'যারা ইমামভাতায় খেপে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে, তারা বিজেপিকে ভোট দিতই, সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।'
- তাদের ৬০% হয়ত বিজেপিকে ভোট দিতই, বাকিরা দিত না। এখন হয়ত ৮০% দেবে। ঐ বাড়তি ৩০%-টা রাণীমার অবদান ।
%-গুলো কাল্পনিক, কিন্তু যুক্তিটা না। রাণীমার কাজ হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বৃদ্ধিতে কিছুটা সাহায্য করেছে। এটা আমার মনে হয়, আমার মুসলিম বন্ধুদেরও মনে হয়
কিন্তু ওবিসি-এটা কোন আমলে অরণ্য? তার সুবিধা কারা পেয়েছেন? কত শতাংশ মুসলমান এখন ওবিসি-এ?
দিদি চাইছেন ৭% সমর্থন নিয়ে বামেরা বিজেপির সঙ্গে লড়ুক। আর তিনি নিশ্চিন্তে ক্ষমতায় বসে বিজেপির সঙ্গে চু কিত কিত খেলবেন। কখনও বিজেপিকে বাড়তে দেবেন, কখনও আবার নিজেকে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ হিসাবে দেখাবেন, কখনও দিল্লিতে বিজেপির পক্ষেই ভোট দেবেন, তারপরেই আবার রাজ্যে এসেই দুধেল গাইয়ের জন্য দুঃখে মহামিছিল করবেন।
দিদি জাস্ট অপরচুনিস্ট , এই আর কী ।
হুতো, বিজেপি - আরএসএস বঙ্গে নিজেদের ক্ষমতায় বেড়েছে, বা বহুদিন গোপনে বাড়ছিল, সেশ কিছু বছরে স্ট্র্যাজেকিকালি প্রকাশ্যে এসেছে - এগুলো সম্ভব।
তিনি কি নিজেও বুঝেছিলেন বিজেপিকে ডেকে আনছেন? ফিশফ্রাই-পার্টি অফিস খুলে দেওয়া কাণ্ড হয়েছে তো। ২৩৫ পাওয়া দল বিরোধী দলনেতার আসনটা পাবে না - এ কথা কি সিপিএমও ভাবতে পেরেছিল?
ইমাম ভাতায় হিন্দুরা ক্ষিপ্ত হয়নি, বিজেপি তাদের তাতিয়েছে আর সিপিএম ঘুমিয়েছে।
অরণ্যদা, যারা ইমামভাতায় খেপে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে, তারা বিজেপিকে ভোট দিতই, সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
হুতো, বিজেপি প্রধান প্রতিপক্ষ তো অবশ্যই, মমতা লেসার ইভিল বিজেপির তুলনায় - একশ বার।
বিরোধী ভোট ভাগ করাটা ভালো রাজনীতি। কিন্তু বিজেপিকে জায়্গা করে দেওয়াটা মোটেও না।
ওই কারণেই লিখেছি যার যেটা প্রেরোগেটিভ। ৩০% সংখ্যালঘু ভোট, তিনি তাঁদের 'দুধেল গাই' বলেন। মতুয়া ভোট তাই বড়মার শতবার্ষিকী। ডিএ বাদ তাই সাইকেল-খেলা-ক্লাব। এর প্রত্যেকটা তাঁকে ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
বড়েস যেটা বললে, ইমাম ভাতার কারনে হিন্দুরা খুব ক্ষেপেছিল - এটা ফ্যাক্ট। হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। ছোটবেলার মুসলিম বন্ধুদের সাথে আলোচনায় এটা অনেকবার এসেছে - মুসলিম ছেলেমেয়েদের প্রপার এডুকেশন, চাকরী কিছুই হল না, ফালতু হিন্দুরা ক্ষেপে গেল।
ভোটব্যংক ধরে ধরে টার্গেটেড অনুদান।
যার যেটা প্রেরোগেটিভ। বিরোধী ভোট ভাগ করা সিপিএমেরও কর্মসূচী ছিল। পরমাণু চুক্তির সময় সমর্থন প্রত্যাহারের জন্য কমরেডদের হাহুতাশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। দিব্যি ছিলাম কং-তিনোতে ভাগ বসিয়ে, খামোখা কী দরকার ছিল। সেই রাস্তায় তিনোরা। একই পথে বিজেপি।
aranya ২০:৫১ - ত্রিপুর, কেরালার কী করে ব্যাখ্যা দেবে?
এটা শুনলেই আবার পশ্চিমবঙ্গীয় সিপিআইএমের বানী শোনা যাবে, ত্রিপুরাতেও তৃনমূল বিজেপি হয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরার লোকজন সেটা বলেন না, কারন ত্রিপুরার তৃণমূল ক্যালেন্ডার মেপে একবছর ছিল। কং তৃণ বিজেপি-র জার্নিটা ঠিক এক বছর। দোর্দন্ডপ্রতাপ বাম সরকারের নাকের ডগায় ঠিক এক বছরে রানীমার প্রসাদবর্জিত গুটিকয় তৃণমূল ভাগীরথীর গঙ্গা আনার মত এমন বিজেপি আরেসেস আনলো যে বাকি সব ধুয়ে মুছে সাফ, এই ভয়ানক কষ্টকল্পনাটা ত্রিপুরার লোকজন করে না। মানিক সরকারও প্রতিটি বক্তৃতায় বিজেপিকেই প্রধান প্রতিপক্ষ বলে চিহ্নিত করেন যে কারনে।
তবে দুহাজার উনিশের ভোতে বিজেপি ভোট পাক সেটা কারা চেয়েছিল তা নিয়ে নানান কানাঘুষো আমরা সবাই জানি।
যখন তখন যেখানে খুশি ভাতা, অনুদান, চাকরি নিজের ইচ্ছে মত দিয়ে দিচ্ছে। কোনো প্রটোকল নেই, কিছু নেই।
@aka আপনি বলছেন মমতা এক প্রতিরোধ শক্তি। আজ যদি বিজেপি মমতার সাথে হাত মিলিয়ে নেয়, আর বলে আমরা ক্ষমতায় আসি, কিন্তু আপনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। আপনি গ্যারান্টি দিতে পারবেন মমতা সেই অফার একসেপ্ট করবে না ?
আজ মমতার ক্ষোভ কারণ তার একাধিপত্য ক্ষুণ্ন হচ্ছে।তার টাকা খাওয়া লোকজন বিত্রে করছে। আর কিছুই না।
ইমাম ভাতাটা বাজে আইডিয়া ছিল। ওতে মাইনরিটি কমিউনিটির কাজের কাজ কিছুই হয়্না। প্রয়োজনও ছিলোনা। কিন্তু ঐসবে হিন্দুরা খুব ক্ষেপেছিল। দিদির এই যেখানে সেখানে যখন তখন ভাতা ডিক্লেয়ার করার প্রবণতাটা কমানো উচিত।
দিদি সরকারি কর্মচারীদের ডিয়ের খরচ বাঁচিয়ে ক্লাব পিছু বছরে 2 লাখ টাকা দেবার পলিসিটা খুব ভালো ইমপ্লিমেন্ট করেছেন তো ---পারেন না কে বলল ?:)
দুটো নিরীহ প্রশ্ন ---
১. ওবিসি-এ আর ২০১১ থেকে মাইনরিটি গ্র্যান্টের পরিমাণটা কেউ জানেন?
২. যাঁদের বিবমিষার উদ্রেক হচ্ছে তাঁরা 'দজ্জাল ননদ' মিমটা দেখেছেন?
