আরে না না; এস এম হোক বা পিটি কাউকে মায়াপাতায় চীনে মোবাইলের মত বয়কট ক্যান ? ওঁরা অতীব ভদ্রজন। কাউকে গাল দেন না , অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করেন না । কোন পয়েন্টে তিক্ততার দিকে গেলে এড়িয়ে যাওয়া অন্য কথা , কিন্তু বয়কট? আরে আমিও তো অনেক সময় গাজোয়ারি এঁড়ে তক্কো করি । উচিত ব্যক্তি আক্রমণ এড়িয়ে বিষয়ে নিবিষ্ট থাকা। ভক্তদের জন্যেও একই কথা । রেফারেন্স দিতে বলুন। ব্যঙ্গবিদ্রূপ বাদ দিয়ে বিষয়ে থাকুন। 'চাড্ডি' কথাটা আমার কেমন লাগে!
রঞ্জন বাবু,আমি ঠাকুর এর আর বিদ্যাসাগরের জন্ম ও মৃত্যু সাল দিয়েছি।যদি ঘটনার কোন সত্যতা থাকে তাহলে ঠাকুরের মৃত্যু ১৮৮৬ সালে হয়ে গেছে।
যদি তাইই হয়,তাহলে ১৮৮৭ সালের আগে ঠাকুর গীতার কথা জানালো কি ভাবে??
এলেবেলে এর মতে ১৮৮৭ থেকেই গীতার সঙ্গে বাঙালির পরিচিতি।ঠাকুর তো আর উড়িয়া ছিলেন না!? ভেবে দেকুন।--))
এস,
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তো স্বতন্ত্র ছিল না, লুঠের মাল ও হিসেবপত্তর ব্রিটেনে পাঠাতে হত । ক্লাইভ সে ব্যাপারেই ঝাড় খেল না? তাই ভাইসরয় এবং চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের চেষ্টা। শেরশাহের রেভিনিউ সিস্টেমকে বদলে দেওয়া?
@এলেবেলে,
আপুনি বলিলেন "রঞ্জনবাবু, গীতা থাকবে না কেন? বহাল তবিয়তেই ছিল। শুধু সে অশিক্ষিত ইংরেজের সংস্কৃত জ্ঞানের কৃপাপ্রার্থী ছিল না"।
--আরে আমিও তাই বলছি। তাহলে এই পয়েন্টে কোন বিতর্ক-বিমর্শ -বাদ-বিবাদ নাই। আসলে আপনি ঔপনিনেশিকদের ষড়যন্ত্রের মুখোশ খুলিতে আগ্রহী। কিন্তু আমার ফোকাস ছিল গীতা লইয়া কিছু গ্রুপের অনর্থক বাগাড়ম্বরের মুখোশ খোলা। যাহা বড়েস সঠিক ভাবে বলিয়াছেন।
@এস,
আসলে হিন্দি বলয়ে একটি সিল্কস্ক্রলে লেখা "গীতাসার" খুব চলে। তাতে দশটি "গভীর" জ্ঞানের কথা লেখা থাকে। সেটি যেখানে সেখানে মিটিং এ দেয়ালে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। আমার পিত্তি জ্বলে যায় । কারণ ওগুলো গীতায় কোথাও বলা নেই। যেমন, " তুমি কী নিয়ে এসেছিলে? কী সঙ্গে নিয়ে যাবে ? কার জন্যে দুঃখ করছ? কী তোমার ছিল?" এইসব চর্বিতচর্বণ।
এক মহিলা সহকর্মীকে নিয়ে এক কলিগের সঙ্গে দড়ি টানাটানি হচ্ছিল। তাকে বললাম --ওই গীতাসার দেখ। "আজ যা তোমার হয়েছে, কাল তা অন্য কারও ছিল; আগামী কাল অন্য কারও হবে"। এই হল সার কথা।
তারপর কয়েক মাস আমার সঙ্গে কথা বলত না ।
@বি,
ওরকম দুটো লাইন আমার হাত দিয়ে বেরোলে গর্বিত হতাম। সব কিছু সবার জন্যে নয় , কি আর করা!
@ এস এম,
কিছু মনে করবেন না , ঠাকুর ওই কথা, মানে দশবার গীতা গীতা করলে 'ত্যাগী' হয়ে যায় বেশ কয়েকবার বলেছেন বটে, কিন্তু আমার গীতা পড়ে এরম মনে হয়নি। এই শ্লোকটি দেখুনঃ
হতো বা প্রাপ্সসি স্বর্গং জিত্বা তু ভোক্ষ্যতে মহীং ।
যুদ্ধে মারা গেলে স্বর্গলাভ হবে, বেঁচে ফিরলে এ ধরায় ভাল করে ভোগ করবে। এর মধ্যে ত্যাগ কোথায়? আজকাল কাসভের মত জিহাদীদেরও কি একই লোভ দেখিয়ে যুদ্ধ করতে পাঠানো হচ্ছে না? মারা গেলে গাজী হয়ে বেহেস্তে যাবে আর বেঁচে ফিরলে এ দুনিয়া তোমার!
