আমাদের একদম বাম পাড়ায় শুনলাম ছেলেপিলেরা (আমার থেকে একটু ছোটো) এখন বিজেপিতে ছাপ ফেলছে। ওদিকে বাবামায়েরা এখনও লালে দিচ্ছে। তবে সেরকম ছেলেপিলেই তো নেই প্রায়। অনেকেই বলে শহরটা রিটায়ারিদের শহর হয়ে গেছে। পাড়ার পিকনিকে ঐ এজগ্রুপের প্রায় কাউকেই আর দেখা যায় না। তবে অত বড় শহরে, এত পপুলেশান - তাই বোধয় পার্থক্যটা ঠিক চোখে পড়েনা হ্ঠাত করে। এই বছর সেন্সাস হওয়ার কথা তো। সেখানে এজ গ্রুপ দেখতে হবে।
তবে ঐ আরকি। আমাদের আগের জেনারেশান বামে ভোট দিতো। আমাদের জেনারেশনে তিনোতে ফেলার প্রবণতা বাড়তে থাকলো। এখন বিজেপিতে। সত্যিই পরিবত্তন।
সেইদিন একটা রিপোর্ট পড়ছিলাম। সেখানে লিখেছে যে বামেদের প্রচুর ভোট যেমন বিজেপিতে গেছে, তিনোদেরও গেছে (অপেক্ষাকৃত কম হলেও)। কিন্তু বাম আর কঙ্গ থেকে মাইনরিটি ভোট তিনোতে কনসলিডেট হয়ে সেটা মেকাপ হয়ে গেছে। এর উপরে এই পরিবর্তিত জেনারেশানের এফেক্ট আছে। নতুন ছেলেপিলেরা বাম দেখেওনি, জানেওনা, ভোট দেবে কি। এসবই ভবিতব্য।
জানতাম আকাদা গৌভ র ফ্যান :)
দীপ্সিতা বেশ ভাল বলল।
আশা করি এই নতুন মুখদের মধ্যে অন্তত কয়েকজনকে বিধান সভায় দেখা যাবে
এই নতুন মুখগুলো জিতলে খুশি হতাম।
সিপিএমের এই নতুন মুখদের ভালো লাগছে। দীপ্সিতা, মীণাক্ষী, শমিক ইত্যাদিদের। অবশ্য শতরূপ কে ভালো লাগে না। এই ইন্টারভিউটা শুনে নিন। স্বচ্ছ চিন্তা ভাবনা। বাজে বুকুনি নেই, বক্তব্যে সারবত্তা আছে।
এক্টা আলোচনা গুরুতে কখন শুরু হলে বেশ হয় - বাংলার ট্রেডের এই সুবর্ণযুগ কবে কিভাবে শুরু হল? ডিক্লাইন এন্ড ফল টা তো বহু আলোচিত, কিন্তু উত্থানের গল্পটা শুনতে মন্চায়। ট্রিগার কি ছিল? না কি বহু শতাব্দী ধরে এর স্ট্রাকচার তৈরি হয়েছে? ইত্যাদি প্রভৃতি
নো প্রবলেম।
এলেবেলে, আপনি অমিতকে পাঠান। আমি অমিতের থেকে নিয়ে নেবো।
অমিত, আমি ইমেইল পাঠাচ্ছি।
এখানে ইমেইল আইডি শেয়ার করবোনা।
আর যদি বই দুটোর সফট কপি একটু মেল্ করে দ্যান। আগাম থ্যাংকু রইলো।
আমার জিমেল আইডি : amtchd
বাপরে। এলেবেলেদা রাতে ঘুমোন না নাকি ? থ্যাংকু। এটা একটা ভালো ইনফো। তবে সব দেশে হয়তো রুপো দিয়ে হতোনা মনে হয়, জানিনা যদিও। মেনলি ওই বাংলার একা ৫-% গ্লোবাল বিসনেস ভলিউম এর বেসিস টাকে প্রশ্ন ছিল।
"দেশে মানি এক্সচেঞ্জ ই বা কিভাবে হতো নাকি শুধুই গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড তাও ১০০-% জানা নেই।"
রুপো দিয়ে। নবাবের টাঁকশালের সিক্কা। সেখানে বার্টার সিস্টেম ছিল। ইউরোপীয়রা রূপো আনলেও ওই বার্টারের কারণেই তার মূল্য আরও কমে যেত। এটা দেখত মূলত জগৎ শেঠ হাউস। তারপরে সিরাজের আমলে ব্রিটিশের টাঁকশাল তৈরি এবং পলাশির যুদ্ধের পরে দেশ থেকে রুপো আনা বন্ধ এবং মাছের তেলে মাছ ভাজা।
