একজন দুর্বল লোকের ওপর অত্যাচারকে এক রাজ্যের ক্ষমতাশালী মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনার সাথে ঘুরিয়ে তুলনায় আনা হচ্ছে ? মাইরি ! কেন, না, প্যাঁচ দিয়ে দিয়ে প্রমাণ করতে হবে ঐ মুখ্যমন্ত্রীর কাজে কোন দাগ ছিল না ?
হামবাগাপনার বিষ্ঠাত্যাগ নিয়ম করে করে প্রতিদিনই করে যেতে হবে।
এঁয়ারা নাাকি খুব র্যাশনাল ?
রমিত বাবুর খবর টা মর্মান্তিক , আপনি নিজে সাবধানে থাকুন , এ ছাড়া আর কি বলি
ভয় হয় ইলেকশন এর পরে হয়তো এই নতুন ওয়েভ এর প্রকৃত রূপ প্রকাশ পাবে
" তাহলে এই পাতায় ওইসব কাজের জন্যে ওদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করা থেকে বিরত থাকবেন আশা করি?"
ঐ লোকগুলো যে দলটা করে সেটার তত্ব বিশ্বাস ইত্যাদি নিয়ে আমার সমস্যা। কোন একটা মামলায় কে জিতেছে বা হেরেছে সেটা সেকেনডারি। রাফায়েলের টাকা কে খেয়েছে সেটা যদি কপিল সিব্বলের কথায় বিশ্বাস করতে হয় তাহলে বুফোর্স নিয়ে রাম জেঠমালানির কাছে যেতে হবে।
যাঁরা ধনঞ্জয়ের মমলার "সবচেয়ে পরিশ্রমসাধ্য ডিটেইলসে ক্ষুরধার বিশ্লেষণ করেছেন তাঁরা কি তাপসী মালিকের হত্যা নিয়ে বিব্রত নন? নাকি ভয় আছে যে তাঁদের অপছন্দের কোন দলকে অভিযোগের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যেতে পারে?
আর দ্বিচারিতার কথা তুললেন যখন তখন ফাটা রেকর্ড্টা বাজাই। গুরুর মায়া পাতায় আপনাকে নিয়ে ঠিক কতজন নন্দীগ্রাম বা তাপসী মালিকের মামলার তদন্ত জানিয়েছেন? সিদ্ধান্ত তো কোন মামলা হওয়ার আগেই নেওয়া হয়েছে।
আপনি (ও আপনার মত অনেকেই) এই সব সরকার উল্টে দেওয়া ঘটনার তদন্ত চেয়ে কত বাইট ব্যয় করেছেন এই ফোরামে গত ১৫ বছরে?
রমিতবাবু,
খারাপ লাগলো খুব খবরটা শুনে। কী আর বলব! আপনি প্লিজ সাবধানে থাকবেন।
কতগুলো কথা বলি।
এক, বুদ্ধবাবুকে ব্যক্তিগতভাবে বেইজ্জত করলেও কিছুই বলার নেই। কারণ তিনি মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ মানুষ না। অত পাওয়ারফুল লোকেদের ব্যক্তিগতভাবে বেইজ্জত করাই হয়ে থাকে, হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে করাও প্রয়োজন। এবারে সেটা কারোর অপছন্দ হতে পারে, কারোর পছন্দ হতেই পারে। অত পাওয়ারফুল লোকজনের ছেনছিটিভিটি নিয়ে ভাবতে হবেনা।
দুই, নন্দীগ্রামে ঠিক কি হয়েছিল, তার পূর্ণ তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন আছে। কারণ ওখানে তখন অনেক পক্ষ মজুত ছিল। হার্মাদ, পুলিশ, ভুমি রক্ষার আন্দোলনকারী, তিনো, মাওবাদী, বুজি, মিডিয়া। কে কার উপরে কতটা জুলুম করেছে, কে কি গল্প ছড়িয়েছে, কে কাকে টাকা দিয়েছে, তার একটা হিসাব প্রয়োজন। সব দোষীদের শাস্তি দরকার। তাতে যদি বুদ্ধবাবু দোষি প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁকেও এই অসুস্থ অবস্থায়ই শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু আমার ধারণা লাইন অনেক লম্বা।
