রাজাগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের বইয়ের প্রচ্ছদে নীচের দুটো ছবি কি আয়ারল্যান্ডে নিবেদিতার হোম টাউনের ছবি ?
নিবেদিতার নানা কন্ট্রিবিউশনের মধ্যে আমার সবচেয়ে ফ্যাসিনেটিং লাগে ভারতীয় শিল্পে তাঁর ভূমিকা। লন্ডনের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও আর্ট হিস্টোরিয়ান ক্রিস্টিয়ানা হ্যারিংহ্যামের সঙ্গে collaborate করে উনি অজন্তার প্রথম প্রতিলিপি আঁকান। বঙ্গ ভঙ্গ পর্যায়ের পরে ভারতীয় শিল্পচর্চায় যে এক পরিবর্তন এল, নানা এক্সপেরিমেন্ট হল, তার পিছনে ছিলেন নিবেদিতা। এ কথা বলে গেছেন ঐ শিল্প আন্দোলনের পুরোধা ও পথিকৃৎ স্বয়ং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'জোড়াসাঁকো ধারে' (অনুলিখন রাণী চন্দের) বইতে আছে
'ভারতবর্ষকে বিদেশী যারা সত্যিই ভালবেসেছিলেন তাঁদের মধ্যে নিবেদিতার স্থান সবচেয়ে বড়। বাগবাজারের ছোট্ট ঘরটিতে তিনি থাকতেন, আমরা মাঝে মাঝে যেতুম সেখানে। নন্দলালদের কত ভালবাসতেন, কত উৎসাহ দিতেন। অজন্তায় তো তিনিই পাঠালেন নন্দলালকে। একদিন আমায় নিবেদিতা বললেন' অজন্তায় মিসেস হ্যারিংহাম এসেছে। তুমিও তোমার ছাত্রদের পাঠিয়ে দাও, তার কাজে সাহায্য করবে। দু পক্ষরেই উপকার হবে। আমি চিঠি লিখে সব ঠিক করে দিচ্ছি।'
বললুম 'আচ্ছা'। নিবেদিতা তখন ইসেস হ্যারিংহামলে চিঠি লিখে দিলেন। উত্তরে মিসেস হ্যারিংহাম জানালেন, বোম্বে থেকে তিনি আর্টিস্ট পেয়েছেন, তাঁর কাজে সাহায্য করবার। এঁরা সব নতুন আর্টিস্ট, জানেন না কাউকে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
নিবেদিতা ছেড়ে দেবার পাত্রী নন। বুঝেছিলেন এতে করে নন্দলালদের উপকার হবে। যে করে হোক পাঠাবেনই তাদের। আবার তাঁকে চিঠি লিখলেন। আ,মায় বললেন 'খরচপত্তর সব দিয়ে এদের পাঠিয়ে দাও অজন্তায়। এ রকম সুযোগ ছেড়ে দেওয়া চলবে না।' নিবেদিতা বুঝেছেন এতে নন্দলালের ভাল হবে, আমিও তাই মেনে নিয়ে সমস্ত খরচপত্তর দিয়ে নন্দলালদের ক'জনকে পাঠিয়ে দিলুম অজন্তায়।
......... নিবেদিতা নইলে নন্দলালদের যাওয়া হত না অজন্তায়।'
হেল্লো, মাইক টেস্টিং...
