এতো আজব মাইরি, অদ্ভুত! একটা রেফারেন্স কোত্থেকে ডাউনলোডিয়েছেন তা জিজ্ঞেস করাতে হাঁটু মুড়ে ফুরে...কী হাস্যকর! ধ্যার।
গুরুতে আমি কখনো টি ছাড়া অন্য কোনো নিকে লিখি না, আর অ্যাত দিনকাল খারাপও পড়েনি যে আপনাকে আমি অন্য নিক থেকে খিল্লি করতে যাব। এই প্রচুর খিল্লির রেফারেন্স গুলো কী কী? কারা এসে আপনাকে খুঁচিয়ে যাচ্ছে আর আপনি মনে হচ্ছে আমার নামে বিল কেটে যাচ্ছেন। এইটা আমি আন্দাজ করেছিলাম যেই গুমোর ফুমোর লিখছিলেন। এখন দেখছি সত্যিই তাই। নিদেনপক্ষে আইপিগুলোও তো দেখতে পারেন। বহুদিন আগে কে আগে রামের ভোট বামে যাচ্চে বলে প্রেডিকশন মিলিয়েছে সেই নিয়ে অর্থহীন কিছু আদানপ্রদান ছাড়া আপনার সঙ্গে আমার খুব খুব লিমিটেড ইন্টারঅ্যাকশন হয়েছে। এই অবদিই।
দস্যু মোহনকে একবার বাক্সে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে সমুদ্রের জলে ফেলে দিয়েছে। বেরোবার কোন পথ নেই। লেখক শশধর দত্ত মহা ফাঁপরে পড়েছেন। এইবার মোহনের লীলাখেলা বুঝি শেষ হল। কিন্তু এবারও শশধর দত্ত জিতে গেলেন। পরের চ্যাপ্টার শুরু হল, "কী হইতে কী হইল বুঝা যাইল না, মোহন বাহির হইয়া আসিল।"
"কী হইতে কী হইল বুঝা যাইল না" একটি দুর্ধর্ষ লাইন। কত লোক এই করে দাপট দেখিয়ে গেল। আর একটি দুর্ধর্ষ লাইন, "আমি বলছি, তাই"। আধুনিক ইতিহাস পর্যালোচনায় এগুলো খুব কাজে লাগে।
দেখব তো রণজিৎ সিংহ-র বইখানা। থ্যাঙ্কিউ।
বাপরে, কী দাপট!
না, কিন্তু পাখি। টি যেমন, উট না, কিন্তু হাঁটু ভাঁজ করে বসেছে
পাই, আপনার সময়োচিত চমকে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সত্যিই আমিও মনে করি চমকানোই উচিত। কিন্তু হঠাৎ করে দেখলে এইভাবেই চমকাবেন। গত একবছর তিন কি চারজন বেছে বেছে দু-চারজনকে নানা নিকের আড়াল থেকে যখন যা খুশি বলে যান, তখন চমকাতে দেখি না কেন? সেখানে পরিবার তুলেও প্রচুর কথা চালাচালি হ্য় যা অত্যন্ত অশোভন লাগে। আপনি ব্যস্ত, হতেই পারে সর্বদা সবকিছু আপনার নজরে পড়ে না। কিন্তু সাইট দেখভালের জন্য যাঁরা আছেন তাঁরা যদি এক মন্তব্য তিনবার করলে তা দ্রুত মুছে দিতে পারেন, তাহলে এই বিষয়গুলোতে ইন্টারভেন করেন না কেন? নাকি এগুলো তাঁরাও এন্ডোর্স করেন? দু-তিন দিন আগেই একজনকে চিমসে কালো চামচিকে না কী যেন একটা বলা হয়েছে। ওগুলো কি তবে আগেই বলা শুরু হয়ে গেছে কিংবা জায়েজ? তাই কেউ চমকায়-টমকায়নি?
হ্যাঁ, টি-র বাবা কে তা আদৌ জরুরি নয়। আমি মেনে নিচ্ছি আপনার অভিযোগ। কিন্তু আমার নাম-ধাম-নিবাস মায় পেশা অবধি সবকিছুই যখন খুল্লমখুল্লা এখানে আলোচনার বিষয় হয়, তাহলে এই ঢপের নিকের আড়াল রাখার দরকারই বা কি? ওটা খুব সচেতনভাবে করিনি এবং তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সেখানে অন্যে কে কী করেছিল বেছে বেছে সেই উদাহরণ তোলার বোধহয় দরকার নেই।
// আমার নাম নিয়ে গুরুর গ্রুপ বইমেলা কীসব লিখে গেছিলেন সাইটে, খেয়ালও নেই ঠিক করে//
একটু খেয়াল করে বলবেন। তবে যতদূর মনে পড়ে কিছুই বলিনি, বরং এখানে আপনাকে জড়িয়ে আমার সম্পর্কে অত্যন্ত অশালীন ইঙ্গিত করা হয়েছিল যার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কও নেই, আমি ওসবে আগ্রহীও নই। প্রতিবাদ করতে পারতেন, হয়তো চোখে পড়েনি। যাই হোক, আবারও বলছি আপনার নামে সাইটে কী লিখেছি বইমেলা নিয়ে সেটা খুঁজে বের করে দেখাবেন, নিশ্চয়ই তার উত্তর দেব।
পরিশেষে বলি সাইটে 'চদু' লিখতেও দেখেছি, 'বাল' তো কবেই দেখেছি; কিন্তু তার এত দ্রুত রিপার্কাশন দেখিনি। দেখিয়ে ভুল করেছেন তা একবারও বলছি না, কিন্তু আশা করব আপনারা যাঁরা গুরুর সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত আছেন তাঁরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও এইরকমের দ্রুত রিপার্কাশন দেখাবেন। আর মনে রাখবেন, এই ধরণের শব্দপ্রয়োগ সাইটে 'সম্ভবত' প্রথমবার করলাম কারণ মাঝে মাঝে ফোঁস করার দরকার হয়। হয়তো আবারও রন্টিপাগলারা জুটে যাবে আমোদ নিতে এই কথাগুলোর পরে, সেটা একটু দেখবেন আশা করি।
শ্রীচরণেষু ডিকলোনাইজড মামাবাবু,
হেঁ হেঁ, খপর পাইলাম আমার একটি মীরাক্কেল স্ট্যান্ডার্ডের খিল্লিতে আপুনি নাকি কুপোকাত। আপুনি না হেসটিন সায়েবের সাথে স্যান্ডো লড়েন? তা কোটেশন বড় পচুন্দো করেন আপুনি। খিল্লিবাজদের প্রফেট কে জানেন তো? তাঁর একটি কোটেশন আপুনাকে পাঠাইলাম।
ব্যাপার কি বোঝা গেল না, তাই সন্ধ্যায় সবাই মিলিয়া কালাচাঁদের বাড়িতে গেলাম। আমি বলিলাম, "ভাই কালাচাঁদ, আমরা তোমার সেই ছবিটা দেখতে চাই। সেই যে সমুদ্র লঙ্ঘন না কি যেন?" রমাপ্রসাদ বলিল, "দ্যুৎ, সমুদ্র লঙ্ঘন কিসের? অগ্নিপরীক্ষা।" আর একজন কে যেন বলিল, "না, না, কি একটা বধ।" কেন জানিনা , কালাচাঁদ হাঁ হাঁ করিয়া একেবারে তেলে-বেগুনে জ্বলিয়া উঠিল। "যাও যাও ইয়ার্কি করতে হবে না," বলিয়া সে তাহার ছবির খাতাখানি ফড়ফড় করিয়া ছিঁড়িয়া ফেলিল- আর রাগে গজরাইতে লাগিল। আমরা হতভম্ব হইয়া রহিলাম। সকলেই বলিলাম, "কালাচাঁদের মাথায় বোধহয় একটু পাগলামির ছিট আছে। নইলে সে খামকা এত রাগ করবে কেন?"
