আমার মনে হয় মুঘল শাসকদের পতন হলেও মুঘল শাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থা তো আর দুম করে উবে যায়নি রে বাবা। বেশ কিছু তালুক ও রায়তিগুলোর ইকোনমিক সিস্টেম যাকে বলে আতমোনির্ভর ছিল বা গ্রামীণ হাট নির্ভর। রায়তিগুলোতে জীবিকা বেসড ক্লাস্টারিং হয়েছে মানে তাঁতিপাড়া, কুমোরপাড়া, মুচিপাড়া তৈরী হয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনে, মানে অর্থনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে মিনিমাম পাটিগণিত জানা দরকার তা শিখে নেওয়ার মতন পাঠশালা জাতীয় খুলে নিয়েছিল। অন্যদিকে তালুকগুলো ছিল একধরণের মিক্সড কালচার। সেখানে তালুকগুলোর চতুষ্পাঠী গুলিতে মনে হয় নীচু জাতের প্রবেশাধিকার ছিল না। আপটু নবশাখ।
এইরকম হতে পারে। নাও হতে পারে।
একলাখ স্কুলের ব্যাপারটা অ্যাডাম সায়েবের রিপোর্টে রয়েছে। আমি লাইন বাই লাইন পড়ে দেখিনি তাই উনি নিজেই বলেছেন না আগের কারো করা সার্ভে রেফার করেছেন সেটা জানি না।
কিন্তু মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ ব্রিটিশ ব্যবস্থার আগে ছিল বা ছিল না, সেটার জন্য শিক্ষার রকমফের বা ডিগ্রীটা নির্ধারণ করা উচিত। টোলে কী পড়ানো হ'ত, চতুষ্পাঠীর সিলেবাস এবং সমসাময়িক মিশনারি ইশকুল গুলোয় কী পড়ানো হচ্ছে ইত্যাদি। এসবের সঙ্গে আবার মুসলমানদের শিক্ষা এবং অন্ত্যজদের শিক্ষা ইত্যাদি। এবং একপেশে ছবি বোধহয় নেই।
টোল চতুষ্পাঠীতে কিচ্ছু পড়ানো হচ্ছে না, চুরিচামারি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে; অন্যদিকে ক্রিশ্চান মিশনারিদের স্কুলে ভালো পড়াশুনো হচ্ছে এই মর্মে সংবাদপত্রে আর্টিকল যেমন বেরোচ্ছে ও শিক্ষার বেহাল দশা ইন্ডিকেট করছে, তেমনি প্রচুর গ্রামে যে টোল/পাঠশালা বা এই জাতীয় কিছু মিনিমাল শিক্ষাব্যবস্থা ছিল এও মনে হয় সত্যি।
ইসলামোফোবিয়া যেমন রয়েছে, তেমনি এও সত্যি যে মার্শম্যানের ইশকুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারণ হিঁদু ছাত্রীরা আপত্তি করেচে তাদেরই দুই সহপাঠী ক্রিশ্চান হয়ে গ্যাচে বলে। অন্যদিকে বিশপস কলেজে নেটিবদের পোষাক আর ইওরোপীয়ান দের পোষাক এক হতে পারে না বলে ফরমান জারি হচ্ছে।
আবার দ্যাখো, বেঙ্গল গেজেটিয়ার হুগলি জানাচ্ছে, টোল চতুষ্পাঠীতে নবশাখ ছাড়া অন্যান্যদের, মানে যাকে বলে আনটাচেবলস, এদের কোনো এক্তিয়ার ছিল না।
এইরকম নানা বর্ণের ছবি। এর ভিত্তিতে একবগগা কোনো ছবি আঁকা মনে হয় না আদৌ দরকারী।
সেকি রঞ্জন-দা, আবার আপনি কেন? আমি ঠিক আছি। আপনি কেমন আছেন? তান চামেলীর কথাও শুনলাম ।
আসলে একজন চীনা ছাত্রী বাংলায় সর্বোচ্চ নম্বর পাচ্ছেন, আবার এক বাঙালি ছাত্রী চাইনিজে প্রথম হচ্ছেন, এটা কালচারাল এক্সচেঞ্জের একটা উৎকৃষ্ট ও ইন্টারেস্টিং উদাহরণ। তাও ৬০-৬৫ বছর আগে!
প্রশান্তভূষণের কেসটা এখনও মেটেনি। রায়ে বলা হয়েছে উনি যদি ওই একটাকা ফাইন না দেন তাহলে তিনমাস বিনাশ্রম জেল এবং আগামী তিনবছর প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।
বল এখন প্রশান্তের কোর্টে !
@অর্জুন,
সুস্থ হয়ে উঠুন।
যতদূর মনে পড়ছে ছোট মেয়ে তান চামেলি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনাভাষার অধ্যাপক ছিলেন সম্ভবতঃ দেড় দশক আগে রিটায়ার করেছেন। আপনার দিল্লি কন্ট্যাক্টে ওনাকে যদি পান তো---!
রিয়ার কেসটা নিয়ে খুব মিডিয়া ট্রায়াল চলছে।অর্ণব এমন চিল্লাচ্ছে যে ধারে কাছে কেউ বসতে পারছে না।
বোলতার চাকে কেউ ঢিল ছোঁড়ে?
ধন্যবাদ বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত। তবে শান্তিনিকেতনের ক্ষেত্রে 'আশ্রমিক' ট্যাগটি এখন ট্যাবু হিসেবে গণ্য হয়। :-)
লাখে, লাখে মহিলারা স্কুলে যেতেন বিদ্যাসগরের পূর্ববর্তী প্রজন্মে? বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠার পরে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বড়মেয়ে সৌদামিনীকে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্যে একদিনের জন্যে স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। সৌদামিনীর জন্ম ১৮৪৭ সালে। তাহলে ১৮৫৩/৫৪ হবে ! এতখোদ কলকাতা শহরে্র কথা ।
তবে পণ্ডিত পরিবারের মহিলাদের সম্ভবত সংস্কৃত শেখাবার ব্যবস্থা হত। সেরকম কিছু মহিলা শিক্ষিকার কথা ইতিহাসে পাওয়া যায়। পূর্ববঙ্গে নারী শিক্ষার চল ছিল। মৈমনসিং গীতিকা'র চন্দ্রাবতী পিতার টোলের দায়িত্ব নেন। এরকম টোল কিছু মহিলা পরিচালিত ছিল । পূর্ববঙ্গে ১৮৮০ থেকে গ্রামে, মফস্বলে নিজগৃহে অনেক মহিলা পাঠশালা চালাতেন, কয়েকটি কো-এডুকেশনল ছিল। ছেলে মেয়ের প্রাথমিক শিক্ষা একসঙ্গে হত।
আমাকে একজন সোশ্যাল অ্যানথ্রপলজিস্ট বলেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে মহিলারা পুরুতের মুখে পাঁচালি শুনে মুখস্থ করত, তাদের অক্ষর পরিচয় ছিল না/ হত না। পূর্ববঙ্গের মহিলারা বই খুলে পাঁচালি পড়তেন।
দীপাঞ্জন, শিক্ষানীতির এফেকটিভনেস বুঝবেন কি ভাবে? কোন কোন ভ্যারিয়েবল ধরবেন?
চরিত্র বিচারের কথা বলছি না তো, অন্তত আমি বলছিনা। খেলতে গিয়ে কেউ মুখ খারাপ করলে, অভদ্রতা করলে বাজে লাগে, এইটুকুই বলছি। খেলতে গেলেও বাজে লাগে, দেখতেও বাজে লাগে।