ইন্দ্রাণী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় @d @অনামিত্রা
টেস্ট . কীকী ট্যাগ হচ্ছে বা হচ্ছে না
এমনিতেই আমেরিকার খাদ্যদ্রব্যের ১৫% ইমপোর্ট। তাছাড়া আমেরিকার ফার্মে যারা উদয়াস্ত খাটে, তাদের একটা বড় অংশ হল আন্ডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্ট। অথচ এদেরই জীবন খারাপ করার জন্য এইসব লোকাল বডিগুলো উদয়াস্ত কাজ করে চলেছে। ২০০৯-১০ নাগাদ উইসকনসিনের একটা গ্রাম পন্চায়েত ইংরেজিকে অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ ডিক্লেয়ার করেছিল। কেন সেটা নিশ্চই বলে দিতে হবেনা।
একটা লম্বা লেখা পড়েছিলাম - হার্টল্যান্ডের এক সাদা মেধাবী মেয়ের কাহিনী। তো, সে বড় হল ছোট, সাদা, ফার্মিং কমিউনিটিতে। কিন্তু এই দোয়েলের ফরিংএর জীবন তাকে খুশি করতে পারে না। পশ্চিমে যায়। পাড়ার লোকজনের অনুরোধ উপরোধ উপেক্ষা করে। বার্কলিতে কেমিষ্ট্রি। এদিকে গ্রামের উচ্চমেধা শহরে রসায়নে খাপ খায় না। পিছিয়ে পরতে থাকে। একই সাথে লিবারেল মিছিলে পা মেলায়। লেখালিখি করে। তাদের ভয়েস হয়ে উঠতে থাকে। এবং সে হার্টল্যান্ডের জনগনকে ডিপ্লোরেবেল মনে করতে থাকে। থ্যাংসগিভিং কাটে স্যান হোসের রেস্টুরেন্টে। তার লেখালিখি গ্রামের লোকজনের নজরেও আসে।
পুশব্যাক আসে প্রতিবেশিদের থেকে পরিবারের কাছে। বড় ধাক্কা খায় মেয়ে যখন বাড়িতে আসে ক্রিসমাসে। ছোটবেলার বয়ফ্রেন্ডের মা এসে বলে যায় - তোমার ঐ লিবারেল বন্ধুদের বলে দিও আমরা উদয়াস্ত খেটে শহরের খাবারের যোগান দিই বলে তারা উঁচু উঁচু বাড়িতে বসে বাকতাল্লা মারতে পারে।
পুরো গল্পটা ঢের বড় - মেয়েটির ব্যক্তিগত জার্নি। কেবল ঐ "উদয়াস্ত খেটে শহরের খাবারের যোগান" দেবার ব্যাপার্টা মনে পরে গেল বলে এই টাইপানো!
D:জো ডেলা রিসি সানফ্রান্সিস্কো এলাকায় কীভাবে স্ক্র্যাচ থেকে কী কী কাজ কীভাবে হল,দেখালেন। UCSF এর গ্র্যাড স্টুডেন্টরা ভলান্টিয়ার করেই তো বিশাল কর্মযজ্ঞ নামিয়েছে দেখলাম। ওঁদের টেস্টিং এর সাপ্লাই চেন অন্য সরকারি কি বেসরকারি ল্যাবের থেকে কীভাবে আর কেন বেটার,তাও দেখালেন। সব জায়গা যদি এই মোডে চলতে পারত !
তবে সানফ্রান্সিসকোতে নেইবারহুড কন্সেপ্ট নেই ? স্যামপ্লের যা আনালিসিস দেখালেন,বললেন apple,google এ কাজ করা লোকজনের প্রতিবেশীই হয়ত একেবারেই খারাপ অবস্থায়, কাজকর্ম হারিয়েছেন কি ফার্লো কি বাইরে বেরতে বাধ্য হয়েছেন, কাজ করতে। মানে পুরো ওয়ার্ক ফ্রম হোম আফোর্ড করা লোকের পাশেই একেবারেই সেটা করতে না পারা লোকজন। যদিও ক্লিয়ার হল না, এই কোভিডে এই বৈষম্য এসেছে,না আগে থেকেই ছিল।
ওঁদের রেজাল্টও ক্লিয়ার কাট দেখাল, ৯০% ইনফেকশন বাইরে বেরন লোকে,ওয়ার্ক ফ্রম হোমে খুবই কম।যা এক্সপেক্টেড। আসিম্পটোমেটিক সিম্পটোমেটিক ভাইরাল লোড প্রায় সমান, মানে প্রায় সমান ছড়াতে পারে (সেটা এখানেও দেখছি) যদিও কারা ছড়াতে পারে বা পারেনা , সেটাও ইন্টারেস্টিং। সুপার স্প্রেডার হওয়া হয়ত স্ট্রেন নির্ভত।
ফাইলোজেনেটিক আনালিসিসেও বেশ ইন্টারেস্টিং রেজাল্ট সানফ্রান্সিসকোতে।প্রচুর প্রচুর স্ট্রেন পেয়েছেন নাকি,মানে নানা জায়গা থেকে লোকে এসেছেন আর এনেছেন। কিন্তু আরো ইন্টারেস্টিং,কোনটাই প্রায় সেরকম ছড়ায়নি। ছোট ছোট ক্লাস্টার সব। নিউইয়ররকের ব্যাপারস্যাপার উলটটো।