অকামস রেজার মানে নিষ্কর্মা লোকেদের দাড়ি কামানোর ক্ষুর। এ আর না বোঝার কী আছে।
@S, ইন্ডিয়া ব্রিটিশ এম্পায়ারের 'জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন' । ইন্ডিয়াতে পোস্টিং পাওয়ার জন্যে ব্রিটিশ অফিসারদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত । তবে এই কলোনিয়াল ডিসকোর্সটা একটা হিউজ সাইকোলজিক্যাল স্টাডিও বটে । অজস্র গবেষণা হয়েছে। হচ্ছে । ভারতকে ইংল্যান্ডে বেশ কিছুটা পপুলার করেছিলেন ইংরেজ মেমরা । স্বামীর সঙ্গে এখানে এসে তারা দেশে আত্মীয়, বন্ধুদের কাছে চিঠি লিখতেন। কয়েকজন স্মৃতিকথা ও ভ্রমণ কাহিনী লিখলেন পত্র, পত্রিকায়। এসব নিয়ে কেতকী কুশারী ডাইসনের বিখ্যাত গবেষণা 'A Various Universe: A Study of the Journals and Memoirs of British Men and Women in the Indian Subcontinent 1765-1856' । ১৮৫৭ র আগে পর্যন্ত ।
এছাড়া ইউ টিউবে এখন 'জুয়েল ইন দু ক্রাউন' পুরো সিরিজটা অ্যাভেয়লেবেল। দেখতে পারেন। তবে সেটা ১৯৪২- '৪৭, সাম্রাজ্যের শেষ পর্ব ।
এলেবেলের হাইপোথিসিস টা ভয়ানক জম্পেশ।বাংলায় যাকে বলে মার্ভেলাস!
প্রতিপাদ্য --এক,রামমোহন,বিবেকানন্দ,বঙ্কিম,বিদ্যাসাগর,রবীন্দ্রনাথ সবার মধ্যে একটাই মিল। সেটা হলো গিয়ে বিদেশী প্রভুদের আনুগত্য স্বীকার করা।এঁরা হলো গিয়ে একদল পাপেট।যাঁরা ইংরেজদের চালবাজি বুঝতে পারে নি। এঁদের দিয়ে ইংরেজরা যা খুশি করিয়ে নিয়েছে।
দুই,ইংরেজরা যা কিছু করেছে সব নিজেদের স্বার্থে।নেটিভদের আছোলা দেওয়ার জন্য।
এমনি করেই,বিধবা বিবাহ চালু হয়,সতীদাহ রোধ হয়,বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়। তো,প্রিয় ভারতবাসী কে বাঁশ দেবার জন্যই যদি ইংরেজরা এসব ফালতু আইন পাশ করে, তো খারাপ কি করলো??
আর ,তাদের অনুগত রামমোহন,বিদ্যাসাগর এঁরাই বা কি অন্যায় করলো!?
অপেক্ষা করুন আরো নতুন থিওরি আসিতেছে।
প্রযত্নে বাবু,শ্রীযুক্ত এলেবেলে বিদ্যালঙ্কার।
:))))))))))))))))))))))))
আচ্ছা, হুতোকে কথা দিয়েছিলাম কিন্তু কয়েকজনের জন্য তার সামান্য খেলাপ করতে হল। আশা করি তাতে হুতো কিছু মনে করবেন না।
দ-দি এবং বড়েস আপনাদের সদুপদেশ শিরোধার্য করার চেষ্টা করব। আসলে এনগেজ হলে শুনতে হয় "অপরীসীম ঔদ্ধ্যত্য" [বানান অপরিবর্তিত], ইগনোর করলে 'গোলপোস্ট নিয়ে পেইল্যে যাওয়া'। ফলে শাঁখের করাতের হাল আমার! তবুও চেষ্টা করব।
অর্জুন, গীতারহস্য ফাঁস হবে রামমোহনের সময়ে। তার আগে নয়। ততদিন আপনি রিসার্চ চালিয়ে যেতে থাকুন। নতুন কিছু পেলে আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
রঞ্জনবাবু, গীতা থাকবে না কেন? বহাল তবিয়তেই ছিল। শুধু সে অশিক্ষিত ইংরেজের সংস্কৃত জ্ঞানের কৃপাপ্রার্থী ছিল না। ওয়ারেন হেস্টিংস যখন সে বই কোম্পানির পয়সায় লন্ডন থেকে ছাপাচ্ছেন, তখন তাঁর মনোভাব এইরকম --- [Hastings] 'had to modify and adapt the old to fit English ideas and standards. He had to produce a piece of machinery that English officials could operate and English opinion tolerate … to graft Western notions and methods on to the main stem of Eastern Institutions.’ না এটা নেট ঘেঁটে পাওয়া রেফারেন্স নয়, খোদ হেস্টিংস-এর জীবনীকার A. M. Davies-এর বয়ান। মানা বা না মানা আপনার ব্যাপার।
বিবেকানন্দ যেটা করেছিলেন সেটা হল মূল সংস্কৃত টেক্সট ও কালীপ্রসন্ন গদ্যানুবাদের কম্পাইলেশন। সেখানে উইলকিন্স নেই।
এমনিতেই পাতি ডেস্কটপ ঠকঠকিয়ে পোচ্চুর টাইপ করতে হচ্ছে, আর তক্কে কাজ নেই। আমি ফের শীতঘুমে গেলুম।