উফ,আমাকেই আগের তিনটে পোস্টের উত্তর দিতে হবে।
রিলিজ অপারেশন করে নিন।পিনস এন্ড নিডল কমে যাবে।
পিটি,চার হাজার একর জমি অধিগ্রহণ বাতিল করে পরিবর্তন এর সরকার ভুল করেছে।কারণ, বাঁধ তৈরি হতো জনস্বার্থে।কোন প্রাইভেট কোম্পানির জন্য জমি অধিগ্রহণ নয়।
a, আপনার আধার কার্ডের ঠিকানা টি পার্মানেন্ট এড্রেস ধরা হবে।এখন বোধ হয়,চাইছে।আগে তো চাই তো না।
কারপাল টানেলের পিন্স অ্যান্ড নিডলস আর সহ্য হয় না
এটা আগে হয়নি, আগে ঝিঁঝিঁ ভোঁতা সব হয়েছে এটা বাদে :(
এয়ারটেলে একটা অদ্ভুত ব্যাপার শুরু হয়েছে । প্রিপেড প্যাক এক্সপায়ার করার অন্তত পনেরো দিন আগে থেকে রোজ রিচার্জ করার জন্যে রিমাইন্ডার কল আর এস এম এস আসতে থাকে !
জানিনা এটা অন্যদের ক্ষেত্রেও হচ্ছে কিনা !
অমিত শাহর ভার্চুয়াল সভার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন বাম নেতা-কর্মীরা। স্লোগান ছিল, ভাষণ নয়, রেশন চাই। তাদের অভিযোগ, করোনা এবং আমফানের চরম দুর্দশার মধ্যে শাহ ভোট চাইতে এসেছেন। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, শাহ সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি সিএএ ও এনআরসি-র নামে বাঙালিকে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করতে চলেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় যোজনার টাকা নয়ছয় করার জন্য কেন্দ্র রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপি গণতন্ত্রকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে, মমতা পাঠিয়েছেন আইসিইউতে। বিপর্যস্ত গরিবদের দেখভালের বদলে মোদি সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থই দেখছে। যখন কয়েকশো সংক্রমণ ছিল তখন লকডাউন করা এবং যখন ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত তখন লকডাউন তোলার কী যুক্তি বোঝা মুশকিল। এদিন আসানসোলেও বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কর্মীরা।
আহা অর্জুন, বুঝেই সামান্য ঠ্যাং টেনেছি। এই করোনার বাজারে ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সের ফতোয়া মানিনিকো।
হক কথা। এখন এক্সপ্লোরার মানে স্পেস লেভেলে ভাবতে হয়। নইলে স্রেফ বেড়ানো, আরামে আয়েশে বা কষ্ট করে - এটুকুই যা তফাৎ।
অনেক বছর আগে কেনা Travel in dangerous places (Mammoth book series) নামে একটি বই কিনেছিলাম। কিছুটা পড়ে আর পড়া হয়নি। সারা পৃথিবীর গত তিন শতকের সব দুর্গম অভিযানের কাহিনীর excerpts । এবার পুরোটা পড়লাম ।
ওসব দুর্গম জায়গা গুলোয় না গেলে সিরিয়াসলি জীবন ব্যর্থ ।
তবে Wilfred Thesiger র মতে 'Now, with virtually the whole surface of the world surveyed and mapped, journeys in this sense, however arduous, can no longer be described as exploration.'
