ল্ড সিচুয়েশনে চিত্রটা কি বাস্তব?? গটাপ অথবা ফল্টি বলে সন্দেহ হয় না আপনাদের??
মার প্রথম বুকিং যখন করেছিলাম, হলুদ সবুজ নানারংয়ের গোল্লা ছিল আমাদের পাড়ায় এবং সংখ্যাগুলো বাস্তবানুগ। তেরো, একাত্তর, সতেরো-- এমন।
এবার কি ঘটছে নিজেরা বোঝার চেষ্টা করুন।
আমাদের এখানে, মানে কুয়েতে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ দিচ্ছে তিনমাস পরে।
Dibyendu Dutta'র তথ্যসূত্র ব্যবহার করে লেখা
******************★******
আসুন ভ্যাকসিনের খরচ খরচা একটু হিসাব করে দেখি ,
~ বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যা = প্রায় ১৩৮ কোটি ।
~ ১৮ বছরের নীচে বয়স প্রায় ৩৯ % এর। তাঁরা আপাতত ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে।
~ ৬১ % জনগণকে ধরলে কমবেশী ৮৪ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
~ ১৫০/- টাকা হিসেবে ৮৪ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন দিতে খরচ হবে ১২,৬০০ কোটি টাকা ।
~ দুই ডোজ টীকা দিতে খরচ প্রায় ২৫,২০০ কোটি টাকা ।
২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের হেলথ বাজেটটা আমরা যদি ইন্টারনেটে একটু দেখে নিই তাহলে দেখছি
~ ২০২১-২২ সালের জন্য স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ২,২৩,৮৪৬ কোটি টাকা ।
~ কোভিড ভ্যাক্সিনেশন-এর জন্য বরাদ্দ ৩৫,০০০ কোটি টাকা।
আমরা দেখতে পাচ্ছি , ১৮ বছরের উপরের সমস্ত ভারতবাসীকে টীকা দেওয়ার টাকা বাজেটেই বরাদ্দ আছে । সবাইকে টীকা দিয়ে প্রায় ৯,৮০০ কোটি টাকা বেঁচেও যাবে ।
তাহলে কেন সব ভারতীয় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবে না ?
কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যক্সিনের দায় রাজ্য সরকারের এবং / অথবা নাগরিকদের উপরে চাপাচ্ছে কেন? কেন ভ্যাক্সিন নির্মাতাদের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? এর সাথে ১লা এপ্রিল থেকে সিস্টেমে ঢোকা ইলেকটোরাল বন্ডের কোনও সম্বন্ধ আছে কি?
পাড়ায় না পেলে ভাবছি কাশ্মীর বা গোয়ায় বুক করব। সেকেণ্ড ডোজের জন্য মেডিক্যাল লিভ দেবে না ব্যাটারা?
এক জায়গায় পড়লাম লোকে নাকি MP তে হাসপাতালের বেড না পেয়ে অ্যামবুলেন্স করেই বেনারস চলে যাচ্ছে !
ওনার জায়গা কিনা, নিশ্চয় কিছু সুবিস্তা হবে।
তেমনি, এখানে টিকা না পড়তে পারলে কোন সুনার রাজ্যে গিয়ে টিকা পড়বেন।
পড়ে বলবেন জয়টীকা পড়েছি, করোনা জয়ের।
(অন্যদিকে, ভাজপা বাহাদুর কত ভালো।
সিরাম আর ভারত বায়ো-কে ভ্যাক্সির দাম কমাতে বলেছে।)
সিংগল কে দার কথায় ঘাবড়ে গিয়ে আমিও সার্চ করলাম। আপাতত চেন্নাইতে অ্যাভেলেবল দেখাচ্ছে, তবে সব জায়গায় না। কি ঝামেলা রে বাবা!
উফ্ ভাজোপা শাসিত রাজ্যে কি সুশাসন!! কি সুশাসন!! সমস্ত টীকাকেন্দ্রে গ্রীন গোল্লা।।।
পিসি-ভাইপো পুরো গোল্লা।
হ্যাঁ হ্যাঁ কাটমানি দিলে কোথায় সেকেন্ড ডোজ নেওয়া যাচ্ছে?? আমি জানতে আগ্রহী।
কাটমানি দীর্ঘজীবী হউক।।
সিংগল k ঠিকই দেখছেন। কিন্তু আবার কোন হাসপাতাল ৪২ দিনের পরে যেতে বলছে। আমি এক জায়গায় ২৮ দিন ধরে হিসেব করে গিয়ে পাইনি, ১০০ জনকে দিচ্ছিল, cut off এ ফেল করি। আবার ট্রাই করতে হবে।
(হুঁ হুঁ বাবা সরকার বাহাদুর এবার টিকা উৎসবের নাম করে নাচিয়ে দেবে এবার।
অবশ্য তিনোরা ২ তারিখ এলে কাটমানি দিয়ে কী সুরাহা হবে? ভাজপা তো বলেছে কাটমানি বন্ধ করে দেবে, শুধু ইলেক্টোরাল বণ্ড থাকবে।)
রোগীর টীকা আত্মসাৎকারী পিসি-ভাইপো কে একটি ভোটও নয়।
বিজয়ীর টিকাটি বিজেপির কপালে পরান, নচেৎ পরের টীকাটি ভাজপাশাসিত রাজ্যে নেবার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
এবার তৃণমূলশাসিত নিজের পাড়ায় পরের ডোজ নিতে গেলে বলছে---
কিন্তু ধরুন ভাজপা শাসিত সুনার অসমে নিতে গেলে বলছে--
চল মিলি আসাম যাবোওওওওওওও.........
https://principia-scientific.com/proof-that-the-pandemic-was-planned-with-purpose/
সরকার বাহাদুর তাঁদের কো উইন সাইটে, মায়ের একাউন্টে লগিন করলে দেখাচ্ছে - ২৮ থেকে ৫৬ দিনের মধ্যে মায়ের সেকেণ্ড ডোজ নিতে হবে।
মা প্রথমটি নিয়েছেন মার্চের কুড়ি তারিখ। তখন পুরোনো মতে মার ডেট দিয়েছিল ২২ এপ্রিল। ২২ এপ্রিল আমাকে সব কেন্দ্র দূদ্দুর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে সব পাল্টে গেছে নাকি। এখন মিনিমাম ৪২ দিন পর ফের কোভিশীল্ড দ্বিতীয় ডোজ।
এদিকে কো উইনে ঢুকলে স্পষ্ট লেখা মার কোভিশীল্ড ২৮-৫৬ দিনের মধ্যে নিতে হবে।
আমার কোভ্যাক্সিনের ঐ স্থানে লেখা-- ২৮-৪২ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
এই রিপোর্টটা পড়েছি, আর তখন থেকেই খুব দুবিধায় ভুগছি। কিছুদিন আগে ভাবছিলাম সেকেন্ড ডোজটা নেবো ৮ সপ্তাহ পর, আর এই আর্টিকেলটা পড়ার পর ভাবছিলাম মোটামুটি ১১-১২ সপ্তাহের মাথায় নেবো। কিন্তু মুশকিল হলো, ১ মে থেকে সবাইকে ভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হবে, তার মানে ১ জুন থেকে দ্বিতীয় যোজেরও যোগানে টানাটানি শুরু হবে। আমি প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম এপ্রিলের ১২ তারিখে, অর্থাত জুনের ১ তারিখে আমার মোটামুটি ৬ সপ্তাহ পুরো হবে। এখন ভাবছি ১ জুন নাগাদ দ্বিতীয় ডোজটা নিয়ে নেবো, কারন তারপর কি হবে ঠিক নেই। তবে সামনের মাসে একবার হাসপাতালে ফোন করবো, যেখানে প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম। ওরা যদি বলে যে দ্বিতীয় ডোজ পেতে অসুবিধে হবে না, তাহলে আরও দু সপ্তাহ পিছিয়ে দেবো।
"৪২-৫৬ দিন হয়েছে"
ঠিক ঠিক।
রিপোর্ট অনুযায়ী তাওতো যথেষ্ট নয়!
২৮-৪২ দিনটা বদল হয়ে সরকারের মত অনুযায়ী ৪২-৫৬ দিন হয়েছে।
Single-dose Oxford–AstraZeneca COVID-19 vaccine followed by a 12-week booster
ফের চেষ্টা করি https লিঙ্কে
The Lancet এর এই আর্টিকেলটা কি কোনক্রমে আপ্নাদের চোখে পড়েছে?
Single-dose Oxford–AstraZeneca COVID-19 vaccine followed by a 12-week booster
প্রধানতঃ এই জায়গাটার কথা বলছিঃ
"Modelling analyses showed an increase in vaccine efficacy after two standard doses from 55·1% (95% CI 33·0 to 69·9) with an interval of less than 6 weeks to 81·3% (60·3 to 91·2) with an interval of at least 12 weeks. A single standard dose had an efficacy against symptomatic COVID-19 in the first 90 days of 76·0% (59·3 to 85·9)..."
এ কথা মানলে তো কোভিশিল্ডের সেকেন্ড ডোজ নব্বই দিনের পরে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু সরকারি দস্তুর তো ২৮-৪২ দিনের মধ্যে নিতে হবে।
অভিজ্ঞদের মতামত পাওয়া গেলে ঘটনাক্রম একটু বোঝা যায়।
ইয়ু টিউব ডাউন