pi, রিস্ক মিনিমাইজ করা ভালোই, কিন্তু সিডিসি বলছে কনট্যামিনেটেড সার্ফেস থেকে কোভিড ছড়ানোর রিস্ক হল ১/১০০০০। ফলে ভোটের সময় গ্লাভস পরার খুব একটা উপযোগিতা নেই বলেই মনে হয়। এনিওয়ে, বুথ থেকে বেরোনোর সময় হাত স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা থাকলে তো এর কোনো দরকারই নেই।
https://medicalxpress.com/news/2021-04-cdc-coronavirus-surfaces.html
ওদের বড়দার গল্পটা শুনে আমাদের অনন্ত বাসুকিদাদার গল্প মনে পড়ে গেল। সেখানেও তো অনন্তকে ভোগবতীনগরীতে পাঠিয়ে ব্রহ্মা বলেছিলেন এই নদনদী পাহাড় অরণ্য সব সমেত এই পৃথিবীটাকে ধারণ করে রাখতে। অনন্ত কিন্তু দিব্যি মানুষের চেহারা আর সাপের চেহারা দুইই ধারণ করতে পারতেন। নারায়ণকে যখন অনন্তশয্যায় তখন সাপ সেজে থাকেন অনন্ত, আবার নরলীলার সময় ভাই লক্ষ্মণ হয়ে নেমে পড়েন। পরেরবারে বলেছে আর ভাই হবো না, বড্ড বুলি করো, এবারে দাদা হবো। তাই বলরামদা। ঃ-)
ওরা মোটে তিন ভাইবোন? নাকি বৈমাত্রেয় আরও ক'জন ছিল? যাই বলো তিনজনে খেলা জমে না। অন্ততঃ গোটা সাত আটজন থাকলে তবে ভালো করে খেলা জমে। ঃ-)
৫ লাইন? সে তো অনেক! ঃ-)
অ্যান্ডর,
আমি লিখছি পরের অংশটা। অনেকখানি লেখা হয়ে গেছে .... তা পাঁচ লাইন তো হবেই :P
কেকে, আছো? তোমার নুড়িতলার বাঁকে যে আমাদের দাঁড় করিয়ে রাখলে ফণীরাশ্বের আগে? ওদিকে ওর দাদা আর দিদির ব্যবস্থা হয়ে গেল। ওর কী হল এবারে বলো।
আগে আগে ভোট দিতে যাবার সময় দেখতাম মোড়ে মোড়ে রঙীন ছাতার নিচে এজেন্টরা থাকতেন, বিস্কুট, মিষ্টি, সিঙারা, জলের বোতল এসব দিতেন। এলাকার দুটো বড় স্কুলে বুথ হত।
ফেবুতে দেখলাম কোন কবি নাকি করোনাক্রান্ত, এদিকে গতকালই তিনি একটি সভা পরিচালনা করেছে, তাতে লোক টোকও হয়েছিল। এই বার সেই সব লোকেদের আক্রান্ত হবার চান্স! কোভিডের রেজাল্ট ত আর হুট করে আসে না টেস্ট করিয়ে রেজাল্ট আসার আগেই সভায় কেন গেছেন কে জানে! বেয়াক্কেলে লোকজন।
সেতো জানি সময় কম লাগে বাট এবার ভোটে অন্তত এটা আনহাইজিনিক। প্লেস টিপসই দিতে গেলে কেমন যেন সম্পপত্তি হাতিয়ে নিল টাইপের ফিলিং হয়।
টিপসইতে সময় কম লাগে। আমিও ছোটবেলায় রিফিউজ কত্তাম। বড় হয়ে আর মাথা ঘামাই না।
এরা টিপসই দেয় কেন? সাইন করা তো বেটার। পোলিং অফিসার রা দেখি প্রত্যেকবার ই টিপসই করতে বলে আর আমি প্রতি বার রিফিউজ করি।
আমার মাইরি প্রত্যেক বার যেটা হয় সেটা হল অন্য পারটির এজেন্ট দের সঙ্গে আড্ডার রিলেশন হয়ে যায় এবারো হল ।
আমার বুথে যেখানে আমি সিপিএম এর পোলিং এজেন্ট ছিলাম সেখানে থার্মাল গান, গ্লাভস , গ্লাভস ফেলার হলুদ বাস্কেট সব ছিল। শুধু একটা খুব স্টুপিড ব্যাপার ছিল , বাঁ হাতে লোকে টিপ স ই দিচ্ছে গ্লাভস খুলে, সেটা একটা কমন প্যাড থেকে তারপর বাঁ হাতের তর্জনী তে রঙ মেখে আবার ভীষণ গ্লাভস পরে ডান হাতে ভোট দেওয়াটা কতটা সাইন্টিফিক জানিনা।
মন্ত্র পড়ে দিয়েছে হয়তো, করোনা চলে যা।
আমাদের বুথ ছিল করোনা মুক্ত বুথ, মানে করোনা চলে গেছে তা নয় তবু এনারা মনে করছেন চলে গেছে। কোনো থার্মাল চেকিং, কোনো গ্লাভস এর বালাই নেই। একজন এজেন্টও মাস্ক পরেন নি, কেেন্দ্র্রি্য় বাহিনীও না, আর পোলিং অফিসার রা দুজন থুতনাস্ক পরে ছিলেন আর একজন মুুক্ত।
শুনলাম মুম্বই তে হাউস হেল্প দের কোভিড টেস্ট রিপোর্ট সোসাইটি তে জমা করতে বলছে,প্রতি সপ্তাহে
টেস্ট এর পয়সা মালিক দের দিতে হবে
কেউ অজান্তে কোভিড রোগী হয়ে থাকলে তাঁ্র হাত দিয়ে ছোঁয়া কিছু দিয়ে ছড়াতেই পারে। সেই হাত দিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই অনেক কিছু করে থাকতে পারেন, যাতে ভাইরাস আসতে পারে। নাকই খুঁটতে হবে কেন?