ওরেঃ এতো সেই হাত্তালি এপিসোডের রাজাগোপাল বাবু।
https://www.amazon.in/Kaguje-Singhi-Margaret-Rajagopal-Chattopadhyaya/dp/B07JKJ8PCN
এখান থেকে ভূমিকা আর সূচীপত্র পড়ে নিলেও অনেকটা হয়।
পাই এটা না পড়ে ভাটে সাঁকো নাড়াচ্ছে কেন? সব আলোচনা দিনের শেষে রামু আর বিবুতে গিয়ে কনভার্জ করে।
আমার আগের দুটো মেসেজ পারলে ডিলিট করে দিন।
১৮৯৮- ১৯১১ হবে।
*১৮৯৮- ১৮১১
*১৮৯৮- ১৮১১
@ডিসি
নিবেদিতা ও জগদীশচন্দ্রের মধ্যে ছিল এক প্রগাড় বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বের জেরে স্বাভাবিক ভাবেই গভীর ভাললাগা ভালবাসা ও ভরসা। নিবেদিতা ১৮৯৮ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতায় আসেন আর তার দেড়, দু মাসের মধ্যেই দুজনের পরিচয় ও নিয়মিত যোগাযোগ শুরু হয়। ১৮৯৬- ১৮৯৮ পর্যন্ত জগদীশচন্দ্র ইউরোপের বিজ্ঞান মহলে সবচেয়ে আলোচিত এক নাম। প্রায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলা যায়। নিবেদিতা ব্রিটেনে থাকতেই সম্ভবত তাঁর নাম শুনেছিলেন। আইরিশ নিবেদিতা চেয়েছিলেন বিজ্ঞানে পিছিয়ে বলে পরাধীন ভারতবর্ষকে পাশ্চ্যাত্যে যে হেলাফেলার শিকার হতে হয়, জগদীশচন্দ্র সে দুর্নাম ঘোচাতে পারবে। ১৮৯৯- ১৯০০ সালে নিবেদিতা যখন নিজের দেশে যান মূলত বাগবাজারে তাঁর স্কুলের জন্যে অর্থের সন্ধানে তখন তিনি জগদীশচন্দ্রকে বলেছিলেন তাঁর গবেষণার synopsis নিবেদিতাকে দিয়ে দিতে। উনি চেষ্টা করবেন ইউরোপ থেকে অর্থ সাহায্যের। করেওছিলেন। প্যারিসে শুধু জগদীশচন্দ্রের গবেষণার খাতিরে টাকা তোলার জন্যে তিনি আলাদা সভা করেন। নিবেদিতা জগদীশচন্দ্রকে যে অর্থ সংগ্রহ করে দেন তা নাকি নোবেল প্রাইজের অর্থমূল্যের সমতুল্য।
নিবেদিতা ও জগদীশ বোসের সম্পর্কটা ইন্টারেস্টিং। দুজনের বয়েসের তফাৎ দশ বছরের। নিবেদিতা ছোট কিন্তু নিবেদিতা জগদীশচন্দ্রের অভিভাবকের মত হয়ে গেছিলেন। চিঠিতে তিনি তাঁকে bairn সম্বোধন করতেন। Bairn একটি scottish শব্দ যার অর্থ হল শিশু।
বিবেকানন্দের প্রয়াণ ও মিশন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে নিবেদিতা জগদীশচন্দ্র ও লেডি অবলাকে আঁকড়ে ধরেন। তাঁদের ওপর কর্তৃত্ব করতেন বললেও ভুল বলা হবেনা যার এফেক্ট অনেক সময়েই ভাল হয়নি বিশেষ করে বসুদের দাম্পত্যে। এই সময় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও বসুদের সম্পর্কের কিছু অবনতি হয় যার জন্যে নিবেদিতাকে দায়ী করেছেন কিছু গবেষক।
বসু বিজ্ঞান মন্দিরের লোগো নিবেদিতার আঁকা।
নিবেদিতার কিছু ideas অবশ্যই conflicting ছিল।
১৯৯৮- ১৯১১ এই তেরো বছর নিবেদিতা ভারতে ছিলেন এবং এই স্বল্প সময়েই ভারতের socio political ও literary জগতের সব who's who দের সঙ্গে শুধু পরিচিত নয়, অনেকেরই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এটা বেশ অবাক করে।
She was undoubtedly a great public intellectual of her time and a prolific writer.