' মমতার মুসলিম তোষণ আর বিজেপির সাম্প্রদায়িকতাকে যারা একই সারিতে রাখেন সেই সব "ক্ষুব্ধ" হিন্দুদের ক্লোজেট সাম্প্রদায়িক ছাড়া কিছু বলতে পারি না।'
- একমত ।
তবে মমতার সো কলড মুসলিম তোষণ যে হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বিস্তারে সাহায্য করেছে, তা নেহাত সরল না হলে যে কেউ বুঝতে পারবে।
আর হ্যাঁ, মুসলিম-দের নিয়ে কোন আলোচনায়, মুসলিম বন্ধুদের ইনপুট আমার কছে মূল্যবান।
এটা ঠিক কথা।
আর একটা কাজও দিদি করেছেন - বিজেপি, আরএসএস - কে অবাধে বাড়তে দেওয়া, যাতে বিরোধী ভোট ভাগ হয় । ২০১৯-এ ভোটের ফল দেখে হয়ত বুঝেছেন, কী সর্বনাশ ডেকে এনেছেন
*অরণ্যদা
বিরক্তিতে দা-টা মিস হয়ে গিয়েছিল। সরি।
সুশি বোধায় খাবেন না, কাঁচা মাছ তো। অমিত শাহ সার তো শুদ্ধ শাকাহারী
ঐ যে বললাম অরণ্যর সারল্য দেখে মুগ্ধ হতে হয়। মমতার মুসলিম তোষণে মুসলিমদের আসলে কোনো উপকার হয় নি সেকথা জানার জন্যে মুসলিম বন্ধু টেনে আনতে হয় না। মমতার মুসলিম তোষণ আর বিজেপির সাম্প্রদায়িকতাকে যারা একই সারিতে রাখেন সেই সব "ক্ষুব্ধ" হিন্দুদের ক্লোজেট সাম্প্রদায়িক ছাড়া কিছু বলতে পারি না।
দিদিকে ব্যান করলো কেন? দিদি কি বলেছেন?
বিজেপি তো মনে হচ্ছে ধারে কাছেও আসবেনা।
** দুশো জিতব।
সুশি খাবো হয়ে গেছে। ঃ-)
কিন্তু অভ্যু অরণ্যকে 'দা' বলে না ?
দ্যাখেন, মনে রাখবেন প্রথম দফার ভোট হয়েছিল একটা শুক্রবার, শনিবার রাজ্য থেকে রিপোর্ট পেয়ে অমিতশা বুঝে গেছিল যতখানি ভালো হবে ভেবেছিল ততটা ভালো হবে না। অতএব রবিবার দিল্লীতে বাড়িতে সাংবাদিক ডেকে বলেছিল ৩০টায় ২৬টা জিতব।
জিতে গেছি প্রচারটা সেদিন থেকেই শুরু। তারপর থেকে তো একশো জিতেছি, সুশি জিতব এসব চলছে।
আর একটা কাজও দিদি করেছেন - বিজেপি, আরএসএস - কে অবাধে বাড়তে দেওয়া, যাতে বিরোধী ভোট ভাগ হয় । ২০১৯-এ ভোটের ফল দেখে হয়ত বুঝেছেন, কী সর্বনাশ ডেকে এনেছেন
"যে দুটো দল সাম্প্রদায়ীকতার চূড়ান্ত ব্যবহার করে নির্বাচনের পরিবেশ সম্পূর্ণ বিষিয়ে দিয়েছে তাদের একটাই শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় আসবে।"
প্রলাপ বকছেন কেন? সিপিএমকে তো ব্যান করেনি। উদ্বাহু হয়ে নাচুন।
মুসলিম দের মধ্যে মৌলবাদী অংশটিকে তুষ্ট রাখার যে প্রয়াস মমতা চালিয়ে গেছেন, তা মুসলিমদের সত্যিকার কোন উপকার করে নি, কিন্তু হিন্দুদের ক্ষুব্ধ করেছে , মুসলিম তোষণ হচ্ছে ভেবে তার কাউন্টারে হিন্দুরা বিজেপির কাছে ঘেঁষছে - এটা আমার মত নয়, আমার মুসলিম বন্ধুদের মত।