@এলেবেলে কত কিছুই ভাবেন ! ইট = টোকেন সিস্টেম । আপনি তো সবাইকে নেওয়ার জন্যে আহ্বান করলেন । তাই আগের থেকে অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে রাখলাম ।
ভারতে একটা নয়, তিনটে মরু অঞ্চল আছে। একটা রাজপুতানার মরু, একটা কচ্ছের মরু এবং তৃতীয়টি লাদাখের মরু। প্রথম ও দ্বিতীয় অঞ্চলটি চষে ফেললেও তৃতীয়টিতে যাওয়া হয়নি এখনও। পরিবারের বাকিদের উচ্চতাজনিত শারীরিক সমস্যার কারণে।
আচ্ছা, সেদিন অর্জুন ইট পেতে রাখার কথা বলেছিলেন। ইট কেন? উবু হয়ে বসে থাকলে ইয়েতে ব্যথা হবে তো। আপনি বরং স্বভাবসুলভ আভিজাত্য বজায় রেখে আরাম কেদারাতেই বসে থাকুন। কী বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাইছেন সেটা জানাবেন, সেটা নিয়ে আমার কাজ হয়ে গিয়ে থাকলে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সবই পাবেন। কিন্তু লেখার শব্দসীমা অন্তত দশ থেকে কুড়ি হাজার হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তবে চোর, চামচা ছাড়াও ঐ রাজ্যে আরো অনেক কিছু আছে। ভারতের একমাত্র মরু অঞ্চল।
@এলেবেলে, (রাজ) পুতানা ও স্থানেরদের চোর, চামচাদের নিয়ে একটি বইয়ের রিভিউতে এই কথাগুলো লিখেছিলাম দু বছর আগে ।
আপনি 'লাইক' মেরেছিলেন।
ঔপনিবেশিক সময়ে ও স্বাধীন ভারতবর্ষে রাজা রানীদের প্রাসঙ্গিকতা ও অবস্থান বরাবরই খুব পরিষ্কার ছিলনা। কিছুদিন আগে গায়ত্রী দেবীর জন্মদিনে একটা পোস্ট দিতে গিয়ে মন এল এই প্রসঙ্গ। ব্রিটিশ প্রভুদের বশ্যতা তারাই প্রথম স্বীকার করে। রাজা, রানী মানে যারা রাজ্য শাসন করে, তারাই অন্যের কড়া শাসনে। নিজেদের রাজ্য, প্রাসাদ, ধনদৌলত ও উপাধি রক্ষার্থে তারা হয়ে গেলেন ঔপনিবেশিক কর্তাদের দেশীয় এজেন্ট। একেবারেই কাঠপুতলি। ১৮৫৭ য় মহাবিদ্রোহেই দেখুন ঝাঁসির রানী, ওয়াজেদ আলী শাহ, তাঁতিয়া টোপি, মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফার আর সামান্য কয়েকজন রাজন্যবর্গ ক্ষণিকের জন্যে একত্রিত হয়েছিলেন। দেশের অধিকাংশ রাজন্যবর্গ একসঙ্গে হয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গেলে ইতিহাস অন্য রকম হতে পারত! নিজেদের টাইটেল,রাজ্য, প্রাসাদ, বিলাস বহুল জীবনের স্বার্থে এই বশ্যতা স্বীকার করেছিল তারা। ভাবুন যে শিবাজী আওরঙ্গজেবের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়, তার বংশধরেরা মুখে কুলুপ এঁটে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে আরামে জীবন কাটাল। ব্রিটিশদের প্রয়োজন ছিল এমন এক শ্রেণীর মানুষদের যারা তাদের স্থায়িত্বে ও অস্তিত্ব রক্ষায় সাহায্য করবে। এই রাজন্যবর্গদের মত যথোপযুক্ত আর কে ছিল? তারাও অক্ষরে অক্ষরে তা প্রমাণ করেছিল।
নীরদ চৌধুরী একটি মোক্ষম কথা বলেছিলেন, যে রাজন্যবর্গ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের স্থায়িত্বে সহযোগিতা করে গেল, তারাই স্বাধীনতার মধ্যরাতে কংগ্রেসিদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দিব্যি জায়গা করে নিল। প্রিভি পার্স বাতিল হলেও তাতে তাদের খুব অসুবিধে হল কি কিছু? উপাধি ইত্যাদি ব্যবহার আইনত বন্ধ হয়, কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় কিন্তু প্রাসাদ, ইত্যাদি তাদের দখলেই থাকে, যা তারা পরবর্তীকালে বিলাসবহুল হোটেলে রুপান্তরিত করে।
