ধন্যবাদ
বিবৃত নয়, বিকৃত।
দায়ভাগটি বিবৃত করা ব্রিটিশের কাজ। তার কারণ পলাশির সময়ত বিধবা রানি ভবানী জমিদার ছিলেন। তাকে কেউ পুড়িয়ে মারার কথা কল্পনা করতে পারেননি।
রমিত, এই বক্তব্যটা ফেসবুকে একসময় ভাইরাল হয়েছিল করোনার সময়। এক ভদ্রলোক বলেছিলেন আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা ? সেইখান থেকে।
@এলেবেলে একটা প্রশ্ন করতে চাই, এই ট্রেন্ডটা কোথা থেকে এসেছে ? এই করবেন না, করবেন না টা ? আরো অনেক জায়গায় দেকেছি। ফেবুতে যাওয়া হয়না খুব একটা।
আপনার মত তো আমি বদলাতে পারব না। আমি শুধু আমার কথাটা বলতে পারি। তারপর আপনি কি ভাববেন সেটা আপনার ব্যাপার।
সতীদাহের পেছনেও দায়ভাগের একটা ভূমিকা আছে। দায়ভাগের নিয়মে বিধবা স্ত্রীর স্বামীর অংশের সম্পূর্ণ উপস্বত্ত্ব প্রাপ্য হয় (যদিও দান বিক্রয়ের অধিকার থাকে না)। ভারতের অন্য জায়গায় বিধবা স্ত্রীর শুধু ভরণপোষণের অধিকার। তাই বাংলায় বিধবাকে কাশী পাঠিয়ে বা মেরে ফেলে উপস্বত্ত্বের সম্পূর্ণ অধিকার তাড়াতাড়ি পাওয়ার একটা ইনসেন্টিভ ছিল। যাই হোক।
জোতের সাইজ নিয়ে কথাটা একটু ভেবে দেখবেন। পূর্ব ভারতে ওটা নিয়ে অনেক আলোচনা আছে। আর সম্মানের সাথে পয়সার যোগ অনেক পুরোনো। বাঙালী এককালে পাত্র দেখার সময় উপরি আছে কিনা খোঁজ করত।
কেন বামরা যৌথ খামার করবেন না? করবেন না যৌথ খামার?
কেন বামরা যৌথ খামার করবেন না? করবেন না যৌথ খামার?
ওই জোতদাররা লুকিয়ে আছে। দেখতে পান না। তাই জীমূতবাহন আর অপারেশন বর্গার গল্প দেন। অবশ্য দায়ভাগ ঠিকঠাক পড়া থাকলে সতীদাহ নিয়ে আদিখ্যেতা করা যায় না।
আসলে 'চাষা' শব্দটাতে সম্মান নেই। সম্মান লুকিয়ে আছে 'চাকর' শব্দটাতে। আমরা চাকর হতে ভালোবাসি। আর আমার মালিক সব দোষের ঊর্ধ্বে।
দেখুন, পুরোনো কথা মনে করার দরকার আছে। বাংলায় চাষীর আর্থিক অবস্থা খারাপ তার একটা কারণ জোতের আকার ছোট। তাতে কি হয় সেটা ডেভেলপমেন্টাল ইকোনোমিক্সের প্রথম ক্লাসেই পড়ায়। আর জোতের আকার ছোট তার একটা বড় কারণ হল বাংলার উত্তরাধিকার আইন, দায়ভাগ। সেটি জিমুতবাহনের লেখা। কৃষকনেতাদের সাথে কথা বললে এ নিয়ে অনেক কিছু শুনবেন।
যাই হোক, চটজলদি কিছু একটা বলবেন না। মার্ক্স কিন্তু সেই আদিম মানুষ থেকে শুরু করেছিলেন।
ওরে বাবা জীমূতবাহন! তাহলে বিজেপির পূর্বসূরী কাকে বলবেন? মনু? বাকি দলগুলো কম ব্রাহ্মণ্যবাদী নাকি?
