ধুর, এত কিছু লিখলাম, উড়ে গেল। এই পেজ রিফ্রেশ হয়ে যাওয়া মহা ঝামেলার। অটো সেভ থাকা উচিত।
Sm, নাহ আমি হালকাভাবে নিই নি। তবে আমার চারপাশে এই জিনিস খুব দেখছি। যেটা দেখছি, লোকজন তিন চারবার পরীক্ষা করিয়েছে হয়তো বিভিন্ন সময়ের ব্যবধানে হাই রিস্ক জোনে থাকার কারণে (পেশাগত), কিন্তু কোনো কিছুতেই সিগনিফিক্যান্ট কিছু না মেলায় ইদানিং আর পরীক্ষা করাতে চাইছে না।
ওহ সরি, ওটাই লিখেছো। আমার কাজ করলো, কি কান্ড।
"আমরা সবাই এখন আর করিয়ে আর কী হবে মোডে চলে গেছি" - এইটে আমাদের ক্ষেত্রেও খেটে যাচ্ছে এখন।
রঞ্জনবাবু, আপনার মতন সত্যিকারের একজন বিনয়ী ও খোলামনের মানুষের সঙ্গে গুরুচণ্ডালীর সূত্রে আলাপ হয়ে খুব ভাল লাগল। মনটা ভাল করে দিলেন!
@সম্বিৎ,
কেমন মনে হচ্ছে প্রাচীন এথেন্সের গণতন্ত্র অমনই ছিল। গণতন্ত্র শুধু প্যাট্রিশিয়ানদের জন্যে , প্লেবিয়ান নয়, দাসদের প্রশ্নই নেই। আজকের অর্থে এদের গণতন্ত্র ও রিপাব্লিক বলা কঠিন।
ওল্ডেনবার্গও দেখিয়েছেন পালিয়ে আসা দাসদের সঙ্ঘে জায়গা দেয়া হতনা। প্র্যাক্টিক্যাল লাইফের প্রেসার অনেক কম্প্রোমাইজ করিয়েছিল।
@অরিন,
আমার পড়ার কথা তুলে লজ্জা দেবেন না। ১৮ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে দুই বুকে টিবি নিয়ে মাথা নুইয়ে বাবার কাছে ভিলাইয়ে ফিরে বিছানায় শুলাম। সারতে দু'বছর লেগেছিল। ছ'বছরের ছোটদের সঙ্গে আবার কলেজে ভর্তি হলাম। ছত্তিসগড়ের গাঁয়ে আজীবন চাকরি করলাম। না ভাল লাইব্রেরির সঙ্গে যোগাযোগ, না বই কেনার পয়সা , না তেমন বন্ধুদের সঙ্গ যাদের সঙ্গে এসব নিয়ে তক্কো করা যায়। ফলে ভারি কমপ্লেক্সে ভুগি।
এখন রিটায়ারের পর প্রাণপণে পড়ে এতদিনের খিদে মিটিয়ে নিচ্ছি। কোলকাতার অনুষ্টুপ প্রকাশনের কর্ণধারের কথায় " রনে দেকার্তঃ জীবন ও দর্শন" বলে একটি প্রাথমিক স্তরের চটি বই লিখতে হয়েছিল দু'বছর আগের বইমেলায়। সেসময় হিউম ( টাবুলা রসা ইত্যাদি) এবং লাইবনিজ খানিকটা পড়েছিলাম। তার বেশি কিছুই জানিনে। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ পূর্বমীমাংসা স্কুলের কুমারিল ভট্টের নিরীশ্বরবাদ-- যাকে আজকাল কেউ পোঁছে না।
আপনার পাঠানো লেখাটি ডাউনলোড করে আলাদা ফাইল বানিয়ে পড়ছি।
মহাজনপদ তথা প্রজাতন্ত্রর নিয়ে আলোচনাটা একটু এগোন যাক। রোমিলা থাপার কী বলছেন দেখি।
আগে যেগুলো জনপদ ছিল সেগুলো পরে ফুলেফেঁপে মহাজনপদ হয়ে গেল। আর আমরা যাকে প্রজাতন্ত্র বলছিলাম, তাকে রোমিলা থাপার গণসঙ্ঘ বা গণরাজ্য বলছেন। মহাজনপদগুলো ফুলেফেঁপে রাজ্যই (স্টেট) হয়ে গেছিল। কথায় গণ থাকলেও, এগুলোকে কোনভাবে ডেমক্র্যাসি বলে যায়না, "given that the power was vested in the small ruling families and they alone participated in governance. The larger numbers of peope who lived in the territory had no rights and were denied access to resources. The term 'republic' was therefore preferred, since it conceded social stratification but was distinct from monarchy."