লেকাটা পড়িয়া দেকিবেন। আপুনার জন্যই লিকেছিলেন। অবশ্য আপুনার ক্ষেত্রে ছপি নয়, ম্যাগনাম ধপাস পোবোন্দো। তা যাহা হউক, মূলভাবটি ধরিতে অসুবিদে হইবে না। আপুনার পত্র পাঠ করিয়া এ বিশ্বাস দৃঢ় হইল যে আপুনি কালে কালে কবীর সুমন হইয়া উঠিবেন। ভাল থাকুন। টা টা।
ইতি কলোনিয়াল ভাগনে ঘোঁতন
তিতাস কি এখনো কলকাতায়? সে কি নলিনীবাবুর বইয়ের কমপ্লিট বিবলিওগ্রাফিটা করল? এই ফর্ম্যাটে আমি করে থাকি -- বুলেট নাম্বারিং এর ইন্ডেন্টিং এর মাধ্যমে মোট বই, মোট গল্প এগুলো একেবারে পাওয়া যায়। রিপিট গল্পে নাম্বারিং না রেখে।
১। উপন্যাসের নাম
........প্রকাশনা ডিটেলস
........প্রথম প্রকাশ ডিটেলস
২। গল্পের বইয়ের নাম
........প্রকাশনা ডিটেলস
....(১) গল্পের নাম - প্রথম প্রকাশ ডিটেলস
....(২) গল্পের নাম - প্রথম প্রকাশ ডিটেলস
যেমন -- আলপনা ঘোষের ক্ষেত্রে করা -
১) আদালতের বাইরে
প্রথম প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০০১
পত্রিকা প্রকাশ : বারোমাস, এপ্রিল ১৯৯৩
প্রকাশক : প্রিয়ব্রত দেব, প্রতিক্ষণ পাবলিকেশনস্ প্রাইভেট লিমিটেড, ৭ জওহরলাল নেহরু রোড কলকাতা-৭০০০১৩
প্রচ্ছদ : ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
মুদ্রক : প্রতিক্ষণ প্রেস প্রাইভেট লিমিটেড; ১২বি, বেলেঘাটা রো কলকাতা-৭০০০১৫
উৎসর্গ : কবিতা-বিজন / স্নেহভাজনেষু / দিদি
দাম : ৪০ টাকা
লেখকের কথা : উপন্যাসের ভেতর দিয়েই তো প্রবাহিত হয় লেখকেরও কথা।
একটা উপন্যাস লেখার গল্প যেমন আর এক আখ্যান।
‘বারোমাস”-এর সম্পাদক শ্ৰীঅশোক সেনের আমন্ত্রণে লেখা হয়েছিল এটি — ৯২-এর শারদ সংখ্যার জন্য। আমারই কারণে শেষ পর্যন্ত এপ্রিল ৯৩ সংখ্যায়। এটি প্রকাশিত হয়। তারপর আটবছর অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যে উপন্যাসটিকে আবার লিখি। পুরোটাই৷
শেষ পর্যন্ত শ্ৰীমতী স্বপ্না দেব ও শ্ৰী প্রিয়ত্ৰত দেবের আন্তরিক এবং বন্ধুজনোচিত উৎসাহে ‘প্রতিক্ষণ’ থেকে এ বই প্রকাশিত হচ্ছে। এর উত্তরে কৃতজ্ঞতা জানাব? নাহ্ আমি অভিভূত। এটুকুই।
বইমেলা, ২০০১
২) গল্পসংগ্রহ প্রথম খণ্ড
প্রথম প্রকাশ : কলকাতা বইমেলা ২০০১
প্রকাশক : আফিফ ফুয়াদ, দিবারাত্রির কাব্য ২৯/৩ শ্ৰীগোপাল মল্লিক লেন, কলকাতা ৭০০০১২
মুদ্রক : মানসী প্রেস, ৭৩ শিশির ভাদুড়ী সরণি, কলকাতা ৭০০০০৬
স্বত্ব : তীর্থঙ্কর ঘোষ
প্রচ্ছদ : শ্যামলবরণ সাহা
দাম : একশো টাকা
উৎসর্গ : শঙ্খ ঘোষ / শ্রদ্ধাস্পদেষু
History has many cunning passages, contrived corridors........ / Gerontion, T. S. Eliot
ভূমিকা - দেবেশ রায় ‘ভুমিকাছলে’ (৬.১১.২০০০)
আত্মপক্ষ
প্রথম উপন্যাস বই আকারে বেরোবার আট বছর পরে যদি দ্বিতীয় উপন্যাস বেরোয়, প্রথম গল্পের বই বেরোবার চার বছর পরে বেরোয় দ্বিতীয় গল্পের বই; তাহলে সেই কাহিনিকারের তো একটা অনিশ্চয়তা থেকেই যায় - পরবর্তী বই আবার কত বছর পরে বেরোবে। অনন্ত পরমায়ু পেলে এ-কথাগুলো লিখতাম না, কিন্তু শতায়ু হলেও তো অর্ধেকের বেশি পেরিয়ে এসেছি।
তেমন অনিশ্চয়তা থেকেই প্রথম প্রকাশিত গল্প (১৯৮৮) থেকে ২০০০ পর্যন্ত লেখা গল্প - এক দশকেরও কিছু বেশি সময় ধরে লেখা গল্প এভাবেই সাজিয়েছি (এই সময়ে লেখা অনেক গল্প এর বাইরে রয়ে গেল) - নিজেকে, নিজের ভাবনাকে একটা সময়ের প্রেক্ষাপটে স্থাপন করে ।
‘দিবারাত্রির কাব্য’ পত্রিকার সম্পাদক আফিফ ফুয়াদের আগ্রহে এটি সম্ভব হল। যত্ন করে প্রুফ দেখে আমার পরিশ্রম বাঁচিয়ে দিয়েছেন আর এক সহলেখক মুর্শিদ এ এম। এঁরা আমার স্নেহভাজন, তাদের শুভকামনা জানাই।
শ্ৰী দেবেশ রায় তাঁর লক্ষ ব্যস্ততার মধ্যে ভূমিকাটি লিখে দিয়েছেন। আমার লেখক হয়ে ওঠায় তাঁর পরামর্শ (কখনই উপদেশ নয়) একজন দিশারির মতোই। তাঁর কাছে ঋণী ছিলাম, ঋণী আছি। আর আমার ছেলেমেয়ে আর তাদের পিতৃদেবের কথা তো এই হয়ে ওঠার সঙ্গেই ওতপ্রোত।
আলপনা ঘোষ
কলকাতা ৭০০০৫৯
গল্পক্রম :
(১) বাজারে গপ্পো - প্রতিক্ষণ, ১৯৮৮ নভেম্বর
(২) প্রতিবন্ধী – বারোমা্স, ১৯৯০ শারদীয়
(৩) দারার ছেলে – একান্তর, ১৯৯১ ২য় বর্ষ ৩য় সংখ্যা, বইমেলা ১৩৯৭ (সম্পাদনা – অরূপ আচার্য)
(৪) এইসব রণরক্ত সফলতা – প্রতিক্ষণ, ১৯৯১ সেপ্টেম্বর
(৫) রামলালের বহু – সচেতনা, ১৯৯২ জানুয়ারি-মার্চ
(৬) গিদ্ধর কী মাঈ - প্রতিক্ষণ, ১৯৯২ মার্চ
(৭) ভালোবাসার অক্ষর কিংবা বর্ণমালা - প্রতিক্ষণ, ১৯৯৪ আগস্ট
(৮) সুধাময়ীর পরিচয়পত্র - প্রতিক্ষণ, ১৯৯৫ শারদীয়
(৯) মারী - প্রতিক্ষণ, ১৯৯৭ শারদীয়
(১০) বেঁচে থাকার উপায় অনুপায় – পরিচয়, ৬৭ বর্ষ ১-৩ সংখ্যা, আগস্ট-অক্টোবর ১৯৯৭ (শারদীয় ১৪০৪) সম্পাদনা – অমিতাভ দাশগুপ্ত
(১১) অনীশ্বর – কালান্তর, ১৯৯৮ শারদীয়
(১২) চাবি – দিবারাত্রির কাব্য, ৬ বর্ষ ৩ সংখ্যা, ১৯৯৮ অক্টোবর-ডিসেম্বর (গল্পসংখ্যা) (সম্পাদনা- আফিফ ফুয়াদ)
(১৩) নিষিদ্ধ প্রশ্ন – কালান্তর, ১৯৯১ শারদীয়
(১৪) ঘরবাপসি – দিশা সাহিত্য, ২০০০ মার্চ-এপ্রিল