বলে কী লাভ? এক তো যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত তিনি আপনার কথানুযায়ীই 'মানুষ খুন ত করেনি আর কেউ যে জেলে যাবার ভয় আছে'। ফলে তার না হবে তিন মাসের জেল, না সাত দিনের ফাঁসি। যনি করেছেন তার বুক চিতিয়ে বলার সাহস নেই বলেই নিকের আড়াল নিয়েছেন। অই রন্টিপাগলা এটালের মতো। কিন্তু এ জিনিস যে গত পনেরো বছরে ঘটেনি এবং সেটা যে চরম অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যের লক্ষণ - এ কথা বলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খ বলেছিলেন এ জিনিস চরম ইরিটেটিং, আর আপনি বললেন বাকিদের মুখে কুলুপ। কাজেই...। বরং চাইব তার পুনরাবৃত্তি না হোক গুরুর মায়াপাতায়।
নাঃ। মেলা না মেলাটা বড় কথা নয়, আপনি কাকে সন্দেহ করলেন সেটাই বড় কথা।
আই পি ট্র্যাক করার দরকার নেই তো। এটা সহজ সত্য কথা সে নিজে এসে বুক চিতিয়ে বলে যাবে হ্যাঁ~ আমি বলেছি, না আমি বলিনি। এটুকু ট্রান্সপারেন্সি গুরুতে মেইনটেইন হয়ে এসেছে এতকাল। মানুষ খুন ত করেনি আর কেউ যে জেলে যাবার ভয় আছে। আপনি কাকে সন্দেহ করেছেন বলুনই না।
আপনি ট্র্যাক করে ঘোষণা করুন। মিললেও বলব, না মিললেও।
আপনি কাকে সন্দেহ করছেন সেটা বলবেন কি?
যেমন কিনা এটাও জানা গেল বিদ্যাসাগরের কাজ ছিল মডেল স্কুল স্থাপন করা আর মেয়েদের স্কুল খোলা। মানে আর যে চারজন পরিদর্শক তাঁর সঙ্গে কাজ করতেন তাঁদের এক ও একমাত্র কাজ ছিল হয় ঘোড়ার ঘাস কাটা নতুবা সিমেন্ট-বালির যোগান দেওয়া! সব বইতে অমন লেখা থাকে। মানে ওই ব্রজেন টু ইন্দ্রমিত্তির। আসলে ঠিক কোন কাজের জন্য তাঁর অ্যাপয়ন্টমেন্ট হয়েছিল এবং মাসে মাসে অতিরিক্ত ২০০ টাকা (তামাম ভারতবর্ষে সর্বোচ্চ) পকেটে ঢুকত তা আর কজন জানেন!
~~ , একটা কথা আপনাকে না বলে পারলাম না। টোমাসন নামটা শোনার পরে একজন ইপিডাবলিউ-এর একটা সাত পাতার পোবোন্দো পড়েছেন। দিয়ে সব ছড়িয়ে ছত্তিরিশ করে ছেড়েছেন! গভর্নর জেনারেলই বা কে, লেফটেন্যান্ট গভর্নরই বা কী, কেই বা ভাইসরয়, কেনই বা ভাইসরয়, কখন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, কখন ছোটলাট, কেন ছোটলাট স ঘেঁটে ঘ। কিন্তু সিলেবাসে হ্যালিডেটা বোধহয় কমন পড়েছে! তাতেই কী দাপট! একটা সাত পাতার পোবোন্দো পড়েই নিয্যস বুঝতে পেরেছেন সবকিছু সাদায় আর কালোয় নির্মিত হতে চলেছে! আর আপনি বলছেন প্রাইমারি রেফারেন্সের উল্লেখ করতে। সেসবের নাগাল পেলে আবাজখানা দিচ্ছে হানা যে কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় গিয়ে থামবে তার ঠিকঠিকানা নেইকো!
