@হতো স্যার
ধন্যবাদ IT সেল এর পে রোল থেকে বের হতে আমায় সাহায্য করায়
নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি রাখাও আজকাল চাপ
দাগিয়ে দেবার প্রবণতা সব পক্ষের
চার ঘণ্টা সময় দিয়ে, বিকল্প ভাবার সুযোগ না রেখেই দেশজুড়ে লকডাউন চাপল। পুঁজি-রাষ্ট্রবন্ধু ভদ্রবিত্ত দুহাত তুলে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা সমর্থন করলেও, যে শ্রমিক কর্মস্থলে মালিকের প্রভূত অপমান সয়ে কাজ চালিয়ে যায়, সে-ই সর্বভারতীয় লকডাউনে সম্পূর্ণ অনাস্থা দেখিয়ে, রোজগার বন্ধ হওয়ার আশংকা মাথায় নিয়েও, শ্রমিককৌমসিদ্ধান্তে দেশের কারখানা কেন্দ্রগুলি থেকে মৈত্র মশাই, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্র প্রধানের আশ্বাস ছুঁড়ে ফেলে দারাপুত্রস্বামী নিয়ে বেরিয়ে পড়ল গ্রামের পথে। অসামান্য ক্ষমতায় কেউ ২০০, কেউ ৩০০, কেউ ৫০০ কিমি হয়ত আরও দূরে বাড়ির পানে রওনা হল। যে শ্রমিকের দক্ষতা আর শ্রম-উদ্বৃত্তে মূল্যে তৈরি হয়েছে শহরের প্রত্যেকটি ঘনইঞ্চি, সে হয়ত অভিজ্ঞতায় আগাম আঁচ করেছিল, তার দুর্দশায় পুঁজিবাদীরাষ্ট্রব্যবস্থা পাশে দাঁড়াবে না; কৌমভাবে শহর ছেড়ে চলে যাওয়া থেকে পরিষ্কার রাষ্ট্র নয়, পুঁজি নয়, মানুষ আজও নির্ভর করে গ্রাম সমাজে।
এর আগে বহুবার বিভিন্ন যোজনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেহেতু এই লকডাউনের সময় অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে সমস্ত মানুষেরা কাজ করে থাকেন তারা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে তাই তাদের কথা ভেবে মোদি সরকার তিনটি পেনশন যোজনা নিয়ে এসেছিলেন। বর্তমানে এখনো পর্যন্ত দেশের 68,82,550 জন এর মাধ্যমে নাম এই যোজনাতে নথিভুক্ত করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সাধারন মানুষরা পেয়ে যেতে পারেন বছরে 36 হাজার টাকা পেনশন।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সারাদেশে চলছে লকডাউন। দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে তৃতীয় দফার লকডাউন। এর পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের উপর নজর রাখার জন্য ভারত সরকারের তরফ থেকে ডেভলপ করা হয় এক অ্যাপ যার নাম আরোগ্য সেতু।আর এই মুহূর্তে ভারত সরকারের তৈরি করা এই আরোগ্য সেতু অ্যাপটি সবচেয়ে ডাউনলোড করা হেল্থকেয়ার অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে নাম লিখিয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি এই অ্যাপ্লিকেশনটি বিশ্বের সবচেয়ে শীর্ষস্থানে থাকা দশটি অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে একটি।
