আমার এখনও মনে হচ্ছে,এলেবেলে ভুলটা কোথায় বুঝতে চাইছেন না।আগেও লিখেছি,মহাভারতের পার্ট হলেও ,গীতার আলাদা গুরুত্ব ছিলো হাজার বছর ধরে।তাই ওই অংশ টুকু নিয়ে এতো ভাষ্য,টিকা ইত্যাদি।এমন কি অনুবাদ ও। গীতার প্রচুর সংযোজন ও হয়েছে।আদিতে ছিলো,মাত্র ৬০টি শ্লোক। বর্তমানে ৭০০ টি। এর মধ্যে বেশ কিছুটা, উপনিষদের নির্যাস।
এসব খালি পণ্ডিত দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো না।কথকতার মাধ্যমে সাধারণ জনগন ও মূল নির্যাস এর সঙ্গে অবহিত ছিলো।
যেমন,আমরা মহাভারত জেনেছি কিছুটা পড়ে,বেশ কিছুটা শুনে। এখনকার জেনারেশন টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে।
আমার মতে আর্লি ডিটেকশন অফ হাইপক্সিয়া ইজ দ্যা কি! এর পর পরই আসবে,অক্সিজেন দেওয়া,স্টেরয়েড দেওয়া,এন্টি ভাইরাল ট্রাই করা ও নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে সুইচ করা। খুব দরকার পড়লে,তখনই, ইন্টিউবেট করে ভেন্টিলেশন।
এসব করলে বেশ কিছু প্রাণ বাঁচবে। যদি এন হেই চ এস এর স্টাডি ঠিক হয়, প্রথম থেকে স্টেরয়েড ইউজ করলে,আমেরিকাতেই প্রায় চল্লিশ হাজার প্রাণ বাঁচতো।
ওই স্টাডির পর এখন ও জানি না আমেরিকা আর ব্রেজিলে ডেকসামেথাজন ইউজ করে,কতোটা সুফল পাচ্ছে?
আমার মনে হয় এলসিএম ঠিক জায়গাটা ধরেছেন।
কেননা অ্যাডাম স্মিথের ওয়েলথ অফ নেশন্স এবং প্রিন্সিপলস অফ মর্যালিটি বইদুটোতে উঠতি মার্কেন্টাইল ক্যাপিটালিজম এবং স্মিথের তিরস্কার নিইয়ে ওইরকমই ছবি ফুটে উঠছে।
S,
ঠিক, গোড়াতে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চেয়ে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এলেম বেশি ছিল।
@এলেবেলে,
যদি উইলকিন্সের আগে গীতার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ছিল না তবে ৮শতাব্দীতে শংকর, ১১ শতাব্দীতে রামানুজ পরে মধ্বাচার্যরা ওর উপরে আলাদা করে ভাষ্য, টীকা ও দীপিকা লিখলেন কীকরে? যদি বলেন ও তো মহাভারতের অঙ্গ হিসেবে ছিল। সে তো উইলকিন্সের অনুবাদের পরেও ছিল ।
সাহেবের অনুবাদের পরে গীতা স্বতন্ত্র গ্রন্থের মর্যাদা পেল আর প্রায় একহাজার বছর আগে শংকর ইত্যাদির ভাষ্য সত্ত্বেও সেটা স্বতন্ত্র গ্রন্থ ছিল না? বোধহয় আপনার কথা বা যুক্তি-পরম্পরা বুঝতে পারছিনা।
আই সি এম আর কে এই মুহূর্তে ব্যাপক হারে সেরোলোজি ও র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পুশ করতে হবে।
আকা, বয়ষ্ক নিকটজন থাকলে,সাবধানে থাকতে বলুন।সাবধানের মার নেই।অনেক সময় বয়ষ্ক লোকজন খুব নিয়ম পালন করছেন ভাবেন।অর্থাৎ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না,নিয়মিত ঔষধ খাচ্ছেন ইত্যাদি।
কিন্তু বেসিক ভুল যেটা করছেন, তা হলো কখনো বাইরের লোক বা কাজের লোক এলে,মাস্ক ছাড়া কথা বলছেন বা কাছে এগিয়ে যাচ্ছেন।
কোভিড হলেও ভয় না পেয়ে,চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।পালস অক্সিমিটার কিনে, নিজেই নিজের স্যাচ্যুরেশন দেখতে হবে।
কম মাত্রা হলে,ডাক্তারকে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট ও তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি।তবে খুব খুব সত্যি কথা হলো, আই সি ইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার এর বেড তুলনায় খুব কম।কলকাতার বাইরে আরো কম।
তা,আমেরিকায় হাল কেমন?উন্নতি হয়েছে?
হে হে পালটিচাঁদ, এখনও বলিতেছি গীতা নামে আলাদা কোনও গ্রন্থ উইলকিন্সের আগে ছিল না। ওটা বুঝতে হয় নতুবা খিল্লি করে টাইম পাস হয়!!
