এলেবেলের কেমিস্ট্রি ছিল না তো? দেখবেন আবার। ঝট করে এত এভিডেন্স জড়ো হয়ে যাচ্ছে এক একটা হাইপোথিসিসের। উফফ
রাজশাহীর মহিলা জমিদাররা ব্রিটিশদের তীব্র অস্বস্তির মুখে ফেলে দেয়। সেই আমলে একজন মহিলা স্বাধীনভাবে জমিদারি চালাচ্ছেন, কর কিংবা খাজনা দিচ্ছেন এসব জন শোর (কর্নওয়ালিসের পরের জন) হজমই করতে পারেন না। বর্ধমান তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সম্পত্তির অধিকার মেয়েদের থেকে আমরা কাড়িনি, কেড়েছে ব্রিটিশরা।
না না সৈকত, আমি লিখলে আপনি লিখবেন না কেন? বরং আপনাকে দেখে গায়ে বল পেলাম! তাই আপনার বানানো 'সেন্টার স্টেজ'-এ এট্টুস নেচে গেলাম!
বৈষ্ণবদের মধ্যে রীতিমাফিক নারীশিক্ষা চালু ছিল। বিপিন পাল এবং রামমোহন পড়ুন। সাহিত্যেও একাধিক উল্লেখ আছে। তাঁরাই অন্তঃপুরবাসিনী হতে বাধ্য হওয়া হিন্দু মেয়েদের শিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। লক্ষীর পাঁচালি, ব্রতকথা, বটতলার বই কারা পড়তেন? শুধুই পুরুষরা?
আরে ওটা আমার বই না। আমারটা এখনো লিখে উঠিনি।
ওটাকে স্ট্যান্ডার্ড ঐতিহাসিকের ভার্সান বলে ধরা যেতে পারে। স্পেকুলেশনের জায়গা নেই। সেসব হয়তো চ্যালেঞ্জড হচ্ছে এখন, চ্যালেঞ্জাররা বলতে পারবেন।
আতোজের ওয়ান লাইনারের ওপর ভরসা করেও লাভ নেই, কী পড়েছিল, কোথায় রেফারেন্স সব ভুলে গেছে, পড়ে কী মনে হয়েছিল সেটা দশবার লিখে সেটাকেই কথাবার্তার স্টার্টিং পয়েন্ট বানিয়ে রেখেছে।
তো ওই সময়ে নারীশিক্ষার হার খোদ ইংল্যান্ডে কত শতাংশ ছিল? বাল্যবিবাহ বুঝি শুধু ভারতেই ছিল? ইংল্যান্ডে ছিল-টিল না! তাই মদনমোহন অত সুখ্যাত করে বিদূষী ইংরেজ মহিলাদের গপ্পো ফেঁদেছিলেন!! আর গোটা মুসলমান শাসনকালে কোনও শিক্ষিত মহিলার সন্ধান পাননি!
শিক্ষা মানে স্কুল - এই ধারণা ভারতবর্ষে ছিল? চিরকালই তো গুরুগৃহে বিদ্যাশিক্ষা বা গুরু বাড়িতে রেখে বিদ্যাশিক্ষা। সব কিছুকে পাশ্চাত্যের চশমা দিয়ে দেখতে হবেই বা কেন?
না, না আর কিছু খোঁজার সময় বা এ বিষয়ে আর এফোর্ট দেওয়ার মত ইচ্ছেও নেই। কিন্তু যেটা দেওয়া রয়েছে সেটাই দেখি কেউ পড়ে নাই। একটা স্ট্যান্ডার্ড ইতিহাস বই তো বটে।
হায় আল্লা! ডবল ঢেউ দেখছি আঠারো শতক মানেই অতুল সুর ভাবছেন! প্রথম কথা অ্যাডাম কি একথা লিখেছিলেন কোথাও যে পাঠশালায় লাখে লাখে মেয়ে পড়ত? যেটা নেই সেটার পেছনে ছুটে চাট্টি কথা মানে তো ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে...
দ্বিতীয়ত অ্যাডাম নিজে কোথাও বলেননি যে বাংলায় এক লাখ পাঠশালা ছিল। সেটা তার আগের লোকজন বলেছেন। উনি সেটার রেফারেন্স দিয়েছেন মাত্র। মাত্র পাঁচটা জেলার সমীক্ষা করে অমন কথা বলার লোক তিনি ছিলেন না।
অ্যাডাম রিপোর্টের দুটো বিশেষত্ব - দরিদ্র অন্ত্যজ হিন্দু ও মুসলমানদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিচরণ এবং তাঁদের জীবনধারার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এক স্বয়ংসম্পূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা যার আর্থিক দায়ভার তাঁরাই বহন করতেন। সেখানে সরকারও ছিল না, জমিদাররাও ছিল না। তবুও ১৮৩৫ সালে নাটোরে স্বাক্ষরের হার ছিল ১১.৪%।
ডবল ঢেউ ভেবেছিলাম অন্য কোনও রিপোর্ট-ফিপোর্টের লিং দেবেন। কিন্তু অতুলকেই অতুল সম্ভাবনাময় ভাবছেন হয়তো!
আর গোয়েন্দাদেরও ওই গালাগাল খাওয়ারই বরাত।
অতুল সুরের ব্যাকগ্রাউন্ড আর ক্রেডেনশিয়াল কেউ বাতলাতে পারেন?
https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.298828/page/n101/mode/2up
স্ট্যান্ডার্ড ইতিহাস বই এর লিংক দিলেও পড়বেন না। এডুকেশন রিপোর্টের লিংক দিলেও না। শুধু স্পেকুলেট করবেন আর ভাট করবেন। আপনাদের আর কী হবে? কেউ সেসব ভাট পড়ে চটে মটে চাট্টি নতুন রেফারেন্স দিলে আবার তাকে টইমুখো করে ভাটে বসে একই গজল্লা করবেন। কীরম গা রি রি করে বলুন দিকি।
অনুকূল ঠাকুরের নামে এসব প্রতিকূল কথায় আমার ভাবাবেগে খুবই আঘাত লাগছে। ভাবাবেগ আঘাতে আঘাতে জর্জরিত, ছটফট করছে। এর প্রতিকার চাই।