এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আচ্ছা | 2405:8100:8000:5ca1::f1:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৯:০৮462746
  • এই কল্পবিশ্ব এত স্প্যাম করে কেন? একবার ভাটে চিপকাবে আবার টইয়ে চিপকাবে।

  • Kalpabiswa | 49.207.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৮:৫০462745
  • Kalpabiswa | 49.207.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৮:৪৮462744
  • এবারে কল্পবিশ্বে থাকছে ৬০টির উপর কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি জনরার উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ ও অন্যান্য লেখা।


    শারদীয়া কল্পবিশ্বের ইবুকের জন্য প্রিবুকিং শুরু হল। প্রিবুকিং চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ইবুক প্রকাশিত হবে ২০ অক্টোবর। আর ২২ অক্টোবর কল্পবিশ্ব ওয়েবসাইটে শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশিত হবে।


    আশা করি বছরের সেরা কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসির সঙ্গে আপনার পুজো ভালো কাটবে।


    প্রিবুকিং লিঙ্কঃ https://bit.ly/3jR9pYm

  • b | 14.139.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৮:২৫462743
  • খেরোর খাতা কি আদতে MJAL?


    "

    আঁধারের প্রার্থনা চারদিকে বাজছে মৃত্যুর হিরণ্ময় জয়। বিজ্ঞান জোর করে বাঁচাতে চাইছে আমাদের। লাশঘরে অবহেলায় পড়ে লাট খাচ্ছে আমাদের যত্নে সাজানো বন্দিশ। এ কার ছুঁড়ে দেওয়া অস্ত্র, যা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে সকল অহংকার।জি ডি পি কমে যাচ্ছে হু হু করে। বেকার সংখ্যা ছাপিয়ে যাচ্ছে দৈনিক জন্মহারকে। এ পৃথিবীতে গভীর হতাশায় ডুবে যাওয়া    মানুষ মানুষীর দল আনন্দ খুঁজে নিতে হাত  বাড়াচ্ছে শীৎকারের দিকে, তাদেরকে কি ক্ষমা করবে ধরণীর নবজাতকেরা। বন্ধ স্কুলের ভুতুড়ে ঘন্টা বাজছে, ঝাঁপিয়ে পড়ছে তাতে হাহাকারের মতো স্তব্ধতা। পোশাক বিক্রি হোক, চাইছে আমাদের অর্থনীতি, নতুন পোশাকের নীচে বয়ে চলা সকল আদিমতা একই রকম আছে, যেন ছদ্মবেশী জাতকের গল্প। এই সময় মহানির্বাণের পথে যাক । বস্তুচিন্তা  থেকে সরে গিয়ে আত্মচিন্তায় মগ্ন হয়ে যাক মানুষ। ক্ষুধা ভুলে সে কি হাতে    তুলে নেবে খোল  করতাল। শবের  মিছিলে ছড়াবে ব্যথাতুর আধ্যাত্মিকতা, এভাবে কি সত্যিই বুকের পাঁজর থেকে উড়ে যায় মোহ, বেঁচে থাকার অদৃশ্য বিশ্বাস "

  • π | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৮:১১462742
  • ধুর। অর্ধেক এলোনা

  • π | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৮:১০462741
  • খুব আর্লি একশন একটা বড় কি পয়েন্ট

  • π | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৮:০৯462740
  • https://www.thelancet.com/journals/laninf/article/PIIS1473-3099(20)30800-8/fulltext


    *China's successful control of COVID-19* Published:October 08, 2020


    As of Oct 4, 2020, China had confirmed *90 604 cases of COVID-19 and 4739 deaths,*‼️ while the USA had registered 7 382 194 cases and 209 382 deaths. The UK has a population 20 times smaller than China, yet it has seen five times as many cases of COVID-19 and almost ten times as many deaths. All of which raises the question: *how has China managed to wrest control of its pandemic*


    Despite being the first place to be hit by COVID-19, China was well-placed to tackle the disease. 


    Most Chinese adults remember SARS-CoV and the high mortality rate that was associated with it. “ *The society was very alert as to what can happen in a coronavirus outbreak* ”

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৪২462739
  • চীনের কোন ডেটার কোন গুরুত্ত্ব আছে কিনা বিশাল সন্দেহ . আর অমন বোগাস দেশের সংগে সম্পর্ক না রাখাই ভালো। সালা আমাদের জালি গভমেন্ট তো লাদাখ টা ওদের দিয়েই দিল। অসহ্য। 


    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত 

  • Somnath Roy | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৭:২৩462738
  • জনবহুলতা স্বত্তেও কভিড সংক্রমণ সবচেয়ে সাক্সেসফুলি ডিল করেছে চিন। আপাতত চিনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে, সেই রাস্তায় না হাঁটার পথ এনশিওর করছে ভারত।

  • অরিন | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪৭462737
  • বারোয়ারি ওয়েবসাইট খুলে সিগনেচার সলিসিট করছে, জালি নাম না থাকার কারণ নেই । এমনিতেও এসব প্রস্তাব হাবিজাবি, সেনসেশন তৈরির চেষ্টা মনে হয় । 

  • b | 14.139.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪০462736
  • বেশ, বেশ 

  • রমিত | 202.142.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৩৩462735
  • চলুন নরম রোদ্দুর মাখা নস্টালজিক বিকেল থেকে একটু ঘুরে আসি ...


    বন্ধু তোমায়, চন্দ্রবিন্দু



    ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।.. 

  • | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৩১462734
  • বি কি আছেন? বলার ছিল যে লেথাল হোয়াইটের চেয়ে ট্রাবলড ব্লাড বেটার লেগেছে। আমারও, ব্ল্যাংকিরও । লেথাল হোয়াইট না শুরু করে থাকলে কাটিয়ে দিতে পারেন। 


    আর এই বইটার খুব প্রশংসা শুনছি, রেকো পাচ্ছি। এই ভদ্রলোকের লেখা নাকি কিছুটা আগাথা ক্রিস্টি ঘরাণার। তো, পড়ি নি,  এই বইটা দিয়েই শুরু করলাম। 


    (এই দুটো  বইয়েরই ইপাব বা মোবি লাগলে বলবেন। ) 


    https://www.theguardian.com/books/2020/oct/02/the-devil-and-dark-water-by-stuart-turton-review?fbclid=IwAR1ajjHkMBJ88btsiQKhxdm-Vi7VW4LFGL3_VGGzummRLBaTjRERidIoKk4

  • সিএস | 103.99.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:২৬462733
  • Barrington declaration- এ তো অনেক জালি নাম আছে । পড়ে মনে হয় পুরোই খোরাক সেগুলো, যেমনঃ

    has been signed by the likes of at least seven Dr Harold Shipmans, Dr Person Fakename, Dr Very Dodgy Doctor, and a Mr Banana Rama

    among the signatures, which are publicly available on the website, are dozens of fake names. These include ‘Professor Ita Rôle Italy Pudding and dessert expert’, ‘Dr Brian Blessed Doctor in Winged Flight, Z-Cars and Booming Laughter’, ‘Dr Johnny Fartpants’ and ‘Professor Notaf Uckingclue’, among others.

    https://www.independent.co.uk/news/uk/home-news/coronavirus-herd-immunity-great-barrington-declaration-scientists-signatures-fake-names-b912778.html



     

  • অরিন | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:২৩462732
  • কতগুলো ব্যাপার এখানে খেয়াল করার মতন । লক ডাউন নিয়ে আপত্তি এই গোষ্ঠীর আগেও ছিল, এখনো আছে, লক ডাউন নিয়ে আপত্তি এদের নতুন কিছু নয় । দীর্ঘ দিন টানা লক ডাউন, বার বার করে লক ডাউন, এতে করে মানুষের সমস্যা হবেই, কিন্তু তার মানে লক ডাউন ব্যাপারটাই বাজে তা কিন্তু নয় । শুধু লক ডাউন করলে কিন্তু কোন লাভ নেই, যতক্ষণ না কন্টাক্ট ট্রেসিং আর টেস্টিং এর ক্ষমতা অনেকটা না বাড়ানো হচ্ছে ।  তাছাড়া লক ডাউন করতে হয় এপিডেমিক এর গতি প্রকৃতি বিচার করে, Re  (R০ নয়!) দেখে ।  


    বার বার এক কথা বলতে ইচ্ছে করে না, তাও  বলা উচিত, নিউ জিল্যান্ডে আমরা দ্বিতীয় দফার কেসগুলোকেও নির্মূল করেছি । পর পর দুবার করোনা ভাইরাস উড়িয়ে দিয়েছি আমরা, কিছুটা তো অভিজ্ঞতা হয়েছে, কিছু তো জানি!


    এখানে কিন্তু আমেরিকা ভারতের মতো পরিস্থিতি হয়নি, আমরা শুধুই বেসিক জনস্বাস্থ্য নির্ভর ব্যবস্থা অবলম্বন করেছি, মাস তিনেক মতো  সব কিছু বন্ধ ছিল, লক ডাউন মানে সর্বাত্মক, তার পরে অঞ্চলভিত্তিক লেভেল অনুযায়ী বন্ধ থেকেছে, খুলেছে, নিয়ন্ত্রিত হয়েছে  । এখন যেমন আমাদের এখানে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক । 


    নিউ জিল্যান্ডের সফল করোনা নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শিখলে আরো অনেক দেশের পক্ষে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হত, বলা বাহুল্য! 

  • π | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫৭462731
  • হ্যাঁ ক'দিন আগেই পড়লাম এনিয়ে।  অন্যান্যদের এই সংক্রান্ত আপত্তির পয়েন্টগুলোও।   


    এটা দেখলাম হু থেকে বলেছে।  ইনি কি ইন্ডিভিজ্যুয়াল ক্যাপাসিটিতে বলেছেন না হু র তরফ থেকেই ?


    তবে যে পরিমাণ চাকরি গেল,দারিদ্র্য বাড়ল , তার জন্অয অপুষ্টি ,  ভ্যাকসিনেশনে বিশাল ড্রপ,অন্য অসুখ বিসুখের অবহেলা সারভেইলান্স চিকিতসা দুইয়েই ,এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব কী পড়বে ,সঃে লাভ ক্ষতির তুল্যমূল্যের হিসাবও খুব দরকার মনে হয়। 

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১২:২১462728
  • খুব ই গোমড়া ও রিজিড ভাবে আশীর্বাদ করি , ছোটো রা বড়, খোকারা ধেড়ে হয়ে উঠুক। 

  • সম্বিৎ | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১১:২৫462727
  • আমি বোধির মানসিক সুস্বাস্থ্য ও সেন্স অফ হিউমার কামনা করলাম।

  • dc | 103.195.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ১১:১৮462726
  • আমিও বোধিদার সুস্বাথ্য ও রিজিডিটি কামনা করলাম। 

