এনিওয়ে যারা জানতে একটুও উৎসাহী। স্পিশিসিজম সম্বন্ধে এইখান থেকে পড়ে নিন।
https://www.peta.org/about-peta/faq/what-is-speciesism/
" বিজেপি এলে আদৌ আর ভোট হবে কিনা ভেবে দেখেছেন? "
হবেনা হয়ত। সে ভয়ে কম্পিত নয় বীরের হৃদয়। পিটি বর্তমানে তিনো, একদা নব সুব্রতর তান্ডব দেখেছে। পিটি জরুরী অবস্থাও দেখেছে। যারা সমর্থন জুগিয়েছিল সেই জঞ্জালগুলো এখন বিজেমুলে। তাদের অনেকেই আবার বিজেপির সঙ্গে বসবাস করে আরো উন্নত ট্রেনিং নিয়ে রেখেছে।
কিন্তু ভোট না হওয়ার রিহার্সাল তো আমাদের দিয়ে দিয়েছে তিনোরা পুরসভার ভোটের সময়। ২০১১-র পর থেকে ভোট হয়েছে পব-কে বিরোধী শূন্য করার জন্য।
কোথায় ছিলেন দিদিমণি সেই সময়ে?
অ্যাটোজ কাউকে আজকে খুঁজছিলেন না?
ওককত্তা এদ্দিনে এসব মানে শিকেচে গো। এদ্দিন ছাগল মানে জানত না।
নাহ, শেয়াল সংক্রান্ত ব্যাপারটা বড়েস ঠিকই ভেবেছেন। :)
হাম্বাগ টিভি উস্কানি লাইন নিয়েছে। পুলিশ সুপারের সাক্ষাতকার আছে। হেডলাইনে মহিলাদের হাতা-খুন্তি নিয়ে তাড়া করার কথা আছে। মমতার জন্যই এই ঘটনা সেরকম হেডলাইন আছে।
সার্চ করে দেখে নিন।
মুসলমান বলেই সে বিজেপির ঝোল টানবে না, এরকম যে কথা নেই, শিক্সিত হাম্বাগরা সেসব বোঝে না। বা হয়ত বোঝে, কিন্তু দ্যাখ কেমন লাগে মোডে থাকে।
এনিওয়ে।
না না যুক্তি ফুক্তি নয় জাস্ট আমোদ পেয়েছি। এবার কেন আমোদ পেয়েছি সে ব্যাখ্যা কল্লে আপনি আরো খচে যাবেন। আপাতত তাজা দেশী পাবদার ঝোল আর কাঁচা আমের টক খেয়ে বেশ ভাল্লাগছে অতএব ওসবে যাচ্ছি না। :-)
বুঝলাম। অনেকদিন ধরেই ফলো করছো আমায় তাহলে। বেশ বেশ।
এলেবেলেবাবু আমাকে গালাগাল দেবেন, আর আমি চুপ করে থাকবো কারণ পিটিবাবু অসিপিএম ভোটারদের গাল দিয়েছিলেন যখন তখন কেন প্রতিবাদ করিনি। এইটাই যুক্তি? ওয়াহ। ইনফ্যাক্ট আমি গালাগাল দিতে বারণও করিনি। সেই অধিকার সবার আছে। অনুরোধ করেছি অন্যরকম গালাগাল ব্যবহার করতে।
বেশি ভাবতে হয় নাই। ফোঁপরদালালি ত কমদিন দেখচিনা। খামোকা পশুপ্রেমী হ্যাজ দেখেই টের পেইচি। খিক খিক।
হাম্বাগ টিভিটা মনে হয় শুভেন্দুর পোষা। শুভেন্দু নন্দীগ্রামের ভোটের আগে চ্যানেলটাকে নাচাত আর চ্যানেলটা 'শিক্সিত' হাম্বাগদের। তারাও জেনে বা না জেনে ভাজপার এজেন্ট হয়ে গেল।এখন মনে হয় চ্যানেলটার কাজ কম আছে।
কত্তা কি ভেবেছেন, সেই নিয়ে আপনি অনেক ভেবেছেন দেখছি।
কত্তা ভেবেচেন জয় গোঁসাই তিনোমুল। ইদিকে বইয়ের নাম সেই সব শেয়ালেরা। নিঘ্ঘাত ছিপিয়েমকে শেয়াল বলেচে। চাদ্দিকে মাইরি ডহরবাবুর ছড়াছড়ি।
বুলেটেরও এ পক্ষ - ও পক্ষ জুটে গেছে যথারীতি। দিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে গরুর রচনা চলছে চুটিয়ে। সবাই দেখছি ভিদ্যিয়াসাগর কলেজের ছাত্র।
হামবাগ টিভিতে কিচু দেকাচ্চে না? ভেদিও প্রকাশের দাবি কেউ করচে না? কোনও ফুরফুরে? কেন এই দৈন্যদশা?
