এলসিএম, এই তালিকাটি আপনার বানানো? উত্তর হ্যাঁ হলে একটা কথা বলার। না হলে জিজ্ঞাসা - এটি কে বানিয়েছেন?
মানে এটা দেখে নিজের গলায় ব্লেড চালানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। তার আগে শুধু জেনে নিতে চাই, সেটা কার জন্য চালালাম।
লাস্ট এন্ট্রিটা সন্দোজনক। "ভয়ংকর সুন্দর" বই হিসেবে আমি 1977 সালে পড়েছি।
সন | শারদীয়া পত্রিকা | লেখক | গল্প/উপন্যাস |
১৯৩৯ | আনন্দবাজার | মানিক বন্দোপাধ্যায় | শহরতলী |
১৯৪১ | আনন্দবাজার | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | প্রগতিসংহার |
১৯৫১ | দেশ | সুবোধ ঘোষ | ত্রিযামা |
১৯৫২ | দেশ | তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় | রাধা |
১৯৫৩ | আনন্দবাজার | তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় | সঞ্জীবন ফার্মেসি (আরোগ্যনিকেতন) |
১৯৫৪ | দেশ | বিমল কর | পিঙ্গলার প্রেম |
১৯৬২ | দেশ | শিবরাম চক্রবর্তী | স্ত্রী – মানেই ইস্ত্রি? |
১৯৬৩ | দেশ | প্রবোধকুমার সান্যাল | কাঁচ কাটা হিরে |
১৯৬৫ | দেশ | সমরেশ বসু | বিবর |
১৯৬৬ | দেশ | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় | আত্মপ্রকাশ |
১৯৬৭ | দেশ | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | ঘুনপোকা |
১৯৭০ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | গ্যাংটকে গন্ডগোল |
১৯৭২ | আনন্দমেলা | মতি নন্দী | স্ট্রাইকার |
১৯৭৩ | আনন্দমেলা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় | সত্যি রাজপুত্র |
১৯৭৩ | আনন্দমেলা | মতি নন্দী | স্টপার |
১৯৭৩ | আনন্দমেলা | সত্যজিৎ রায় | বারীন ভৌমিকের ব্যারাম |
১৯৭৩ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | কৈলাসে কেলেংকারি |
১৯৭৪ | আনন্দমেলা | মতি নন্দী | কোনি |
১৯৭৪ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য |
১৯৭৫ | আনন্দমেলা | সত্যজিৎ রায় | ফটিকচাঁদ |
১৯৭৫ | আনন্দমেলা | বুদ্ধদেব গুহ | ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলমহলে |
১৯৭৫ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | জয় বাবা ফেলুনাথ |
১৯৭৬ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | বোম্বাইয়ের বোম্বেটে |
১৯৭৬ | আনন্দমেলা | সত্যজিৎ রায় | শঙ্কুর শনির দশা |
১৯৭৬ | আনন্দমেলা | বিমল কর | কাপালিকরা এখনও আছে |
১৯৭৭ | আনন্দমেলা | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | গোসাঁইবাগানের ভূত |
১৯৭৭ | দেশ | সত্যজিৎ রায় | গোরস্থানে সাবধান |
১৯৭৯ | আনন্দমেলা | সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় | ভয়ংকর সুন্দর |
এই যে রঞ্জন বন্দ্যো, মানে এখন যাচ্ছেতাই রকমের ওঁচা - তো দেশে ওঁর ফিল্ম রিভিউ কিন্তু খুবই উচ্চমানের ছিল। কিছু কেটে বাঁধিয়ে রাখা আছে। সে মানে ফাটাফাটি, গদ্যওটা মচৎকার লিখতেন তখন।
পুণ্যলতা চক্রবর্তীর 'ছেলেবেলার দিনগুলি' পড়েছি। এত মিষ্টি, সুন্দর স্মৃতিকথা খুব কম পড়েছি।
ডিসি ,
"স্টর্ম" শুনলাম। ভালো লেগেছে। আরও ইন্সট্রুমেন্টাল পীস মাঝে মাঝে দিলে খুব খুশি হব।
দেশ পত্রিকায় পঞ্চাশের শেষে ও ষাটের গোড়ায় মনে পড়ছে শৈলজানন্দের নজরুলকে নিয়ে বাল্যস্মৃতি "কেউ ভোলে না কেউ ভোলে", দিলীপ কুমার রায়ের সুভাষের কলেজ জীবনের "স্মৃতিচারণ" এবং ফার্স্ট ডিভিশনে এন্ট্রান্স পাশ করায় বেনারস গিয়ে গায়িকা "ছপ্পন-ছোরি"র গান শোনা! পুণ্যলতা রাওয়ের সারদারঞ্জন সুকুমার রায় -- বাল্যস্মৃতি "হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর"। তারপর এল তরুণ ভাদুড়ীর ধারাবাহিক 'অভিশপ্ত চম্বল"--তাতে বীহড়ের এবং নিহত দস্যুদের ফোটোগ্রাফ। প্রমথনাথ বিশীর "কেরী সাহেবের মুন্সী", শংকরের চৌরঙ্গী সমরেশ বসুর "অচিনপুরের কথকতা" রমাপদ চৌধুরির"বনপলাশীর পদাবলী" ও "এখনই"। বিমল করের "খড়কুটো" বিমল মিত্রের "কড়ি দিয়ে কিনলাম" "বেগম মেরী বিশ্বাস" , প্রবোধ সান্যালের "বেলোয়ারি" , নারায়ণ সান্যালের বস্তার নিয়ে "দন্ডকশবরী" ; অচিন্ত্যকুমারের 'প্রথম কদম ফুল" নরেন্দ্রনাথ মিত্রের "সূর্যসাক্ষী" , জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর "বারো ঘর এক উঠান" ও "এই তার পুরস্কার"।
কেতকী কুশারী ডাইসনের "নারী ও নগরী" "নোটন নোটন পায়রাগুলি" (আমার খুব প্রিয়)। শীর্ষেন্দুর "পারাপার" "যাও পাখি"। শ্যামল গাঙ্গুলির "কুবেরের বিষয় আশয়"।
মিলন মুখার্জির 'মুখ চাই মুখ" আব্দুল জব্বারের "বাংলার চালচিত্র"। উৎপল দত্তের নাটক "নীলকন্ঠ"। প্রবোধ সান্যালের স্মৃতিকথা "বনস্পতির বৈঠকে" , অনেকপরে কুমার মুখোপাধ্যাএর কুদরত রঙ্গিবিরঙ্গী , , রীতা গাঙ্গুলির বেগম আখতারকে নিয়ে অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণ।
নিয়মিত থাকত নারাণ গাঙ্গুলির "সুনন্দ'র জার্নাল" , ফাদার দ্যতিয়েনের "ডায়েরির ছেঁড়া পাতা" পরে অমল দত্ত'র 'ফূটবল শিখতে হলে" (অতীব সুখপাঠ্য) । সনাতন পাঠক নিকে সুনীল গাঙ্গুলির বুক রিভিউ । প্রথমে অন্য কেউ , পরে সমরজিত করের ও পথিক গুহের বিজ্ঞান-জগত । বিশ্ববিচিত্রা বলে একটা জিকে গোছের থাকত আমাদের মত বাচ্চাদের ভাল লাগত। এছাড়া শার্ঙ্গদেবের মিউজিক রিভিউ বেশ ভাল লাগত।
আপাতত বেহালা বাদ্য শুনুন। ভ্যানেসা মের স্টর্ম। ছোটবেলায় এটা আমার খুব প্রিয় ছিল।
কুনাল কামরা প্রতি সোমবার ROFL গান্ধীর সাথে
'আশী মানে সাপ', সে না হয় বুঝলাম। কিন্তু আর কতদিন এই 'আশির দশক' নামক জঘন্য বস্তুটা শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ লিখে যেতে থাকবেন, সেটা কেউ বলতে পারেন?
মানে বাংলা কি ফ্যালনা? বললেই তো বলবেন ধুর্মশাই, এই এক রোগ আপনার!
আবার দেখুন , শাস্ এর মধ্যে একটা হিসিং সাউন্ড আচে | হিসিং সাউন্ড করে গ্রূপের বাকিদের সরিয়ে রাখা (খাবারে মুখ দিতে আসছে হয়ত ) প্রাইমেট দের মধ্যেও আচে |
ওহ হ্যাঁ, তবে আশি না, নব্বইয়ের গোড়ায়।
এই ধাতুটা ইন্টারেস্টিং . ভয় দেখানো , দণ্ড দান অর্থে ব্যবহার হয় |
তার মানে দাঁত দেখিয়ে চমকানোর অভ্যেস ডিরেক্ট ভাষাতে এসেচে ?