বড়েস বাংলার অফুরান ধনসম্পদ। মুর্শিদাবাদ দেখে ক্লাইভের তাক লেগে গিয়েছিল। ফরসা মানে গন গনা গন নেভার রিটার্ন!
বড়েস ভারত নয় স্পেসিফিক্যালি বাংলা। আট আটটা ইউরোপীয় দেশের কোম্পানির নাম ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এখানে তারা কলোনি বানাবে না তো কোথায় বানাবে? ওদিকে আমেরিকা ফরসা। নেপোলিয়নের দাপটে ইউরোপও ফরসা। ফলে থাকে কেবল আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও বাংলা (প্রথমে) তথা ভারত (পরে)।
আমি পলিটিক্স অফ ডিসমিসাল আদৌ করছি না। ডনিগর তো সংগ্রহে আছেই, অস্ত্রভাণ্ডারে আরও অনেক কিছুই আছে যাতে সাহেবদের সংস্কৃত চর্চার মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া যায়। কাজেই...
ভাবি আসব না কিন্তু এসে পড়ি। অর্জুন, আপনি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র না? এলিয়ট গীতাকে কী বলেছিলেন জানেন? ভাটে অত রেফারেন্স আমি দেব না। সবাইকে নিজের মতে আনার বা রেফারেন্সের হরির লুঠ দেওয়ার বাসনাও নেই। তাতে আপনি কনক্লুসিভ বললেন না কী বললেন ওতে অন্তত আমার কিছু এসে যায় না।
আমি এলিয়টের গীতা পড়াকে শ্রদ্ধার চোখে দেখি। কেন দেখি সেটা আপনি বলবেন ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে।
ডনিগরের হিন্দুইজম নিয়ে বইটি সমাদৃত এবং বিতর্কিত বড্ড দাম বেশী তাই পড়া হয়নি । কিন্তু Diana Eck 'India: a sacred geography' হিন্দু তীর্থ ও তীর্যাযাত্রা সম্পর্কিত । খুব সুখপাঠ্য ।
এখানে আরেকটা ব্যাপার অবাক করে আমাকে। যেটা আমার dismissive লাগতে পারে সেটাই পুরোটা খারাপ ! এটা তো একদম রাইট উইং মেন্টালিটি । তাহলে আমাদের পূর্ব পুরুষ যারা গীতা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন they were all stupid people ?
এই politics of dismissal টা খুব ভয়ংকর ! এবং সেটা ইতিহাসচর্চা নয়।
@এলেবেলে, তার সব তথ্যসূত্র দেননি এখনো । কিছু তথ্যের উল্লেখ করে ছেড়ে দিয়েছেন । সেগুলো পড়ে আমার পুরোটাই চূড়ান্ত সিলেক্টিভ মনে হচ্ছে । মহেন্দ্রনাথ দত্তের চিঠি থেকে একটি উল্লেখ, বিবেকানন্দ আর চার্লস উইলকিন্স । গীতার সঙ্গে ইন্ডোলজি সবিশেষ যুক্ত । তাই ইন্ডোলজি চর্চার ইতিহাসটাও এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
এশিয়াটিক সোসাইটির জার্নাল, অ্যানাল অব ভাণ্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পুনে), দ্য কোয়াটার্লি জার্নাল অব দ্য মিথিক সোসাইটি (ব্যাঙ্গালুড়ু), বুলেটিন, ডেকন কলেজ (পুনে), কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারততত্ত্ব বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু সেই বিভাগের অ্যানুয়ল জার্নাল এসব ভাল করে ঘাঁটতে হবে । এসব আপনি পড়েছেন কিনা জানিনা। কিন্তু এগুলো বিস্তৃত াবে না পড়ে অন্তত ঘেঁটে কোনো কনক্লুশনে আসা উচিতও নয় এবং সম্ভবও নয় বলে আমি মনে করি ।
আমার জানা উপরে উক্ত প্রতিষ্ঠান বাদে আরো কিছু গবেষণা কেন্দ্র অবশ্যই আছে ।
অ্যামেরিকানরা গীতা পড়বে না কেন ? প্রভুপাদের কৃপায় অনেকেই পড়েছে । এখন ইস্কনের জন্যে পড়ছে । এখনো বেশ কিছু অ্যামেরিকান ভারততত্ত্ববিদ আছেন যাদের কাজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে- ডায়না এল এক (Eck), ওয়েন্ডি ডনিগর , শেলডন পোলক ।
এস এম,
অবশেষে এলেবেলে তো নিজের বক্তব্যকে কোয়ালিফাই করেছেন। "রঞ্জনবাবু, গীতা থাকবে না কেন? বহাল তবিয়তেই ছিল। শুধু সে অশিক্ষিত ইংরেজের সংস্কৃত জ্ঞানের কৃপাপ্রার্থী ছিল না"। এই বক্তব্যতে তো আপনার আমার আপত্তি হওয়ার কথা নয় ।
এস,
একদম ঠিক। পয়সা বানানোর খেলাকে একটু ধূপের ধোঁয়া দিয়ে আড়াল করা। বাবা রামদেব যার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।