বড়েস কি আছেন? আমার মুখের কথায় বিশ্বাস করবেন কেন? আমি আপনাকে দুটো বই পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রথমটি বিখ্যাত ইতিহাসবিদ সুশীল চৌধুরীর From Prosperity to Decline এবং দ্বিতীয়টি প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমিয় বাগচীর Colonialism and Indian Economy. দুটো বইয়েরই সফট কপি আমার কাছে আছে। ইচ্ছুক হলে আমাকে মেল আইডি পাঠাতে পারেন। বই পৌঁছে যাবে যথাসময়ে।
প্রসঙ্গত এই ছিল ইউরোপীয়দের হাল --- A very significant feature of Bengal-Europe trade was that the Companies had to import into Bengal mostly precious metals for purchasing the export commodities. This was, of course, true about the Asian merchants too who exported goods from Bengal. Though the Companies also brought some other items, mainly broadcloth, their volume or value was extremely limited. The amount of treasure imported by the Companies can be gauged from the fact that the proportion of precious metals to the total value imported by the Dutch in the second half of the seventeenth and first two decades of the eighteenth century works out to be 87.5 per cent. The pattern was not very different in the case of the English Company. While the average proportion of treasure in the total English imports to the East Indies as a whole came to about 75 per cent, this proportion in Bengal varied between 90 to 94 per cent in the first two decades of the eighteenth century.
হ্যাঁ সেসবও ছিল। কিন্তু সেগুলো বোধয় তখন দুনিয়াতে সর্বত্রই ছিল। পরে বরন্চ ইয়োরোপে সেসব বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইমব্যালেন্স তৈরী হয়।
হ্যাঁ প্রোটেকশানিস্টরা সর্বত্রই আছে। ক্যাপিটালিস্ট দেশে মনে হয় আরো বেশি।
এইজন্যেই সেই কবি মনে হয় লিখেছিলেন এইরকম কিছু-
"কেবলি জাহাজ এসে আমাদের বন্দরের রোদে
দেখেছি ফসল নিয়ে উপনীত হয়;
সেই শস্য অগণন মানুষের শব;
শব থেকে উৎসারিত স্বর্ণের বিস্ময়
আমাদের পিতা বুদ্ধ কনফুশিয়াসের মতো আমাদেরও প্রাণ
মূক করে রাখে; তবু চারিদকে রক্তক্লান্ত কাজের আহ্বান।”
শুরুতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নাকি তাদের জাহাজ গুলো বাংলাতেই মেরামত করতো বা নতুন জাহাজ অর্ডার দিতো এতো স্কিলড লেবার পেতো বলে। সেটা নিয়ে ইংল্যান্ডে জাহাজ ইন্ডাস্ট্রির লেবার ইউনিয়ন গুলো খেপে ওঠে ওদের চাকরি যাচ্ছে বলে। তখন পার্লামেন্টে আইন পাস্ হয় যে নতুন জাহাজ ওখানেই বানাতে হবে।
সব জায়গায় একই বহিরাগতের গল্প। শুধু আগে আর পরে :)
সেগুলো যেত কোথা? বেশিরভাগই কি নিয়ে নিত মোগলরা? এই যে ভয়াবহ মন্বন্তর ইত্যাদির কথা শোনা যায়? এমনিতেও বাঘ, সাপ, ম্যালেরিয়া, মশা ইত্যাদি অনেককিছু?গ্রামের পর গ্রাম মহামারীতে উজার?
