তৈজসপত্র মানে কী?
ন্যাড়াদা সেদিন সংগীতচিন্তা বইখানার কথা আলগাভাবে তুলে, এমন উস্কানি দিলেন যে সেই ইস্তক মহা প্রশ্নরোগে জর্জরিত আচি। এমনিতেই কবিতায় ফোনোলজির প্রয়গ নিয়ে পড়ছিলুম ঘটনাচক্রে, তার মধ্যে আবার ফিরে সংগীতচিন্তার পাতা উল্টে মনে হল, ঃ
এই যে, ভাবের সংগে রাগ কে মেলাতে গিয়ে রবিবাবু লিকচেন ঃ প্রভাতের রাগে কোমল স্বর গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ এবং সন্ধ্যার রাগে সেগুলো ধীরে ধীরে নীমিলিত হয়ে আসবে ;
এই ক্লাসিকাল মডেল তইরী হচ্চে, হেলিওসেন্ট্রিক ন্যাচারাল লাইট কে মাথায় রেখে, যে প্রভাতে আলো ফোটে, সন্ধ্যা তে আলো কমে আসে। এবার, আমি যেখেনে থাকি সেই শহুরে জংগলে বিকেলের ডাল লাইট ঘোলাটে লাল ধরতে ধরতে একসময় ঝপ করে দিগবিদিক হ্যালজেনে ভরে যায়, হলুদ ক্রমিয়াম লাইটে পাড়াগুলো তাদের ম্যাড়মেড়ে পোল্ট্রি ডিমের নিস্প্রিহ খোলস ছেড়ে লোভনীয় হাফ বয়েল সোনালি রুপ নেয়, শপিং মল থেকে এলিডির আলো লাফিয়ে নাবে ভাংগা ফুটপাতের ধার ঘেসে, তার মধ্যে আবার নীল তরংগদৈর্ঘের প্রাধান্য সবচে বেশি। মানুশ গুল রংগীন জামাকাপড় পরে চঞ্চলভাবে গাড়ি থেকে ওঠে নাবে। চারপাশে বেশ উজ্জাপনের মেজাজ একটা।
এই পরিবেশে সন্ধ্যার রাগ কি একইভাবে গাওয়া হবে? আবার, আলোয় ভেসে যাচ্চে বলে সকালের রাগ গেয়ে দিলেও ত হবে না। ক্লাসিকাল মডেল এই অন্যরকম সন্ধ্যাকে একমডেট করে কীভাবে? এখানে যাঁরা মিউজিক থিওরি ঘাঁটা লোকজন, ন্যাড়াদা, শিবাংশু দা, মামু, কেসি দাকেও একবাট্টি দেখলুম মনে হল, সবার কাছেই আবদার যদি এসব নিয়ে আলচনা করেন, উপকার হয়।
অন্ধকার ঘরে চোখ বন্ধ করে ইয়ারফন গুজে ধ্রুপদী সন্ধ্যার মধ্যে ডুবে থাকা, সন্ধ্যের রাগ শুনতে শুনতে, সে এক পথ বটে ; কিন্তু তা বাদেও বাকি রাস্তা কোথায় গেছে??