দেশে রঙীন অরণ্যদেব মনে পড়ে না। ঐটা যেমন ১৯৮৩। আর দুয়েকটা খুঁজে দেখতে হবে। আশির দশকের গোড়ায় তো রঙীন ছাপা এত সহজ সস্তা ইত্যাদি হয়নি।
আশির দশকের গোড়ায় দেশেই অরণ্যদেব বেরোতোঃ রঙীন।
"আশী মানে সাপ। "কী যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে/ কভু আশী বিষে""
আশীবিষ মানে সাপ । এক্ষেত্রে "আশী " কথার অর্থ "দাঁত" , যতদূর জানি ।
@এলেবেলে, দীপক মজুমদারেরটা মনে পড়ছেনা। সমরেশ বসু'র 'দেখি নাই ফিরে বেরনোর কথা' মনে আছে।
এছাড়া অরুণ মুখোপাধ্যায়ের 'শাহী দিল্লী'। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের 'দানব ও দেবতা'।
'গ্রীষ্মের ফল' 'শীতকাল' এরকম বিষয়ের ওপর সংখ্যা বেরুত।
'অরণ্যদেব' আনন্দবাজারেই পেতাম।
সাহানা দেবীঃ আজি তোমার কাছে ভাসিয়া যায় (dbijendrageeti)
হ্ত্ত্প্সঃ।য়ৌতুবে।ওমঅত্চ?্ভ=্মাত১ও৭ক্গ
সুর ঐ আমি বাঁধিনু তোমার তীরে একই রকম লাগলো।
আর এই অতুলপ্রসাদ ইত্যাদি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে দেখলাম, নিলুফার থেকে শুরু করে অদিতি অবধি বাংলাদেশের অনেকেই এনাদের গান গাইছেন।
হুতো, মনে পড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এই সংখ্যায় প্রকাশিত অনেক লেখাই কেটে বাঁধানো আছে দেখতে পাচ্ছি। তখন অরণ্য বাপ বন গয়া।
দ: "রেটিং অতি ভুলভাল।"
রেটিং এর ফিচার ঠিক কি কারণে রেখেছেন? একজন একই লেখায় কতবার রেটিং দিতে পারেন?
১৪তা৩৩ সম্পর্কে: আশী মানে সাপ। "কী যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে/ কভু আশী বিষে" ইত্যাদি স্মর্তব্য।
অর্জুন, দীপক মজুমদারের ছুটি বা মিলন মুখো-র মুখ চাই মুখ মনে পড়ে?
অরণ্যদেব কি দেশে প্রকাশিত হত? আন্দোবাজারের দুই-এর পাতার নীচে খানিক অরণ্য খানিক ম্যানড্রেক - এ'রম একটা কিছু ছিল না? পরে আনন্দমেলায় নীরেন চক্কোত্তির টিনটিন?
ক্যান্সার জাতীয় অসুখে চিকিৎসার জন্য শেষ অবধি পয়সা জমিয়েও লাভ নেই। এত পয়সা লাগে ঐ যে দুমাস অন্তর ৪ / ৫ লাখ বল্লেন বি, অসুখ যত প্রোগ্রেস করে ওটাই হপ্তায় এসে দাঁড়ায়। একটা সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয় আর চিকিৎসা চালানো হবে কিনা। চললে ঠিক কিভাবে কতটা। আর এই সিদ্ধান্তগুলো যে রোগী সে নেয় না, নেয় তার বাড়ির লোকজন। পুরো প্রসেসটা একটা ট্রমা। শুধু রোগীর জন্য নয়, পুরো পরিবারের জন্য।
প্রকাশিত হল সিরিয়াস৯-র নতুন ইস্যু, এবারের বিষয় খাপ।
লিখেছেন
তাতিন বিশ্বাস
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=18911
প্রতীক
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=18910
বল্লরী সেন
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=18908
অভিজ্ঞান সরকার
https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=18917
শাশ্বতী দত্তরায়
দেশ এর সবচেয়ে ভালো ফিচারের কথা কেউ বল্লেন না। অরণ্যদেব।
একদম ছোটবেলা থেকে 'দেশ' উল্টে পাল্টে দেখতাম। ক্লাস সিক্স থেকে নিয়মিত পড়তাম। আমার অভিভাবকরা মনে করতেন 'দেশ' র কন্টেন্ট এ বাচ্চাদের অনুপযোগী কিছু থাকবেনা।
আশীর দশকের 'দেশ' সংগ্রহে আছে। নানারকম বিভাগ থাকত। একদম শেষের পাতায় 'ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব' নামে একটি বিভাগ ছিল। খুব ভাল লাগত ওটা।
রেটিং অতি ভুলভাল। ওটা না থাকলেই সবচেয়ে ভাল হোত। দিয়েছেই যখন অন্তত নিজের নিজের রেটিং হটানো হোক। ই কি অ্যাপ্রেজালের সেলফ রিভিউ নাকি?
সুকি, অনেকেই ভুল করে রেটিং এ ক্লিক করে ফেলছেন, আনডু করা যাচ্ছেনা। আমিই একটা লেখায় করে আনডু করতে পারছিনা। কিন্তু এটা তো বদলে যাবে।