হ্যাঁ টেক্সটাইল, ফুড, প্রেসাশ মেটাল এগুলই তখন বড় ইন্ডাস্ট্রি। আর বেঙ্গলে তখন এইসবের খুবই রমরমা, আর সারা দুনিয়াতে বেঙ্গল প্রোডাক্টের নাম। তাছাড়া চট্টগ্রাম পোর্টে তো শুনেছি শিপবিল্ডিংও হত। কোলকাতা পোর্ট মনে হয় তখনও তৈরী হয়নি। মুর্শিদাবাদ অবধি জাহাজ যেত জানি, ইনল্যান্ড পোর্ট।
S, রিসেন্টলি শশী থারুর র ইনগ্লোরিয়াস এম্পায়ার এও একই জিনিস লেখা দেখলাম। ইনফো সোর্স দেননি। তবে মনে হয় কিছুভাবে হয়তো পাস্ট ৫০-১০০ বছরের গ্লোবাল বিসনেস ভলিউম আর এক্সপোর্ট ইত্যাদি হয়তো এক্সট্রাপোলেট করে করে ইকোনোমিস্ট রা হয়তো এরকম একটা ফিগার এ পৌচচ্ছেন। যদিও তার একুরেসি নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। তখন বহু জায়গাতেই হয়তো সেলফ সুসটেনড লোকাল ইকোনমি, বা বার্টার সিস্টেম চলতো। যেখানে গ্লোবাল ভলিউম এ তাদের কিভাবে কাউন্ট করতো বা এক্সট্রাপোলেশন করতো কেজানে। অন্য দেশে মানি এক্সচেঞ্জ ই বা কিভাবে হতো নাকি শুধুই গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড তাও ১০০-% জানা নেই। এইধরণের স্টাটিস্টিক্যাল মেথডস বা বেসিস গুলো আপনি ভালোই জানবেন।
ওভারঅল তখন সিল্ক কটন চাল , সোনার গয়না ইত্যাদি ম্যানুফ্যাকচারিং বা ট্রেডিং ইত্যাদির জন্যে মুর্শিদাবাদ বা পুরো বাংলাতেই তখন সিগ্নিফিক্যান্ট বিসনেস জেনারেট হতো। ওই বইটাতেই আছে তখন বড়ো জাহাজ বানানো বা মেরামতিতে প্রচুর স্কিলড লেবার ইনভল্ভড ছিল। এটাও আর একটা মেজর ইনডিকেটর।
মানে ৫-% ফিগার টা পুরোপুরি রেলিয়াবল নাহতে পারে। কিন্তু বাংলা একটা গ্লোবালি মেজর ট্রেডিং হাব হিসেবে উঠে এসেছিলো সেটা সত্যি।
একটা জায়্গায় দেখলাম লিখেছে যে বৃটিশদের আসার আগে মুর্শিদাবাদ এবং তার আসে পাশের এলাকা থেকে নাকি সারা পৃথিবীর অর্থনীতির ৫% আসতো। এটা কি আদৌ সত্যি, বা সত্যির কাছাকাছি? কারণ এই ধরনের বক্তব্য পৃথিবীর বিভিন্ন জায়্গায় বিভিন্ন সময়ের ক্ষেত্রেই রয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ।
এলেবেলে,
ওপরে মেনু থেকে টইপত্তর লিংকে ক্লিক করুন, ঐ পাতায় একটা 'নতুন আলোচনা' বাটন আছে। ওখান থেকে নতুন টই শুরু করতে পারবেন, মানে পারা উচিত।
ছি ছি, বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক অবধি।
আজ্ঞে না। বহুদিন আগে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়েছিলাম। ইতিহাসের দৌড় আমার ওই মাধ্যমিক পর্যন্ত। বাংলাও তাই।
এলসিএম ও হুতো, একটা টেকনিক্যাল সাহায্য চাই। একটা টই খুলতে চাই যেটা ব্লগ থেকে খুলব না। আগে ছিল 'আলোচনা শুরু করুন'। এখন হাপিস। এমতাবস্থায় কী করিতে হইবে?
এলেবেলেবাবু কি ইতিহাসের লোক? তাহলে একটা প্রশ্ন করতাম।
Shake Your Booty
তাই তো মহামতি এলেবেলে বলেছেন আমরা চাষ করি আনন্দে!
এই সিস্টেমে অভ্যস্ত না করাবার জন্যই সকল মহাপুরুষ বলে গেছেন - Move Your Ass
তাই তো মহামতি এলেবেলে বলেছেন - এমন সিস্টেমে মানুষকে অভ্যস্ত করান যাবে না, এগ্রিকালচারাল সিস্টেম চলবে আগে।
Move Your Ass
একমত। ছা্গল ও মুরগী বেড়েচে তো বটেই।
দু, ভিডিওটা দেখলাম। অনেক শুভেচ্ছা, ভালবাসা এই মেয়েটার জন্য।
অন্য দুই 'হেভিওয়েট' জালি প্রার্থীর চেয়ে বহুগুণে ভাল, মীনাক্ষি। শ্রেষ্ঠ প্রার্থী হয়েও হয়ত জিতবে না, কিন্তু প্রচুর ভোট যেন পায়