লস এঞ্জেলসের আকাশে স্পেস এক্স লঞ্চ:
"কিন্তু ন্যাড়াদা ছোট থেকেই গ্যাঁট গ্যাঁট করে ইংরেজি বই পড়ত বলে আমার চাপা সন্দেহ ছিল।"
আমার ইমেজ দেখে আমিই আপ্লুত। আমি এখনও বানান করে ইংরিজি পড়ি। ছেলেবেলায় এমনকি টিনটিন-ও আমি শুধু ছবি দেখতাম। ইংরিজি টেক্সট পড়ার হ্যাপা আর নিইনি। তাই আনন্দমেলার টিনটিনই আমার টিনটিন। তবে একটা ইংরিজি বই ক্লাস ফাইভে প্রায় পুরোটা পড়েছিলাম - সানি ডেজ। বড়বেলায়, যখন কলেজে, হিড়িক পড়েছিল থার্ড রাইখ পড়ার। আমি খান ষোল পাতা পড়েছিলাম। তারপরে কী দুর্মতি হল, শেষ পাতায় উল্টে দেখতে গেলাম টোটাল কত পাতায় বই। ১০৪৪ পাতা দেখে সেই যে বন্ধ করেছিলাম, আজ অব্দ থার্ড রাইখ পড়া হলনা।
"কিন্তু একজন সেক্যুলার কান্ট্রি র হেড হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এভয়েড করে চলাই উচিত"
একমত।
তবে ওই আর কি। এখানে আমি যতদূর দেখেছি, কেউ ধর্ম টর্ম নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায় না।
সে সব ঠিক ই আছে।কিন্তু একজন সেক্যুলার কান্ট্রি র হেড হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এভয়েড করে চলাই উচিত।উনি ক্রিশ্চান হলে, চার্চে অবশ্যই যেতে পারেন,ব্যক্তিগত ধর্ম পালনের জন্য।
পাইয়ের পাঠানো লিঙ্কে দেখলাম লিখেচে,
"সত্যিকারের বাংলা ই-বই পেতে ঢুঁ মারুন িি.িনড়রফবিবঢ়.পড়স ঠিকানায়। া"
কিসের কথা বলছে বলুন দিকিনি?
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলে যায় নি মনে হয়, ভারতীয় বংশোদ্ভুত ভূতদের ভোট টানার জন্য গেছে মনে হয়। "নি জি" তেও কিন্তু ভক্ত সংখ্যা "বেশ"! এঁরা সব দোল দুর্গোৎসব পালা পার্বণ নাচ গান, দিব্যি চালিয়ে যান। এখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভক্তসংখ্যা প্রচুর। আমার চেনা জানা এক এংলো ইন্ডিয়ান ভদ্রমহিলা, বয়স্কা মানুষ, Academic, ইনি ফি বছর ভারতে Anglo Indian দের কনফারেনসে যান, যেহেতু এনার অবিভক্ত ভারতের পাকিস্তানে জন্ম, ভারতীয় দূতাবাস কিছুতেই ভিসা দিতে চায় না, কি যে ভদ্রমহিলার হয়রানি। গত দুতিন বছর আমি ভদ্রমহিলার হয়ে এমব্যাসিতে ফোন করে তর্ক করেছি, তখন পেয়েছেন।
এখানকার ভারতীয় দূতাবাসের কর্তাব্যক্তিদের আচার আচরণ আর ভারতীয় মন্ত্রী ইত্যাদিদের আচরণ দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। শুধু হিন্দুত্ববাদী সরকার বলে নয়, সব রকমের সরকারের। বহু বছর আগে, তখন কপিল সিব্বাল বোধহয় শিক্ষামন্ত্রী, এখানে ভারত থেকে একটি ডেলিগেট আসে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরে। আমাদের এখানকার ইউনিভার্সিটিতে যেদিন ভি সি'র সঙ্গে মিটিং, আমরা সকলে বসে, মন্ত্রীমশাই আসবেন বলে, শোনা গেল, তিনি নাকি অসুস্থ আসতে পারবেন না। তো IAS অফিসার রা বসে মিটিং করলেন, (সে মিটিং-এ কিছু ফল হয়নি, কারণ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কিছু পেপার সই হয়েছিল)। সবথেকে বিরক্তিকর ব্যাপার, এই ঘটনার পরের দিন অন্য একটি ইউনিভারসিটির কিছু বন্ধুবান্ধব আমাকে বলল, কালকে তোদের মিনিসটার এখানে আমাদের গরু পালনের রিসার্চ ইউনিটে ঘোরাঘুরি করছিলেন, ওনার খামারের জন্য বিশেষ প্রজাতির গরু কিনবেন বলে (ঠিক যখন আমাদের সঙ্গে ভদ্রলোকের মিটিং-এ বসার কথা, তখন!)
"টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড লীগস আন্ডার দ্য সী" আর "মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড" - এই দুটো বই যে কী আনন্দ দিয়েছিল ছোটবেলায়! যদ্দুর মনে পড়ছে মানবেন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ের অনুবাদ। আমার মা-রও খুব প্রিয় বই ছিল। মা-ই উৎসাহ দিয়ে পড়িয়েছিল। ব্র্যাডম্যানের "ফেয়ারওয়েল টু ক্রিকেট"-এর বাংলা "বিদায় ক্রিকেট" আর "হাউ টু প্লে ক্রিকেট"-এর " ক্রিকেট খেলার অ-আ-ক-খ"-ও বোধহয় মানববাবুর অনুবাদ। আমাদের মতন বাংলা মিডিয়ামের জন্যে মানববাবু যে কী উপকার করেছিলেন, কী আর বলি!
বাটাভিয়াতে বাটার জুতো পাওয়া যায়? বা বাটা মাছ?