চোদনা | 103.214.144.196 | ২৫ আগস্ট ২০২০ ১৩:৪৩
শোন আমি যেমন জানি আমার পদ্মশ্রী পাওয়ার যোগ্যতা নেই, এ জীবনে হবেও না কোনোদিন, তেমন এটাও জানি যে তুইও নিজেকে বালের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখার খোয়াব দেখিস না। কাজেই তুই কোনটাকে ধপাস বললি কিংবা বললি না, তাতে কারও কিছু আসে যায় না। অকারণে ইগো মাসাজিং করিস না, লাভ হবে না।
আমি এখানে তোদের পাল্টা খিল্লি করি ঠাণ্ডা মাথায়। এই ধর টি। এখন এই ভদ্রলোক যদি নলিনী বেরার ব্যাটা তিয়াস হয়ে থাকেন তো ইনি আমাকে নিয়ে পোচ্চুর খিল্লি করেছেন। এখন দ্যাখ কেমন হাঁটু মুড়ে অ্যাডামের রিপোর্ট প্রার্থনা করছেন। মানে সবে বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ ধরল। তো আমি ওই বিষয়ে মাধ্যমিক পাশ করে গেছি অনেক আগে বুঝলি তো। দিয়ে তোদের ইন্টেলেকচুয়াল সুপ্রিমেসির বেলুনে পিন ফুটিয়ে ব্যাপক মজা নিই।
দেখছিস না, একটা করে বাণী ঝাড়ছি আর সবাই কেমন 'ওমা তাই?' বলে তিড়িংবিড়িং করছে? এটা হচ্ছে রন্টিপাগলাদের আসল নাচ। এখন তোরা পাউন্ডে কামাস, ডলারে ছোঁচাস - এদিকে জ্ঞানের কলসি ঠনঠন করছে। তো তাতে ইগো হার্ট হয় না বল? কোথাকার কোন এলেবেলে বলা নেই কওয়া নেই তোদের এমন বাঁদর নাচ নাচাচ্ছে, প্রেস্টিজে গ্যামাক্সিন লেগে যায় না? আমি বুঝি তোদের কষ্ট, তাই অল্প ডোজে দিই।
অথচ দ্যাখ দুই পড়ুয়া মানুষ সিএস এবং দীপাঞ্জন আমার মতো একই কথা বলছে, খানিকটা অন্যভাবে। তা দেখে তোদের গা-পিত্তি জ্বলছে না। কেন বল দেখি? ওঁরা তোদের চেনা তাই পপিচু-র হদ্দমুদ্দ। কমলকুমারের নাম শুনেছিস? ওই যে অ্যানেকডোটের জন্য বিখ্যাত ছিল রে। তো উনি একটি সংস্কৃত শ্লোকের নিজস্ব অর্থ করেছিলেন - পণ্ডিতদের অশেষ গুণ, কেবল একটাই দোষ যে তাঁরা মূর্খ। আমি তাদের পোঙ্গা পণ্ডিত নাম দিয়েছি। এরা মেকলের অবৈধ সন্তান, এদের ঊর্ধ্বতন চোদ্দপুরুষ চিরটা কাল ‘দাস্যসুখে হাস্যমুখ’ হয়ে ব্রিটিশের ‘পাদুকাতলে পড়িয়া লুটি’ ঘটিরাম ডেপুটিগিরি করাকে জীবনের একমাত্র সার্থকতা ভেবেছে। তাদের উত্তরপুরুষ আর কত ভালো হবে বল? তোদের হয়ে অনেকদিন আগে আরেক ঘটিরাম ডেপুটি এটা লিখেছিল ---
“আমি [সিসেরো] সিলিসিয়া প্রদেশে রোমীয় অধিকার বদ্ধমূল করিয়াছি। আমি যাহা করিয়াছি, তাহাতে ওই প্রদেশেবাসীরা চিরকালের জন্য রোমের দাসানুদাস হইয়া থাকিবে। আমি রোমীয় ভাষা শিক্ষার নিমিত্ত একশত চল্লিশটি বিদ্যালয় সংস্থাপিত করিয়াছি। ঐসকল বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা একেবারে রোমীয় মন্ত্রে দীক্ষিতের ন্যায় হইবে, কখনও রোমীয় ভিন্ন অপর কাহাকেও আপনাদের আদর্শস্থলীয় মনে করিতে পারিবে না।”
এবারে বলতে পারিস তাহলে আমাদের বাপের জমিদারিতে এয়েচেন কেন? তার কারণ এখানে কিছু গুণী মানুষ আছেন, তাদের কাছে শিখতে আসি। যদি বলিস কাল থেকে দরজা বন্ধ, তাহলে ঘোষণা করে দিস বরং। কেমন? আর বানাম্ভুল থাকলে ধরিয়ে দিতে ভুলিস না কিন্তু, গুরুতে তোর পয়েন বাড়বে সেটা মনে রাখিস।
লসাগু, আরে ধুর আপনাকে ফাঁফ্যা বা চোদনা বলতে যাব কোন দুঃখে? যাদের বলেছি তারা 'নব নব রূপে এসো প্রাণে' না বলতেই প্রেজেন্ট প্লিস বলে হাত তুলে ফেলেছে। তো জোন্স ভাষাবিদ, তাই? আপনারা বিবাদভঙ্গার্ণব বলে কোনও কিছুর নাম শুনেছেন?