তিন, সেই কারণেই তদন্তও হবেনা। যিনি এই আন্দোলন থেকে সবথেকে ফায়্দা তুললেন, তিনি ক্ষমতায় এসেই তদন্ত বন্ধ করে দিলেন। তারপর প্রত্যক্ষ ভাবে যারা জড়িত ছিলেন, তাদেরকে নিজের দলে জায়্গা দিলেন। তারপর দুইদিন আগে বেফাঁস মন্তব্য করলেন। সেসব ইগনোর করে আজ থেকে দশ বছরেরও আগে তৈরী করা একটা ওপিনিয়ন আঁকড়ে বসে থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়।
চার, এখানে বিগ্ত দশ বছর ধরে একটাই বক্তব্য রিপীট হতে দেখছি। বামেরা দোষী এবং বুদ্ধবাবু জল্লাদ। কিন্তু তারপরে একের পর এক কাউন্টার আর্গুমেন্ট আসে। একের পর এক মিথ্যার উদ্ঘাটন হয়। কুমীরে গুল্প, সেনের গুল্প। দিদিই শেষে পুরো ঘটনার জন্য একদা তিনো, এখন বিজেপির দুজন নেতার নাম করে দেন। তবুও আমাদের বক্তব্য, বা বলা উচিত ধারনা, বদলায় না। কেন? সত্যিটা জানার কি কোনও ইচ্ছাই নেই?
পাঁচ, স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন নিয়ে বেশি কথা বলবেন না। ক্যাপিটল রায়টও স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন ছিল। বিজেপি নেতারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসকেও সেই পর্যায়েই ফেলে দেয়। এবারের ইলেকশানেও তিনো প্রার্থীকে আক্রমণকে বিজেপিরা স্বতস্ফুর্তের ক্যাটিগরিতে ফেলে দিয়েছে। যারা জমি রক্ষা অন্দোলন করেছিলেন, তাদের অনেকেরই শুনেছি দিন ফিরে গেছে। যেসব বুদ্ধিজীবিরা একদা নিরপেক্ষ হয়ে নিউজ চ্যানেলে বাইট দিতেন, তারা অনেকেই দিদির পেরোলে ছিলেন বা পরে যোগ দিয়েছেন। অতেব।
এলসিএম
অনেক ধন্যবাদ। এবার থেকে ঠিকভাবে প্রয়োগ করব। না পারলে ফের জ্বালাবো।
পিটি
ফের দুটো জিনিস গোলাচ্ছেন।
কেন মিথ্যে কথা বলছেন?
১ ডাক্তার পেটানো 'ক্যাঙারু কোর্ট--আমি সেটার বিরুদ্ধে। আগেও বলেছি।
কিন্তু মেডিক্যাল আইন অনুযায়ী ডাক্তারএর নেগলিজেন্সের জন্যে কারও প্রাণ বা অঙ্গহানি হলে সে জিম্মেদার। সে নিয়ে অভিযোগ করা যাবেনা? বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবেনা? ডাক্তার কি ভগবান?
২ সুপ্রীম কোর্টের রায় নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাঁরা অধিকাংশই নিজের লাইনে স্পেশালিস্ট। প্রশান্তভূষণ, ইন্দিরা জয় সিং, কলিন গঞ্জালভেস, দুষ্যন্ত দাভে, করুণা নন্দী বা সঞ্জয় হেগড়ে এবং কপিল সিব্বল-- এঁদের কারও আইনের জ্ঞান কম নয়। যা বলছেন একটু ভেবে বলুন।
৩ নিজের কথা বলুন। সুপ্রীম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোন শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্যে, গুজরাত দাঙার জন্যে, ইশরাত জাহান এনকাউন্টারের জন্যে, দিল্লি দাঙ্গার জন্যে, রাফেলের কেনাবেচায় দোষি নন। আপনি এটা মেনে চলেন। তাহলে এই পাতায় ওইসব কাজের জন্যে ওদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করা থেকে বিরত থাকবেন আশা করি?