এই গণসঙ্ঘগুলোকে শুধু রাজতন্ত্রর কাউন্টার হিসেবেই দেখাচ্ছেন না, ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরোধী হিসেবেও দেখাচ্ছেন। আগে পড়েছিলাম বলে মনে পড়ছে না, কিন্তু আজ পড়লাম, খুব ইন্টারেস্টিংলি বুদ্ধিস্ট টেক্সটে বর্ণাশ্রমে শুধু যে ক্ষত্রিয়দের ব্রাহ্মণদের আগে রাখা হয়েছে তাই নয়, গণসঙ্ঘের সমাজ ছিল শুধুমাত্র দুটি ভাগে বিভক্ত - ক্ষত্রিয় রাজকুল আর দাস-কর্মকার। যদিও রাজকুল বলছেন, এটা অনেকগুলো পরিবারের একসঙ্গে শাসন। আর তাদের হাতেই সব ক্ষমতা, সব রিসোর্স।
তো ষোড়শ জনপদের কে কে গণসঙ্ঘ বা গণরাজ্য ছিল? সেরকম কোন ক্যাননিকাল লিস্ট পাওয়া যায়না, কিন্তু অন্ততঃ এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই (সব যে নয়, সেকথাও বলা নেই) যে এক ক্ল্যানের একাধিক পরিবার বা একাধিক ক্ল্যানের শাসনে ছিল, সেটা দেখা যাচ্ছে। এই বিভিন্ন পরিবারের শাসনই গণসঙ্ঘ বা গণরাজ্যকে রাজতন্ত্র থেকে আলাদা করছে। বৃজিদের নাকি আটটা গোষ্ঠির (ক্ল্যান) ৭৭০৭ জন রাজা ছিল। মল্লদের ছিল ৫০০ রাজা, চেদীদের আরও বেশি। তো এখানেই দেখা যাচ্ছে তিনটে গণসঙ্ঘ। এছাড়াও শাক্য (বুদ্ধবাবুর বংশ), কল্য আর মল্ল - এরাও গণসঙ্ঘ, কিন্তু শাসন একই গোষ্ঠির মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কত হল? পাঁচ। বৃজিদের মতন বৃষ্ণিরা ছিল বহু গোষ্ঠির শাসনের গণসঙ্ঘ। তো এখানে মোট আটটা নাম পাওয়া যাচ্ছে। যদিও শাক্য আর কল্য বুদ্ধিস্ট টেক্সটে মহাজনপদ হিসেবে দেখান নেই, পরবর্তী জৈন টেক্সট বেশি জায়গা কভার করেছিল। (এই প্রসঙ্গে আরেকটা ইন্টারেস্টিং জিনিস বলে নিই - ষোড়শ জনপদের দুটো হচ্ছে মহাভারতের কুরু আর পাঞ্চাল। রোমিলা থাপারের একটা থিসিস হল, মহাভারত আসলে দুটো গোষ্ঠির পালিত জন্তু - cattle - চুরি নিয়ে লড়াই। সেটাই প্রক্ষিপ্ত হতে হতে মহাভারতের অক্ষৌহিনীতে দাঁড়িয়ে গেছে।)
শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের ওঠাপড়ায় রইল শুধু কাশী (প্রথমদিকে খুব শক্তিশালী ছিল), কোশল, মগধ আর বৃজি। এর মধ্যে কাশী, কোশল আর মগধ সম্পূর্ন রাজতন্ত্র। আর বৃজি গণসঙ্ঘ আর রাজতন্ত্রের মাঝামাঝি অলিগার্কি। জনপদগুলো আয়তনে যত বড় হতে লাগল, ততই একদিকে ব্রাহ্মণ্যবাদের দিকে আর অন্যদিকে রাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়তে লাগল। সেই থেকেই রাজতন্ত্র আর ব্রাহ্মণ্যবাদের গলাগলি সম্পর্ক। এই চারজনের সেমিফাইনাল থেকে শেষ পর্যন্ত রইল শুধু মগধ। মগধ এই ইতিহাসে চ্যাম্পিয়ন।
@রঞ্জনবাবু: "বুদ্ধদর্শন কার্ল পপারের ফলসিফায়েবিলিটি মাপদণ্ড মানে। কোন ধর্মীয় দর্শন মানে না।"
ভারী সুন্দর লিখলেন।
কার্ল পপারের মাপদণ্ড বলতে মনে পড়লো, আপনাকে একটা লেখার কথা বলি, এটা হয়তো (হয়তো কেন, নিশ্চয়ই ) পড়েছেন, আটলান্টিক ম্যাগাজিনে UC বার্কলির দর্শনের অধ্যাপিকা এলিসন গোপনীক বছর পাঁচেক আগে Ipolito desideri , ডেভিড হিউম , treatise আর বৌদ্ধধর্ম নিয়ে একটা ভারী চমৎকার লেখা লিখেছিলেন ।ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন (আরেকবার),
তো সেখানে তিনি লিখছেন ,
"It’s easy to think of the Enlightenment as the exclusive invention of a few iconoclastic European philosophers. But in a broader sense, the spirit of the Enlightenment, the spirit that both Hume and the Buddha articulated, pervades the story I’ve been telling. The drive to convert and conquer the “false and peculiar” in the name of some metaphysical absolute was certainly there, in the West and in the East. It still is. But the characters in this story were even more strongly driven by the simple desire to know, and the simple thirst for experience. They wanted to know what had happened before and what would happen next, what was on the other shore of the ocean, the other side of the mountain, the other face of the religious or philosophical—or even sexual—divide."
@Atoz , বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ ও শক্করমাধ্বা খাওয়া নিয়ে আপনি একটি লেখা দিয়েছেন, তবে এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত ।
যাকগে ।
@এতোজ,
যদ্দূর মনে পড়ছে নমাজের প্রার্থনাটার মানে' ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ, তিনি এক এবং অদ্বিতীয় ও একমাত্র পূজনীয়। মুহম্মদ তাঁর প্রেরিত দূত'। এর সঙ্গে 'ঈশাবাস্যমিদং সর্বং' শ্লোকটির ( সমগ্র চরাচরে ঈশ্বর পরিব্যাপ্ত। যা জগত বলে ভ্রমবশ মনে হয় তাও আসলে ঈশ্বর। তাই এই ধনেরও মালিক তিনিই -আমরা কেউ নই জেনে আসক্তি ত্যাগ করে নির্লোভ হয়ে ভোগ করা উচিৎ) সঙ্গে খুব একটা মিল পাচ্ছিনে তো!
এবার ফিসফিসিয়ে বইটার নাম বলে দিন, লেখকের নাম বলার দরকার নেই।