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৯:৩৩462725
  • মিঠু , তুমি তো আমাকে শুধুই রিজিড ও মনে করেছ, সুস্বাস্থ্য কামনাও করেছো। এবং কবিতা পাঠ ব্যক্তিগত সেটা স্বীকার করে নিয়ে , আমার ব্যক্তিগত সাহিত্য পাঠের জার্নির সময় কবিতা কি ভাবে পড়েছি, অ্যাপ্রিশিয়েট করার ব্যর্থতা, আপেক্ষিক সাফল্য , একই কবির কাছে ফিরে আসা, ইত্যাদি সম্পর্কে খানিকট ডিটেল দেবার পরেও করেছ। এবং মজাটা হল, একট বিশেষ সময়ের বিশেষ জায়গার কবিতার প্রতি তোমার বায়াস ব্যক্ত করার পরে, নানা দেশের নানা ধরণের আমার কবিতা পড়ার কিছুটা আনকোরা প্রচেষ্টা করার খবর তোমার সংগে শেয়ার করার পরেও আমাকে তোমার কেবলমাত্র রিজিড মনে হয়েছে।  অতএব এর পর থেকে অন্তত এ যাত্রা কবিতা প্রসংগে বলা সমস্ত কথাই, শুধুমাত্র স্বগতোক্তি হিসেবেই বলব।  কনভারসেশনে যাচ্ছি না। তোমার কথ বুঝতে পারছি না, অকারণে একজন কবির কবিতা তোমার ভালো লাগে বলে আর আমার একেবারেই ভালো লাগে না বলে কেন তোমাকে ইরিটেট করব বুঝএ পারছি না :-)))) থ্যাংক ইউ।  ভবিষ্যতে ইমপোলাইট লিটেরারি ক্রিটিসিজম এর ঐতিহ্য হিসেবে, এই লাইন টাইন তুলে, তারাপদ কিংবা নীরেন্দ্রনাথ সম্পর্কে যদি লিখি , ট্যাগ করার পরিকল্পনাও নেই। :-)))) 


    কবিতা সম্পর্কে বেশি আলোচনা করলে কাব্য আর কিছু থাকে না, এই পজিশন টা সবচেয়ে বেশি যাঁরা ভেঙে থাকেন কবিরা নিজেরাই। কারণ তাঁদের একাধারে মূল কষ্ট এবং বিশিষ্টতার অহং এর প্রধান দিক হল, আধুনিকতার সমকালে খুব বেশি মানুষ সমকালে কবিতার কাছে থাকেন না, অথচ মাত্র অল্প কিছুদিন আগে সংগীত ও কাব্য ই মানুষের নিজেকে প্রকাশের মূল স্বীকৃত পদ্ধতি ছিল, গদ্য জিনিসটা র ও একটা অ্যান্টি এস্টাবলিশমেন্ট ছেলেবেলা ছিল :-)))  খুব ইউনিক কিসু না, শিল্পী মাত্রেই এই সব মজার স্ববিরোধিতা থাকে।

  • | 2601:247:4280:d10:30c2:b56a:46e1:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৫৯462724
  • বোধি,কোলকাতায় বড় হয়ে উঠিনি আমি,কোলকাতার লাগোয়া শহরতলি বলতে পারো।জেলাভিত্তিক নামধাম এখন আর সমস্ত মনে নেই, তবে বহু ছেলেমেয়ে ছিলো যারা মন দিয়ে লিটিল ম্যাগজিন বের করতো, তার পিছনে উদ্দেশ্য যাইহোক না কেন সেই সৎ প্রয়াসটুকুকে আমার সম্মান করতে কোনও অসুবিধে হয়না,এখনো।আর মনে রাখতে হবে,তখনো সবটা সর্বব্যাপী বা গ্রাসী কোলকাতা হয়ে ওঠে নি।আমরা কোলকাতা ছিলাম না:-) বহু সাহিত্য পত্রিকা কলকাতাকেন্দ্রিক ছিলো না- কৌরব,অনীক এরা তো জেলার বড় নাম।বইমেলা ছাড়া এদের তেমন দেখা পাওয়া যেত না।পাতিরাম তখনো চিনে উঠিনি। আমি তোমার জেলার কথা জানি না, তবে তুমি তো সংস্কৃতির অন্যরকম পীঠস্হানে থাকতে, কাজেই কিছু পরিচয় তো অবশ্যই ছিলো।


    রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আমার কোনও লজ্জা বা অবস্হানগত লুকোচুরি নেই। যা বিশ্বাস করেছি তার প্রয়োগপদ্ধতি নিয়ে সংশয় থাকতে পারে,কারণ এ বয়সে পৌঁছে মত এবং পথের দর্শন আলাদা করে ভাবায় বৈকি। খলবলে রক্তে ' কৃষকের রক্তে ভেজা গামছা দিয়ে মুছিয়ে দেব সূর্যের মুখ' জাতীয় লাইন উন্মাদনা জাগায়,ওটা ঠিক কবিতা হয়ে উঠেছে বলে এখন আর মনে হয়না। এটা যদি বাম অবস্হান থেকে বিচ্যুতি মনে হয়, তাহলে আমি নাচার। অপরাধবোধ একটা ভারী শব্দ, তাই ওটা বাদ রাখলাম।


    ব্যক্তি আমরা কবিতাকে কী ভাবে দেখবো সেটা তো একেবারেই আলাদা। সেটা আমাদের  নিজস্ব অবস্থানের উপর নির্ভর করবে। আমি লেখাটার( কবিতার) কাছে কী চাই আর কেন চাই।মনীন্দ্রগুপ্তর কাছে আমি যা চাই তা দেবারতি মিত্রর কাছে চাইনা( নামগুলো প্লেসহোল্ডার মাত্র) কবিতা সিংহ তো আজকাল পাওয়া যায়, এখন ছেলেমেয়েরা নতুন করে পড়ার উৎসাহ পাচ্ছে বলে শুনছি।আমার কলেজজীবনে একটিমাত্র শ্রেষ্ঠ কবিতা নামক বই পাওয়া যেত।বেশি না মাত্র ২৫-৩০ বছর আগের কথা।লেজেটিমেসির কথা যদি বলো, তাহলে সেটা কবিতার ধারাবাহিক ইতিহাস এবং তার অভিমুখ কোন কোন জায়গাগুলোকে ছুঁয়ে যাচ্ছে বলে একটা সিরিয়াসচর্চার বিষয় হতে পারে- আমি ঠিক সেই আলোচনার জায়গায় যেতে চাইছি না। কবি ধরে ধরে সে কাজও একসময নিশ্চয়ই হবে।