কংগ্রেসি সরকার বাহ্যিক ভাবে এই রাজন্যবর্গের বিরোধিতা করলেও, রাজাগোপালাচারীর মত ব্যক্তি ‘স্বতন্ত্র’ পার্টি তৈরি করলে, সেই শিবিরে যোগ দেন প্রায় অধিকাংশ রাজন্যবর্গ। রাজাগোপালাচারীর এই শিবির খুব বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। তখন বেশ কয়েকজন সেই কংগ্রেস শিবিরেই যোগ দেন। ততদিনে দুই পক্ষের মিলমিশ ও সমঝোতা হয়ে গেছে। অর্ধ শতাব্দীর ওপরে যারা কংগ্রেসিদের সঙ্গে সংগ্রাম করলেন, অচিরে তারা কংগ্রেসের থেকে অনেক দূরে চলে গিয়ে, এই রাজন্যবর্গেরা বরং হয়ে উঠলেন তাদের খুব কাছের। লুটিয়ানস দিল্লীর এলিটবর্গ এরাই। কংগ্রেসের অন্যতম নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
হিন্দু ধর্মে রাজদর্শন ‘দেবদর্শন’ বলে স্বীয় রাজ্যে তারা অকারণে প্রজাদের কৃপাভাজন হলেও আসলে তারা প্রজাদের সীমাহীন ভাবে ঠকিয়ে তাদের পায়ের তলায় রেখে দিয়েছিল। কিছু লোকদেখাননো স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেও, তারা তাদের রাজ্যের সমস্ত অর্থ ও প্রতিপত্তি শোষণ করে নিজেদের সুবিদার্থে ব্যয় করেছেন। প্রিন্সলি রাজ্যগুলোয় এখনো গেলে চোখে পড়ে দারিদ্র-অশিক্ষা- অস্বাস্থ্য- অপুষ্টি এবং তাদের অর্থনীতিতে শোষণের ছাপ সুস্পষ্ট।
মান সিং ২য় এক সময়ে ইংরেজের হুকুমে মহাত্মা গান্ধীকে গ্রেফতার করেন, স্বাধীন ভারতে তিনি জয়পুরের ‘রাজ প্রমুখ’ নিযুক্ত হন, যা ছিল মহারাজাই সমতুল্য।
প্রিভি পার্স আসতে আসতে লেগে গেল ১৯৭১ সাল এবং ততদিন ‘they remained entitled to their titles, privy purses and other privileges until the adoption of the 26th amendment to the Constitution of India on 28 December 1971.’
আখের ততদিনে অনেকটাই গোছানো হয়ে গেছে।
স্বাধীন দেশে তাদের জনপ্রিয়তা যে এতটুকু কমেনি তা টের পাওয়া যায় জয়পুরের মহারানীর ১৯৬২ র ইলেকশনে বিপুল ভোটে জয়ী হবার ঘটনা থেকে। গিনিস বুক বলছে সারা পৃথিবীতে এত ভোটে এর আগে আর কেউ জেতেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ঈর্ষার কারণ হয়েছিল এই জয়! গোয়ালিওরের রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়াও সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন আমৃত্যু এবং অত্যন্ত সফল ভাবে।
'৭৫ এ জরুরী অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী জয়পুর ও গোয়ালিওরের দুই মহারাণীকে তিহার জেলে পুড়লেও, ইংল্যান্ড থেকে খোদ মাউন্টব্যাটনের মধ্যস্থতায় মুক্তি পায় গায়ত্রী দেবী।
কংগ্রেসের ’নেহেরু- ইন্দিরা- রাজীব- সোনিয়া- রাহুল’ ডিনেস্টি মডেল তো পরিষ্কার যে ফিউডেল সিস্টেমের বাইরে এক পা’ও তারা সাত দশকে এগোতে পারেনি। বরং এই ফিউডল মডেল এরই জয়।
নেহেরুর কাঙ্ক্ষিত ‘সোস্যালিজম’ তিনি নিজেই প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হন। লোকসভায় ৩৫% সদস্যের রাজনৈতিক অস্তিত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে।
এই রাজন্যবর্গদের বিষয়ে বিভিন্ন কফি টেবিল বই বের হচ্ছে। পাতার পর পাতা চকমকি সব রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের মাথা থেকে পা অবদি মনিমুক্ত খচিত গহনা পরা ছবি। এই ছবিগুলো থেকে ইন্ডিয়ার অতীত সম্পর্কে যে ধারণা জন্মায় তা পুরোটাই কিন্তু ভ্রান্ত। ঔপনিবেশিক শাসকদের ভারতে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল ধনসম্পদ লোটা। সেই লুঠ করতে সাহায্য করেছে যেহেতু এই রাজন্যবর্গ তাই পরবর্তী সময়ের দেশের অর্থনীতি ভয়াবক দীনতার জন্যে দায়ী তো এরাই!
আদপে দেশের উনিশ ও বিশ শতকের ইতিহাসে এদের ভূমিকার কোনো গুরুত্ব কি আছে?
কার্টুন গুলো চমৎকার ।