আসলে এখনো কেউ কেউ এখানের লোকেদের কথাবার্তা ফুটকাটা খিল্লিতে উত্তেজিত হন বলে দুপাতা আলোচনা এগোয়। আমরা যারা বুড়ো ভাম হয়ে গেছি, তাদের কিছু আসেও না যায়ও না, কে কি বলল তা নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার মত অবকাশও নাই - তাদের দিয়ে কি আর ভাট এগোয়?
জাহাঙ্গীরের রাজসভায় বাঙালী জাদুকরদের উল্লেখের উৎস (মেজর প্রাইসের করা জাহাঙ্গীরনামার অনুবাদের মূলসোর্স) পাওয়া গেলে একটু জানাবেন কিন্তু।
"তবে জোন্স-এর প্রাথমিক পরিচিতি ঠিক ঐতিহাসিক হিসেবে নয়। মূলত, ভাষাবিদ। বেসিক্যালি, ভারতের ভাষাগুলি শেখা এবং বইপত্র ছাপানো ছিল মেইন উদ্দেশ্য।"
অবশ্যই! এবং মনে রাখা যেতে পারে, আজকের দিনে যে ব্যাপারগুলোকে আমরা "ধরে নিই", ১৭৮০'র দশকে একদল মানুষ অন্য একটি দেশে গিয়ে সেখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক ভাষা নিয়ে কাজ করছেন। আমার অসাধারণ মনে হয়। ভুলচুক হতেই পারে।
দমদি, জিমেলে পাঠিয়েছি।
শুধু ম্যাগনাম ওপাসকে ম্যাগনাম ধপাস বলিচি। অমনি ধাঁইকিড়িকিড়ি ধাঁইকিড়িকিড়ি ধাঁই। একেবারে প্রফেটের চরিত্র।
"নই ঘোড়া, নই হাতি, নই সাপ বিচ্ছু
মৌমাছি প্রজাপতি নই আমি কিচ্ছু ।
মাছ ব্যাং গাছপাতা জলমাটি ঢেউ নই,
নই জুতা নই ছাতা, আমি তবে কেউ নই !"
যাকগে কাটি।
"জোন্সের জানেনটা কী? এই নিন তার বচন -- William Jones had argued in front of the Asiatic Society that the conquering fgure of ‘Boodh or Boddha’ was not even Indian, but an Ethiopian legislator of about 1000 BCE"
বিলক্ষণ!
প্রাচীন ভারত সম্বন্ধে জোনসের নানারকম (আজকে দিনে দেখলে) আজগুবি ধারণা ছিল, তার পিছনে তাঁর "পণ্ডিত" রাধাকান্ত শর্মণ (ইনি ওয়ারেন হেস্টিংসেরও পণ্ডিত ছিলেন) ,"রাজবংশ" নামে একটি সংস্কৃত বই, আর চারলস উইলফোর্ড নামে আরেক ইংরেজের কিঞ্চিৎ অবদান থাকলেও থাকতে পারে, এঁদের কেন যেন ধারণা ছিল যে মনু আর নোয়া একই ব্যক্তি । শুধু তাই নয়, রাজবংশ পড়ে জোনসের ধারণা হয়েছিল যে "বুধা/বুদ/শাক্যসিংহের জন্ম খ্রীষ্টপূর্ব ১০২৭ সালে।
এই অবধি একরকম ছিল। এর মধ্যে ১৭৮৬ সালে জোনস মশাইদের দৃষ্টি পড়ে দিল্লিতে ফিরোজ শাহের স্তম্ভর ওপর, সেখানে স্তম্ভে কি লিপি ছিল তার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেন, সে সব লেখার ছাপ নিয়ে কলকাতায় পাঠানো হয়| এ পাঠোদ্ধার করার যাঁর ক্ষমতা, সেই চার্লস উইলকিনস ততদিনে, দেশে ফিরে গেছেন। ফলে এঁদের পক্ষে আর তার পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি। হতাশ হয়ে জোনস সাহেব লিখছেন,
"The Nagari inscriptions are easy and modern, but all the old ones on the staff of Firuze-Shah drive me to despair" | তারপরেই "I believe them tobe Ethiopian and to have been imported a thousand years before Christ by the Bauddhas or priests and soldiers of the conqueror Sisac, whom the Hindus call the Lion of Sacya"
হঠাৎ ইথিওপিয়া কেন? না ইলোরার গুহা, মন্দির, তার পর বোধগয়ায মূর্তি উদ্ধার দেখে তাঁর মনে হয়েছিল ইথিওপিয়া আর হিন্দোস্তানের জনতা একই জাতের লোক। আরো আছে। সেই থেকে দুয়ে দুয়ে চার।