TIFR এর ডঃ সন্দীপ জুনেজা আর উল্লাস কোলথুরের মুম্বইয়ের বস্তি আর অন্যান্য এলাকায় দুটো সেরোসার্ভেলেন্সের কাজ খুবই ইন্টারেস্টিং । নানা বস্তি এলাকায় জুলাইয়েই ৫৫% এর উপর সেরো পজিটিভ এসে যাওয়া ,সেটা আবার অগস্টে ৪৮%এ নেমে যাওয়া ! তবে কোন আন্টিজেনের জন্য আন্টিবডি দিয়ে টেস্ট হচ্ছে,তার উপর নির্ভর করছে,এটা খুব জরুরি ব্যাপার। এগুলোর কোনটাই নিউট্রিলাইজিং নাও হতে পারে বললেন। তবে সেই টেস্টো চলছে। এই রেজাল্ট এলে অনেক কিছু বোঝা যাবে। এটা এলে অনেকটাই ভাল খবর। যদিও কতদিন থাকবে,সেও সময়ই বলবে। ভাল ব্যাপার হল, সেসব স্টাডিও পুরোমাত্রায় হচ্ছে।
ডেমোগ্এরাফি ভিত্তিক এজ গ্রুপ কারেকশন করলে ইন্ডিয়ায় ইনফেকশন বা ফ্যাটালিটি রেট অন্যদের থেকে কিছু কম নয়,বললেন। আর ফ্যাটালিটি রিপোর্টেডের অন্তত দ্বিগুণ,এও বললেন।
হার্ড ইম্যুনিটি নিয়েও ভাল আলোচনা হল। এরা প্রায় সবাই সেই নিয়ে বেশ কিছুটা আশাবাদী। ডঃ শশিধরার পুণের স্টাডির পয়েন্টগুলোও ভাবার মত। কতটা সেরোপজিটিভ রেটে কর পজিটিভিটি রেট। অনেকের মধ্যে আন্টিবডি তৈরি হলে ইনফেকশন কমছে কিনা আদৌ ,কতটায় গেলে কমতে পারে ইঃ।
লোকাল ট্রেন খুলে দেওয়ার পক্ষে অনেকেই। স্কুল এখনি না। কারণ বাচ্চারা মাস্ক পরবে কম,ইনফেক্টেড হবে বেশি,বাড়ি এসে তো মাস্ক কেউ পরেই না ,তাই বয়স্কদের ইনফেক্ট করবে বেশি,এইসব ভয়। জানুয়ারিতে খোলা হয়ত কিছুটা সেফ হতে পারে,সঃে ঐ হার্ড ইম্যনিটি আসতে পারে ধরে নিয়েই বললেন ডঃ সন্দীপ জুনেজা।
সবাই অনেকটাই একমত, এলাকা থেকে এলাকার ভেরিয়েশন নিয়ে। যেখানে লোকজন যত বেশি আইসোলেটেড থাকতে পেরেছেন, ইনফেকশন কম। কিন্তু এবার এক্সপোজারে সেই এলাকাতেই ছড়ানোর চান্স অনেক বেশি। প্রচুর ইনফেকশন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলয় তুলনায় কম হবে। কম হচ্ছেও।
ডাঃজ্যাকব জন খুবই ভাল পয়েন্ট আনলেন ,টেস্টিংএখন কীভাবে হওয়া উচিত। শুরুতে যেমন টেস্ট টেস্ট টেস্ট দরকার ছিল ,যা সেভাবে হয়নি, তাই এধরণের লকডাউনেও সেরকম কিছু লাভ হয়নি, ইকনমির ক্ষতি হয়েছে প্রচুর,এখন এই কমুইনিটি ট্রান্সমিশন লেভেলে এসে সেই স্ট্রাটেজির মানে নেই। টার্গেটেড টেস্টিং দরকার, কারা বেশি ছড়াতে পারে,সেই নিয়ে স্টাডি করে,তাদের ধরে ধরে করা। কারণ ইম্যুনিটি বাড়তে থাকলে এটা কীভাবে বদলাচ্ছে ,দেখা দরকার।
এই পুরো সেসনটা পাব্লিক করলে ভাল হয়। জানিনা,করা কিনা। এটা দেখা যাচ্ছে ?
সেকথা যদিও বলিনি। আমিও তো পুরো ট্রাম্প কান্ট্রিতেই সময় কাটালাম। সবকিছু খুব সামনে থেকে দেখেছি। তার মানে কি সাদা অথচ রেসিস্ট নয় এমন নেই? বিল ক্লিন্টনই আছেন। সেতো ইন্ডিয়ান কিন্তু মারাত্মক রেসিস্ট সেরকম লোকজনও আছে।
হুম। আবার ইন্ডিয়ানদের মধ্যে সাদা মানেই রেসিস্ট, এই রকম মনোভাবও আছে।
কারণ না বললে যে সেটাও ওপিনিয়ন হয়ে যাচ্ছে। তবে ইন্ডিয়ানদের মধ্যে এইধরনের একটা রোম্যান্টিক ধারণা আছে বটে।
প্রায় আট বছর একটা মিড ওয়েস্টে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি "হার্ট্ল্যান্ডের সাদারা কিন্তু খুবই রেসিস্ট" স্টেটমেন্ট ভীষণভাবে ওপিনিয়নেটেড এবং ভুল।
হার্টল্যান্ডের সাদারা কিন্তু খুবই রেসিস্ট। বাকীরা ওপিনিয়নেটেড। এক্দল লোক সারাজীবন হান্টিং, ফিশিং, গোয়িং টু চার্চ, হ্যাভিং বিয়ার করে কাটাতে চায়। এদিকে কোস্টের লোকজনের সাফল্য দুচক্ষে দেখতে পায়না। বহুদিন ধরে এদের মত ছিল যে ক্যালিফোর্নিয়া শেষ। কারণ নাকি ক্যালিফোর্নিয়ার বিশাল ডেট। আসলে অত ইমিগ্রান্টদের সহ্য করতে পারতো না। এখন যখন দেখছে যে ক্যালিফোর্নিয়া দিব্বি রয়ে গেছে, তখন সকাল বিকাল খারাপ বলছে, চাইছে।