অরিজিনালি জীমূতবাহন দায়ী। তারপর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল সকলেই কিছু কিছু দায়ী। এগ্রিকালচারাল ইনকামের বছরওয়ারী ডাটা হাতের কাছে নেই।
মোদ্দা কথা হল, বাংলায় চাষে রোজগার কম, পরিশ্রম বেশি। প্রায় কেউই চায় না তার সন্তান এরকম একটা পেশায় থাকুক।
অরিজিনালি জীমূতবাহন দায়ী। তারপর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল সকলেই কিছু কিছু দায়ী। এগ্রিকালচারাল ইনকামের বছরওয়ারী ডাটা হাতের কাছে নেই।
মোদ্দা কথা হল, বাংলায় চাষে রোজগার কম, পরিশ্রম বেশি। প্রায় কেউই চায় না তার সন্তান এরকম একটা পেশায় থাকুক।
অবিশ্যি ফ্যাসিবাদী বললেও ভুল বলা হয় না। কংগ্রেস তো ফ্যাসিবাদী। তিনোও তাই। ও তার মানে সিপিএম ফ্যাসিস্ট নয়? আচ্ছা! পার্টিটা বোধহয় মঙ্গল গ্রহের।
দুঃখিত। সমস্ত ফ্যাসিবাদ বিরোধী।
আকা,
প্রকাশ কারাত একার হাতে সিপিএম শেষ করে দিয়েছে - এটার সঙ্গে আমি একমত নই। তাহলে কেরালায় সিপিএম থাকত না। বা এই যে সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনে সিপিএম/সিপিএআই এর ফ্ল্যাগ দেখা যাচ্ছে এটা হত না। আর পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের হারের কারণ দিল্লি নয়।
ফ্যাসিবাদী?
তা চাষিদের সরকার অথচ চাষে পয়সা কম আর পরিশ্রম বেশী কেন? তিনো দায়ী না বিজেপি?
২০০১? শোক পরিণত হোক শপথে। ২০০৬ ?উন্নততর বামফ্রন্ট। ২০১৬? মানুষের মহাজোট। ২০২১? সমস্ত ফ্যাসিবাদী শক্তি এক হও। স্লোগান শুধু বদলে বদলে চলেছে, বাকি সব অবিকল এক।
বাংলায় চাষে পয়সা কম, পরিশ্রম বেশী। সে কথাটা অস্বীকার করে কী হবে?
কারণ পিএইচডি হচ্ছে উন্নততর বামফ্রন্টের দ্যোতক।
বিজেপি নেম কলিং করে বলে তাদের ফ্যাসিস্ট বলা হয়, এটা মনে হয় সঠিক নয়। বিজেপিকে ফ্যাসিস্ট বলার কারণ অন্য। তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত ফ্যাসিজমের একটা সংজ্ঞা দিয়েছিলেন। সেখানে কি নেম কলিং ছিল? মনে পড়ছে না।
নেম কলিং সকলেই করে। হার্মাদ কথাটা মনে এল। যারা বলেছিল বা বলে তারা সবাই হয়তো ফ্যাসিস্ট নয়।
হ্যাঁ, তার মানে ধরে নেওয়া হচ্ছে চাষবাস জিনিসটা খুবই খারাপ। সম্মান তেমন নেই। আসল সম্মান লুকিয়ে আছে কয়েকজন চাষার ব্যাটার পিএইচডি করাতে। আর কাঁধে গামছা ফেলে চাষার ব্যাটা 'সাজতে'।
সেই কারণে মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি ইত্যাদি প্রভৃতি।
সিপিএমকে একা প্রকাশ কারাত দায়িত্ব নিয়ে শেষ করে দিল।
"মুখ্যমন্ত্রী বলত "চাষার ব্যাটা কি চাষাই থাকবে সারা জীবন"
শুধু মুখ্যমন্ত্রী কেন, বেশ কয়েকজন চাষার ব্যাটাকে আমি চিনি যারা নিজেরাই ঠিক করেছে যে তারা চাষা থাকবে না, PhD করবে!!
কি দুঃসাহস ব্যাটাদের!
গলায় গামছা জড়ালে যদি চাষার ব্যাটা হওয়া যেত আর তার দলের মুখ্যমন্ত্রী বলত "চাষার ব্যাটা কি চাষাই থাকবে সারা জীবন' - তাদের কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ না খোলাই ভালো।
সিপিএম কে ভোট দিয়ে এসেছি এতকাল, মোটামুটি পরিবারের সবাই, এবার ঠিক করেছি বিজেপিকে দেবো, তৃণমূলকে হঠাতে হবে।
অনিল গড়াই
বুরুল, দঃ ২৪ পরগণা
বিমান বোসের উক্তি মনে আছে? কংগ্রেস মমতার আঁচলের তলায় না ওপরে এবং অঙ্গভঙ্গি মনে আছে? বাতেলা মারা ছাড়েন । এখন ওরা আপনাদের বন্ধু!
বিজেপি তার বিরোধীদের সব্বাইকে পাইকারিহারে আরবান নকশাল বলে। সিপিএম তার বিরুদ্ধের লোকেদের আনন্দবাজার পড়া আর বিজেপির চামচে বলে। নতুন কিছু নয়। তবে ওরা ফ্যাসিস্ট, আমরা নই।
এনবিএ প্রকাশনীর বইতে লেখা আছে।