*বাংলাপক্ষ
ইয়ে এই বাংলাপ কি নতুন কোন দল? গর্গের নামও আগে শুনিনি, কারুর ডাকনাম বা সংক্ষেপে নাম? প্রচুর পিছিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারছি।
না বলে আর পারলাম না। টি আয় এফ আর ও তো সর্বভারতীয় প্রতিষ্ঠানই ছিল ,যদিও ৮০% তখন বাঙ্গালিই ছিল ,ফ্যাকাল্টি ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে। আনঅফিশিয়ালি ওটা বাঙ্গালিদের প্রতিষ্ঠান বলেই চালু রসিকতা থাকলেও কার্যক্ষেত্রে সর্বভারতীয় কেন,আন্তর্জাতিক হয়ে উঠতেও তো খুব সমস্যা কিছু হয়নি। তার জন্য সেসময় তাকে হিন্দি নিয়ে উদবাহু বা সর্বক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকও করতে হয়নি ! সরকারিভাবে হিন্দি দিবস একটা হত ,সঃে লোকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মত পালন করে রাখত। কিন্তু বিভিন্ন ভাষাভাষী শিল্পীদের এনে অনুষ্ঠান সিনেমা নানারকম আঞ্চলিক পালাপার্বণে পালন এই সবই এত বেশি করে চলত যে হিন্দির আধিপত্য ডালপালা সেভাবে মেলতেই পারেনি ! অফিশিয়াল কাজকর্মের বেশিরভাগ লোকজন মারাঠি ছিলেন,নিজেদের মধ্যে পুরোই মারাঠি বলতেন , মারাঠিয়ানা বেশ ভালমতন মেন্টেন করতেন ,কাজ চলার মত মারাঠি বলতে না পারুক অনেকেই টুকটাক বুঝে যেত।
আর হ্যাঁ,বেশিরভাগ বাঙালি ফ্যাকাল্টিরাও দারুণরকম বাঙ্গালিয়ানা নিয়ে আর সেটা রীতিমতন ফ্লণ্ট করেই থাকতেন । বরং সত্যি বলতে গেলে বাংলার একরকম আধিপত্যই এসে গেছিল। সে তেমন ভাল কথা না হলেও। এ কথাও চালু ছিল ওখানে পড়তে গেলে বাংলাটা শিখতেই হবে ,কারণ সংখ্যাগুরু বাঙালি আর তারা সর্বক্ষণ বাংলায় ক্যালোরব্যালোর কিচিরমিচির কচকচিয়ে চলেছে , সঃে ল্যাব বা আপিস হোক কি সমুদ্রপাড়, ওয়েসট বা ইস্ট ক্যান্টিন হোক কি রাজনের ক্যান্টিন , আড্ডার ঠেক হোক কি বিজ্ঞান। অন্য প্রদেশের লোকজন শুধু না,ওখানে পড়তে আসা গাদা গাদা বিদেশিরাও টুকটাক বাংলা শব্দ শিখে যেত।
খালি ইস্ট ক্যান্টিনের ইস্টত্ব কেবলি মারাঠি রান্নার রসুনসম্ভারে ডুবে রইল,এই যা দুঃখের ছিল।
ডিঃ এখনকার কথা জানিনা। আর তখন সব কিছুই একেবারে আদর্শ গোত্রের ছিল ,এমন কোন দাবিদাওয়াও নাই।
ওই একই সার্কুলার আইএসআই তেও এসেছে। বাংলাপক্ষের গর্গ আইএসআইতে পড়ায় না?
আমার জ্ঞানমতে 'স্যাটা' একটি অত্যন্ত যৌনগন্ধী এবং রিগ্রেসিভ স্ল্যাং। এখানে কোনও একজন এটা ঘন ঘন ব্যবহার করছেন এবং বাকিরা রা কাড়ছেন না। পুরোটা হল 'স্যাটা (বা স্যাঁটা)-র কাঠ ভেঙে দেওয়া'।
এইটে মাইরি পিটিচরিত্রের ক্লাসিক ব্যভার। অন্যে কী করবে আর কী করবে না সেটা উনি বলে দেবে নিজেদের করার সম্ভাবনামাত্রেই আহা ওসব সাধারণ ব্যপার ও নিয়ে ঝাম কোরো নি। মনে মনে ভাবে উফফ এইসব নিয়ে লড়তে গেলে কোতায় কি ফসকে যায়। তবে হ্যা নিজের কেরিয়ারের সাথে সম্পক্কহীন জিনিষপত্রে অন্যেরা কেন লড়ছে না তা বলে নেট ফাটিয়ে দোব।
স্যাটের আগের অংশ।
বাঙালী প্রতিষ্ঠান কেন হবে। সর্বভারতীয় অবশ্যই।
তার জন্যে ৩৩% হিন্দি এইসব হলে ঝামেলা হবেই। সর্বভারতীয় মানেই হিন্দি নাকি। আপনারা বছরের পর বছর ওইরকম চিঠি মেনে নিয়েছেন (নিজেই বললেন, সব সময় আসে, সাধারন ব্যাপার), কী করা যাবে। যারা মানছে না, খুব ভালো করছে।
ইয়ে স্যাটা কেয়া হ্যায় ভাই?
আগে লিখেছি কোন একটা করণে একটা নন- ইস্যুকে অহেতুক ইস্যু বানানো হয়েছে। IACS এর অন্দরমহলের সমস্যাও হতে পারে।
ধুত, এসব আই, সি, এ, এস, সি, বি এলে যেড এইসব লেটার ফেটার বুঝি না। যেকোনো জায়গায় হিন্দি চাপাতে এলে পাতি ধরে ক্যাল দিতে হবে। পয়শাকড়ি দেয় না আবার ভারতীয় ফারতীয় কী। ওসব শচিনের অবসর নেওয়ার সঙ্গে চুকে বুকে গ্যাচে।
অইখানে যেতে মঞ্চায়
@r2h
ভারতের একমাত্র নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর গবেষণাকেন্দ্র হওয়া সত্বেও IACS একটি "বাঙালী" প্রতিষ্ঠান হয়ে রয়ে গেল। অন্যদিকে ব্যঙ্গালোরের IISc কিন্তু একটি "ভারতীয়" গবেষণাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই ঘটনাটা আরো একবার সেটা প্রতিষ্ঠা করল।
আমি নিশ্চিত যে হিন্দি ব্যবহারের কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা IISc-তেও এসেছিল আর IISc সেটাকে কার্যকরী করায় এই দ্বিতীয় নির্দেশিকাটি আসেনি (বোধহয়)। বা এলেও সেটা নিয়ে কেউ হল্লা মাচায়নি। IACS-এর বর্তমান অধিকর্তা IISc-র প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী এবং সেখান থেকে ছুটি নিয়ে এখানে আছেন। এইসব নিয়মকানুন তিনি ভালই জানেন।
বাংলা ভাষাকে বাঁচানোর অন্য অনেক আরো কার্যকর রাস্তা আছে। অনেক FM রেডিওর চ্যানেলের সঞ্চালকদের খিঁচুড়ি বাংলা বা বিকৃত উচ্চারণের বাংলা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। ব্যাঙ্কের কাজের ফর্ম ইত্যাদি বাংলায় ছপানোর দাবী তোলা যেতে পারে.......ইত্যাদি......ইত্যাদি......!
বাংলা পক্ষ হাজির হয়েছে বেশ করেছে। স্যাটা ভেঙে দিক। হিন্দি ইয়ে মুর্দাবাদ।
এই দেখুন ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ
বাংলাপক্ষ হাজির হয়েছে ভালোই তো হয়েছে।
ওখানে যাঁরা চাকরি বাকরি করেন তাঁরা তো আর হৈ হল্লা করে প্রতিবাদ করবেন না, সেটা সম্ভবও নয়। কেউ তো করুক। ভূমিপুত্র সংরক্ষণ ঐসব দাবী সমর্থন করি না, কিন্তু এটা করছে, খুবই ভালো করছে।
collegestreet.net
কুমুদির বই কোথায় পাওয়া যাচ্ছে? কালেযাস্টিতে নেই তো .
বাংলা পক্ষকে কখনই বিজ্ঞানচর্চার অভিযোগে অভিযুক্ত করা যাবে না।
ওরা কী সায়েন্স কাল্টিভেট করতে আসেনি? আপনার আপত্তিটা ঠিক কোথায়?
মায়ের দেয়া ডিমের কুপন মাথায় তুলেনে রে ভাই....
কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের সামনে "বাংলা পক্ষ" হাজির!!
দ্যাখেন, আমার মেজদাদু, নামকরা কৃপণ। ওনারা বাড়িতে তিনজন লোক ছিলেন, কিন্তু ডিম আসতো দুটো (সবাই আধখানা করে খাবে )। বাকি হাফটার জন্যে পাড়ার কাউকে নেমন্তন্ন করে ডেকে আনা হত।
মেজঠাকুমা একবার কি একটা ব্রত করবেন, সারাদিন উপোস, তারপরে ফল ডাবের জল, মিষ্টি এসব খাওয়া। তা এ বাবদ অনেক গচ্চা গেছে, মেজদাদুর প্রাণে বহুত লেগেছে, কিন্তু ধর্মকর্মের ব্যপার, কিছু বলতেও পারছেন না, ভেতরে ভেতরে ফুলছেন। বিকেলবেলায় খাবার আগে বসে বসে মেজঠাকুমা ফল কুটতে কুটতে মনের ফুর্তিতে নিজে নিজেই বলছেন, "শসা আর কলা খাও/ খাও পাকা আম / আনারস ডাব আতা/ আর কালোজাম "। মেজদাদু কোথায় বেরোচ্ছিলেন , বাইরের দরজা থেকে ফিরে এসে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বললেন " কচি কচি গাল ভরা খিল খিল হাসি / আমি বড়ই ভালোবাসি "।
আমাদের বৌবাজারে কোনো কুপন লাগছে না। তবে দেরী করে গেলে ডিমটি ফুরিয়ে যাচ্ছে, আরো দেরীতে গেলে তরকারীটা।
ডিমটা হাফ করলে হয়ত আরো বেশী সংখ্যক লোককে ডিম্বসীমার আওতায় আনা যেত। আরো বেশী মানুষকে ডিমের স্বাদ গ্রহন করার সুযোগ করে দেওয়া প্রতিটি দায়িত্বশীল সরকারের প্রাথমিক কর্তব্য।
:d
সম্বর ভাত খাওয়ার জন্যই তো পয়সা দেওয়া উচিত।
চেন্নাইতে কোন কুপনই লাগে না। পয়সা দাও আর সম্বর ভাত খাও।
কুপন কেটে ডিম্ভাত খেতে হলে তো অর্দ্ধেক মজাই নষ্ট!
বেসিক্যালি পুরসভা হয়ে গ্যালো।
দিল্লির নির্বাচিত সরকারের কাজকর্ম আরো সঙ্কুচিত হল বোধ হয় ।
আচ্ছা ডিমের কথায় মনে পড়ল, চন্দননগর এলাকায় নাকি পাঁচ টাকার ডিম্ভাতে হাফ-্ডিম দিচ্ছে।
যাই হোক, খোঁজ নিলাম যে হাতিবাগান এলাকায় কীভাবে ডিম্ভাত পাওয়া যাবে, পাঁচ টাকার কয়েন নিয়ে যথাসময়ে লাইনে দাঁড়ালে পাওয়া যাবে কিনা। বলল ওভাবে না, তিনোমুল অফিস থেকে কুপন নিয়ে আসতে হবে, বা, লোকাল ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছ থেকে কুপন আনতে হবে।
চেন্নইতে আম্মার কিচেন কিন্তু এরকম না, এআইডিএমকের কুপন লাগে না।