ডিসিদার প্রস্তাব ইয়ে মানে যাকে বলে খুবই পোগোতিশীল, কিন্তু ফ্রি ভ্যাকসিনের প্রভিশনই না রাখলে আম জনতা ভ্যাকসিনই নিতে যাবে কোন দুঃখে। শহরের দুটি মর্ডানা-ফাইজার লেনেওয়ালা দিয়ে তো ১৩০ কোটির দেশে অতিমারী ঠেকানো যাবে বলে মনে হয় না।
সরি সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে, আর প্রাইভেটে আড়াইশো টাকায়। আমার মনে হয় এখন প্রাইমারি অবজেকটিভ হলো ভ্যাক্সিন দেওয়া। কাজেই সবকটা প্রাইভেট প্লেয়ারকে নিজেদের দামে ভ্যাক্সিন দিতে দেওয়া হোক, পাশাপাশি সরকারও বিনা মূল্যে ভ্যাক্সিন দেওয়া চালিয়ে যাক। যার যেখানে সুবিধা সেখানে নেবে, ভ্যাক্সিনের সাপ্লাইও বাড়বে।
আমার মতে ভ্যাক্সিনের দুটো লেয়ার হওয়া উচিত। সরকারি হাসপাতালে আড়াইশো টাকায় ভ্যাক্সিন দেওয়া হোক, এখন যেমন চলছে। এর জন্য দেখলাম সরকার ৫০% সাপ্লাই নিজের কাছে রাখছে (সিংগল কে বাবুর লিংক থেকে)। আর বাকি ৫০% সাপ্লাই প্রাইভেট কোম্পানিরা নিজেদের দামে দিক।
সরকারের উচিত ফাইজার আর মডার্নার ভ্যাক্সিনও ইন্ডিয়ায় অ্যালাউ করা। এরা হয়তো লজিসটিক্সের অসুবিধের জন্য শুধু কয়েকটা মেট্রো সিটিতে ভ্যাক্সিন দেবে, হয়তো পার ভ্যাক্সিন পাঁচ হাজার নেবে। তাতে লাভ হবে এই যে শহরের প্রচুর লোক বেশী দামে ভ্যাক্সিন নিতে রাজি, ফলে আরাও তাড়াতাড়ি এই সব জায়গার পপুলেশান ভ্যাক্সিনেটেড হবে। আমি প্রচুর লোককে জানি যারা পাঁচ হাজার রেটে এক্ষুনি ফাইজার আর মডার্নার ভ্যাক্সিন নিতে রাজি (আমি নিজেও রাজি ছিলাম, তবে আপাতত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন নিয়ে ফেলেছি)।
অভ্যু, আসিনি এখনো, আর ঢুকতে দেবে কিনা তাও সন্দেহ হচ্ছে, যা অবস্থা।
একটা নয়, এই কটা জিনিস মনে হল....
আচ্ছা ব্যাপারটা তাহলে কি খাড়াইল??
১) কেন্দ্রীয় সরকার ৪৫ বছরের কম বয়সীদের বিনামূল্যে টীকাদানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছে না।
২) কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারী টীকার দামের ওপর থেকে ঐ ₹২৫০/- এর নিয়ন্ত্রন তুলে নিচ্ছেন।
৩) ব্যক্তিগত উদ্যোগে গলাকাটা দামে বিদেশী ভ্যাকসিন কিনে টীকা নিলেও সেটা জাতীয় টীকাকরন কর্মসূচীর সাফল্য ও কৃতিত্ব বলে বিবেচিত হবে।
এটা এক ঝলক পড়ে আমার তো একটা জিনিস মনে হল। আমার বোঝা কি ঠিক হল? নাকি ভুল বুঝলাম কোনোটা?
তাকে বলো একটা অনলাইন আর টি আই ফাইল করতে। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে RTI কল্লে চটপট কাজ হয়
আমার এক বন্ধু জার্মানিতে থাকে, গত তিন চার মাস ধরে তার কাছে পাসপোর্ট নেই। এখন নাকি সব কিছু দিল্লিতে হয়। জার্মানি থেকে পাসপোর্ট দিল্লি গেছে, তারপরে পুলিশ ভেরিফিকেশন কলকাতায় (হেঁ হেঁ), তারপরে দিল্লিতে পাসপোর্ট ছাপা হয়ে জার্মানিতে আসবে। এখন সে জার্মানিতে আটকে আছে, দরকার হলেও ট্রাভেল করতে পারবে না।
হ্যাঁ ফেস শিল্ডে আমারো সমস্যা হয়। ঝাপসা হয় তাছাড়া মাথা ব্যথা হয় ওই ব্যান্ড দিয়ে মাথায় আটকে রাখার জন্য।
হুতো কি আটলান্টা চলে এসেছে? https://www.ndtv.com/india-news/coronavirus-avoid-all-travel-to-india-says-top-us-health-body-cdc-in-advisory-citing-covid-19-surge-2417537?pfrom=home-ndtv_topscroll
হ্যাঁ, তবে ফেস শিল্ডে আমার সমস্যা হয়, ভাপে সব ঝাপ্সা লাগে।
চশমা পরা বেশ কঠিন কাজ। আমি প্রথম প্রথম একটা না-পাওয়ার চশমা পরে কাজকর্ম করে দেখেছি গত বছর। তাপ্পর মনে হয়েছিল ফেস শিল্ড অনেক কাজের। মাঝে মাস তিনেক আর কিছুই পরছিলাম না। এখন আবার সেটা নামাতে হবে মনে হয়।
*মাস্কের ওপর বসে গেলে
হ্যাঁ জিরো পাওয়ারের চশমা কিনে নিন। ফ্রেমটা একটু বড় দেখে নেবেন, যাতে নাকে মাস্কের উপরে ফ্রেমটা বসে। মাস্ক আর চম্মার ফ্রেমের মধ্যে দূরত্ব থাকলে এই গরমে চম্মা কেবল ঝাপ্সা হয়ে যাবে। মাসের ওপর বসে গেলে ওই ঝাপসা হওয়াটা এড়াতে পারবেন।
কিন্তু এত পড়াশুনো করেও এলেবেলের চম্মা নাই বেশ ভাল তো।
নিজের পাওয়ারের চশমা নেই? না থাকলে জিরো পাওয়ারের চশমা টুক করে কিনে নিয়ে পরে ফেলুন। আগে তো স্টাডি দেখিয়েছিল, চশমা পরা লোকেদের কোভিড নাকি কম হচ্ছে।
সিঙ্গল কে ঃ জলের নিচের কোনো ছোবিছাবা, ভিডিও আছে আপনার খাস খাজানায়?
এগুলো তো কেমিস্ট্রি ল্যাবে পাওয়া যায় - আমার রুমমেট এই পরে পেঁয়াজ কাটত। আমাকে একটা ফেস শিল্ড দিয়েছিল, মাছ ভাজার সময় খুব কাজে লাগে।
আচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ। এত তাড়াতাড়ি ডেলিভারি দিলে বাঁচি।
এইরকম আরও ভাল -
অন্ততঃ চাপা গগলস পরে থাকুন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গগলস কাজে দিতে পারে।
ও কেলোদা প্লাস্টিকের উপরে লেখেন? আমি তো পেন্সিল শুনলেই কাগজ ভাবি, তাইতে বুঝভুম্বুল হল।
ল্যান্সেটের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে কোভিড বাতাসে তিন ঘন্টা সক্রিয় থাকতে পারে। মাস্কে তো নাক-মুখ ঢাকল কিন্তু চোখ ঢাকব কী দিয়ে? ফেস শিল্ড? নাকি অন্য কিছু? এদিকে ভোট নিতে গেলে সারাদিনই তো চোখের কাজ করতে হবে। তাহলে কী করিতে হইবে?
https://www.amazon.com/Dive-Rite-Slate-Wrist-Pencil/dp/B002CMU1B2
এই জিনিসটি হাতে পরতে ভুলে গে আমি একপ্রকার বোবা।
আর জলের নিচে অপ্সরা- নটরাজ দিয়ে খসখসে পেলাসটিকের শীটে নোট নিই তো।
এমনকি চ্যালাচামুন্ডাদের সঙ্গে কমিউনিকেটও করি পেন্সিল দিয়ে হাতে বাঁধা তিন পাতাওলা প্লাস্টিকের স্লেটে লিখে। অত সাইন ল্যাঙ্গুয়েদ আমি জানিনে বাপু, এ্যাদ্দিনে বাংলাটাই শিখতে পারলাম না!!
পেন্সিলই খেতাম কাগজ কোনোদিন খাই নি, দু একবার ভুল করে এগ রোলের সঙ্গে ছাড়া।
ও মা! পেন্সিল বলেছি, কাগজ তো বলি নি।
হ্যাঁ তা বটে, কেলোদার অনেক কীর্তির কথাই জানতুম, তবে জলের নীচে শুকনো কাগজে পেন্সিলে লেখেন শুনে, যাকে বলে মুগ্ধ বিস্ময়ে হতবাক।
আর, জানেন তো, জলের নিচে কালির কলম কাজ করে না, তাই আজও উডপেন্সিল আমার নিত্যসঙ্গী। লাইফ পার্টনার যাকে বলে!!
নিতান্ত রবিবারের কসমসের আগের স্লটের অনুষ্ঠানে জ্যঁ কুস্তো আমাকে কার্ল সাগানের চেয়ে বেশী প্রভাবিত করে ফেললেন তাই কসমোলজী/ অ্যাস্ট্রোনমী না পড়ে, কানে পেন্সিল গুঁজে ওশেনোলজী শিখতে চলে গেলেম।