সে আর আমি কী করে আটকাবো? সবার ম্যাচুরিটির ওপর আস্থা রাখা ছাড়া কীই বা করতে পারি?
দময়ন্তীদির লেখা নিয়ে যে সমস্যাটা হয়েছে সেটা ভুল বোঝাবুঝিই বলব, কারণ লেখা যে প্রয়োজনে এডিট করা হবে, সে ব্যাপারে গোড়াতেই লেখক/সম্পাদক বোঝাপড়া থাকা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি৷ এটা না হলেই ভাল হত। ভবিষ্যতে গুরুতর অদলবদলের প্রয়োজন দেখা দিলে, তা লেখককে যাতে জানানো হয়, সেই প্রসেসটা এনসিওর করার চেষ্টা করব (আমি তো সম্পাদনা করি না, প্রসেসটা খানিকটা স্মুদ করার চেষ্টা করি, সেটুকুরই দায়িত্ব নিতে পারব)। তেমন ক্ষেত্রে, লেখক মনে করলে যাতে লেখা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।
এবার প্রসঙ্গটির এখানেই ইতি টানলে মনে হয় ভাল হয়। :-)
দীপাঞ্জনবাবুর এই পোস্টটা অনেকটাই অল এনকম্পাসিং মত হয়েছে। সত্যিই বোধহয় একেকজনের/সেটের একেকরকম প্রত্যাশা। এক সেটের চাহিদার সংংংগে অন্য সেট ক্ল্যাশ করবে, এমনও নেই, তাও না।
এখানেও সেই মজঝিম পন্থা চাই। অরিনদার শরণং... :-)
এলেবেলেবাবু, অনেক লেখাই কিস্তিতে কিস্তিতে বেরিয়েছে। এখনো প্রকাশিত হয়।
যতোদিন অয়দিপাসের গল্প আছে , মাদারচোদ নামক বহুব্যবহৃত খিস্তিটি না থেকে পারবে ক্যামনে ??
এ কথা আমি গুরুর প্রায় নবীন হয়েও একেবারে প্রথমেই বলেছিলাম। না হয় ভাটালাম না, কেবলই পড়লাম। কিন্তু ইহা কি সংবাদপত্র না প্রিন্টিং মেশিন? লেখার যা তোড় তাতে দুটোর একটা না হয়ে যায় না। দুনিয়ায় ভালো কথা যেমন অত্যন্ত কম তাই মানুষ বাজে কথা বেশি বলে, লেখার ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু কত্তিপক্ষো তাতে কান দিলে তো?
আমি মাইরি টেকনিক্যাল ব্যাপারে এতটাই আনাড়ি যে কহতব্য নয়। এই যে ভাটিয়ালির আগে একটা প্লাস চিহ্ন (যেটা আগে ছিল না), কিংবা মতামত খুঁজুন বা ওই তারিখ ধরে সার্চ এই নতুন ফিচারগুলো খায় না মাথায় মাখে সে সব বুঝতেই পারি না। আমি কনটেন্টে বিশ্বাসী এবং অল্পেই খুশি। তাতে নতুন নতুন জিনিসে আমার আপত্তি নেই কিন্তু দোহাই সেসব ব্যাবহার করতে বলবেন না। সব ধেরিয়ে ফেলব।
//আপনি আপনার পাঠকের কাছে এক্স্পেক্টেশানটা আগেই জানিয়ে রাখলেন। সেটা রেগুলর করলে একটা ইমপ্যাক্ট হয়ত আসতে পারে!//
প্রস্তাবটা খুবই ভালো। কিন্তু পাঠকের ইমপ্যাক্ট নিয়ে আমি আদৌ ভাবিত নই কিংবা কীভাবে সেটাকে বাড়াতে হবে তা নিয়েও। আমি লিখেছি। আমার দায়িত্ব শেষ। এখন পড়ার ব্যাপারে আমার কাউকেই জোর করা নেই। তবে মন্তব্য করলে তার উত্তর দেওয়ার দায়বদ্ধতায় বিশ্বাসী। যেহেতু একেবারেই টেক স্যাভি নই তাই বাধ্যতামূলকভাবেই এ ব্যাপারে পুরনোপন্থী।
আমি লিখে দুনিয়া উদ্ধার করছি না। আমি আমার প্যাশনটাকে লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করে রাখছি মাত্র। এবং এই বিষয়ে আমি মানে এত বিগ স্কেলে ভেবে ফেলেছিলাম, এত সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিলাম - যেটা ভাবা বা হওয়া যে আমার উচিত হয়নি সেটা এখন বুঝতে পারছি। আসলেই আমাদের মতো লোকদের জন্য 'পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি'।
লিখছি যখন, তখন আরও দুলাইন লিখে যাই। ঐ 'খাতা' বাক্সটা হল খেরোর খাতা। ওখানে ব্লগ অ্যাক্সেস না থাকলেও লেখা যাবে। যাঁরা আপনাকে ফলো করবে, তাঁরা আপনি 'খাতা'য় কিছু লিখলেও (দুলাইনের স্ট্যাটাস জাতীয় বা বড় লেখা) নোটি পাবে। অর্থাৎ ব্লগ অ্যাক্সেস না থাকলেও জগতে অনুগামীদের মাঝে বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার কল রেডী হয়ে গেছে। ব্লগ অ্যাক্সেস যাঁদের আছে তাঁদের লেখার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হল এটা প্রথম পাতায় জায়গা পাবে।
:-D