গোসন্তান আমিই বলি গরুকে যারা মা বলে বা মা',কে যারা গরু বলে তাদের। ফেবু ট্যুইটারে হ্যাট হ্যাট হুশশ এসবও বলি।
তবে পিটি যখন গত কয়েকবছর ধরে অকাতরে অ-সিপিএম মানুষজনকে ছাগল বলে গেছে তাতে ডিসি ছাড়া আর কেউ খুব একটা প্রতিবাদ টাদ করে নি। এখন হঠাৎ বড় এসের জয় গোঁসাইয়ের লেখার শিরোনামেও সমস্যা হচ্ছে দেখে আমোদ পেলাম।
ওদিকে বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্ররা যারা সব ক্ষুদ্রচাষী ছিল তারা কাল শীতলকুচি থেকে ভোটের ডউটি করে ফিরছে।
Pi এর দেওয়া ভিডিওটি দেখলাম। এরা দুদিকের কথাই তুলে ধরেছে নিরপেক্ষ ভাবে।
কাল নিউজএইট্টিনের একটা ভিডিওতে দেখলাম ওখানকার জনৈক গ্রামবাসীকে যখন কেন্দ্রিয় বাহিনীর বয়ান জানানো হচ্ছে তিনি বলছেন মোবাইলগুলো তো ওরা নিয়ে নিল। ভিডিওগুলো দেখাক তাহলেই বোঝা যাবে।
আশে পাশের লোকেদের কথা শুনলেও বুঝতে পারবেন। লোকজন বেশ বেফাঁস মন্তব্য করে দেয়। দিদি এখনও বহিরাগত থিওরি নিয়ে বসে আছেন।
"বাংলার মানুষের ভেতরেই বিষ ঢুকে গেছে।"
এইটাই আসল কথা। ২০১৯এ তিনোরা ৪৫% ভোট পেয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২৫-৩০%ই ধরে নেওয়া যায় মাইনরিটি ভোট। তার মানে বিজেপি হিন্দু ভোট নিজেদের বাক্সে ফেলাতে পারছে। সেই ভোট সব দল থেকেই এসেছে। তিনো, কঙ্গ, বাম সব দল থেকেই হিন্দু ভোট (বাঙালী এবং অবাঙালী) ২০১৯এ বিভিন্ন মাত্রায় বিজেপিতে গেছে। কালকের লীক হওয়া ভিডিওতেও পিকে বোধয় ৫৫% না কি একটা সংখ্যা বললো।
তিনোদের ডিএনেতে বিজেপি বিরোধীতা নেই। আছে বাম বিরোধীতা। দিদি কঙ্গ ভেঙে নতুন দল তৈরীই করেছিলেন এই উদ্দেশ্যে। যাতে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে বাম বিরোধীতা করতে পারেন। সেইটাই করে এসেছেন চিরকাল। দিদি নিজেই বলেছিলেন যে বিজেপিকে সামনে রেখে লড়বেন। সেটাই করেছেন সফল ভাবে। বাবরি মসজিদ ভাঙার পরেও বাজপেয়ি মন্ত্রীসভায় ছিলেন। গুজরাত দাঙ্গার পরেও ছিলেন। রাজ্যে দায়িত্ব পেয়ে তিনি বিজেপিদের জন্য দ্বার খুলে দিলেন যাতে বিরোধী ভোট ভাগ হয় আর মাইনরিটি ভোট তার বাক্সে কনসলিডেট হয়। সেটা হল বটে। কিন্তু ২০১৯এ বিজেপি একগাদা সীট পেয়ে গেলো। এবং তখন দিদির মনে হল যে এইবারে বিজেপির বিরোধীতা করার প্রয়োজন। নইলে নিজের গদিই চলে যেতে পারে। তখন থেকেই তিনি বিজেপির বিরোধীতা করছেন। মাইনরিটি ভোট নিজের কাছে রাখার জন্য এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য।
বাংলার মানুষের ভেতরেই বিষ ঢুকে গেছে। abp আনন্দের ভিডিও টার কমেন্ট সেকশন টা একটু পড়ে দেখুন।
আচ্ছা, এটা কেউ দেখেছেন?
একেবারেই মুস্লিমদের ভোট আটকানো উদ্দেশ্য। কাল হাওড়ার কিছু মুদলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে যেখানে আগে কোন উপদ্রবের ইতিহাসও নেই, তাদের উপদ্রুত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে বাহিনি মোতায়েন করেছে, সকাল থেকে ঝুটঝামেলাও করেছে শুনলাম। ফলাফল পোলিং ১০-১৫ % কমে যাওয়া। এটাই তো উদ্দেশ্য।
এরপর দাঙ্গা শুরু হবে।
দিলীপ ঘোষ বলেই দিয়েছেন এরকম আরো হবে। গণতন্ত্র পুরো প্রহসন। যেসব সিপিএম এতে এত উল্লসিত, ২৬ এ ফেরার সুযোগ আসছে ভেবে, বিজেপি এলে আদৌ আর ভোট হবে কিনা ভেবে দেখেছেন?
*ওটা
"নামকরা লেখক লিখেছেন বলেই সেটাকে সমর্থন করতে পারছি না"
আরেওতাজীবানানন্দের একটাকাবিতার লাইন। শেয়ালদের গালাগালিও দেওয়াহয় নি কিছু :).
কিছু বলার নেই আর।