আপনি সবাইকে প্রশ্ন করেন। আমাকেও করেছেন। উত্তর পেলে গোল পোস্ট সরান। নিজের উত্তরটুকু দেননা।
ধনঞ্জয় চ্যাটার্জির ফাঁসি নিয়ে তার বিচারপদ্ধতি এবং রায়এর অসংগতি নিয়ে কোলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রসিকিউটর বলাই রায় সবচেয়ে আগে প্রশ্ন তুলেছেন। রায়কে কাঁটাছেড়া করে, যুক্তি সাজিয়ে। তারপর অনেকে করেছেন।
সবচেয়ে পরিশ্রমসাধ্য ডিটেইলসে ক্ষুরধার বিশ্লেষণ করেছেন আই এস আইয়ের দুই প্রফেসর। যাঁদের লেখাটি গুরুচন্ডালি প্রকাশন একটি বইয়ের আকারে লোকের গোচরে এনেছেন। আজ ধনঞ্জয় ফিরে আসবে না। কিন্তু আদালতের সিস্টেম এবং রায়কে অন্ধভাবে না মানার পক্ষে, ক্রিটিক্যালি দেখার জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট।
রমিতবাবু, খুব খারাপ লাগল শুনে। সমবেদনা জানাই। আপনি ভালো থাকুন, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন।
এই সব তাত্বিকতার কারণেই বোধহয় রুগীর পরিজনদের হাতে ডাক্তাররা মার খায়। এখন সব জায়গাতেই বোধহয় non-expert দের রমরমা।
আবার দুটো জিনিস গোলাচ্ছেন।
কে বলেছে আমার হিসেবে বিচার ব্যবস্থা চলবে? বললাম তো আমি নাগরিক হিসেবে কোর্টের রায় মানতে বাধ্য। সেটা আমার গণতান্ত্রিক কর্তব্য,। একই সঙ্গে রায় নিয়ে নিজের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক অনুসারে প্রশ্ন করতে পারি। সেটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। একটু উদাহরণ দিচ্ছি।
কেস ১
আমাকে কোন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেইলের দরখাস্ত দিলাম। সেশন কোর্ট বলল -- আমাদের মতে প্রাইমা ফেসি যা এভিডেন্স তাতে গ্রেফতার করা যুক্তিযুক্ত। আমার মনে হল রায়টি ভুল। কিন্তু আদেশ মেনে আমি জেলে যেতে বাধ্য। অথচ আমি হায়ার কোর্টে আপিল করব ভুল রায়ের বিরুদ্ধে। কত কেসে বন্দী এক বা দুই দশক পরে ছাড়া পেয়েছেন সেটা দেখেছেন? আপনি জাজমেন্টকে চ্যালেঞ্জ করা ও তার এক্সিকিউশন মানাকে গুলিয়ে ফেলছেন।
কেস -২
বাবরি মসজিদ কেস। আপাতত" সুপ্রীম কোর্টের রায়ে পটক্ষেপ হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে এর কন্সিস্টেন্সি নিয়ে প্রচুর লোক এবং আইনের ছাত্ররা প্রশ্ন তুলছে। তাদের চুপ করে যাওয়া উচিত?
বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট বলছে-- ক্রিমিনাল অ্যাক্ট, তাড়াতাড়ি মামলা হোক। অভিযুক্তরা সবাই বেকসুর খালাস। তাহলে এত লোকের ক্যামেরার চোখের সামনে কারা ভাঙলো? কাদের কী ভূমিকা ছিল? কারা ষড়যন্ত্র করল? সুপ্রীম কোর্ট নিরুত্তর। প্রশ্ন করা যাবেনা?
