মিঠুর বড্ড নিন্দেমন্দ করার অব্যেস। অভ্যু কান দিও না। টিনটিন দিব্বি চমৎকার রান্নাবান্নাও করে। এই সেদিনই পটলের দোলমা রান্নার ছবি দেখেছি। রীতিমত পুর ভরে টরে।
আজ্জো :-)) আমার অতি জোরালো গলা। গমগমে। নিন্দুক বলে আরেকটু জোরে বললে এমনিই কোলকাতাতেও শুনতে পাবে।তো আমি রোজ সেই গলায় দশবার ডেকেও উত্তর পাই না( নির্ভর করে তখন সে স্ন্যাপচ্যাটে/ ভিডিও/ অডিওকলে বিজি কিনা) অ্যালেক্সাকে দিয়ে ডাক পাঠাই( দেখলাম আজকাল সেটা সকাল বেলা খুলে রাখে), টেক্সট করি -আমাকে ধন্য করে আধঘন্টা পরে দেখা দেয়।মুখে বাঁধা বুলি, শুনতে পাইনি। এদিকে আমি যদি মৃদুস্বরে( যেটা ওর না শুনলোও চলবে) কিছু বলি, চমকে দিয়ে উত্তর আসে! কান একটা পাতাই থাকে:-(
অরিনদা এইটে দেখো https://pensinasia.com/new/product/pelikan/pelikan_m1000_limited_edition_maki-e_kingfisher_fountain_pen_9367.html
অভ্যু টাইম ফ্লাইজ। সে এখন জেন্টলম্যান, চিনতে পারবি না।
তাই হওয়ার কথা, একটু গুলিয়ে গিয়েছিল। অভ্যু, ক্যালকুলাসের হাইস্কুল বা আন্ডারগ্র্যাড লেভেলের ভালো টেক্সট বুক কি রে? জানিস? মানে ডেফিনিশন গুলো ভালো করে বোঝানো আছে, এক্সাম্পল ভালো আছে ইত্যাদি।
অ্যাঁ? মাধ্যমিক দেবার বয়স হল? এই যে সেদিন আমার বিছানায় উত্তাল লাফানোর জন্যে মায়ের কাছে প্রায় পিট্টি খাচ্ছিল?
নাতো,টিনটিন ইলেভেন।
বেসমেন্টে মুভ করে যাবোটা টূ গুড :)
টেন। টিনটিনের টেন না?
আজ্জো ললিপপের কোন ক্লাশ?
অভ্যু, টিনেজার সর্বজ্ঞ রা সব জেনে নিজেরাই ঠিক করে কোথায় যাবে বা যাবার দরকারও আছে কিনা! কোথায় যেতে চাও জিজ্ঞেস করে একদিন শুনলাম,বাড়িতেই বেসমেন্টে মুভ করে যাব ভাবছি! কাজেই বুঝতেই পারছো...
বড়জনের একটা চোখ আর কান সবসময় আমাদের দিকে থাকত, কিকরে যে পিয়ানো বাজাতে বাজাতে মা-বাপের কথা শুনত সে ঐ জানে। আর ছোটজনের দুটো চোখ o একটা কান দাদার দিকে। গাড়িতে বসে সমানে কমেন্টারি করে - মামি আই স হিম ওয়াচিং সোশ্যাল মিডিয়া। দাদা যখন আপত্তি করে, তখন আবার স্ন্যাপচ্যাটের লোগো দেখেছে কিনা এইসব বলে। সমানে দাদার নামে নালিশ করে। কিন্তু সবথেকে ভয় পায় মামি আর দাদাকে। আমাকে এলেবেলে মনে kare.
অভ্যু কে কাকে রাখে? ইন্ডিপেণ্ডেন্স বোঝো? না বুইলে একটা লেকচার শুনিয়ে দিতে পারি। ঐ যে ম কইল, মাথায় আইসব্যাগ আর জিভের তলায় সরবিট্রেট, সাথে আমি ১০০ থেকে 1 o গুনে থাকি প্রায়সই।
জর্জিয়া টেক পেলে তো বরতে যাব, ইউজিএ o ভালো অপশন। দেখা যাক, এই ডিসেঃ থেকে হোমওয়ার্ক শুরু করতে হবে, মানে ভর্তির হোমওয়ার্ক।
সাম্পান এতো বড়ো হয়ে গেছে ভাবাই যায় না। সেদিন প্রথমে ভাবলাম ক্লাস টুয়ের হোমওয়ার্ক ওরই জন্যে হচ্ছে। তা ছোটোজন কী বলে? সেও দাদার পিছু পিছু সব কিছু করে?
মিঠুদি অঙ্ক হলে uchigago খুব ভালো অপশন - চেনা জায়গাও হল, আর ক্যাম্পাসে বেশ কিছু নোবেল লরিয়েটও পাবে (তবে অঙ্কে হবে না!)।
আকাদা, জর্জিয়াতেই রাখো, GaTech বা UGA খুব ভালো অপশন। UGAর ফাউন্ডেশন ফেলো হতে পারলে সেটা বড় মেডিক্যাল স্কুলে না পাবার দুঃখ ভুলিয়ে দেয় বলে শুনেছি। মানে ঐ ফেলোরা সিনেমা দেখতে যাবার জন্যে পর্যন্ত পয়সা পায়, প্রতি সামারে বিদেশে ট্রিপ তো আছেই। আমাদের ডিপার্টমেন্টের হেড একবার বলেছিলেন ওনার মেয়ের ট্রাভেল মানি ওনার চেয়ে বেশি :)
অভ্যু, অংক করতে ভালোবাসে -মানে এখনো পর্যন্ত।লেখাপড়া করে কী হবে জাতীয় একটা বিরক্তি মুখে খেলা করে- এই আকাট পৃথিবীতে পড়াশোনা যে কত বড় আপদবালাই ওকে না দেখলে ভাবতে পারবে না!
আমার তো মনে হয় জিবের তলায় সরবিট্রেট দিয়ে রাখি আর মাথায় আইসব্যাগ:-।
ডান্সের কি একটা রিয়ালিটি শো হয়, দেখলাম খানিকক্ষণ, লোকজনের কি ট্যালেন্ট, যেমন কোরিওগ্রাফি, তেমন নাচের স্কিল।
হ্যাঁ অভ্যু।
হ্যাঁ কলেজে না গেলেই ভালো, পয়সা বাঁচে। কদিন আগে মিউজিক পড়বে বলে ঠিক করেছিল, তারপর মনে হল মিউজিকের সবই জানা হয়ে গেছে। এর্পরে দাদুর অনুপ্রেরণায় পিকেটি পড়তে শুরু করে ঠিক করল ইকনমিক্স পড়বে। সেটাও বোধহয় সব জানা হয়ে গেছে, ভয়ে ভয়ে জিগ্যেস করিনি, হার্টএর ব্যামো হতে পারে ভেবে। এখন একটা পুরনো ল্যাপটপ আনস্ক্রু করে সেটা নিয়ে পড়ে আছে। আর মাকে হ্যাকিং, ভালনারেবিলিটি ইত্যাদি নিয়ে জ্ঞান দেয়। আর উইন্ডোজের মুণ্ডুপাত করে, লিনাক্ষ নিয়ে কত কথা বলে - তাও আমারই সামনে। ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে এআই সবই বোঝা শেষ, এবারে ডঃ উপাধিটা পেলেই হয়। উফফ এই টিনএজ, এখনও আর একজন।
দমুদি, প্রতি ডিসেম্বরেই তোমার সাথে দেখা হবে হবে করেও হয় না, এবারে কিন্তু দেখা হবার চান্স একেবারেই নেই।
আহা কোথাও থেকে তো একটা ডিগ্রী লাগবে? নইলে পড়াতে ডাকবেই বা কেন? বিলুদাকেই ডাকে নি, কি জোবসবাবুকে।
আর পছন্দের বিষয় কী?
অভ্যু, এরম সর্ববিদ্যাবিশারদ "জ্ঞানী"ব্যক্তির আর কলেজ থেকে কিছু জানার নেই!যদি পড়াতে ডাকে তালে অন্য কথা:-)
ওয়ার্ড থেকে কপি করে ব্লগে পোস্ট করলেই বাই ডিফল্ট ইটালিক্স হয়ে গোটা লেখাটা অমন ত্রিভঙ্গমুরারী হয়ে যায় কেন হে ল্যাদোষ? তারপর প্রচুর পাঁয়তাড়া মেরে ওটাকে ঠিক করতে হয়! কি উৎপাত।
অরণ্যদা!!! (চক্ষু ছানাবড়া র ইমো)
অরণ্যদা, পনের নম্বরে গিয়ে দেখো, সল্টলেক সল্টলেক ফিলিং হবে। পুরো কল্যাণীরই এক অব্স্থা, পনের নম্বরে একটু বেশি।
মিঠুদি টিনটিন কোন কলেজে যেতে চায়? uchicago?
আমার ধারণা ছেল টিনটিন এখন মিডল স্কুলে আর তোমরা সদ্য শিকাগো অঞ্চলের মায়া কাটিয়ে কানসাসে মুভ করেছ
অরণ্যদা আমাদের এপাড়ায় তিনবছর হতে চললো:-) টিনটিনের কলেজ যাবার সময় হয়ে এলো প্রায়। অনেকদিন কথা হয়নি তোমার সাথে, সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। সব কাজের ফাঁকেই উঁকি দিয়ে যেও। ভালো লাগবে।
আমাদের পুরো পাড়াটা ছিল মাঠের পাড়া। অধিকাংশ জায়গাই ছিল খোলা মাঠ। আর পুকুর। তালগাছের সারি। প্রাচীন বটগাছ, অসংখ্য ঝুরিনামা। সেই বটতলায় কালীর থান। একটু দূরে বাঁশঝাড়। পাড়ার শেষে আদিগন্ত ধানক্ষেত।
পাড়া বলতে কয়েকটা ছোটো ছোটো উঠোনঘেরা বাড়ি, বাড়ির হাতায় গাছগাছালি। বাড়ি অল্প, মাঠ বেশি।
প্রায় সব মাঠ উধাও এখন। তালগাছগুলো কবেই কাটা পড়েছে। বাঁশঝাড় নেই। পুরনো বটগাছটা অবধি কেটে ফেলেছে।
সমস্ত বদলে গেছে। প্রায় সেই "ইঁটের পাঁজর লোহার খাঁচা" র মতন অবস্থা হয়ে গেছে।
আমার তো এখন কল্যাণী গেলেই মন খারাপ হ হয়। কত যে মাঠ আর গাছপালা জাস্ট নেই হয়ে গেছে ।
বাদল আর আমি একবার গঙ্গা দেখব বলে বেরিয়েছিলাম। পায়ে হেঁটে , কত ক্ষেত, মাঠ, ঝোপঝাড়, গাছ, খাল এর পাশ দিয়ে যাত্রা - বিভূতিভূষণের লেখার মত