ওবামা বলেছিলেন স্টেম নিয়ে পড়াশুনা করতে। সেই শুনে একদল আমেরিকান খুব ক্ষেপে গেছিল। বক্তব্য হল কিচ্ছু করবোনা, তবুও দুনিয়ার সব সুখ চাই। বিকজ আই অ্যাম আ হোয়াইট ম্যান বর্ণ ইন আমেরিকা। ট্রাম্প এই প্রমিসটা করেছে।
ওকে
হার্টল্যান্ড আমেরিকা বুঝতে গেলে ডকুমেন্টারি দেখতে হবে? বোঝো।
মাইরি একটা জিনিষ না জেনে কি করে ওপিনিয়ন ফর্ম karo? ডকুমেন্টারিটা আদৌ তা নয়।
অবশ্যই শোষিত , মার্জিনালিজ্ড এর পজিশন, সুপ্রিমেসিস্ট দের থেকে আলাদা, কিন্তু কমা দিয়ে এক জায়্গায় করে বলা, মেডিয়া আর সাংবাদিকতার গ্যালারি প্লেয়িং টা কে এক্সপোজ করার জন্য। যারা মডারেট পজিশন কে কন্ট্নিউয়াস অ্যাটাক করে, ডিলেজিটিমাইজ করে, পিসটাইম নেগোশিয়েশন কে, আন্দোলন কে, তারাই এক্সস্ট্রিম দের বোঝার নাম করে তাদের গ্ল্যামারাইজ করে বই টই লেখে, এই আর কি, নতুন 'কনভারসেশন' এর নামে। সব ই 'ভালো' আর কি , কাশ্মীরেও এই হয়েছে ও হচ্ছে:-)))
ভালো ও সরল সাদা রা কেন ভুল করে বার বার কষ্ট পেয়ে হেজেমনিক পজিশন ধরে রাখতে চায় , এইটা অবশ্য সিম্প্যাথেটিকালি দেখা উচিত ;-) নিক রায়ান বলে একজন হোমল্যান্ড বলে একটা বই লিখেছিলেন, সেটা আমি খুব সিম্প্যাথেটিকালি পড়েছিলাম কারণ আর কিছুই না, লন্ডনের হ্যারিঙ্গে বা মিলওয়াল অঞ্চলে ছুরি যদি খাই কেন খাব টা জানা দরকার ছিল, , ঃ-))২০০৪ নাগাদ, সেকেন্ড এডিশন। বই টা পুরষ্কার ও পেয়েছিল, প্রচুর রিসার্চ ইউকে, ইউরোপ, আমেরিকার এক্সট্রিম রাইট উইং গ্রুপ গুলো নিয়ে। এই গুলো খুব একসাইটিং বই হয়, ফিল্ম হয়, অনেকটা ক্রিস্টোফার জাফ্রেলট এর আর এস এস নিয়ে , বই গুলো নিয়ে সিনেমা বানালে যেমন হবে সেরকম, ড্রামাটাইজ্ড habe, বা মধ্যপ্রাচ্যের মহিলা সুইসাইড বোম্বার দের নিয়ে বইগুলোর মত, কিংবা সেই যে চ্যানেল ফোর এর প্রোভোকেটিভ লাস্ট হোয়াইট গার্ল বলে একটা বারনলি অঞ্চলের মেয়ের কথা, পাকিস্তানি পাড়ার সাদা মেয়ে, কুরান এর কলমা মুখস্থ বলছে বলে কিরকম ফ্রি তে পাকিস্তানি দোকানে ফিশ অ্যান্ড চিপস পাছে (আসল উদ্দেশয় কন্ট্রোভার্সি তৈরী করা, ওদিকে দেখানো হহ্চ্ছে ভীষণ মানবতাবোধ ) , কিন্তু ঐ আর কি উত্তেজনাটা কেন সেটা বোঝা যায় না, কার কার উত্তেজনা হয়েছে, বা হয়েছিল একটা পিরিয়ডে বোঝা যায় না :-))))) পবিত্র ঘৃণার কোন কেন নেই, প্রায় হরলিক্স এর মত এমনি এমনি।
বাধা ভোট ব্যাংক কারোর থাকাই ভালো না।
লাউডেস্ট ভয়েস দেখে নিন - আমাজন প্রাইমে ফ্রি। ফক্স নিউজ কি করে আজও নাম্বার ওয়ান টিভি নেটোয়ার্ক। ট্রাম্প কি o কেন? হার্ট্ল্যান্ড আমেরিকা না বুঝলে ট্রাম্প ইত্যাদি কিছুই বোঝা যাবে না।
২০১০ সালের প্রফেসি।
our anemic democracy.
“It is very similar to late Weimar Germany,” Chomsky told me when I called him at his office in Cambridge, Mass. “The parallels are striking. There was also tremendous disillusionment with the parliamentary system. The most striking fact about Weimar was not that the Nazis managed to destroy the Social Democrats and the Communists but that the traditional parties, the Conservative and Liberal parties, were hated and disappeared. It left a vacuum which the Nazis very cleverly and intelligently managed to take over.”