     পাঠকের হয়ে ওঠার পথটি তার জেন্ডার, পলিটিক্স, যাত্রাপথ ইত্যাদি সবমিলিয়েও একাকী ই। নানাকিছু প্রভাবিত করতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করো,সবাই মিলে একসাথে একটা কবিতার কাটাকুটি করলে তাথেকে একটি বিশ্রি জিনিস গ্যাঁজলার মতো বেরিয়ে আসে।এক বিখ্যাত নারীবাদী মহিলা কবির এমন একটি কবিতাচর্চার আসরে দুদিন যাবার দু:সাহস হয়েছিল ভেবে এখনো শিউর উঠি। কবিতা ঠিক যৌথখামারের ফসল নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। 


    আনন্দ নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।গণশক্তি, সোভিয়েত দেশ এবং নারীর সঙ্গে আনন্দ বাড়িতে একসাথেই আসতে দেখেছি, ফলে ছোটবেলাতেই বোধহয় অ্যালার্জি জন্মাবার সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়ে গিয়ে থাকবে।মনে রাখতে হবে বই ছাড়া অন্য বিনোদন সেসময ছিলো না, মতামত, ভালোমন্দ লাগা তো পরে তৈরী হয়েছে।তাই পাতা উল্টে দেশের কবিতা পড়ে নিতে অসুবিধে হয়নি।আমার প্রিয় কবিদের কয়েকজন অবশ্য সারাজীবন দেশে লেখেন নি বা লিখলেও সে লেখা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি।শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বামপন্থী বাড়িতে মিছিলের দিনে ৫০ টা রুটি বানানোর সঙ্গে পুজোয় লাল কাপড়ে মোড়া স্টলে বাবামাকে বসতে দেখাটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই ঘটেছে।স্টল থেকে কেনা মালাকাইটের ঝাঁপি বা পেন্সিল ও সর্বকর্মার পাশে পুজোসংখ্যার বক্সার রতন পড়তেও অসুবিধে হয় নি।বলতে পারো এভাবে বড় হওয়াকে এখন আমি ভালোচোখেই দেখি।রিজিডিটি অনেকসময় ভালোদিকটাও না দেখতে সাহায্য করে:-) 


    ইনসুলারিটিটা কি ভাবে ব্যাখ্যা করছো জানার ইচ্ছে রইলো।চটচটে আশাবাদ দিয়েই শেষ করি-


    তার ঘর পুড়ে গেছে


    অকাল অনলে ;


     তার মন ভেসে গেছে।


     প্রলয়ের জলে।


     তবু সে এখনো


    মুখ দেখে চমকায়


    এখনো সে মাটি পেলে


     প্রতিমা বানায় 


    এ কবিতাটা নিশ্চয়ই পড়েছো? কবিতাটার নাম 'মানুষ'


    ভালো থেকো:-)

     

  • একক | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৩০462723
  • কমিউনিকেশন গ্যাপ আন্দাজ করে আরেকটু বলে রাখি,  আর্টিস্ট এর যেমন আর্টিস্টিক প্রসেস থাকে,  দর্শক বা পাঠকের রিডিং  প্রসেস থাকবে, এ নিয়ে কিন্তু দ্বিধা  নেই। 


    দ্বিধা হল, ওটা ওয়ান টূ ওয়ান ম্যাপ হওয়া আদৌ জরুরি  কেন। হতেও পারে কোন একজন পাঠকের ওয়ান টু ওয়ান ম্যাপড প্রসেস,  এক্সেপ্টেড,  যী ইস এন্টাইটেল্ড টু। কিন্তু , অমুক লেখকের ডিভাইস আর পাঠকের ডিভাইস কে ওয়ান টু ওয়ান দেখানোর যে প্রস্তাবনা, সেইটে চরম প্রাতিষ্ঠানিক।  মনে হয়। 

  • একক | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৮:০০462722
  • জেডির কথা উঠলে এত একাকীত্ব  প্রসঙ্গ আসে কেন, তা যদি বিশদে লেখেন, পড়তে আগ্রহী। 


    মানে, দাশগুবাবুকে পড়তে গেলে নির্জনতা যদি অবশ্যম্ভাবী হয়,  তবে শক্তি পড়তে লাল জল, কোলরিজে আফিম,  লোরকা পড়তে হোমসেক্সুয়াল এগুলো থাকা  আবশ্যিক মনে হয়।


    জেডির সো কল্ড " নিরজনতা" ওঁর ব্যক্তিগত আর্টিসটিক প্রসেসের অঙ্গ, যেমন পিকাসোর কাছে তুমুল সেক্স।  তাই বলে কী জীবনে অফুরন্ত  নর্মসুখের সাপ্লাই না থাকলে পিকাসোর রসগ্রহন করা যাবে না?  


    প্রসেসের প্রভাব প্রোডাকশন এ পড়ে,  মানতে দ্বিধা নেই,  শুধুই বেহালা শোনা কান হঠাৎ  তারসানাই এপ্রিশিএট করতে ( সাধারণত)  পারে না,  কিন্তু  সেটা যাত্রা শুরুর গল্প। তারপর কিন্তু  প্লাগ এন্ড প্লে হয়ে যায় একসময়,  কারণ মন তখন ওপরের লেভেলের এবস্ট্রাকশন থেকে এক্সেস করে। আমার নিজের, চিরকাল, জেডির সঙ্গে আবশ্যিকরূপে নির্জনতাকে জোড়া,  খানিকটা বিপজ্জনক মনে হয়েচে,  কারণ, বোধ হয়, এই যে, আমি ব্যক্তি ও পরিপার্শ্বের বাইনারিকে ফলস ভাবি,  মানে, ঠিক সর্বৈব ফলস না,  মেটাফরের মত, আছে এবং নেই,  নির্মানে ব্যবহার করো এবং উপলব্ধিতে ছুঁড়ে ফেলে দাও,  এরকম। 

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৭:৩৪462721
  • * ঠিক গদ্যের মতই 


    ** রিপালশন 

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৭:২৮462720
  • আর জীবনানন্দ সম্পর্কে একটা কথা জোড়ার ছিল, সেটা ইছে করেই, পুনশ্চ হিসেবে রাখা। জীবনানন্দ, অসম্ভব বড় একটা ব্যাপার বলেই , অসংখ্য রকম ভাবে পড়া যায়। এবং এটা পৃথিবীর সবচেয়ে ব্লিডিং অবভিয়াস একটি বাক্য। একটা হল, তিরিশের দশকের আধুনিকতা কন্টিনিউয়েশন হিসেবে। যেখানে তিনি শুধু বাঙালি নন। দ্বিতীয়তঃ বাঙালি র ইংরেজি শিক্ষার সেরা ইতিহাস , কাল সচেতন প্রকাশ হিসেবে, সেখানেও তিনি শুধু বাঙালি নন, তৃতীয়তঃ শুধু বাঙালি হিসেবে, আমাদের এখানে দৃশ্য জগতের যা কিছু, সব ই তাঁর কবিতায় জায়গা পাচ্ছে ব পেতে পারে, আরেকটা বামপন্থী দের পছন্দের ১৯৪৬-৪৭ er কবি হিসেবে, যেখানে তাংকে আর শুধুই আত্মমগ্ন বলা যাচ্ছে না। আরেকটা হল, রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা ভাষা কে নিরীক্ষার আধার করে তোলায় তাঁর যে অবদান সে দিক থেকে। আমি এর মধ্যে একেক সময়ে একেক টা পদ্ধতি বেছে নিয়েছি। বুঝতেই পারছ, আমার জীবৎকালের কবিদের আমি বেশি পড়ি নি, একেবারেই কলকেতে বইমেলার জগত টিতে যখন যাকে পছন্দ হল সেটা ছাড়া। কিন্তু চেষ্টা করেছি, জীবনানন্দ পাঠ কে একটা আমার জীবনের যেটা দৈনন্দিন কখনো তার ভেতরে এনে কখনো তার বাইরে রেখে পড়তে। পড়া সব সময়েই সচেতন ব্যাপার, ইচ্ছে করলেই সুইচ করা যায়, এবং বলতে বাধা নেই, রাজনীতিতে, সমসাময়িকএর উত্তেজনাও যেটা পারে নি, চাকুরিতে, প্রেমে ,  বিবাহে ও পিতৃত্ত্বে আমার একাকীত্ব জিনিসটা বিলাস হয়ে গেছে, তাই পরিচিত জীবনের বাইরে সমান্তরাল কোন একটা রেখায় জীবনানন্দ্কে পড়তে হয় আজকাল পড়লে। এটা কাম্য না, কিন্তু   এটা ঘটেছে, এবং আপাতত আমি মেনে নিয়েছি। এবং সুইচ টি হাতে নেই এটা ও মেনে নিতে হয়েছে। :-))))

  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 202.142.***.*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৬:৫৪462719
  • মিঠুর লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। যদিও আমার লেখাটা পড়ে মিঠুর তেমন ভালো লাগে নি বলে মনে হচ্ছে :-))))))) হ্যাঁ সময়ের কারণে একটা আক্ষরিক অর্থে পাঠ-ক্রমের মিল পেলাম বটে, কিন্তু আমার মনে হয় স্থান টা একটা ইসু। কবিতা এবং লিটল থেকে মেনস্ট্রীম সমস্ত পত্রিকার পজিশন, যখন ই কলকাতার নাগরিক ইনটারনাল কনভারসেশন হয়ে উঠেছে, তখন , অন্তত ছাত্র আমলে আমি তাদের রিজেক্ট করেছি। মহানগর কে আমি একটু দেরিতে ক্ষমা করেছি :-)))) 


    কোন জাস্টিফিকেশনের প্রশ্ন নেই,  এবং এটা গদ্যের বেলাতেও আমার যা পজিশন এক্ষেত্রেও তাই। রাজনৈতিক কবিতার রক্ত 'খলবল' করার অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে নি, আমার ও, কিন্তু বামপন্থী রাজনৈতিক পজিশন কে খুব লজ্জার ব্যাপার এখনো মনে হয় না। আমাদের দেশে দক্ষিন পন্থার তান্ডব নৃত্যের নানা প্রকাশ আমরা তো দেখেছি।  এবং বড় শহরের ইনটারনাল কনভারসেশন যখনি কবিতা  হয়ে উঠেছে, ব নাগরিক যুবার আত্মপ্রকাশের বাহন মাত্র হয়ে উঠেছে, তখন ব্যক্তিগত ভাবে আমার তাকে গ্রহণ করতে সময় লেগেছে, এবং সে সম্পর্কে আমার কোন অপরাধ বোধ নেই :-) 


    এবং শুধুই সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন না, কবির রাজনৈতিক অবস্থান, আমাকে পাঠক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশের প্রয়োজনের বাইরে গিয়ে তাঁর কবিতা আদৌ কেন পড়ব তার একটা কারণ আমার হাতে দিয়েছে। খামোখা একটা মানুষের আত্মপ্রকাশে নইলে আমার কেনই বা কিসু এসে যাবে। বামপন্থী পজিশন কে আবাজ দেওয় সোজা, নারীবাদী রাজনৈতিক পজিশন কে, দলিত রাজনৈতিক পজিশন কে , অন্য যৌনতার রাজনৈতিক পজিশন কে, আদিবাসী রাজনৈতিক পজিশন , জাতি সত্ত্বার রাজনৈতিক পজিশন যখন কবিতায় এসেছে, তখন তাকে লেজেটিমেসি দেবার সময় কারো কি মনে হয়েছে, এটা কোন কোন ক্ষেত্রে , ওয়েলফেয়ার স্টেটের বা তার বিভিন্ন গোত্রের অ্যাবারেশন এর পিসটাইম ক্রিটিক মাত্র? মডার্নিজমে যেমন ঐতিহাসিক কারণে বামপন্থার ডিসপেন্সসেশন এসেছে, আইডেন্টিটি পলিটিক্স তেমনি তার সময়ের কবিতা সহ রাজনীতিকে প্রশ্ন করেছে? ইনট্রোস্পেকশন টাই তার মূল পোলেমিক অবস্থান। 


    আর এই মিছিল বনাম বিকাল কিংবা মধ্যরাতের একাকিত্ত্ব এই কথা গুলোর যে কোন অর্থ হয় না, সেই ভাবনাটা আমার ক্ষেত্রে লোরকা পড়ার সময়ে শেখা। কবিতা অনেকটা থিয়োরীর মত। আত্মচর্চা কবিতার অবশ্যম্ভাবী অঙ্গ। বিট অফ নাভেল ওয়াচিং। ঐতিহাসিক ভাবে যদিও বলা হয়, রেনেসা আমল থেকেই মানুষের সৃষ্টির মূল কনসার্ন ইশ্বর থেকে মানবে এসেছে, এটা তোমাকে অন্তত আমার বলে দেবার দরকার নেই, বিংশ শতকে বিশেষতঃ বিশের দশক থেকে চল্লিশের দশকের তুলনায়, পঞ্চাশের দশক  থেকে সত্তর দশকের মধ্যে এই যৌবন ও শরীর জিনিশ্টা কাল্ট প্রতিম হয়ে ওঠে, এবং নাভেল ওয়াচিং এর একটা বাড় বাড়ন্ত হয়। এবং একই সময়ে, যুদ্ধ পরবর্তী নতুন বিপ্লব প্রচেষ্টা ও তীব্রতর হয়। সময়টা যতটা গায়ে গায়ে পাশাপাশি ঘেঁষাঘেষি, একাত্মী ভূত, তাতে আমার মনে হয় আমার এ বয়সে এসে অন্তত বোঝা উচিত এই রাজনীতি বনাম একাকী যাত্রার এই বাই পোলারিটি টা বাঙালি মননে অন্তত রাজনৈতিক সাংস্কৃকিত শিবির গুলির জোরদার মতাদর্শগত অবস্থানের প্রভাব, এটাতে কি নতুন করে সাবস্ক্রাইব করার দরকার আছে? 


    কবিতার জগতে তোমার জার্নি টার সংগে আমার জার্নির মূল পার্থক্য একটাই, আমার চলতে গিয়ে যতটা গদ্য , থিয়োরী (পুনরায় গদ্য), ইতিহাস (পুঃ পুঃ গদ্য) অবলম্বন লেগেছে, তোমার তা লাগে নি, তুমি শহর ও কবিতাকে জীবনের বেড়ে ওঠার মধ্যে দিয়েই গ্রহণ করেছো। সেটা তো খুব ই আনন্দের কথা। কবিতার কেলাসিত অনুভূতি তোমার কাছে বেশি চট করে ধরা দিয়েছে।  আরেকটা পার্থক্য আছে, আমি তিরিশ - চল্লিশ (অচিন্ত্য, ইশারউড, অন্নদা শংকর, কমলাদেবী, নিসিম, প্রেমেন্দ্র, বিষ্ঞু, সমর, বুদ্ধদেব বসু, অরুন সরকার, সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য )থেকে সত্তর আশির দশকে আসতে যে সময় নিয়েছি, তোমার তা লাগে নি, মাঝের সময়টায় আমি শুধুই অলোকরঞ্জন এর কবিতা সংক্রান্ত লেখা এবং রিলকে পড়েছি। আর অনুবাদ কবিতা পড়েছি। আর নাগরিক মোমেন্টারিজম আমাকে একেবারে হালে একটু ভাবিয়েছে। সেটা একদিকে নবারুণ অন্যদিকে বোলানো র প্রভাব। এবং নতুন করে নেরুদা পরবর্তী লাতিন আমেরিকান দের পড়ার প্রভাব। বলা যেতে পারে সিপিআই থেকে নকু হতে আমার সিপিআই সুলভ ভাবেই একটু বেশি সময় লেগেছে, কারণ মাঝে আমায় সিপিএম হতে হয়েছিল :-)))) অরেকটা কথা, সেটা অবশ্য তোমাকে বলার কোন মানে হয় না, কারণ তুমি আজকাল নিজে লেখালিখি করো কিন জানি না, করলে যদিও বেশ ভালো হত। কথাটা এই, অনন্দবাজার আর দেশ পত্রিকার তৈরী টেস্টে র দুনিয়ায় লেখক হিসেবে আমার কোনদিন অ্যাসপিরেশন ছিল না, আলাদা করে সেন্সিটিভ হবার দায় ও অনুভব করিনি, আর শহরের লোক না হবার কারণে লিটল ম্যাগাজিনের মায়ার জগত আমার কাছে মায়া হয়ে উঠতে সময় নিয়েছে। অতএব পড়ার মত মাল পত্র খুঁজতে বা লেখার বিষয় ভেবে নিতে আমাকে অন্যদিকে তাকাতে হয়েছে। তবে এগুলো ব্যক্তিগত জার্নি মাত্র, সব মানুষের আলাদা, এবং এর কোন বিশুদ্ধতার দাবী নাই।  


    এর পরে আসি দেশি বিদেশি প্রসংগে। ঠিক গদ্যের ১৯৭১ পরবর্তী পশ্চিম বংগে বাংলা সাহিত্যে রাজনৈতিক বিভাজনে জাতীয়তাবাদী দক্ষিন পন্থী ক্যাম্পের নেতৃস্থানীয় আনন্দ বাজারের সম্মিলিত রুচি ডিস্ট্রিবিউশন এ আমার রক্ত খলবল করা থেমে যাওয়ার পরেও কোন দিন ভরসা ছিল না। এবং শহর কে দেরিতে চেনায়, বিশেষতঃ শহর এর স্বাধীনতা পরবর্তী মিডলক্লাস এক্সপেরিয়েন্স এর পাশাপাশি,  হিনদু জেন্ট্রিফিকেশন সম্পর্কে একটা ঐতিহাসিক দৃষ্টি কিছুটা তৈরী করে নেওয়ার সুযোগ হওয়ায়, জেলা শহরের নিরীক্ষা আর বিদেশী সাহিত্যে আমি ঝুঁকেছিলাম। এটাকে বাঙালিয়ানার অভাব, এলিটপনা,  বিদেশী জীবনের আসপিরেশন, আঁতলামি, শান্তিনিকেতনীপনা, সব কিছুই এই গুরুচন্ডালি তেই বলা হয়েছে, তুমি নতুন করে বললে নতুন করে অন্তত মাইন্ড করব না :-)))) যখন টলস্টয় বা মার্কেজ, কার্পেন্টিয়ের, শত্রুপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও বোরহেস, পাজ,  পড়েছিলাম, তখন আমেরিকায় বা ইউরোপে প্রোজেক্ট করতে গিয়ে স্যান্ডয়ুইচ , কফি , স্যামন খাবো ভাবি নি :-))))


    বলছিলাম যে শহর কে আমি দেরিতে ক্ষমা করেছি। মনীন্দ্র গুপ্ত, বিনয় মজুমদার, তুষার রায় , অনন্য রায়, কবিতা সিংহ, মল্লিকা দে নতুন করে অনেক দেরিতে আবিষ্কার করার একটা পদ্ধতি r মধ্যে রয়েছি, গত দশ পনেরো বছর। হয়তো তারাপদ কেও কোন দিন আবিষ্কার করব। আমার যেহেতু তারাপদ কে ভালো লাগে না, দেখলাম বাড়িতে অন্তত চট করে কোন বই নেই। শান্তিনিকেতনে থাকতে পারে, আর পুঁটির মায়ের একটি বই এর বাপের বাড়ি আছে, সেখানেও থাকতে পারে, হাতের কাছে পেলে, কেন রিভালসন তৈরী হয়েছিল, বোঝানোর চেষ্ট না করেই বলার চেষ্ট করব। টাইম্স অফ ইন্ডিয়ার আর কে লক্ষ্মন এর মত, আমার মনে হয়েছে তারাপদ , নীরেন্দ্রনাথ রা  এক ধরণের উচ্চশিক্ষিত ইনসুলারিটি কে  প্রমোট করেছেন, সেটা সম্পর্কে কোন সময়ে বলার চেষ্ট করব, আর যদি দেখি বলা যাচ্ছে না, তাও জানিয়ে যাব। 


    অনেকদিন পরে তোমার সংগে গল্প করে ভালো লাগলো। তোমার ভালো না লাগলে জানিও :-))) চেষ্টা করব সরাসরি ইরিটেট না করতে :-)))) আমার গুরুর পাতার জেনেরাল কমেন্ট গুলোতে ইরিটেশন হলে জানাতেও পারো, ইগনোর ও করতে পারো, আপটু ইউ। 


    বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত 

  • একক | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৩:০১462718
  • ই-অ মানে কি সার্এবাবুর  ভুত? সে ত সকলি মায়া র, অপজিট এক্সট্রিম। কবিতার জগত বহুদিন পেছনে ফেলে এসচে ওসব রিজিড পোলারিটি। যাজ্ঞে যাক। 

  • | 2601:247:4280:d10:30c2:b56a:46e1:***:*** | ১২ অক্টোবর ২০২০ ০২:২৭462717
  • বোধিযে কোনও সৃষ্টির কাছে পাঠকের নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা থাকে।কবিতার কাছে আমার কি চাহিদাএককথায় বলতে গেলেনিশ্চয়ই আছে কিছুতবে সময়ের সাথে সাথে বদলেছে।রবিঠাকুরসুকুমার রায় ইত্যাদি পেরিয়ে আমার হাতে এসেছিলো অমিয়চক্রবর্তী,অরুণ মিত্রবিষ্ণু দেবুদ্ধদেব বসুর কবিতার বই। আমার বাবার সংগ্রহ। সবার নাম লিখলাম না। সে বয়সে এদেরঅধিকাংশ কবিতা পড়ে আমার ভালোলাগে নি। কোনও কোনও কবিতা নিশ্চয়ই লেগেছে,সব নয়,বুঝিও নি তেমন। দাগ কাটেনি। এখন ফিরে পড়তেও ইচ্ছে করে না বলে খুব হারাচ্ছি কিছু মনে হয় না।এটা হাইস্কুলের সময়ের কথা। 

     এরপর রাজনীতি করতে এসে উপহার পেলাম নাজিম হিকমতের অনুবাদ।সব রাজনৈতিক পত্রপত্রিকায় কিছু চমৎকার কবিতা থাকতো,যা কাব্যগুণ যাই হোক,পড়ে বেশ রক্ত খলবল করতো।সুভাষ মুখোপাধ্যায়তখনো বামপন্থীদের অবশ্যপাঠ্য ছিলোবীরেন্দ্র চট্টো পড়ে ফেললাম।বিদেশী লোরকারিলকে বা বোদলেয়ারের অনুবাদ,যেখানে যা সহজলভ্য ছিলো।বাড়িতে জীবনানন্দ থাকলেও প্রথম পাঠে সুবিধের লাগে নিসঙ্গে  ১৯৪৬-৪৭ এর প্রশ্নোত্তর লেখার ভয়াবহ স্মৃতি:-) তারপর এক বিকেলের মরা আলোয় ঝিলের পাড়ে আবার জীবনানন্দের সঙ্গে  আলাপ হলো। তারপর শক্তপোক্ত গাঁটছড়া। 

    ছাত্রজীবনে কবিতার অন্য একটা দিগন্ত খুলে গিয়েছিলো।চারপাশে লোকজন কবিতা লেখেপড়েমতামত বিনিময় করে।সেসময় আরো বেশি করে কবিতার প্রতি আকর্ষণ তৈরী হলো।চারপাশে গিজগিজ করছে লিটল ম্যাগাজিনের বন্ধুরা।অখ্যাতদের পাশাপাশি বিখ্যাতদেরও গোগ্রাসে পড়েছি তখন। কাউকে বেশি ভালো লেগেছে কাউকে কম।

     

    যে কোনও পাঠই আসলে তো একটা অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে তৈরী হয়।কবিতাও তাই।কারুর নিরুচ্চার শান্ত প্রকাশভঙ্গী ভালো লেগেছে কারুর তীব্রতা।কারুর কোনও লাইন পড়ে মনে হয়েছে এমন করেই বলার ছিলো।পছন্দও পাল্টে গেছে অনেকসময়।তবুও কবিতার কাছে ফিরে আসতে ইচ্ছে করেছে বারবার। ভালোবাসার কথা বলো বা ঘেন্নার, যে মায়াময অথবা নির্মম একটা নির্মাণ - স্বল্প পরিসরে তোমাকে তোমার শুদ্ধতম কোনও একটা অনুভূতির কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এটাই কবিতার কাছে আমার প্রাপ্তি।এরমধ্যে সামাজিকরাজনৈতিক বা যাবতীয় হয়ে ওঠা (বিকেলের আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার ফেন্দি ফেলা প্রেমও ) থাকতে পারে:-) ভেবে দেখলাম জীবনে যাকে যা বই দিয়েছি তার প্রায় নিরানব্বই ভাগ কবিতার বই:-(

     

    সব কবিকে দায়িত্ববান সমাজের বিবেক হয়ে উঠতে হবেসচেতনতামূলক নাগরিক কবিতা লিখতে হবে এটা একধরণের অযৌক্তিক দাবী বলে মনে হয়।ভালো না লাগলে না পড়ার স্বাধীনতা রয়েছে,কিন্তু আপনি কেন এমন লেখেন নি বা এমন লেখেন নি বলেই আপনি বাতিল বা আপনার ভাবার পদ্ধতিটা আমার পছন্দসই হচ্ছে না বলেই দাগিয়ে দেওয়াটা কেমন যেন অকারণ মনে হয়।

     

    তারাপদ রায় কে কোট করছি

     

    মনে আছে কয়লার দোকানের পিছনে ছিল বড় উঠোন,

    কয়েকটা আম কাঁঠাল গাছভাঙা বারান্দাঘর দোর।

    এখন তো কিছুই নেই,

    শুধু একটা নেমপ্লেট, ‘নাগরিক

    চারতলা বাড়িষোলটা ফ্ল্যাট,

    এরই মধ্যে কোনওটায় আমি ফিরে এসেছি।

    কিন্তু কয়তলায়কাদের ফ্ল্যাট?

    স্বর্গীয় রূপকবাবুর পদবিটা যেন কী ছিল,

    তাঁদের নতুন বাসাবাড়িতে এখন কে থাকে –

    কোনও খোঁজখবর রাখি না,

    শুধু মনে আছে তাঁর ভাইঝি টুলটুলি।

    না। সেই বাড়িটা জগৎসংসারে আর নেই,

    টুলটুলিকে কেউ চেনে না।

     

    আমি যদি বলি এমন একটা পৃথিবী আমি দেখেছিআমরা অনেকেই দেখেছি। চাইলেও আর ফেরা যায় না সেখানে।প্রোমোটার রাজত্বে পাড়া টাড়া ভেঙে সব বাড়ির জঙ্গল হয়ে গেলবেদনার সঙ্গে কবি আসলে নাগরিক সভ্যতার সেই কদাকার ভোগবাদীযাপনকেই তুলে ধরেছেন।পপুলিস্ট কই আমি তো দিব্যি  সমাজ সচেতন একজন দার্শনিককে দেখতে পাচ্ছিকোথায় আপত্তিজানাবে:-))

     

    ইন্টেলেকচুয়াল অথেন্টিসিটির ডিবেটে কারা তোমার মতে কবি হিসেবে সঠিক পোজিশানে দাঁড়িয়ে ছিলেন জানতে আগ্রহী হয়েরইলাম। আমাদের বেড়ে ওঠা যেহেতু প্রায় একই সময়ে তাই আমার আগ্রহ রয়েই গেল। সময় করে সেই সব বাঙালি কবিদের কথা লিখো

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত