সেই গা জোয়ারি ফালতু তক্ক on non issues।
বাংলা লেখা নিয়ে যে "সাফল্য" এসেছে সেগুলো, ইলেক্ট্রিক বিল, পাশবই, HDFC-র ফোর্ম, LIC-র কাগজপত্র ইত্যাদি প্রভৃতি হাতে নিলেই বোঝা যায়। এমনকি ভোটার কার্ডে ব্যবহৃত বাংলা বাঁধিয়ে রাখার মত। ওঃ, একবার জমি কেনার দলিল বাংলায় লিখিয়ে নিয়ে সেটা বোঝার চেষ্টা করবেন। দারুণ বাংলা সেটা।
IISER এর (পরপর দুবারের বোধহয়) অধিকর্তা NCL -এর অধিকর্তা ছিলেন এবং দিল্লীর সঙ্গে তার সম্পর্ক অতিমধুর। এসব ফালতু non issues কে কিভাবে ধামাচাপা দিতে হয় সে ব্যাপারে তিনি অতি দক্ষ। এ নিয়ে এর চাইতে বেশী কিছু আর লিখলাম না।
"অসংখ্য আদিবাসী ও না-শিক্ষিত মানুষের ব্যাংকে গেলে কীধরণের সমস্যা হয়,এটা আমার জানা নেই এরকম ফাইনাল স্টেটমেন্টও আপনি না দিলেই ভাল হয়। "
আপনি জানেন না সেকথা আমি লিখিনি। আমি জানি সেটা লিখেছি। কেননা ঐরকম একটি ব্যাংকে আমাকে যেতে হয় সব কাজের জন্য।
*জানতাম না
এলেবেলে সত্যি এটা জানলাম না। ঠিকই বলেছেন, এটা অত্যন্ত আপত্তিকর।
টু রনিস টাও দেখতে পারেন, মাস্টারমাইন্ড সিরিজের প্যারোডি। ওটাই দেখছিলাম, ভুল করে কপি করে দিয়েছি।
আচ্ছা, গুরুর যাঁরা এখনও 'স্যাটার কাঠ ভাঙা'-র অর্থ জানেন না তাঁদেরকে জানাই এর মানে অক্ষতযোনি নারীর সম্ভ্রম নষ্ট করা। সোজা বাংলায় ধর্ষণ। আশা করি, কোনটাকে স্যাটা বা স্যাটা ভাঙা বলা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছেন। এবারে কারা ব্যবহার করবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার।
বাংলাদেশের কিনা খেয়াল করিনি, কিন্তু প্রচুর লাইক মন্তব্য ওয়ালা নানাবিধ ভিডিওর কোয়ালিটি কিছু স্যাম্পল করে খুবই আতঙ্কে থাকি।
শুধু বাংলাদেশ থেকে আপলোড করাই বা কেন? ২০১৬তে আপলোড করা প্রথম গানটার ভিউ ১৩৫ হাজার, পরের গানটা ২০১৪তে তোলা, ভিউ শুধু ১৩৫-ও নয়, চুয়ান্ন। এই তো অবস্থা।
ওহ আপনারা রবীন্দ্রসঙ্গীতে লাইকের সংখ্যা দেখতে চান নাকি? তাহলে এটা দেখুন, মোটে ১৩৫ টা লাইকঃ
গ্রামগঞ্জ থেকে আসা নিরক্ষর লোকেরা কি গত বারো বছরে জন্মেছে? ওহো না তাহলে ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারার কতা না। তবে তারা নিশ্চয় পঞ্চাশ ষাটে জন্মিয়েছে। তাই নিরক্ষর থেকে গেছে তাই না? ৭৭-২০১০ তো পশ্চিমবঙ্গে স্বর্ণযুগ সেযুগে কেউ নিরক্ষর থাকতেই পারে না।
পাই, বাংলাদেশ থেকে আপলোড করা অখাইদ্যতম রবীন্দ্রসঙ্গীতের জেনের্যাল ভিউ আর লাইক দেখেছ ইউটিউবে? জাস্ট আনবিলিভেবল। আজকাল গান সার্চ করে ঠিকমত পাওয়া কঠিন হয়ে যায় এই সব লাইকের কল্যাণে।
হ্যাঁ ঐ সবই হোক।
তার সঙ্গে এটাও হোক।
চৌরঙ্গীতে স্যাটা ছিল তো। নরেন্দ্রপুরে প্রিন্সিপাল মহারাজ (পরে সেক্রেটারী হয়েছিলেন) সত্যদাকেও আড়ালে স্যাটা বলা হত। কথাটার কোনো খারাপ মানে হয় জানতাম না।
এদিকে বাংলা সিরিয়াল সিনেমায় দেখি কোটি কোটি ভিউ আর লাইক ! ইউটিউব হোক কি ফেসবুক ভিডিও।
দেখাই তো যাচ্ছে জানেন না ! আর এটা মটেই শুধু বাংলা পক্ষ করেনি। আর এটাও দেখা যাচ্ছে আপনি জানেন না,যে এই বিবিধ ফর্ম ,নানাবিধ জায়গায় বাংলায় লেখা নিয়ে আন্দোলনও ভাল পরিমাণেই চলছে আর বহুক্ষেত্রেই সাফল্য এসেছে।
বাংলাপক্ষ নিয়ে আমার বহুবিধ সমস্যা, গর্গর সঙ্গে বিবিধ তর্কাতর্কির ( বইমেলাতে তার সাক্ষী অনেকেই আছেন) পরেও এই কথাগুলো বলব। আর এগুলো নিয়ে ,আবারো, একমাত্র বাংলা পক্ষই কাজ করছে এমনটা নয়।
নিটের মত পরীক্ষায় বাংলা রাখার আন্দোলন তো খুবই প্রয়োজনীয় মনে করি। তৃণমূল দলটি এসবে কোন আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানা নেই। মূলধারার দলগুলিরই মাথাব্যথা নেই।এখন একটু একটু করে এলে ভালই হয়।
তবে,অসংখ্য আদিবাসী ও না-শিক্ষিত মানুষের ব্যাংকে গেলে কীধরণের সমস্যা হয়,এটা আমার জানা নেই , এরকম ফাইনাল স্টেটমেন্টও আপনি না দিলেই ভাল হয়।
ইংরাজির জন্য এমনকি যথেষ্ট উচ্চ শিক্ষিত মানুষের উচ্চতর শিক্ষাতেও কত সমস্যা হয় সেও প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ থেকে আসা অতি মেধাবী ও ইংরাজিতে অতি অপোক্ত সহপাঠীদের দেখে জানা আছে। আপনি ধরে নিলেনই কেন,হিন্দির আধিপত্য নিয়ে সমস্যা আছে বলে ইংরাজির নিয়ে নেই ?
বাংলা বাঁচাতে হলে ইনসেনটিভ লাগবে, ভালো সিনেমা আর আর ভালো লেখা লাগবে, তার বদলে আছে কপি পেস্ট সিনেমা আর আঁতেল মার্কা গাঘষাঘষির বই। আর আছে আঁতেলতর কবিতা। কেউ পোঁছেনা। নতুন কর্মসংস্থান চাই। তারবদলে গরিব বিহারীদের চমকিয়ে কিস্যু হবেনা। মোদিও কোনও হিন্দি ভাষার প্রোডাক্ট নয়।
আমি পঁচানব্বই সালে একটা কেন্দ্রীয় সরকারের কোং ইআইএল এ কাজ করতাম। তখনও হিন্দি পাখোয়ারা হত। মাঝে মাঝে হিন্দিতে সই করতে বলত, কেউই করতনা।
মুকুল বা শুভেন্দুকে expose করার ক্ষমতা দিদির আছে নাকি? এইদুটো সবচাইতে ন্যক্কারজনক বদামি তো তিনোতে থাকাকালীন করেছে। একজন তাকার জোগান দিয়েছে আর অন্যজন গোটা মেদিনীপুরে কসাইদের দেখভাল করেছে। কেউই কারোর বদামি নিয়ে কথা বলবে না। শুধু পরস্পরকে গালাগাল করবে।
বদ তো তাদের বজ্জাতি গুলো নিয়ে প্রচার করলে তো বেটার কাজ দেয়, তা না করে এরাও মন্দিরে ঘুরছে। অন্যদিকে শুনলাম tmc র সংসদীয় কমিটিও nrc caa তে আমাদের কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে।
পাই দিদিমণিঃ
মাসের প্রথম সপ্তাহে অসংখ্য আদিবাসী ও না-শিক্ষিত মানুষ ব্যাংকে টাকা তোলার ফর্ম হাতে দাঁড়িয়ে থাকে যদি কেউ তাদের উপকার করে। সেই ফর্ম থেকে হিন্দি মুছে দিলেও তাদের কোন উপকার হবে না। কেননা তখন শুধুই ইংরিজি থাকবে ফর্মে। এমনকি পাশবই, যেখানে হিন্দি নেই, সেটাও তারা পড়তে পারে না কেননা সংখ্যাগুলো ইংরিজিতে লেখা থাকে।
ব্যাংক কর্মচারী, হাসপাতালের অবাঙালী নার্স ইত্যাদিদের জন্য বাংলা বলা বাধ্যতামূলক করার জন্য আন্দোলন করা হোক। আর সকাল থেকে রাত্তির পর্যন্ত যে সব FM চ্যানেল সিংহভাগ সময়ে হিন্দি গান চালায় আর খিঁচুড়ি বাংলায় কথা বলে সেগুলো বন্ধ করার বা বদলানোর জন্য আন্দোলন হোক। সারা পব-তে দোকানের সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করা হোক। তাহলে বাংলা বাঁচবে হয়্ত।
অন্যে কে কি জানে বা জানে না সেসব সম্পর্কে কোন ফাইনাল স্টেটমেন্ট নাই বা দিলেন। বাংলা পক্ষ প্রায়শঃই তিনোর হয়ে ছোটখাট অপকম্ম করে থাকে। ভোটের বাজারে তারাও একটু গা ঘামাল এই আরকি।
দিদি তো আবার জায়গায় জায়গায় গিয়ে বলছে, দেখো এরা তো আমার পা ভেঙে দিয়েছে, তবু আমায় দমাতে পারেনি, তোমরা এর বিহিত করবে।
আমি যদ্দুর জানি পা ভাঙার পর যখন নি. ক. tmc এর থেকে লিখিত অভিযোগ চাইল সেদিন তো দুর্ঘটনা হিসেবেই জমা দিয়েছিল। কেউ বা কারা আক্রমণ করেছে বলে তো লেখেনি। তাহলে এরম ভাবে লোক খ্যাপনোর মানে কি ? অন্যান্য প্রার্ত্থ্ই রাও নানা দিকে বলছে আমাদের দিদির পা ভেঙে দিয়েছে এরা এমন বদ।
না অন্য একটা এরকম হিন্দি চাপানো নির্দেশিকা নিয়েই । তাতেও পিছু হটে। যদ্দুর মনে পড়ে ২০১৯ কি ২০ র বইমেলা নাগাদ
বিজেপি, কঙ্গ, সিপিএম সব দিল্লির দল, তাই তিনোদের ভোট দিতে হবে, বা বিহারীরা সব রাজ্য দখল করে ফেললে গো বলে তিনোরা যেভাবে ভোট চাইছে সেটা মোটেই সমর্থন যোগ্য নয়। কিছু কাজকর্ম তো করেছে, সেগুলোর কথা বলছে না কেন? অন্যদিকে নন্দিগ্রামে গিয়ে নাকি দিদি কতগুলো মন্দিরে গেছিলেন শুনলাম। বিজেপির হাতে খেলছে পুরো দলটা। প্রশান্ত কিশোর কি করছে।
কল্যাণী আইজার মানে পার্থদা ?
পিটিবাবুর এটাও জানা নেই এধরণের ইস্যু নিয়ে এক দুই বছর আগেও ,মানে ভোটের অনেক আগেই ভালমতন নাড়াঘাঁটা হয়েছে। কল্যাণী আইজারের কেস একটি উদাঃ ।
তৃণমূল যদি সবচেয়ে নিকৃষ্ট কোনো লিডার তৈরী করে থাকে তবে সে হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী। ধম্মের কল যদি কখনো বাতাসে নড়ে তবে এই নিকৃষ্ট মালটির কপালে স্যাটা ভাঙা ক্যাল লেখা আছে।
ভোটের ফলাফল বেরোলে এই ইস্যুটা আপনিই হারিয়ে যাবে। ভোটের বাজার বলে একটু ঘাঁটা হচ্ছে।
কদিন পরে সাবসাইড করবে বলে আজই চুপ করে থাকতে হবে, এর কোন মানে নেই। গর্গ বা বাংলাপক্ষের এসব জানা ছিল না তাও নিশ্চয় না। চোখে পড়ার জন্যেই করা।
কিন্তু দুটো মানুষ জানলে, এটা নিয়ে দু'দিন কথা হলে তাও হোক। এইটুকুও হোক অন্তত।
"যারা মানছে না, খুব ভালো করছে।"
চিন্তা কইরেন না। কয়েকদিন বাদে সাবসাইড করে যাবে। নাহলে অধিকর্তার চাকরী যাবে।
যে কথাটা এখানে বোধহয় কেউই জানেনা যে সাম্প্রতিক কালে অধিকর্তার অফিস ও অন্যান্য আলোচনাচক্রে ইংরিজিতে বাক্যালাপ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সেটা অন্দরমহলে মন্থন সৃষ্টি করে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।
এলেবেলের পোস্টের প্রেক্ষিতে, আজ অবধি স্যাটাস্যাট কথাটাই খালি শুনেছি। অন্য কোন মানে জানতাম না।