অভ্যু, শুধু তাই নয় রাকৃমি এসএসসি অবধি মানতে চায়নি। শেষে কান্তি বিশ্বাসের একগুঁয়েমির কাছে নত হতে বাধ্য হয়। সেই নিয়ে আমার সহপাঠী ও বর্তমানে পুরুলিয়া রাকৃমির শিক্ষকের আফশোস আজও যায়নি।
মাইনরিটি গ্রুপে পড়তে পারলে নানা সুবিধে পাওয়া যায়। ১৯৯৫-৯৬ সাল নাগাদ (আমি তখন নরেন্দ্রপুরে, তাই স্পষ্ট মনে আছে) রামকৃষ্ণ মিশন পর্যন্ত তার সুবিধে নেবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, সেটা দেখিয়ে বলা যায় না যে মাইনরিটিদের বিশেষ সাহায্য করার দরকার নেই, বা সাহায্য করলেই সেটা সংখ্যালঘু তোষণ ইত্যাদি।
বাংলাভাগের ক্ষেত্রে শ্যামাপ্রসাদের ভূমিকা সম্পর্কে বিজেপি যা বলে, পার্থ চ্যাটার্জিও ত তাই বললেন।
এসব ব্যানে বা শীতলকুচির ঘটনায় মমব্যানের তেমন একটা ফায়দা হবে না বলে আমার ধারণা। বড়জোর মুর্শিদাবাদে গোটা সাত-আট সিট বাড়তে পারে। কিছু এদিক-ওদিক হতে পারে ২৪ পরগণায়। নদীয়া-বীরভূমে কিস্যু হবে না। উত্তর দিনাজপুরেও না। লোকে বহু আগে মনস্থির করে ফেলেছে।
ওদিকে ত্রিপুরায় বিজেপীর অফিস জ্বালিয়ে দিচ্ছে কারা যেন।
2007 এর NSS এর পর প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্টেেও উঠে আসে বঙ্গে এককোটি প্রান্তিক মানুষের আধপেটা খেয়ে থাকার তথ্য। ইপিিডবলুুুতে রিপোর্ট বেরোয়।
2 নির্বাচন কমিশন হিমন্ত বিশ্বশর্মা একটি চিঠি দিতেই একদিনের মধ্যেই ব্যান তুলে নিল। অথচ চেন্নাইয়ে স্তালিনের ছেলে পাবলিকলি মাপ চাইল, ভুুল স্বীকার করল, তবু 48 ঘন্টার ব্যান একটুও কমে নি।
পান। মাইনরিটির ক্ষেত্রে শতাংশটা ফ্যাক্টর নয়। বাংলায় বাকি ধর্মের ছাত্রসংখ্যা খুবই কম। তবে মিশনারি স্কুলগুলো এখনও মাইনরিটি অধিকার ভোগ করে। খ্রিস্টান ছাড়া অন্য ধর্মের কেউ সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতে পারেন না। ওদের নিয়োগ পদ্ধতিও আলাদা।
ইস্কুলে আমার এক বৌদ্ধ বন্ধু ছিল। তারা মনেহয় ওবিসি অন্তর্গত ছিল।
তবে মাইনরিটি হলেই গ্রান্ট পাওয়া যায় না। পিছিয়ে পড়া মাইনরিটি হতে হবে। যেমন ভারতে পার্শীরা বা আমেরিকায় ইহুদীরা মাইনরিটি, কিন্তু পিছিয়ে পড়া নয়।
দিদিকে "ঐ মহিলা" বলাটা খুব আলাদা কিছু নয়। দিদিও আব্বাসকে কিভাবে ডাকেন, সেটা খেয়াল করে দেখবেন। আমরাও তো অনেকে ঐ দুজনের নাম নিইনা।
কালকে দেখি দিদি বলছেন যে একজন বিজেপির এমপি নিজের গাড়িই ভেঙেছে। আমি নাম বলবো না। তার পরে বললেন যে জামায় কি থাকে? পকেট। এইবারে বুঝে নিন। দিদি খোশ মেজাজেই রয়েছেন। শীতলকুচির ঘটনা বিজেপির জন্য ব্যাকফায়ার করেছে। তাই দিলু আজে বাজে বকছে। দিদি জিতছেন। আর সেটা দিদি আর দিলু দুজনেই জানে। ঐ দুজনকে কেউ খবরটা দিয়ে দিক।
একটা প্রশ্ন করতে চাই, জেনুইন প্রশ্ন। জানিনা বলেই করছি। বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ এনারাও কি মাইনরিটি গ্রান্ট পান ? একটা ধর্মের/জাতির জনসংখ্যা কতটা হলে তাকে মাইনরিটি ধরা হয় ?
তিনোরা কমপ্রোমাইজড। নারদা আর চীটফান্ড কান্ডের পর সবসময় ভয়ে আছে এই বুঝি সিবিআই ধরলো। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই বিজেপি বিরোধীতা সম্ভব নয়। সেই কারণেই এইবারের ইলেকশানে তিনজনকেই মোটামুটি মিটিং মিছিল করতে দেখলাম - দিদি, ভাইপো, আর নুসরাত। বাকীরা গর্তে সেধিয়ে আছে। অনেকে তো জার্সিই বদলে নিলো।
তবে তিনোরা জিতবে। বিজেপির অবস্থা খুবই খারাপ। কোনও কারণ ছাড়াই দিদিকে ব্যান করে দিলো। দিদি এই ইলেকশানে অনেক আজে বাজে কথা বলেছেন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের তুলনায় সেসব একেবারেই জুভেনাইল। কিন্তু তার জন্য এই পর্যায়ে এসে দিদিকে ব্যান করতে হচ্ছে, মানে ঐ দুইজন খুব ভয় পেয়েছে।
'৪০% মুসলমান এবং প্রায় ৫০% উদ্বাস্তু পরিবারের' - এটা সত্যিই দারুণ ডেমোগ্রাফি।
রাণা আলম নামে একজন লিখতেন আগে, তার স্কুল শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা আরও কিছু গল্প , মূলতঃ দরিদ্র মুসলিম পরিবার থাকা আসা ছাত্রছাত্রী
রানা-কে মিস করি
ধর্ম নিয়ে ভোট ভাগাভাগির জন্য দায়ী - বিজেপি (৭০%) আর টিএমসি (৩০%)
প্রতীচী ট্রাস্ট লাগবে না। ৯৭% মুসলমানের আওতাভুক্ত হওয়াটাই তাঁদের শ্রেণিচরিত্র প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট। এবং এটা আজ থেকে নয়।
এই শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয়টা কোন আমলে?
ঐ সব সংখ্যা দেখেছি। কিন্তু শেষে বিচারে চাকরীতে তাদের উপস্থিতি খুব একটা কিছু উল্লেখযোগ্য নয়। (আগের লিং এর সারণী)। আশা করি "৩৪ বছর" দিয়ে এর উত্তর দেওয়া হবে না।
সরকারি হিসেব সব সময়েই কোটি কোটিতে হয়। কিন্তু তাতে মাথাপিছু কত পায় মানুষ তা আমার জানা নেই।
আর OBC-নিয়ে পুরো গপ্পটাও এখানে থাকঃ
.....Buddhadeb Bhattacharya, ....had laboured ...to implement a key recommendation of Sachar, that of including Muslim groups in the OBC category. “It was a positive step for which the Muslims of Bengal will remember Buddhadeb,” says Abdus Sattar, former member of the Left Front cabinet, who has now shifted to the Congress.
.......Mamata ......was quick enough to turn it into law. She claims 90% of West Bengal Muslims are now counted as OBC. It has led to a small but visible rise of Muslim employment in government service — from 3.4%, as Sachar reported, to 5.73% now.
https://www.firstpost.com/politics/if-didi-goes-will-bengals-hindus-forgive-forget-6794431.html
কিন্তু........
"A study by economist Amartya Sen’s Pratichi Trust, conducted across Bengal as late as in 2016, showed that only 2.7% of the state’s literate Muslims held a graduate degree, and 80% of the Muslim households in rural West Bengal had monthly income of Rs 5,000 or less."
Bengal allocated 17.6% of its expenditure for education, higher than the average expenditure of 15.9% by 29 states.
** ক্রমশঃ ক্ষয় পেয়েছিল
** তারা হেরেছিল
The National Sample Survey (NSS) in 2007 found that about 11% of families in Bengal faced starvation during several months of the year, the highest among any state in India. Orissa was a distant second, with less than 5% of families in such dire straits.
Well, that was 2007, now Bengal is in a much better place when it comes to hunger index.
#তত্ত্বকথা
বামপন্থীদের শ্রেণীকে কেন্দ্র করে হেজিমনি ক্রমশঃ সয়্স পেয়েছিল বলেই তারা হয়েছিল। পুলিশ দিয়ে লোক পেটানো ছাড়াও এটা একটা বড় কারণ। অনেকদিন সেই হেজিমনির (সদর্থেই) ফলে সমাজের অনেক অংশের উন্নতি ঘটার পরে ঐ মতটি ক্রমশঃ জোর হারায়, সেটা দিয়ে সব কিছুই কন্ট্রোল করা যায় না। উন্নতি ফলেই aspiration তৈরী হয়, মতুয়াদের মধ্যে, ওবিসিদের মধ্যে, অন্য শ্রেণীর মধ্যে যেটা আসলে গণতন্ত্রীকরণেরই সুফল। এটাকে বলা যায় নীচের তলা থেমে চাপ, যে চাপটা সিপিএম শেষের দিকে বুঝতে করেছিল বলেই তারাও মতুয়াবাড়ী গেছিল।
একঈ রকমের ব্যাপার ঘটে মোদী ক্ষেত্রেও। এখানে সেখানে যেটা বলা হয় মন্ডল রাজনীতির ফলে একটা গোষ্ঠীর উন্নতি হয়, ওবিসি, দলিত, কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে ঐ রাজনীতি তাদের আকাঙ্খাকে আর পূর্ণ করতে পারেনি। মোদী এই গ্রুপকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল পরের পর্যায়ে যাওয়ার জন্য। ২০১৪ এ জেতার পেছনে এই গ্রুপের ভোট একটা বড় ফ্যক্টর ছিল যা ২০১৯-এও সরে আসেনি। বিজেপি, যা ছিল মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তদের দল, তারা ঐ ভোট পেয়েই অত বড়ভাবে ক্ষমতায় আসে। তার সাথে হিন্দুত্ব, মুসলমান পেটানো কারণ তো ছিলই।
এ রাজ্যেও আব্বাস সিদ্দিকি যদি সমর্থন তৈরী করতে পারে তার পেছনে মুসলমানদের কিছু উন্নতি কারণ হিসেবে থাকতে পারে, যদি তারা মনে করে মমতার আমলে তাদের আর উন্নতি পথ বন্ধ।
হ্যাঁ, বাম আমলের শেষ দিকে এরকম একটা পরিকল্পনা হয়েছিল কিন্তু পুরোপুরি ইমপ্লিমেন্ট করার আগেই সরকার পটল প্লাক করে। আর মাইনরিটি গ্র্যান্ট ছিল না। এসসি-এসটি ছিল।
এ কি মাইরি খ, আপনি কার আবাজে পাত্তা দিয়ে একটা অত্ত বড় নাম নিয়ে পোস্ট করছেন? আর কেনই বা করছেন?
চোত মাসে ঢাকের আওয়াজ চড়াম চড়াম বাজে তো! গাজন বলে একটা জিনিস বাংলায় আছে তো!
পিটি কি খবরটা না পড়েই লিং দিলেন? তা তো হওয়ার কথা নয়।
চ্যাংড়ামির কোন লিমিট নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ক্যাম্পেনে ব্যান করা মানা সম্ভব না। নির্বাচন কমিশন কি জমিদার নাকি। মমতার রাজনীতি কে সমর্থন করার কোন প্রশ্ন নেই কিন্তু তাই বলে ভারতবর্ষে সব প্রতিষ্ঠান বিজেপি কায়েম করবে সহ্য করা সম্ভব না। দেশের প্রতিষ্ঠান গুলিরস্বা ধীনতা পুনরুদ্ধার করতে নিয়মিত বামপন্থীদের হাত শক্ত করুন।
এদিকে ব্যাপক মজা হয়েছে। গত বছর সব তবলিগি তবলিগি করে খুব লাফিয়েছিল। এ বছর তাদের সামনে কুম্ভ মেলা বললেই টুক করে সরে পড়ছে :d
এলেবেলের ঢাক পেটানো সুরু হয়ে গেল!
তাও ভালো। সাচার কমিটির পরে আপনারা সংখ্যালঘুদের জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছেন দেখেও ভালো লাগে! এবং যথারীতি কৃতিত্বের দাবিদারও হতে চাইছেন!!
অরণ্য, আমার কর্মক্ষেত্রের ডেমোগ্রাফি দারুণ। ৪০% মুসলমান এবং প্রায় ৫০% উদ্বাস্তু পরিবারের। কাজেই আপনারা যখন এই তোষণ বা বিদ্বেষের কথা বলেন-টলেন, আমি কেবল মুচকি মুচকি হাসি।
During the 10 years of TMC government, there was significant budget increase for development and support of social welfare of women, children, minorities, scheduled tribes and scheduled caste population.
Budgetary allocation to minority affairs department has increased from Rs 472 crore in 2010 to over Rs 4,000 crore for 2020-21. The minorities in the state are made mostly of over 2.5 crore Muslims, 66,000 Christians and 64,000 Sikhs. Buddhists, Jains and Zoroastrians are small minorities.
Regarding the welfare of the people from the SC and ST communities, the budgetary allocation had doubled since 2010 to exceed Rs 2,000 crore in 2020.