"তার বাইরে" হলে অবশ্য আমারও কিছু বলার নেই | যেমন বিরাট কোহলি খেলার মাঠের বাইরে কি করল আমারও কোন মাথাব্যথা নেই। কিন্তু যতক্ষণ সে "ভেতরে", মানে, খেলার মাঠে খেলছে, ততক্ষণ তো একজন খেলোয়াড় হিসেবে মানুষটার ওপর প্রত্যাশা থাকে?
ধরুণ দুজনে মিলে গলফ খেলছেন, যে লোকটির সঙ্গে খেলছেন, সে বড় খেলোয়াড়, কিন্তু সে অকারণে তিন নম্বর হোলে খেলবার সময় অকারণে মুখ খারাপ করতে শুরু করল। খেলতে ভাল লাগবে? ধরুন নিক কিরঘিওজ, অসাধারণ টেনিস প্লেয়ার, ততোধিক বদমেজাজী!
তবে মানুষে মানুষে তফাৎ তো থাকেই, আপনার হয়ত ভাল লাগে, দুটো ব্যাপার সহজে আলাদা করতে পারেন, আমি পারি না।
দীপাঞ্জন, অনেক ধন্যবাদ। প্রথম থেকেই হিন্দু শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ইসলামোফোবিয়া এবং ছোটলোকফোবিয়া সম্পর্কে আপনার মত ও দৃষ্টিভঙ্গী আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে।
অর্জুন, শরীরের যত্ন নিন। এত অল্প বয়সে এত কিছু খুব কাজের কথা নয়।
বড়েস, না সব এনারাই যে খারাপ তা একবারও বলিনি। তবে ও প্রসঙ্গটা না বললেও হত। ইগনোর করাই সবচেয়ে ভালো ওষুধ এসব ক্ষেত্রে।
খ, আমি খুবই আশ্চর্য হই যে এত গালি খাওয়ার পরেও আপনার মতো ইতিহাসবেত্তার আমার লেখা ভালো লাগে! এ মাইরি যা তা রকমের বায়াসনেস!!
প্রসঙ্গত আমার কথোপকথন মূলত সিএস-এর সঙ্গে হয়েছিল। কিছুটা রঞ্জনবাবুর সঙ্গেও। কাজেই বাকিদের সঙ্গে এনগেজ হওয়ার কারণ দেখছি না।
"এই একই কারণেই বহুলোক বিরাট কোহলিকে পছন্দ করেনা। ও কেন মাঠে গালাগালি দেয়? কারণ সেটা করলে যে আর পুজো করা যাচ্ছেনা।"
খেলাধুলোর ব্যাপারটা আমার মতে অন্য রকমের | যেটা বলতে চাই, ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস ভারি সুন্দর করে Roger Federer as religious experience প্রবন্ধে (২০০৫ সালে) লিখে গেছেন,
“Beauty is not the goal of competitive sports, but high-level sports are a prime venue for the expression of human beauty. The relation is roughly that of courage to war.”
খুব বড় খেলোয়াড়, খেলার মাঠে মুখ খারাপ করছেন, তাঁকে দেখে বিশ্রি লাগাটা তাঁকে পুজো করা যাচ্ছে না বলে যতটা হতাশার, তার থেকেও, খেলা ও খেলোয়াড়ের প্রতি মানুষের ব্যবহারগত প্রত্যাশার অবনমন দেখে দুঃখবোধ থেকে হওয়াটাই স্বাভাবিক ।
চীন জুড়ে মাও-সে-তুঙে আর তার খুনি ডাকাতের দলের সন্ত্রাসের সূচনা তার ক্ষমতায় আসার অনেক আগে থেকেই চলেছিল। পার্ল বাকের স্মৃতিকথা পড়লেই জানা যায়।
@অমিত বাবু, কেমন আছেন ? অনেক দিন পরে।
সাবিত্রীবাঈ ফুলের কথা মহারাষ্ট্রে স্কুলে পড়ানো হত কিনা সন্দেহ। আমি পুনেতে হিউম্যানিটিজ নিয়ে যখন পড়তাম, তখন হিস্ট্রিতে মরাঠা হিস্ট্রি পড়তে হত। সেটা শুধুই মরাঠা সাম্রাজ্যের কাহিনী। উনিশ শতকের প্রথম দফাতেই শেষ। শিবাজী লিগ্যাসী জিইয়ে রাখার একরকম প্রয়াস।
সাবিত্রীবাঈ নিয়ে অ্যাকাডেমিক চর্চা শুরু করেন পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের Sharmila Rege। ওখানকার Women's Studies Centre প্রতিষ্ঠা হলে তার নাম হয় Krantijyoti Savitribai Phule Women's Studies Centre। উনি ডিরেক্টর ছিলেন। এই দুর্দান্ত স্কলার মানুষটি খুব অকালে চলে গেছেন। দলিত ডিসকোর্স ও ফেমিনিজম নিয়ে অসাধারণ কাজ আছে ওঁর।
@অরিন-দা, হ্যাঁ হঠাৎই অনেক কিছু ধরা পড়ল সমস্যা হচ্ছে না-খাওয়ার লিস্টটা বড্ড বড় গেছে। আমার জীবন দর্শন আবার হল, খাওয়ার জন্যেই বাঁচা! তাছাড়া য়েস কি কম হল নাকি!
'বৌদ্ধ ধর্ম' আবিষ্কারের পিছনে Cunningham বাদে আরেকজনেরও প্রভূত কৃতিত্ব আছে Aural Stein। তবে মাও -সে -তুঙের সময় চীনে তাকে বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে গবেষণা করতে দেওয়া হয়নি। আরেকজন জার্মান ওরিয়েন্টালিস্ট আছেন। সেন্ট্রাল এশিয়ার ইতিহাস চর্চায় এরা গুরুত্বপূর্ণ। শিখ সাম্রাজ্য নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এক শিখ গবেষক পাকিস্তান- আফগানিস্তান বর্ডারের কাছে পরিত্যক্ত বৌদ্ধ স্থুপ খুঁজে পেয়েছেন। জবেকিস্তানের বিখ্যাত শহর 'বুখারা'র নাম এসেছে বৌদ্ধ 'বিহারা' থেকে।
ধর্মানন্দ কোসাম্বী আবার খুব স্বাধীন গবেষক এবং ইণ্ডিপেন্ডেট রিসার্চ রেছেন। তথাকথিত ওরিয়েন্টালিস্টদের ধার ধারেননি। উনি সিলন, বর্মা থেকে এমন কিছু বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থ আবিষ্কার করেন যা পশ্চিমী গবেষকরা ্জানতেন না। কোসাম্বীর কালেক্টেড ওয়ার্কস খন পাওয়া যায়।
রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৌদ্ধ ইতিহাস নিয়ে লেখাও আমার ভাল লেগেছে।