শৈলজারঞ্জন মজুমদার শুনেছি পরীক্ষা নিতে গিয়ে কার গান শুনে উদবেল হয়ে বলেছিলেন, "ইমোশনে একশোয় একশো, সুরে শূন্য"। গুরুর সম্পাদকরা সেরকম রেটিং দিয়ে ল্যাখা ছাপতে পারেন, কনভিকশনে - একশো, বানানে - সাড়ে চল্লিশ, গ্রামারে - বারো, ওভারঅল - তেরো।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.81.245 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:২৪
//আমার অনেকদিনের গোপন ইচ্ছে হল একটা গাড়ি করে সোমনাথ দাশগুপ্ত, সৈকত চট্টোপাধ্যায় আর মিঃ তাপস কে নিয়ে আপনার বাড়ি গিয়ে ব ই ট ই নিয়ে গল্প করে আপনার লেখা নিয়ে আপনাকে অসম্ভব নিন্দেমন্দ করে , আপনার ই পয়সায় অসম্ভব বেশি খাবা দাবা করে মাজদিয়া থেকে গুড় কিনে ফেরার। মুশকিল হল আমার বাকি তিন মাননীয়েষুরা রা এ ব্যাপারে কোন গোপন মতামত প্রকাশ্যে অন্তত দেন নি।//
এ তো মাইরি না চাইতেই হাতে চাঁদ পাওয়া কেস। ছ্যা ছ্যা, এ জিনিস কি না আমার চোখে তিন ঘন্টা পরে চোখে পড়ল? এমনিতেই সোমনাথ-তাপস বন্ধু হওয়ার সুবাদে আমার দুর্বিনীত ও দুর্মুখ স্বভাবের সঙ্গে সম্যক পরিচিত, সিএস-ও সম্ভবত তা টের পেয়ে গেছেন এতদিনে। অনলাইনে এঁদের সঙ্গে এলেবেলের ইস্যুভিত্তিক যুদ্ধ জারি থাকতে পারে কারণ সে অ্যানোনিমিটিকে শ্রদ্ধা করে। এবং শ্রদ্ধা করে বলেই এ ব্যাপারে ব্যোদলেয়ার থেকে বোধি - কাউকেই সে ছেড়ে কথা বলে না! কিন্তু সেটা এলেবেলে হিসেবেই।
অনলাইনের বাইরে এ সবের সিনই নেই। এবং আমার ধারণা আপনারা চারজনেই এতটাই পরিণতমনস্ক (মানে আমার চেয়ে অন্তত কয়েকশো গুণ) যে সেসব ডিজিট্যাল ঝগড়াকে বাস্তব জগতে অকারণে টেনে বেড়ান না। ফলত আমার তরফ থেকে আপনাদের প্রত্যেককে গলবস্ত্র হয়ে আন্তরিক ও সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
আমার মাথায় যখন কাঁঠাল ভাঙবেন বলে স্থিরই করেছেন, তখন মাজদিয়ার গুড়ের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হবে কেন! আমার এক সহকর্মী ওখানেই থাকেন, সেরা কারিগরের সেরা জিনিসটাই সঙ্গে দিয়ে দেব। কিন্তু হ্যাঁ, তার পরে আমার কোনও লেখা কিংবা মন্তব্যে যদি একটি ভালো কথা ভুল করেও লিখে ফেলেন, তাহলে ক্যা** এক ঘা-ও মাটিতে পড়বে না!
শান্তিপুরি ভদ্রতা কিংবা বৈষ্ণব বিনয় নয়, এক স্বঘোষিত চণ্ডাল চার গুরুকেই বিনীত আমন্ত্রণ জানায়।
খ, আপনি মাইরি পাটালির ব্যাপারে কাটোয়ায় ভোট দেওয়ায় আপনারও এক নম্বর কেটে নিলাম! আমাদের নদীয়ার মাজদিয়ার পাটালি খেলে ওই নম্বরটা আপনাকে সসম্মানে ফিরিয়ে দেব।
মনস্থির করে ফেলেছি শত প্ররোচনাতেও অচেনা নিক থেকে হাজার শ্লেষাত্মক মন্তব্য এলেও তার প্রত্যুত্তরে শব্দব্যয় করব না। আগের অবস্থানে অনড় থাকলে হয় একজন নামী লেখকের ততোধিক নামী বইয়ের উল্লেখ করে সেখানে রেফারেন্সের সংখ্যা গুণতে বলতাম নতুবা একটি টিয়াপাখি নিয়ে শ্যালদায় বসতে বলতাম।
লেখায় ৩৫০ রেফারেন্স থাকলে তার অনেকটাই অপ্রয়োজনীয়। লেখক বাছতে জানেন না। ভাল সার্ভে পেপার লিখতে গেলে প্রচুর রেফারেন্স পড়তে হয় কিন্তু মাত্র কিছু বেছে নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করতে হয়।