“The United States is extremely lucky that no honest, charismatic figure has arisen,” Chomsky went on. “Every charismatic figure is such an obvious crook that he destroys himself, like McCarthy or Nixon or the evangelist preachers. If somebody comes along who is charismatic and honest this country is in real trouble because of the frustration, disillusionment, the justified anger and the absence of any coherent response. What are people supposed to think if someone says ‘I have got an answer, we have an enemy’? There it was the Jews. Here it will be the illegal immigrants and the blacks. We will be told that white males are a persecuted minority. We will be told we have to defend ourselves and the honor of the nation. Military force will be exalted. People will be beaten up. This could become an overwhelming force. And if it happens it will be more dangerous than Germany. The United States is the world power. Germany was powerful but had more powerful antagonists. I don’t think all this is very far away. If the polls are accurate it is not the Republicans but the right-wing Republicans, the crazed Republicans, who will sweep the next election.”
দেখুন ভালো করে তো জানি না, কিন্তু করনেল ওয়েস্ট চেষ্টা করেছেন অথচ হয় নি। সাউথে চার্চ আর ফ্যামিলি নেটওয়ার্ক এর সামনে প্রফেসর দাঁড়াতে পারেন নি। কারণ ওটাই একটু বয়স্ক কালোদের পাড়ার রিহ্যাব নেটওয়ার্ক। ওনার দুটো মেন কন্ট্রিবিউশন, উনি সিভিল রাইটস এর স্থানীয় ইতিহাস টাকে প্রতিটা র্যালি তে তুলে ধরতেন, সে যেখানেই হোক, নর্থ বা সাউথ, আর আরেকটা হল ক্যাপিটালিজম এর ক্রিটিক এবং হোয়াইট হেজেমনির চিহ্ন গুলোর ক্রিটিক কে এক জায়্গায় আনার একটা প্রচেষ্টা করতেন। হয় নি, সব সময় সব হয় না। আর কর্নেল ওয়েস্ট নিন টার্নার খুব পাওয়ার ফুল স্পিকার কিন্তু সাউথের বড় কালো পলিটিক্স এর নেতাদের সঙ্গে ডিলে যেতে পারেন নি, তাদের সংগে ক্লিন্টন দের সময়, বাইডেন, ওবামা দের সময় অনেক্দিন এর রিলেশনশিপ। এটা অনেকটা মালদা মুর্শিদাবাদ এর লোকের গনিখানের কোতোয়ালি র ফ্যামিলির সংগে সম্পর্কের মত :-)))) ইমোশনাল, ইরেশনাল, ফুল অফ লাভ, এটা আমরা বাইরে থেকে বুঝবো না। এছাড়া কোন ব্যাখ্য পাই নি। একটা হিস্টোরিক ফ্যাক্ট আছে, রুজভেল্টের নিউ ডিলের যে মডেল, যেটা বার্নিরা রিভাইভ করেন, বার বার কোট করতেন, এ ও সি, গ্রীন নিউ ডিল নাম ই দিয়েছেন নিজের প্রস্তাবের, রুজভেল্টের সেই মডেলে তো ডোমেস্টিক্ক আর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার রা (মানে সাউথের কালো raa) পড়ে নি, ১৯৩৭ এ। দ্যাট ওয়াজ টেডি'স কম্প্রোমাইজ উইথ হোয়াট সুপ্রিমেসিস্ট সাউথ। এক অংশের কালো ইয়াং আকাডেমিক দের বক্তব্য হল, এই ইতিহাস থাকায়, বার্নি ক্ষমতায় এলেও, সেনেটে বড় করে সোশাল সিকিউরিটি বাড়াতে পারবে না কালো দের জন্য, এরকম একটা ধারণা বাইডেন এর লয়ালিস্ট রা বলেচিল, বা লোকে বুজেছিল। সেটা অংকের হিসেবে মিথ্যা না, ওবামাকেয়ার এর ই শেষ ফর্ম যেটা পাস হয় , সেটা তো প্রথম ড্রাফ্ট er থেকে অনেক দূরে।
আর একটা অনুরোধ, কোট করলে গোটা টা করবেন।
কারো বাধা ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে মাইনোরিটি দের গুনলে
সেটারও হিসাব লাগতে পারে যদি উভয় দল মাইনোরিটি দের সাথে একই আচরণ করে
এটার অনুচ্চারণ টা কালোদের কাছে লুকোনো না, তাই বার্নি অসাধারণ আলাদা ব্যতিক্রম হওয়া সত্তএও, কালো রা প্র্যাকটিকালি বার্নি কে ট্রাস্ট ই করতে পারে নি।
সাদা কালো বাচ্চা লিবেরাল কারোর কাজ টাই সোজা
আমি ভাবছিলাম লোকে cornel west কে বিশ্বাস করছে না কেনো
আমার মনে হয়েছে এই একদিকে বার্ণী-ওয়ারেণ-এওসির রাইজ আর অন্যদিকে ব্যানন-্ট্রাম্পের রাইজ আসলে ইরাক যুদ্ধ আর তদ্পরবর্তি ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের ফলাফল। ঐসময় একইসঙ্গে অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট আর টি পার্টি মুভমেন্ট হয়। অকুপাই মুভেমেন্টে গ্রেট রিসেশানের জন্য ওয়াল স্ট্রীট, বিগ ক্যাপিটালকে দোষারোপ করা হয়। আর সেটাকে কাউন্টার করতেই টি পার্টি মুভমেন্ট আসে যেখানে বলা হয় যে সরকার বেশি ট্যাক্স নিয়ে মাইনরিটিদের দিয়ে দিচ্ছে, যার জন্য এই রিসেশান। ২০১০এর ইলেকশান ডেমরা হারে এই টি পার্টির জন্যই।
এছাড়াও বহু ফ্যাক্টর আছে। ৮ বছর ধরে ওবামার প্রেসিডেন্সি অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। ফক্স নিউজ একটা বড় রোল প্লে করেছে। স্যন হানিটি ওয়াজ জাস্ট আ পার্ট অব ফক্স নিউজ। আমিও একসময় বিল ওরাইলির অ্যানালিসিস শুনতাম। যদিও আমার মতে ভুল অ্যানালিসিস - তবুও সেটাকে অ্যানালিসিস বলা যায়। ওবামার সেকেন্ড টার্মের সময় থেকেই এইসব পরিবর্তন হতে থাকে। অ্যানালিসিসের বদলে অ্যাজেন্ডা জায়্গা পেতে থাকে। নিউজের বদলে কনস্পিরেসি। ফলে লোকে আসল খবর আর শুনতেই পারছিলনা। ফক্স নিউজ শুধু ভয় দেখিয়ে গেছে। কখনও বেশি ট্যাক্স, কখনও ওবামাকেয়ার, ক্যারাভান, এখন অ্যান্টিফা। তাছাড়া রাইট উইঙ্গ মিডিয়াতে প্রচুর কম্পিটিশান। সেখানে যত রেসিস্ট আর একস্ট্রিম হবে, তত ভিউয়ারশিপ। তার কুফল দেখাই যাচ্ছে। ফক্স নিউজ বহু লোককে পার্জ করেছে কারণ দে ওয়ার নট একস্ট্রিম অ্যান্ড ক্রেজি এনাফ।
আরেকটা কারণ আছে। ইরাক যুদ্ধে আমেরিকার নাস্তানাবুদ হওয়ার বিশাল কনসিকুয়েন্স আছে। ফর অবভিয়াস রিজন এটা আমেরিকাতে কেউ আলোচনা করেনা বটে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে যে এইযে আমেরিকার হঠাত আইসোলেশানিস্ট হয়ে ওঠা, এটা হয়েছে ইরাক যুদ্ধের জন্য (অন্তত ক্যাটালিস্টের কাজ করেছে)। অনেকেরই মনে হয়েছে (বা বোঝানো হয়েছে) যে ইন্টারন্যাশনালিস্ট হয়ে তাদের কোনও লাভ হচ্ছেনা। একগাদা কাজ চলে যাচ্ছে, একগাদা ইমিগ্র্যান্টরা আসছে, কিন্তু লাভের ফল তারা চোখেও দেখতে পারছেনা। ফলে ট্রাম্পই তাদের সলিউশান মনে হয়েছে।
হোয়াইট সুপ্রিমেসিস্ট মিলিশিয়া (অন্যান্য দেশে এদেরকে ডোমেস্টিক টেররিস্ট বলা হয়) আমেরিকার বড় সমস্যা হতে চলেছে। ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই এদের প্রকোপ বাড়ে। ন্যাচারালি। ট্রাম্প আসাতে এরা জল হাওয়া পেয়েছে। ট্রাম্প আরো চারবছর থেকে গেলে এদের দৌরাত্ব্য আরো বাড়বে। যেটা আমেরিকার কারোর জন্যই সুখবর নয়। আসলে খুবই অপদার্থ লোকজন। ডিপ্লোরেবলস। সারাদিন ধরে হাবিজাবি কনস্পিরেসি থিয়োরী কনজিউম করে। নিজেদের অকর্মণ্যতার জন্য মাইনরিটিদের দোষারোপ করে যায়। অনেকেই সরকারের বদান্যতায় দিন কাটায়, কিন্তু সরকারকে দুচক্ষে দেখতে পারেনা। হোয়াইট সুপ্রিমেসি আর গান ঔনারশিপ ছাড়া এদেরকে কেউ পাত্তাও দিতনা। ট্রাম্প ইলেকশান হারলে কি হবে বলা মুশকিল। আবার হয়ত গর্তে ঢুকে পড়বে। বা ট্রাম্প কেন হেরেছে বলে সিভিল ওয়ারে নামবে। তবে এরা এমনিতে খুবই কাওয়ার্ড, ফলে খুব বেশি সাহস করবে বলে মনে হয়না। এবারের বিএলেম মুভমেন্টের সময় এদের সঙ্গে পুলিশের দোস্তি দেখে বেশ চিন্তা হয়।
আমার মনে হয়েছে এই একদিকে বার্ণী-ওয়ারেণ-এওসির রাইজ আর অন্যদিকে ব্যানন-্ট্রাম্পের রাইজ আসলে ইরাক যুদ্ধ আর তদ্পরবর্তি ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের ফলাফল। ঐসময় একইসঙ্গে অকুপাই ওয়াল স্ট্রীট আর টি পার্টি মুভমেন্ট হয়। অকুপাই মুভেমেন্টে গ্রেট রিসেশানের জন্য ওয়াল স্ট্রীট, বিগ ক্যাপিটালকে দোষারোপ করা হয়। আর সেটাকে কাউন্টার করতেই টি পার্টি মুভমেন্ট আসে যেখানে বলা হয় যে সরকার বেশি ট্যাক্স নিয়ে মাইনরিটিদের দিয়ে দিচ্ছে, যার জন্য এই রিসেশান। ২০১০এর ইলেকশান ডেমরা হারে এই টি পার্টির জন্যই।
এছাড়াও বহু ফ্যাক্টর আছে। ৮ বছর ধরে ওবামার প্রেসিডেন্সি অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। ফক্স নিউজ একটা বড় রোল প্লে করেছে। স্যন হানিটি ওয়াজ জাস্ট আ পার্ট অব ফক্স নিউজ। আমিও একসময় বিল ওরাইলির অ্যানালিসিস শুনতাম। যদিও আমার মতে ভুল অ্যানালিসিস - তবুও সেটাকে অ্যানালিসিস বলা যায়। ওবামার সেকেন্ড টার্মের সময় থেকেই এইসব পরিবর্তন হতে থাকে। অ্যানালিসিসের বদলে অ্যাজেন্ডা জায়্গা পেতে থাকে। নিউজের বদলে কনস্পিরেসি। ফলে লোকে আসল খবর আর শুনতেই পারছিলনা। ফক্স নিউজ শুধু ভয় দেখিয়ে গেছে। কখনও বেশি ট্যাক্স, কখনও ওবামাকেয়ার, ক্যারাভান, এখন অ্যান্টিফা। তাছাড়া রাইট উইঙ্গ মিডিয়াতে প্রচুর কম্পিটিশান। সেখানে যত রেসিস্ট আর একস্ট্রিম হবে, তত ভিউয়ারশিপ। তার কুফল দেখাই যাচ্ছে। ফক্স নিউজ বহু লোককে পার্জ করেছে কারণ দে ওয়ার নট একস্ট্রিম অ্যান্ড ক্রেজি এনাফ।
আরেকটা কারণ আছে। ইরাক যুদ্ধে আমেরিকার নাস্তানাবুদ হওয়ার বিশাল কনসিকুয়েন্স আছে। ফর অবভিয়াস রিজন এটা আমেরিকাতে কেউ আলোচনা করেনা বটে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে যে এইযে আমেরিকার হঠাত আইসোলেশানিস্ট হয়ে ওঠা, এটা হয়েছে ইরাক যুদ্ধের জন্য (অন্তত ক্যাটালিস্টের কাজ করেছে)। অনেকেরই মনে হয়েছে (বা বোঝানো হয়েছে) যে ইন্টারন্যাশনালিস্ট হয়ে তাদের কোনও লাভ হচ্ছেনা। একগাদা কাজ চলে যাচ্ছে, একগাদা ইমিগ্র্যান্টরা আসছে, কিন্তু লাভের ফল তারা চোখেও দেখতে পারছেনা। ফলে ট্রাম্পই তাদের সলিউশান মনে হয়েছে।
ইরাক যুদ্ধের জন্য দায়ী অনেকেই। গাঁ উজার হয়ে যাবে। তবে এটা সত্যি যে ট্রাম্পভক্তরা বেশিরভাগই ইরাক যুদ্ধের সমর্থক ছিল। এখন সবাই নেকা নেকা কথা বলে বটে। আমেরিকা তখন যে এক্সপেক্টেশান নিয়ে ইরাকে গেছিল, সেসব কিছু হয়নি। একগাদা খরচ হয়েছে, প্রচুর জীবন গেছে, মাথার উপর দেনার বোঝা চেপেছে। অথচ এক ফোঁটা তেলও আসেনি। গ্লোবালাইজেশনের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই ব্যাপার।
আসলে এই ইরাক যুদ্ধ আর গ্লোবালাইজেশন দুটোরই মাখনটা খেয়ে গেছে বড় ক্যাপিটালরা। ডিফেন্স কন্ট্রাকটাররা আর বড় কর্পোরেশনারে মাধ্যমে। সাফার করেছে সাধারণ লোক। যাদের চাকরি গেছে, যাদের জীবন গেছে। কিন্তু ব্লেমটা ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছে। ইসলামোফোবিয়া আর অ্যান্টাইইমিগ্রান্ট সেন্টিমেন্ট বেড়েছে।
"এই হিলিবিলি ন্যারেটিভ টার সমস্যা হল, ম্যানুফাকচারিং স্বর্ণযুগে, রেসীজম, আ্যন্টি ইমিগ্রেশন পলিটিক্স কেন ছিল তার ব্যাখ্যা নাই।"
হ্যাঁ সেতো বটেই। ভেতর ভেতর এইসব সেন্টিমেন্ট ছিলই। কিন্তু এটাও সত্যি যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমছিল। মেইনস্ট্রিম পলিটিক্সে এদের জায়্গা ছিল না। ফ্রিন্জ এলিমেন্ট হিসাবে থেকে যাচ্ছিল আর ডিজেনফ্রেন্চাইজড হচ্ছিল। অন্তত স্পষ্ট করে এসব কেউ বলতো না। এই সুযোগটাই ট্রাম্প নিয়েছে। রেসিজম, বাইগট্রিকে আবার মেইনস্ট্রিমে নিয়ে এসেছে। রিপাব্লিকানরা গুটি সাজিয়েই রেখেছিল। ট্রাম্প এসে মেক আমেরিকার হেট এগেইন ক্যাম্পেইন চালাতে পারলো সফলভাবে
সেতো বটেই, বাইডেন এর রেকর্ড ই তো ডুবিয়াস। সেটা তো হ্যারিস ই এক্সপোজ করেছিল। এখন ডিল করে নিয়েছে। কেনেডির সময়ে এই সুইচ টা হয়েছে। তার আগে তো রিপাবলিকান পার্টি ওয়াজ দ্য প্রোগ্রেসিভ পার্টি। লিংকন , রুজভেল্ট দুজনেই তো রিপাবলিকান। ভেবে দেখো না, বার্নির যেটা রুরাল হোয়াইট ভোট, সেটা তো মেনলি নিউ ইয়র্কে কালো রা আলাবামা থেকে টেনেসি থেকে যখন নিউ ইয়র্কে এসেছে, তখন পালিয়ে এসেছে, ভারমন্ট, কানেকটিকট, নিউ হ্যামপশায়ার , সাউথ ম্যাসআচুসেট্স এ। সুতরাং ইতিহাস কারো র পক্ষেই খুব আরামের না। কিন্তু বার্নির যেটা আছে, পার্সোনালি এবং ওনার পরিবারে, ও জেউইশ লিবেরালিজম এর যেটা ধারা সেটা রেখেছেন, অথচ ধর হ্যারল্ড ব্লুম দের মত অকারণ ইউরোপিয়ান ক্যানন এর ডিফেন্ডার জেউইশ এলিট সাহিত্য প্রফেসর হয়ে যান নি, বিশের দশকের পোলিটিকাল জিওনিজম বা অর্থডক্সি কোনোটার দ্বারাই প্রভাবিত হন নি। সাহিত্য প্রোফেসর হতেই পারতেন, র্যাঁবোর কবিতার বই হাতে করে ডেমো তে শুয়ে আছেন, সেসব ছবিও আছে শিকাগো ইউনি তে পড়ার সময়।
কালোরা নানা সময়ে নর্থে আর ওয়েস্টে পালিয়েছে। প্লান্টেশন গুলো থেকে, দুটো মেজর , একটা বড় মাইগ্রেশন ডেট্রয়েট এর ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এর সময়ে। আরেকটা আরেকটু পরে, ১৯৫০ er দশক থেকে, রাল্ফ এলিসন এর ইন্ভিসিবল উপন্যাসটা এই দ্বিতীয় সময় টা নিয়ে। আমি যে ভাষাবন্ধনের যে প্রবন্ধটা এই খানে গুরুতে রিপ্রিন্ট করার অনুমতি পেয়েছিলাম এবং করেছিলাম, তাতে এটা বলেছি। নানা এসোটেরিক আজে বাজে বিষয়ে আমি গুরুতে নানা কথা বলেছি ঃ-)))))))দীর্ঘ ভাট :-))))
ভারমন্ট ইত্যাদি ছোটো স্টেটে, যে স্জ্যান্ডিনেভিয়ান মডেলের ডেমোক্রাটিক প্র্যাক্টিস দেখা যায়, যেটা ধরো ওদের ককাস ইত্যাদির মধ্যে খানিকটা রয়েছে, সেটা কিন্তু এক্সক্লুসিভলি সাদা গল্প, ডেমোগ্রাফিক হিমোজিনিটি টা হল ডেমোক্রাটিক ইনক্লুশনের এর অনুচ্চারিত পূর্ব শর্ত। এটার অনুচ্চারণ টা কালোদের কাছে লুকোনো না, তাই বার্নি অসাধারণ আলাদা ব্যতিক্রম হওয়া সত্তএও, কালো রা প্র্যাকটিকালি বার্নি কে ট্রাস্ট ই করতে পারে নি।
সাদা কালো বাচ্চা লিবেরাল কারোর কাজ টাই সোজা না।
আমেরিকায় রেসিজিম নিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির ট্র্যাক রেকর্ড ও খুব একটা সুবিধের নয়।
১৯৬৪ সালের ঐতিহাসিক সিভিল রাইটস অ্যাক্ট এর কথাই যদি ধরা যায়, যেভাবে সাদার্ন স্টেটের ডেমোক্র্যাটরা এই অ্যাক্টের বিরোধিতা করেছিলেন সেটা অভাবনীয়।
চলে যাওয়া যাক, ১৯৬৪-র মার্চে। সেনেটে সিভিল রাইটস অ্যাক্ট পাশ হবে কি না তাই নিয়ে ডিবেট শুরু হয়েছে। সেই ডিবেট দেখতে এসেছেন, মার্টিন লুথার কিং, ম্যালকম এক্স এবং অন্যান্যরা। এটি ছিল আমেরিকায় রেসিজিম এবং ডিসক্রিমিনেশনের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক আইন ... a landmark civil rights and labor law in the United States that outlaws discrimination based on race, color, religion, sex, national origin, and later sexual orientation... ইত্যাদি ... এবং euqal opportunity employment ... এই কনসেপ্টের শুরু ইত্যাদি।
এর আগের মাসে (ফ্রেব্রুয়ারী) কংগ্রেসে হাউসে বিল পাশ হয়ে গেছে। তাতে রেজাল্ট হয়েছিল ২৯০ (পক্ষে) -১৩০(বিপক্ষে)। এর পর সেনেটে যাবে ভোটের জন্য। তার আগে যেমন ডিবেট হয় এই সব। তো, হাউসে ডেমোক্র্যাটদের ৬১% বিলের পক্ষে ভোট দেন, এবং ৩৯% বিপরীতে। যেখানে, রিপাবলিকানদের ৮০% বিলের পক্ষে ভোট দেন, ২০% বিপরীতে। অর্থাৎ, বেশির ভাগ রিপাবলিকান বিলের পক্ষে ভোট দেন। যদিও তখন হাউসে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা ছিল বেশি, সেনেটেও তাই - তাই মোট ভোটের হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের ভোট বেশি।
যাই হোক, এর মধ্যে ঝামেলা পাকালো সাদার্ন স্টেট গুলো, সাদার্ন স্টেটের ১৮ জন ডেমোক্র্যাট সেনেটর এবং ১ জন রিপাবলিকান সেনেটর প্রচন্ড বেঁকে বসলেন, এক্কেবারে কোমর বেঁধে বিলের বিরোধীতা শুরু করলেন, ফিলিবাস্টার (filibuster) (এর ডিটেইলস ইউকি থেকে দেখে নিন) শুরু করেন। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, জর্জিয়ার ডেমোক্রেটিক সেনেটর রিচার্ড রাসেল, যিনি বলেছিলেন - "We will resist to the bitter end any measure or any movement which would have a tendency to bring about social equality and intermingling and amalgamation of the races in our (Southern) states" --- তাহলেই ভাবুন, বেশিদিন না, বছর ৫০-৬০ আগে একজন ডেমোক্রেটিক পার্টির সেনেটর একথা বলেছেন। ইনি দীর্ঘ ৪০ বছর ডেমোক্রেটিক পার্টির সেনেটর ছিলেন। এই ১৯ জন সেনেটর প্রায় ৫৪ দিন ধরে একটানা নানারকম যুক্তি দিয়ে এই অ্যাক্টের বিরোধীতা (ফিলিবাস্টার) করেন।
যাই হোক এর পরে সেনেটেও ভোটে জিতে এই অ্যাক্ট পাশ হয়। সেখানেও রিপাবলিকানদের ৮০% বিলের পক্ষে সায় দেন, কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের ৬৯% পক্ষে ভোট দেন।
সিভিল রাইটস মুভমেন্টের পরবর্তী গত ৫০-৫৫ বছরে অবশ্যই অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু যখন সাদা ডেমোক্র্যাটরা দাবি করেন তারা রেসিস্ট নন কারণ তারা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির, সেটা শুনে অনেক কালো লোক এখনও একটু ভ্রূ কোঁচকান।
সাটল ভাবে যেটা বলা যায়, পরিযায়ী শ্রমিক সম্পর্কে কোনো ডেটা কেন্দ্রের কাছে নেই। রিয়েল এস্টেটে একটা আনুইটি স্কিম হয়েছিল , সেটাতে খুব বড় রিয়ালটর দের , বড় লেবার কনট্রাকটর দের কিছু ডেটাবেস আছে, তার সংগে রিয়াল ইমিগ্রেশন এর স্কেলের কোন সম্পর্ক নেই। তার সংগে জন ধন আকাউন্টের লিংকিং, হোম স্টেটের কোয়ারান্টাইন করার ডেটা, আধার এর অথেন্টিকেশন এর ব্যাপারটা সফটওয়ার প্রোজেক্ট হিসেবে এতটাই একসাইটিং যে সেটা আশ্চর্য্য বিনীত ও তদুপরি সাটল কেন্দ্রীয় সরকার নাও করতে পারে। ঐ কিছু জনধনের পেমেন্ট হবে হয়্তো। আমার কোনো ভালো রকম কাজের আশা এখনকার সরকার গুলির কাছে নেই, আমার আগেই আমার আশা মারা গেছে বললে সাটল দূরস্থান, যাত্রার মত শোনায় কিন্তু বিষয়্টা আপাতত তাই।
এটা মনে হচ্ছে ভালো খবর। কিন্তু ইনফর্মাল সেক্টরের এই সব পরিযায়ী শ্রমিকরা কিছু পাবেন?
*** পপে্লেস করা খুবই সোজা
নব্ব ই দশকের পরের 'ভালো' লোকেরা যারা একাধারে ট্রাম্প বিরোধী এবং মোদী সাপোর্টার , তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি টা প্রলেপ করা খুবই সোজা, হিস্টরি অফ আইডিয়াজ সম্পর্কে আন্দাজ থাকলে। আমেরিকা ইমিগ্রান্ট এর তৈরি দেশ বলে , সিভিল্যরাইটস এর ঘটনা ষাটের দশকেই ঘটে গেছে বলে, সেরা লিবেরাল অংশ গুলি তেও আইডৈন্টিটি পলিটিক্স এর বাড়বাড়ন্ত এবং এভরিবডি ব্রিঙস দেয়ার এক্সপেরিয়েন্স আন্ড ট্রাডিশন ইত্যাদি মডেলে সমস্যা হল, কেউ ই নিজের এক্সপেরিয়েন্স এর মধ্যে অধিকাংশ সময়েই সহজপাচ্য বা অলরেডি আর্টিকুলেটেড ন্যারেটিভ বেছে নেয় , একটা ইনসুলারিটি তার মধ্যে থেকে যায়। ইউনাইটেড কালার্স অফ বেনেটন আর ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ এর মধ্যে আর্টিকুলেটেড হ ওয়া আন্তর্জাতিকতার তো পার্থক্য আছে::--))))
"এই হিলিবিলি ন্যারেটিভ টার সমস্যা হল, ম্যানুফাকচারিং স্বর্ণযুগে, রেসীজম, আ্যন্টি ইমিগ্রেশন পলিটিক্স কেন ছিল তার ব্যাখ্যা নাই।"
হ্যাঁ সেতো বটেই। ভেতর ভেতর এইসব সেন্টিমেন্ট ছিলই। কিন্তু এটাও সত্যি যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা কমছিল। মেইনস্ট্রিম পলিটিক্সে এদের জায়্গা ছিল না। ফ্রিন্জ এলিমেন্ট হিসাবে থেকে যাচ্ছিল আর ডিজেনফ্রেন্চাইজড হচ্ছিল। অন্তত স্পষ্ট করে এসব কেউ বলতো না। এই সুযোগটাই ট্রাম্প নিয়েছে। রেসিজম, বাইগট্রিকে আবার মেইনস্ট্রিমে নিয়ে এসেছে। রিপাব্লিকানরা গুটি সাজিয়েই রেখেছিল। ট্রাম্প এসে মেক আমেরিকার হেট এগেইন ক্যাম্পেইন চালাতে পারলো সফলভাবে।
হ্যাঁ এখনকার নতুন প্র্যাগমাটিক পেসিফিজমের নতুন অর্থ হল শ্যাডো মিলিশিয়া আর ড্রোন। :----))))))) ফরেন পলিসি বলে যে দামী বিখ্যাত পত্রিকা টি আছে তাতে এসব বহুদিন ধরে লেখা হয়:-)))) শুয়ারে ভরে গিয়েছে পেয়ালা।