*'লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প' অবশ্যই নিবেদিতা।
//ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা করতে গেলে অন্ততপক্ষে গোটা দশ-পনেরোটা ইংরেজি বই এবং সঙ্গে সরকারি রিপোর্ট-চিঠিপত্র পড়া খুবই জরুরি।//
//অন্য বইতে //
//অন্যত্র লেখা আছে! ... - সব বিশদে লেখা ছিল। //
এই অ্যাপ্রোচের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে অ্যাটিচুডটা যা প্রতিভাত হচ্ছে - আমার সাথে কথা বলতে হলে আগে আমি যা যা পড়েছি পড়ে আসুন তারপর বাকতাল্লা দেবেন। এটা, আপনি বুঝছেন কিনা জানিনা, অন্যদের মধ্যে একটা বিরক্তির জন্ম দেয়। আপনার এ বিষয়ে ইন্টারেস্টের জন্য বা অন্য কাজ বর্তমানে কম থাকার জন্য আপনি এ বিষয়ে ডুবে থাকতে পারেন, যত খুশি পড়াশুনা করতে পারেন, কিন্তু বাকিদের থেকে প্রাসঙ্গিক মতামত আশা করলে তাদের আপনার পড়া বইপত্রগুলো র প্রাসঙ্গিক অংশ জানাতে হবে তো, বাকি কিছু আপনি অনলাইনে পেয়ে থাকলে সেগুলোর সন্ধান রেডি রেফারেন্স হিসেবে দিতে হবে তো। নইলে মিনিংফুল এক্সচেঞ্জ হবে কেমন করে? আমরা যেভাবে আলোচনা করি, যে কথাটা বলছি তার সাপোর্টিং ডকুমেন্টটা পাশাপাশি দিয়ে দিই। তাতে কেউ উত্তর দিতে হলে অ্যাটলিস্ট সেটুকু পড়ে উত্তর দেবে, অন্তত প্যারিটিটুকু থাকবে। খেয়াল করবেন যেখানে সেটা করেছেন, সেখানে আলোচনাটা মিনিংফুল হয়েছে।
নইলে আইদার লোকে পুরো ইগনোর করবে, প্রায় কোনো রিঅ্যাকশনই পাবেন না (গান্ধী) কারণ ওই বিশখানা রেফারেন্সের কোন দুটির কোথায় ওই স্পেসিফিক বিষয়ে লেখা আছে সেসব খুঁজে পড়ে তারপর তা নিয়ে কথা বলার মত সময় বা উৎসাহ লেখক বাদে কারোরই থাকার কথা নয়। নয় ভাট এক্সচেঞ্জ হবে - খিল্লি ও খেউড় পাবেন উত্তরে পালটা দেবেন এই চলতে থাকবে। সেটাি অভিপ্রেত নয় বলেই ধরে নিচ্ছি।
আরেকটা জিনিস, জেনারেলিই বলি, লেখার ক্ষেত্রে, এক একটা চ্যাপ্টার ধরে বা বিষয় ধরে, যা লিখছেন, তার একটা চুম্বক দেবেন। দুটো তিনটে বাক্যে বা যতটা ছোটো করে সম্ভব আপনার প্রতিপাদ্যগুলো। অগাধ লেখার মধ্যে থেকে আপনার কনক্লুশনগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে তার কাউন্টার করা অসীম সময়ের ব্যপার।
এই যে গত এতদিনের এক্সচেঞ্জ এর ব্যাকগ্রাউন্ড কী? আপনার প্রতিপাদ্যটি কী যার সাপোর্ট বা কাউন্টার করা হবে? এক প্যারায় বা কয়েকটি বুলেট পয়েন্টে লেখা যায়?
বিবাদভঙ্গার্ণব সম্পর্কে কেন প্রশ্ন করেছিলেন, তার ইতিহাস ইন্টারপ্রিট করার পরেও সেটা ধোঁয়াশা থেকে গেল। এইটা প্রমাণ করতে কী, যে - উইলিয়াম জোন্সই দায়িত্ব নিয়ে ভারতীয় জনজীবন থেকে অলরেডি অবসলিট হয়ে যাওয়া চূড়ান্ত রিগ্রেসিভ মনুস্মৃতির বিধানগুলো আইন হিসেবে মান্যতা দিতে গিয়ে নতুন করে সমাজকে রিগ্রেসিভ করে তুললেন? এইটা প্রমাণ করতে গেলে, বুঝতে পারছেন, স্মৃতিশাস্ত্রগুলো যে তার আগে স্রেফ পন্ডিতদের পাঠ্য অবসলিট টেকস্ট এ পর্যবসিত হয়েছিল, দেশীয় আইনকানুনে তাদের কোনো প্রত্যক্ষ সংস্রব ছিল না বহুদিন, সেটা প্রমাণ করতে হবে? দুই, নতুন কলোনির আইন প্রচলনে অল্টার্নেটিভ কি ছিল তা প্রপোজ করতে হবে?
...আড্ডিচাড্ডি
রবিচাড্ডি,বিদ্যাচাড্ডি,নাস্তিকচাড্ডি,বিজ্ঞানচাড্ডি,বাংলাচাড্ডি,কিশোরচাড্ডি,সলিলচাড্ডি,......
কর্নাটকী ঘরানায় ভোরের রাগ, মলয়মারুথাম , কাদরী গোপীনাথের স্যাক্স: