aranya | 2601:84:4600:5410:2188:f354:a69c:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৫469006'যার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে অন্তত মনে করা হয়, পরিবেশগত অজৈব আর্সেনিক দূষণের একমাত্র উৎস শ্যালো টিউবওয়েল (<১০০ মিটারের কম বা ততোধিক অগভীর) খনন করে মে জল পাওয়া যায়, সেই জলে ভাত রান্না বা সেই জল নিয়মিত পান করা, বা কৃষিকাজে ব্যবহার করা। ' - এটাই জানতাম, মূল কারণ হিসাবে
aranya | 2601:84:4600:5410:2188:f354:a69c:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১২469005বড়েস, তুমি বোধহয় লাইভ দেখছ - কাল শুভমান কেমন ব্যাট করল, পড়ন্ত আলোয় অজি পেস ব্যাটারির সামনে ?
aranya | 2601:84:4600:5410:2188:f354:a69c:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১১469004এলেবেলে, বিদ্যাসাগর-এর বিনির্মাণ অতি উত্তম। অজানা কিছু তথ্য জেনেছি। বই হয়ে বেরোবে শুনে ভাল লাগছে।
অরিন | 161.65.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৫৮469003৭/ন
১৯৮৩ সাল নাগাদ অধ্যাপক ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহা কলকাতায় উত্তর চব্বিশ পরগণা থেকে আগত রোগীদের শরীরে আর্সেনিকের চর্মরোগের লক্ষণ প্রথম রিপোর্ট করেন। যাধবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপঙ্কর চক্রবর্তী পরিমাপ করে দেখান যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভূগর্ভে অজৈব আর্সেনিক বহুমাত্রায় রয়েছে। ১৯৯০ সালে দেবেন্দ্রনাথ গুহ মজুমদার এবং UC Berkeleyর এপিডেমিওলজি অধ্যাপক অ্যালান স্মিথ সমীক্ষা শুরু করেন। একই সময়ে বাংলাদেশে রাজশাহীতে মাহমুদুর রহমান এবং অন্যান্যরা আর্সেনিক এবং সংক্রান্ত অসুখ মাপার কাজ আরম্ভ করেন। ২০০০ সাল নাগাদ বোঝা যায় যে ভারত বাংলাদেশ মিলিয়ে প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষের আর্সেনিক জনিত অসুখ রয়েছে। ২০০০ এ WHO রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করে আর্সেনিকের নিম্নতম লেভেল ঘোষণা করেন, ১০ মাইক্রোগ্রাম / লিটার। ভারতীয় উপমহাদেশের অবস্থা বিবেচনা করে মান স্থির করা হয় ৫০ মাইক্রোগ্রাম / লিটার।
অরিন | 161.65.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪৪469002৬/ন
ষাটের দশকে ভারতীয় উপমহাদেশে একদিকে যেমন খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছিল, তেমনি অন্য দিকে জলবাহিত অসুখের সাংঘাতিক প্রকোপ দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে কলেরা ও ডিসেন্ট্রির সমস্যা। একদিকে কৃষিকাজ সমপ্রসারণের জন্য জলের প্রয়োজন, অন্যদিকে সহজে, অন্তত গ্রামের দিকে সহজে পরিস্রুত জল সরবরাহের দরকার ছিল। এই দুটি প্রয়োজনের আশু সযস্যার সমাধান হিসেবে প্রথমত ডিপ টিউবওয়েল খোঁড়া হচ্ছিল, পরে দেখা গেল শ্যালো টিউবওয়েল খুঁড়লেও জল পাওয়া যাচ্ছে। এই করে পানীয় জলে দ্রবীভূত আর্সেনিক পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব পাকিস্তান/ বাংলাদেশের গাঙ্গেয় অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তখনো পর্যন্ত এর কুপ্রভাব লক্ষ করা যায়নি।
অরিন | 161.65.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩৩469001৫/ন
যার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে অন্তত মনে করা হয়, পরিবেশগত অজৈব আর্সেনিক দূষণের একমাত্র উৎস শ্যালো টিউবওয়েল (<১০০ মিটারের কম বা ততোধিক অগভীর) খনন করে মে জল পাওয়া যায়, সেই জলে ভাত রান্না বা সেই জল নিয়মিত পান করা, বা কৃষিকাজে ব্যবহার করা।
অরিন | 161.65.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:২৮469000৪/ন
সমুদ্রের, নদীর, বা পুকুর দীঘির জলে যে আর্সেনিক দ্রবীভূত থাকে, সেই আর্সেনিক জৈব আর্সেনিক, সেখান থেকে মারাত্মক অসুখ হবার সম্ভাবনা কম।
অরিন | 161.65.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:২৫468999৩/ন
তবে এই অসুখের বহিঃপ্রকাশ হতে আনুমানিক ১৫-২০ বছর লেগে যায়। লিটার প্রতি জলে যদি ১০ মাইক্রোগ্রাম বা তার চেয়ে বেশী আর্সেনিক দ্রবীভূত থাকে, তাহলেই অসুখ বিসুখ হবে। ৫০ মাইক্রোগ্রাম / লিটার ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য।
অরিন | 161.65.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:২০468998২/ন
ভারতীয় উপমহাদেশ তথা এশিয়ায় ভুগর্ভস্থ পানীয় জলে আর্সেনিক আসে হিমালয় পর্বতের পাথর, সেখান থেকে উত্থিত নদীর পলিতে দ্রবীভূত হয়ে। গঙ্গা, সিন্ধু, মেকং প্রভৃতি নদীর অববাহিকায় মাটির ১০০ মিটার পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে অজৈব আর্সেনিক শ্যালো ভূস্তরীয় জলে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এই জল যদি দীর্ঘ দিন পান করা হয় বা রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে আর্সেনিক জনিত নানা রকম চামড়ার অসুখ, ক্যানসার, শ্বাস প্রশ্বাস জনিত অসুখ করতে পারে।
অরিন | 161.65.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:১২468997"আর্সেনিকের ব্যাপারটা একটু বিস্তারিত বলুন তো। নেটে এটা নিয়ে অনেক কথা আছে। কিন্তু যতটা জানলে জল আর দুধ আলাদা করা যায় ততটা জানি না বলে খুব অসুবিধা হচ্ছে।"
পানীয় জলের আর্সেনিকের সমস্যা প্রায় সারা পৃথিবী জুড়ে। এর মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকায় জলে আর্সেনিকের উৎস পাহাড়ের ঝর্ণা বা জলপ্রপাতের জল ১/ন
আগ্রহীদের জন্য | 117.194.***.*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:০২468996
এলেবেলে | 2402:3a80:1f06:a6ae:d087:bfe8:c7cb:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৪৩468995বেশ। তবে আমার ধারণা বিদ্যাসাগর বইটি পড়লে আপনার সমস্ত কৌতূহলের নিরসন হতে পারে। কিছুদিন পর থেকে সম্ভবত বইটি অনলাইনে পাওয়া যাবে। আপনি আগ্রহী হলে আমার আপনার সঙ্গে আলোচনায় কোনও আপত্তি নেই।
পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:3072:5079:6d68:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৪468994এলেবেলে
ওই সময়ে আমি কলকাতায় থাকব না। পরে জোগাড় করে নেব।
ধন্যবাদ
এলেবেলে | 2402:3a80:1f06:a6ae:d087:bfe8:c7cb:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:২৯468993রমিত, বোধহয় তিন দিন আগে আমাকে গুরুর একজন সাহিত্যবোদ্ধা গুরুর 'বছরবিয়োনি লেখক' বলে ব্যাঙ্গ করেছেন। এরা আসলে দুজন নন, এরা সংখ্যায় প্রচুর। বেশিটাই ব্লার্ব পড়ুয়া অথবা না- পড়ুয়া। কিন্তু গুমোর প্রচুর। আমি কথার নড়চড় পছন্দ করি না।
পলিটিশিয়ান, বিদ্যাসাগর জানুয়ারির ৭ থেকে ১০ এর মধ্যে কলকাতায় বেরোবে। ঢাকায় প্রকাশিত হবে ১৬ জানুয়ারি। গুরুতে লিখে প্রকাশক জোগাড় করার দুর্মতি আমার এ জীবনে হবে না। আমি দাপটের সঙ্গে বাঁচতে ভালোবাসি।
গুরুকে ভালোবাসি কিন্তু গুরুর টাটে বিচরণ করা অসংখ্য লোক অত্যন্ত বিরক্তিকর।
পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:3072:5079:6d68:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৩৮468992ধন্যবাদ
আর ওনার নাম দেবত্তম চক্রবর্তী
কেন এত বিচলিত হচ্ছেন দুটো লোকের কথায়। ডেটা দিয়ে চুপ করিয়ে দেবেন। বিদ্যাসাগর দুধর্ষ হয়েছে। আপনি এখানেই বার করবেন রামমোহন।
পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:3072:5079:6d68:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৫৪468989আপনার আসল নাম জানিনা। জানলে অবশ্যই কিনব।
বই বেরোলে জানাবেন। সেটা পড়ে তারপর আলোচনা করা যাবে। অবশ্য আপনি আগ্রহী হলে তবেই।
এলেবেলে | 2402:3a80:1f06:a6ae:31e1:e28:6f09:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:১২468988শুধু রঞ্জনবাবু, খ এবং অরিনবাবুকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি বলে তাদের সঙ্গে তঞ্চকতা করিনি।
এলেবেলে | 2402:3a80:1f06:a6ae:31e1:e28:6f09:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:০৯468987মাফ করবেন। আগে হলে অবশ্যই লিখতাম। কিন্তু কতগুলো ডডনং আর তাদের ড্যাশ ড্যাশ ধনেপাতার ক্যাশমেমো আমাকে এত অপমান করেছেন যে রামমোহন নিয়ে ও একটি শব্দ এখানে লিখব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সোজা বই হয়ে বেরোবে। পারলে কিনে পড়ে নেবেন।
পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:3072:5079:6d68:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:০২468986লিখুন না, ব্রিটিশ কিভাবে দায়ভাগ ও মিতাক্ষরা বিকৃত করেছিল।
বিশেষ করে পারিবারিক সম্পত্তি ভাগের ব্যাপারটা। অর্থাৎ পূর্ব ভারতে জোতের আকার ছোট, সেই কন্টেক্সটে।
এলেবেলে | 2402:3a80:1f06:a6ae:31e1:e28:6f09:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৫৬468985দায় ভাগ ও মিতাক্ষরা মনুর দুটো স্কুল অফ থট। তাকে বিকৃত করা ব্রিটিশের কাজ। আমি প্রথম থেকেই সে কথা বলে আসছি। ১৭৭৮-৯৮ সময় কালে।
কৃষি বিজ্ঞানী অনুপম পাল আমার বন্ধু। আরেক কৃষি বিজ্ঞানী ও কল্যাণীর অধ্যাপক আমার আপন শ্যালক। আমি তাদের দু'জনকেই আর্সেনিক নিয়ে লেখার জন্য অনুরোধ করব।
পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:3072:5079:6d68:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৪২468984আমিও তো সেটাই বললাম, পূর্ব ভারতে দায়ভাগ, বাকী ভারতে মিতাক্ষরা। সেটা তো ব্রিটিশের করা নয় বলেই জানতাম।
অন্য রকম হলে বলুন
এলেবেলে | 112.79.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৩০468983লিখেছি তো পূর্বভাগে দায়ভাগ, সারা ভারতে মিতাক্ষরা। পূর্ব ভারতে বিধবাদের সম্পূর্ণ অধিকার ছিল, বাকি ভারতে শুধুমাত্র ভরণপোষণ। রঘুনন্দন বাংলার মনু, সারা ভারতের নন।
এলেবেলে | 112.79.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৮468982তাছাড়া জমি ভাগ আর জমিদারির ভাগ এক জিনিস নয়। হ্যালহেড জমিদারির ভাগ করেছিলেন, জমির নয়।
পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:3072:5079:6d68:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৭468981এলেবেলে কি বলছেন ব্রিটিশের আগে পূর্ব ও উত্তর ভারতে এক উত্তরাধিকার আইন ছিল?
এলেবেলে | 112.79.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:২৫468980সতীদাহ নিয়ে গুরতে সৈকত এবং সোমনাথ দুটি চমৎকার লেখা লিখেছিলেন। পলিটিশিয়ানকে অনুরোধ করব সেগুলো পড়তে। তবে ওরা দুজনেই কলোনিয়াল হিন্দু ল আলোচনা করেননি।
এলেবেলে | 112.79.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৬468979কিন্তু তার পরেও পূর্ব ভারতে সতীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি সবাইকে ছাড়িয়ে যায়। রামমোহনের নিজের জেলা সবাইকে টেক্কা দেয়।
এলেবেলে | 112.79.***.*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৫468978পূর্ব ভারতে দায়ভাগ, সারা ভারতে মিতাক্ষরা। সম্পত্তি যে ভাগ হয়েছিল সেটাও ব্রিটিশের দৌলতে। আমি সেই নিয়েও কাজ করেছি। এটি করেন হ্যালহেড।
এলেবেলে | 2402:3a80:1f06:a6ae:945d:9e6:e3a5:***:*** | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৫468977পূর্ব ভারতে দায়ভাগ, সারা ভারতে মিতাক্ষরা। সম্পত্তি যে ভাগ হয়েছিল সেটাও ব্রিটিশের দৌলতে। আমি সেই নিয়েও কাজ করেছি। এটি করেন হ্যালহেড।