হোক ,সি বি আই এনকোয়ারি হোক। চৈতন্য দেবের মৃত্যু নিয়ে সি বি আই কে ডাকা হোক। নচেৎ,এলেবেলে বাবু, যা বলবেন,তাকেই প্রমাণ বলে ধরা হোক।
কিন্তু একটা প্রশ্ন জাগছে।চৈতন্য দেব ভাজা মাছ উলটে খেতে জানতেন না।উনি কি মাছের এক পিঠ খেয়ে ,উঠে যেতেন?উনি কি নন ভেজ ছিলেন? উনি কি মাছ ধরতেন না বাজার থেকে কিনতেন?
না, মানে সবাই এখানে লিখছেন কি না যে তিনি পুরীতে পাণ্ডাদের হাতে গুমখুন হন! অনুসন্ধান না করে কিংবা গোটা প্রেক্ষিত না জেনেই যা হোক একটা বলে দিলেই হয়!! কিন্তু একহাতে যে তালি বাজে না - এটা বললেই দেখছি নির্মোহ ব-এর কথা আসছে!!! তা ভালো।
বোজলাম
একটা কথা বলার ছিল। সেটা হল চৈতন্য ভাজামাছটি উল্টে খেতে জানতেন না, নিছকই ভক্তিমার্গের লোক ছিলেন - এটা অতীব প্রচলিত ভুল ধারণা।
ট্রাম্পও গুরু করে নাকি?
"Behold what quiet settles on the world.
Night wraps the sky in tribute from the stars.
In hours like these, one rises to address
The ages, history, and all creation."
চালিয়ে যান মশাইরা
জরথস্তিতে জবরদস্তি ছিল না, তবু হয় আহুর-মাজদার বরদাস্ত হল না।
@S : "দেখি ফেস শীল্ড চাইতে হবে একটা।"
কেন ? ওসব পরে কি করবেন?
মাস্ক পরতে অসুবিধে হলে সোশ্যাল ডিস্টেন্স ই না হয় মেন্টেন করুন; ৬ ফুট দূরত্বে কথা বলুন , থুতু না ছিটিয়ে ।
ফেস শিল্ড এ কি খুব কিছু সুবিধে হবে? সানগ্লাস দিয়ে তার চেয়ে চোখ ঢাকতে পারেন, Amit যেরকম লিখেছেন । করুণানিধির স্টাইলে ।
সিডিসি'র নির্দেশিকা দেখুন, তাহলে মাস্ক ইত্যাদি নিয়ে কিছুটা উপকার হতে পারে :
https://www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/prevent-getting-sick/cloth-face-cover-guidance.html
@ sm , ভারতের র্যাপিড টেস্ট এর প্রোটোকল ইত্যাদি:
১) এন্টিজেন ডিটেকশন টেস্ট এর ব্যাপারে: https://www.icmr.gov.in/pdf/covid/strategy/Advisory_for_rapid_antigen_test14062020.pdf
২) Protocol for using 'Rapid antibody test' in Hot area - epidemiological studies and surveillance for the State/UT,
https://www.icmr.gov.in/pdf/covid/strategy/Rapid_Antibody_test_Protocol.pdf
এদের নিজেদের অঙ্ক অনুযায়ী sensitivity ৫০.৬%, ধরা যাক ৫০% (ঈপ্সিতা ও তাই লিখেছে) ।
ধরা যাক specificity ৯৯.৩%
আজ অবধি ভারতে ২, ৮৩৬, ৯৭৫ জন লোকের covid১৯ ধরা পড়েছে ,
(source : WHO , https://covid19.who.int/region/searo/country/in)
সেই সংখ্যা ধরলে দেশে prevalence ০.৩%,
এবার মনে করুন ১০, ০০০ লোককে টেস্ট করা হলো, তাহলে এদের মধ্যে ৩০ জনের আসলে covid১৯ থাকার কথা, ৯৯৭০ জনের না থাকার কথা ।
৫০% sensitivity ধরলে ১৫ জনের আসলে হয়েছে, টেস্ট ও তাই বলছে, ১৫ জনের হয়েছে কিন্তু টেস্ট বলছে হয়নি (এরা False Negative ) ।
আর ৯৯.৩% specificity ধরলে ৯৯৭০ লোক, যাদের আসলে covid ১৯ হয়নি, তাদের মধ্যে ৯৯.৩% * ৯৯৭০ = ৯৯০০ লোক কে ঠিকমত নির্ণয় করবে, বাকি ৭০ জন কে টেস্ট বলবে positive , কিন্তু এঁদের আসলে অসুখ নেই ।
তার মানে কি দাঁড়ালো?
১০, ০০০ লোকের মধ্যে ১৫ জন সত্যিকারের positive , আর ৭০ জন মিথ্যা positive । তার মানে টেস্টে ৮৫ জন positive দেখাচ্ছে মানে ১৫ জনের আসলে আছে , অর্থাৎ টেস্টএর সত্যিকারের বলে দেওয়ার ক্ষমতা , ১০, ০০০ জন প্রতি ১৫/৮৫ = ১৮% এর কাছাকাছি ।
এ তো ১০, ০০০ হাজার লোকের ওপর টেস্ট করে দেখানো ।
ধরুন ১০০, ০০০ লোকের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে, এক ই অংকের হিসেবে, তখন সংখ্যাটি ১৩% এর কাছাকাছি গিয়ে নামছে ।
এই ধরণের টেস্ট এর ওপর নির্ভর করলে প্রতি ১ লক্ষ্য লোকের টেস্ট হলে ১৫০ জন মানুষ মিথ্যা আশ্বাস পেতে পারেন যে তাঁদের কোভিড হয়নি, তাঁদের সূত্রে অন্য লোকেদের মধ্যে অসুখ ছড়াতে পারে, আর অন্তত ১০০০ জন লোককে নতুন করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে । এই ১০০০ জনের মধ্যে একটা আতঙ্ক ও ছড়াবে অসুখ হয়েছে বলে ।
আর এই টেস্টার ভিত্তিতে যদি দেখেন খবরে বলছে ৫০% লোকের সংক্রমণ হয়েছে, তাহলে প্রকৃত সংখ্যাটি ধরে নিতে পারেন ৭-১০% এর কাছাকাছি, কতজন মানুষের ওপর পরীক্ষার ভিত্তিতে বলা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করবে ।
"এবার এখন সিংহভাগ রাপিড আন্টিজেন টেস্ট করাচ্ছে, যার ৪০-৫০% ফল্স নেগেটিভ।"
এইরকম একটা টেস্টের পারমিশন স্বাস্থ্য মন্ত্রক দিয়েছে? ৫০% ফলস নেগেটিভ = ৫০% সেনসিটিভ । এ টেস্টের ফলস পজিটিভ সংখ্যাই বা কেমন?
দিল্লি আর পুণায় নতুন COVID19 কেসের কি খবর? কমে এসেছে নিশ্চয়ই?