কেস-৩
রাফেল কেস নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট 'সব ঠিক হ্যায়' বলে রায় দিয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুললে বিজেপির মন্ত্রী শান্ত্রীরা ঠিক আপনার মত বলছে-- দেখেছ? সুপ্রীম কোর্টের রায় মানছেনা। এদের দেশের বিচারব্যবস্থায় আস্থা নেই।
কিন্তু আবার রাফেলের সাপ মাথা তুলছে। সুপ্রীম কোর্টে আবার পিটিশন।
কেস -৪
গুজরাত দাঙ্গায় আহসান জাফরি কেসে ভদ্রমহিলা নিজের চোখে দেখলেন তাঁর স্বামী এবং অন্য শিশুদের কেমন করে আগুনে ছুঁড়ে ফেলা হল। কোর্ট মন্ত্রী মায়া কোদনানি এবং বাবু বজরঙ্গীকে সবচেয়ে বড় শাস্তি দিল। ধীরে ধীরে সবাই হায়ার কোর্টে ছাড়া পেলেন। যে পুলিশ অফিসার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তিনি এখন চাকরি হারিয়ে জেলে। তাঁর স্ত্রী বিচার চেয়ে কয়েক দশক ধরে লড়ে যাচ্ছেন। আদালত থেকে কোন রিলিফ নেই। প্রশ্ন করা যাবেনা?
বেশ, আপনি ওই রায় মেনে এ পাতায় গুজরাত দাঙ্গার জন্যে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করা বন্ধ করুন। নিজের কাছে সৎ থাকুন, কন্সিস্টেন্ট থাকুন।।
রাম মন্দির বানানো বা ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া, এগুলো জুডিশিয়ারির মাধ্যমে হয়েছে, কিন্তু আমার জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক অনুসারে ঠিক নয়। মনু শর্মাকে জুডিশিয়ারি ছেড়ে দিয়েছিল, অনেক মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক তার বিরুদ্ধে কথা বলার পর সিস্টেম নিজের থুতু চেটেছে।
আমার জ্ঞান বুদ্ধি বিবেকের বিপরীতে গেলে আমি কথা বলবো, মোদী শাহের বিপরীতে গেলে ওঁরা করবেন, বিপুল জনতার বিপরীতে গেলে জনতা করবে।
জুডিশিয়ারি কুনাল কামরাকে ক্ষমা চাইতে বলেছিল, তিনি চাননি, রায় নিয়ে প্রশ্ন নয়, আদেশ মানেনই নি। আমার জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক অনুসারে ঠিকই করেছেন।
এমন কিছু পবিত্র ব্যাপার তো না, হাজার হোক মানুষই চালায়।
"কিন্তু সেই বিচার যদি আমার সামান্য জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক অনুসারে যুক্তি সংগত না মনে হয় প্রশ্ন করব।"
কিছু মনে করবেন না। আপনার "জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক অনুসারে" আইন ব্যবস্থা চলবে? আমি নিশ্চিত মোদী শাহরাও একই বিচারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভিন্ন অব্স্থান নিতে পারে।
আরো একটা কন্ফ্যুসন। আপনার পছন্দের সিদ্ধান্ত হলে তবেই কি তা আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? "জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক অনুসারে" তো কোন বিচারের নানাবিধ সিদ্ধান্ত হতে পারে।
পিটি
আপনার প্রশ্নটাই ভুল।