আমাদের ত গত শনিবার এক হাতের গ্লাভস দিয়েছিল। আবার অন্য হাতটা বেশ পাকড়ে ধরে সযত্নে কালি লাগাল। থার্মাল চেক হচ্ছিল এবং রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে অনেকেরই বেশী আসছিল। তাদের অপেক্ষা করতে পাঠালে তারা রেগে উঠছিল।
মমতা নিশ্চয় বিজেপি ঠেকাতে এটুকু করবেন ।
প্যানিক কাটানোর সহজ সমাধান হয়তো।
ভোট দিতে কেন গ্লাভস লাগবে বুঝলাম না। ভোট দিয়ে সেই আঙ্গুল দিয়ে কি নাম খুঁটছে লোকে? স্যানিটাইজ করে নিলেই হল। আমাদের বুথে গ্লাভস শেষও হয়ে গেছিল।
ফাঁকি মেরেছে! আপনাদের তো কলকাতায় ভোট, প্রিসাইডিং তোফা আছেন। গ্রামে অন্তত ৪০০ জনকে বোঝাতে হবে কীভাবে ভোট দিতে হয় সেই প্রক্রিয়া। তারও পরে শুরু হবে অজস্র ভোটারের চোখ দিয়ে পানি পড়া আর হাত কাঁপার রোগ। সব কম্প্যানিয়ন ভোট কিন্তু ফর্ম ফিলাপ হবে না। সকাল ছটাতেই ভোটারদের লম্বা লাইন ও সম্মিলিত ক্যালোরব্যালোর। সব মিলিয়ে হাতে হারিকেন কেস।
কোন থার্মাল গান দিয়ে চেকিং দেখলাম না।
রমিতবাবু কোনও ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল। গুরুর ভোটারদের ভরসা দিতে বলি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজার ও গ্লাভসের বন্দোবস্ত থাকবে। থাকবে থার্মাল গানও। কোভিডের উপসর্গ থাকলে ভোট দেওয়া যাবে বিকেল পাঁচটার পরে। আর ভোট চলবে সকাল সাতটা থেকে বিকেল সাড়ে ছ'টা অবধি। মক পোল শুরু হবে সকাল সাড়ে পাঁচ থেকে পৌনে ছয়ের মধ্যে।
প্রিসাইডিং রাতে ঘুমোবেন না, কিংবা ঘুমোলেও ভোর চারটেয় উঠে পড়বেন! গনোতন্তের উৎসব বলে কতা!!
আমার ধারণা শেষ এক ঘ্ণটার নিয়ম, যাতে কর্মীরা তখন এক ঘ্ণটা পিপিই পরে নিতে পারেন। এছাড়াও এতে পরবর্তী লোকের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।
তবে ৪ দফায় মাত্র একজন ভোট দিয়েছেন, এটা বেশ আশ্চর্যের।
আমাদের এরিয়ায় যখন ভোট হ'ল তখন দুপুর দুটোর পর করোনা রোগীদের ভোট নেওয়ার নির্দেশ ছিল। আর জানি ন।
আমি তো গাইডলাইন দেখে বললাম।
মনে হয় শেষ এক ঘ্ণটায় এরকম ক্ষেত্রে ভোটকর্মীদের পিপিই পরার নিয়ম?
এদিকে আজ ডিস্পোজেবল গ্লাভস দিল ভোট দেও সময়, সেতো ভাল। ভোট দিয়ে বেরনর পর জিগালাম কোথায় ফেলব। দেখিয়ে দিলেন একটু দূরে একটা চাকা লাগানো ডাস্টবিন। ফেলার সময়ই দেখেছিলাম প্রায় ভর্তি। মাস্ক টাস্কও ছিল। তা ভোট শেষ হবার এক ঘণ্টা পরে ঝড় উঠল। বেশ হাওয়া। একটু আগে জানলাম, সেই সব গ্লাভস, হাওয়ায় ঝরা পাতাদের সঙ্গেই ওড়াউড়ি ক'রে মাঠে ঘাটে আগানে বাগানে বাড়িঘরের পদতলে থিতু হয়েছেন।
স্থানভেদে আলাদা হয়তো।