আর আপনি তো টেকনিক্যাল বিষয়ে মাহির টু দ্য পাওয়ার ইনফিনিটি। তো একবার নীপার আইডি ট্র্যাক করে সর্বসমক্ষে ঘোষণা করবেন নাকি? উনি কিন্তু টরে লেখেননি।
মেশি এবছর বার্সায় থেকেই গ্যালো মনে হচ্ছে।
বা ধরুন খ্যাতনামা ব্যাটসম্যানদের কথা। হাটন, ব্র্যাডম্যান, কালিচরণ, গাভাস্কার, বিশ্বনাথ, শচীন থেকে হালের মুশফিকুর রহিম - এই তালিকায় পাঁচ সাত মানেই তিনি তালগাছ।
যা বুঝছি প্রথম পাতা খোলার অপটিমাম টাইম চেক করা হচ্ছে। টু অ্যাট্রাক্ট রীডারস। যাতে তারা ভারী পাতা লোড হওয়ার টাইম ল্যাগ দেখেই ভেগে না পড়ে। পরের পাতাগুল্লো যেমনকে তেমনই থাকবে। মানে লোকে ইন্টারেস্টেড হয়ে পরের পাতা ক্লিক করেছে মানে তারা সেই পাতা লোড হয়ার অপেক্ষা করবে।
~~, //এই অ্যাপ্রোচের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে অ্যাটিচুডটা যা প্রতিভাত হচ্ছে - আমার সাথে কথা বলতে হলে আগে আমি যা যা পড়েছি পড়ে আসুন তারপর বাকতাল্লা দেবেন।//
না, কারণ অনেকে শুধু অ্যাডাম পড়ে বা না পড়ে বাকতেল্লা মারছেন। এটা তাঁদের জন্য সত্যি হতে পারে, যাঁরা সিরিয়াসলি এনগেজ হচ্ছেন তাঁদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
//আপনার পড়া বইপত্রগুলো র প্রাসঙ্গিক অংশ জানাতে হবে তো//
কেউ জানতে চাইলে জানাব। না হলে আবাজ খেতে হচ্ছে বেকার ভাটাচ্ছে এবং ফাটাচ্ছে। ধরুন ব্রজেন বন্দ্যো। তাঁকে একাধিকবার সশ্রদ্ধভাবে উচ্চারণ করেছি। কতজন সেটা পড়েছেন বা পড়ার চেষ্টা করেছেন তারপরে? এনি আইডিয়া?
প্রতিটা রেফারেন্সের টীকা থাকবে। বিদ্যাসাগরের যে চিঠি বা প্রতিবেদনের বাংলা অনুবাদ দেব, তার অরিজিনাল ভার্সনও থাকবে। লেখক গাধার মতো খাটবে আর পাঠক পান চিবুতে চিবুতে বিজ্ঞের **র মতো ট্রোল করবে, দোজ ডেজ আর গান বাই। খাটুন ও খুঁটে নিন। তারপরে চ্যালেঞ্জ করুন। এটা নেহাতই ভাট, কেউ কিছু না লিখলে এমনিতেও কিছু লেখার ইচ্ছে নেই। কাজেই প্রতি কথায় এই বইয়ের এত পাতায় আছে মার্কা ফুটনোট বিনিময়ে আগ্রহী নই।
//স্মৃতিশাস্ত্রগুলো যে তার আগে স্রেফ পন্ডিতদের পাঠ্য অবসলিট টেকস্ট এ পর্যবসিত হয়েছিল, দেশীয় আইনকানুনে তাদের কোনো প্রত্যক্ষ সংস্রব ছিল না বহুদিন, সেটা প্রমাণ করতে হবে? দুই, নতুন কলোনির আইন প্রচলনে অল্টার্নেটিভ কি ছিল তা প্রপোজ করতে হবে?//
এটা জানতে গেলে প্রাক্-ঔপনিবেশিক আইনব্যবস্থা জানতে হবে। কলোনি কেন এটাকে আইনের মর্যাদা দিয়েছিল, জানতে হবে সেটাও। যেখানে বিবাদভঙ্গার্ণব নিয়ে মহিলারাই খিল্লি ছাড়া আর কিছু করছেন না, সেখানে তার ডিটেল ব্যাখ্যা দেয় কোন মূর্খ? আমার অনেক কাজ আছে স্পুন ফিডিং বাদে। ছবির কিসুই বুঝি না অথচ আবদার হচ্ছে কাকে বলে ইম্প্রেসজিনম - ওই গোলা পাঠকের এনগেজ হওয়ার ১০৮।
একই কথা টোমাসন সম্পর্কেও।
আর মূল বক্তব্য ছোট করে লিখব না। পৃথিবীর কোথাও লেখক লেখার সঙ্গে একটি সহায়িকা গুঁজে দেন না। তাতে পড়লে পড়লেন, না পড়লে কাঁচকলা।
প্রসঙ্গত এর একটা কথাও আপনাকে নয়। আপনি আমার শুভানুধ্যায়ী হিসেবেই যে কথাগুলো লিখেছেন, সেটা বোঝার মতো বুদ্ধি এখনও হারিয়ে ফেলিনি। কিন্তু যারা 'নবশাখ' খায় না মাথায় মাখে জানেন না, তাঁদের সঙ্গে মন্তব্য বিনিময়ে আগ্রহী নই।
আমি অসম্ভব চুজি, তাই আজ অবধি বন্ধুসংখ্যা ৩০০ ছাড়ায়নি। আপনি জানবেন সম্ভবত।
আর যা বুঝলাম সেটা হ'ল পোস্ট পলাশী টু নাইন্টিন হান্ড্রেড এই পিরিয়ডে, এই ইশকুল খোলা, এডুকেশনের মডেল কী হবে, কী শেখানো হবে পুরোটাই অজস্র লোকের নানান ইন্টারেস্ট, লোকাল ব্যবস্থা, গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা, নানান লোকের ইন্ডিভিজুয়াল এফর্ট, সরকার বাহাদুর আর মিশনারীদের এফর্ট তার পাল্টা তত্ত্ববোধিনী ইত্যাদি এইরকম হরেক রকমের ভেরিয়েবলস কাজ করে গেছে। অ্যাত ইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে কাজ করলে অ্যামন একদেশদর্শী সাদা কালো বিবরণ কিভাবে তৈরী হয় কে জানে।
ও আচ্ছা, @সিএস
আর এইসব জানা যাচ্ছে হুগলী জেলার ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে। সুধীরকুমার মিত্র, হুগলী জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ, দেজ পাবলিশিং, পেজ ৪১১-৪২২
অন্য কাজের প্রয়োজনে হুগলী, হাওড়া, বীরভুম, এবং পুরুলিয়ার কোম্পানি আমলের ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে মোটের উপর যা বুঝলাম মোটামুটি বলাই যায় যে সিংহভাগ মধ্যবিত্ত, ও উচ্চবিত্ত বাঙালীরা একপ্রকার ভার্নাকুলার এডুকেশনের বিপক্ষে ছিল। কারণ ঐ আর কী, রুজি রোজগার সংক্রান্ত ব্যাপার। একটু ইংরেজি শিখলেই চাগ্রী পাওয়া যাবে এই আশায়। স্বাভাবিক। একজায়গায় দেখলাম মেকলেরও আগে, কে দিয়েছিলেন গ্রান্ট সায়েব নাকি, মনে পড়ছে না, প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে রোমান হরফেই ভার্নাকুলার এডুকেশন হোক। বাপরে। মানে ম্যালে ভাষার মতন কেস হয়ে গেলে বিপদ হ'ত।
ইয়ে, আমি দেখলাম টমাসন সায়েব ১৮৪৯ এ নর্থ ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের আটটি জেলায় তহশিলি স্কুল স্থাপন করেছিলেন। সম্ভবতঃ বাংলায় নয়। ইপিডাব্লু আর্টিকলে দেখলাম। ভুল দেখলাম নাকি! অনু কাপুর, নিউ ল্যাম্পস ফর ওল্ড, কলোনিয়াল এক্সপেরিমেন্টস উইথ ভার্নাকুলার এদুকেশন, ইপিডাব্লু, ভল বেয়াল্লিশ, নাম্বার উনিশ, পেজ সতেরোশো দশ টু ষোলো।
ইনি তো বোধহয় নর্থ ওয়েন্টার্ন প্রভিন্সেরই ল্যুটেনেন্ট গভর্ণর ছিলেন। বাংলাতেও কিছু করেছিলেন কিনা জানি না। বঙ্গদেশে ছোটোলাটের পদ ১৮৫৪ সালের ১লা মে তারিখে তৈরী হয়। টমাসন মারা যাওয়ার এক বছর বাদে। স্যার ফ্রেডরিক হ্যালিডে হচ্ছেন প্রথম যাকে বলে ছোটোলাট। ইনি দায়িত্ব নিয়ে কিছু মডেল পাঠশালা তৈরী করার ভার বিদ্যাসাগরকে দিয়েছিলেন, এবং বিদ্যাসাগর সেইমত কুড়িটা ইশকুল খোলেন। এটা ১৮৫৬। হ্যালিডে সায়েব এরপর ওঁকে মেয়েদের ইশকুল খুলতে বলেন। এবং দেখা যাচ্ছে যে উনি পঁয়ত্রিশটা স্কুল খুলেছিলেন। ১৮৫৮। মাসে আটশো পঁয়তাল্লিশ টাকা খরচ হ'ত। যা নিয়ে পরে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে বিলাইতি কর্তৃপক্ষের ঝামেলা বাধে ইত্যাদি।