আপনার সমস্যাটি কী জানেন? ওই বাইনারি তে আবদ্ধ থাকা। সিপিএমের সমালোচনা করলেই তিনো, আর তিনোর সমালোচনা করলে তবে না সিপিএম। একই ভাবে বর্তমান বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি মানে আমি ক্যাঙারু কোর্ট বা মিডিয়া ট্রায়ালের সমর্থক? কোনমতেই না । অবশ্যই আইনের শাসন চাইব। ডিউ প্রসেস অফ ল চাইব। কিন্তু সেই বিচার যদি আমার সামান্য জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক অনুসারে যুক্তি সংগত না মনে হয় প্রশ্ন করব। নাগরিক হিসেবে কোর্টের আদেশ মানা এক কথা, আর রায় নিয়ে প্রশ্ন করা আরেক।
সুপ্রীমকোর্ট মানুষেই চালায়। ভুলও করে। তাই আগের রায় বদলায়। আজকেই গুজরাতের আহসান জাফরি কেসে বিধবার পিটিশন খারিজ করে মোদীজিকে গুজরাতের দাঙ্গার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আশাকরি আপনি নিজের অবস্থান অনুযায়ী এ পাতায় ওই দাঙ্গার ব্যাপারে কেউ ওনার দিকে আঙুল তুললে তার প্রতিবাদ করবেন।
ব্যক্তি বুদ্ধবাবুর বেইজ্জতি উদ্দেশ্য ছিলনা। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবুর বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ হয়েছে। সেটা কখনও ব্যক্তিপর্যায়ে নেমে গেলে দুঃখজনক। কিন্তু জনতার বিপ্লবে এরকম হয়। সর্বত্রই শাসকের ক্ষমতার বিরোধীতা আর ব্যক্তি শাসকের বেইজ্জতি বাস্তবে মিশে যায়। ধরুন কেউ বুদ্ধবাবুর মাথায় শিং আঁকল। এটাকে ব্যক্তি বুদ্ধবাবুর বেইজ্জতি বলতে পারেন। আবার ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও বলতে পারেন।
পিসটাইমে কোর্টের ওপর ভরসা রাখাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু রাষ্ট্র যখন অত্যচারী হয়ে উঠেছে, তখন game is rigged. কোর্টকেও সন্দেহ করতে হবে। বর্তমানে যেমন সুপ্রীম কোর্টের অবস্থান সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।
দুজনের ক্ষেত্রেই justice denied হয়েছে।
মিডিয়ার সমালোচনা আর মিডিয়া ট্রায়ালের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে।
আরে, এখন খুলে দেখি এ কী বাজে খবর! কী আর বলি রমিতবাবু, আপনি খুব খুব সাবধানে থাকুন।
একের পর এক নানা মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। এবার যে কী ভয়নকর অবস্থা হতে চলেছে!
একজন শাসক আর বিহারের একজন দলিত, এঁরা কী করে তুলনীয় হলেন তা বোঝা মুশকিল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পেশাগত ভূমিকার সমালোচনা হয়েছে। সেটা আটকাতে গেলে মিডিয়ার গলা টিপে ধরতে হয় (বিজেপি তৃণমূল সবাই করে, এই ডিসক্লেমার না দিলে আবার...)। মিডিয়ার অন্যতম ভূমিকা শাসকের ত্রুটি দেখিয়ে দেওয়া।
অনেককাল আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ফেক প্রোফাইল বানানোর অপরাধে জনৈক আইটিওয়ালাকে পুলিশ তুলে নিয়ে বাটাম দিয়েছিল, মনে পড়লো। অনেক আগের কথা, তখনো অর্কুট বেঁচেবর্তে।
জার, বাস্তিল ইত্যাদির সঙ্গে ব্যক্তি বুদ্ধবাবুর বেইজ্জতির কোন সম্পর্ক নাই। এনিওয়ে আসল ইস্যু হচ্ছে যে বিচারের জন্য কার ওপরে নির্ভর করবেন? খাপ, ক্যাঙারু নাকি রাষ্ট্রের কোর্ট?
খাপ সাধারন মানুষের ব্যক্তিপরিসরে হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু বুদ্ধবাবুর ক্ষেত্রে তা নয়। ওটা অন্য ক্যাটেগরি। ফ্রান্সে বাস্তিল দুর্গ, রাশিয়ায় জার, পোচ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম ও বুদ্ধবাবু। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব বলতে পারেন, মিডিয়া স্রেফ অনুঘটকের কাজ করেছে। আপনি তো জানেন অনুঘটক বিক্রিয়া শুরু করতে পারেনা।
"লোকটি সাধারন মানুষ কিন্তু বুদ্ধবাবু ক্ষমতার শীর্ষে বসেছিলেন।"
বেশ বলেছেন। একজনকে খাপ পঞ্চায়েত আর অন্যজনক্কে মিডিয়া ট্রায়াল দোষী সাব্যস্ত করেছে।
রাষ্ট্রের কোর্টে বিচার হলে হয়ত অন্য কোন সিদ্ধান্ত হলেও হতে পারত দুজনের ক্ষেত্রে।
রমিত
আমার ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হওয়া খুড়তুত ভাই জানুয়ারিতে চলে গেল একই ভাবে, শেষদিনে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।
আপনাকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা নেই।
সবাইকে একটাই অনুরোধ। অক্সিজেন 90 এর নীচে নামলে দেরি না করে যেকোন হাসপাতালে পাঠান। পরে সময় পাওয়া যায়না।
লোকটি সাধারন মানুষ কিন্তু বুদ্ধবাবু ক্ষমতার শীর্ষে বসেছিলেন।
কিসুই বোঝা গেল না।
শুধু বোঝা গেল বুদ্ধবাবুকে ব্যবহার করে মাঝে মাঝেই ছিঁচকাঁদুনে ভাব্টা বেরিয়ে আসে।
"লোকটি হয়ত প্রকৃতই দোষী"
"বুদ্ধ বাবু হয়ত প্রকৃতই দোষী হলদি নদীর কুমীরদের লাশ পরিবেশন করার জন্য"- এবার বোঝা গেল?
ডাক্তার বললেন কজ অফ ডেথ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট
খুব ই খারাপ লাগল রমিত কি আর বলব, সাবধানে থাকুন।
"লোকটি হয়ত প্রকৃতই দোষী"।
এই বাক্যটির মানে কেউ বুঝিয়ে দেন।
বিচার নিয়ে উদ্ভট তর্ক তো পরের কথা।
পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। চুপচাপ বসে আর কিছু ভালো লাগছিলো না বলে আবার গুরুতে ঢুকলাম। প্রচণ্ড ডিপ্রেশড হয়ে পড়ছি।
আক্রান্ত হওয়ার পর ওনার মেয়ে এসে ওনার কাছে থাকছিল। ওই অক্সিজেন মনিটরিং করছিল। প্রত্যেকদিন আমি কথাও বলছিলাম। এবার হঠাৎ ই 70 এ নেমে যায় অক্সিজেন। তখন আমায় জানায়। আমি নিজেও কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমি ওখানে যেতে পারছিলাম না। আগে কিছু না বলায় হঠাৎ এত কমে গেছে আমিও জানতাম না। এমনি কথা বার্তা সবই বলছিল। ভেতরে এতটা কষ্ট হছে বুঝতে পারিনি। বলল যে আগে ঘাড়ে, পিঠে যে ব্যথা হচ্ছে সেগুলো ও কম। আমার শরীরের খোঁজ ও নিল। তারপর তো হাসপাতালে ভর্তি করলাম। এম্বুলেন্স এ নিজে হেঁটে উঠেছে।
"প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেই ‘অপরাধে’র জন্য দলিত ব্যক্তিকে ‘শাস্তি’ দিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরা। শাস্তি হিসাবে ওই দলিত ব্যক্তিকে থুতু চাটতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে। তাঁকে মূত্র পান করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিহারের গয়ার ওয়াজিরগঞ্জ এলাকায় সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে।"
RR কে প্রশ্নঃ লোকটি হয়ত প্রকৃতই দোষী। কিন্তু মিডিয়া ট্রায়ালের চাইতেও দ্রুততর এই স্থানীয় "বিচার" ব্যবস্থা আর রাষ্ট্রের আইন ব্যবস্থার মধ্যে কোনটা আপনার বেশী পছন্দ?