আমরা একটা খুব শক্তিশালী কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে বাস করি যেখানে সমস্ত সংসদীয় রাজনৈতিক দলগুলি মালিক শ্রেনীর পলিটিক্যাল ম্যানেজার হিসাবে কাজ করে। কারন মালিক শ্রেনীর সৌজন্যেই এরা ইলেকশন লড়বার ফান্ড জোগার করে। মালিক শ্রেনীয় এদের নিউজ প্রিন্ট আর চ্যানেল জোড়া প্রচারের বন্দোবস্ত করে দেয়। এইসমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের হাজার হাজার কোটি টাকা এবং অপার ভোগসুখের কারন হলো মালিক শ্রেনীর দাক্ষিন্য। গরীব মানুষ এদের কাছে পোকামাকড়ের মতো।
তাই ভোটের লাইনে কালক্ষেপন না করে সঠিক বিপ্লবী দলের নেতৃত্বে ময়দানের লড়াইয়ে সামিল হোন। সমাজতন্ত্রই মুক্তির পথ।
@a
অর্জুন , আসল সত্যি টা হল গ্রামে লোকে কলকাতার থেকে অনেক নিরাপদে আছে। আমার বেশ কিছু বন্ধু কলকাতার বাড়ি ছেড়ে মেদনীপুর, পুরুলিয়া,বাকুড়া ইত্যাদি নিজেদের গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ি তারকেশ্বরের কাছে। সেখানে পরিস্হিতি অনেক অনেক ভালো।
আর আমার ব্যক্তিগত মত হল লোক্যাল ট্রেন চলা শুরু হল সংক্রমণ গুণোত্তর প্রগতি তে বাড়বে।
গ্রাম থেকে একটি বিশাল দলের ডোমেস্টিক ওয়ার্কার লোকাল ট্রেন যারা প্রতি নিয়ত ২০/৩০/৪০ কিলোমিটার থেকে শহরে কাজ করতে আসে তাদের অর্ধেকের কাজ থাকবেনা। ইতিমধ্যে অনেকে কাজ হারিয়েওছে ।
ট্রেন পরিষেবা চালু কবে হবে কেউ জানেনা ! শহুরে লোকেদের ভয়ংকর মানসিকতা তো ! এদের থেকে নাকি ভাইরাস ছড়াবে । আবার এদেরও ভয় ঢোকানো হয়েছে কলকাতায় এলে এরা নাকি ভাইরাস এফেক্টড হবে !
এদের অনেকের গ্রামে জমিজমা নেই। থাকলেও চাষ বাসের সঙ্গে যুক্ত নয়। স্বামীরা যারা পরিযায়ী শ্রমিক, তারা তাদের আর কাজে যাবে না।
এই সেকশনটার কথা খুব ভাবা দরকার । মা বললেন কোথাও একটা এরা একত্রিত হয়ে নিজেদের দাবী জানাবে ।
কিছু ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে যেখানে চেষ্টা চলছে যারা এই সময় নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন ভাবে জনস্বার্থের কাজে পদক্ষেপ নিয়েছে তাদের সংযুক্ত করা ।
আমার নিজেরও মনে হয় এদের মধ্যে একটা সংযোগ স্থাপন খুব প্রয়োজন ।
কাজটা প্রায় পুরোটাই পাব্লিক ফান্ডে করে করা হচ্ছে,। কমিউনিটি কিচেন চালান সবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। কিন্তু অন্যান্য গ্রুপের পাব্লিক ফান্ড থেকে কমিউনিটি কিচেন গুলোতে অর্থ সাহায্য করা যেতেই পারে। মূল বিষয়টাই তো মানুষের সাহায্যে আসা ।
সুরাটের কাছে শচীন নামে একটি ছোট শহরে বসিরহাটের বেশ কিছু শ্রমিক আটকে পড়ে আছে। তাদের আমাদের গ্রুপ থেকে ৯০০০ টাকা পাঠানো হয়েছে।
বি, ফেবুতে।
এই যে
"অবশেষে যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, সেই ২০১৪ সাল থেকেই, সেটা হলো। বিজেপি শিবরাম চক্রবর্তীকে জেল খাটানোর চেষ্টা শুরু করলো।
কন্টেক্সট অবশ্যই "দেবতার জন্ম" - দা বাবুমশাই বলে কোন পেজে গল্পটির ভিত্তিতে একটি কার্টুন, যেটা প্রথমে রিপোর্ট করে ওড়ায়, এবং তারপরে লিংক সহ পোস্ট করলে অশ্রাব্য গালিগালাজ, পুলিশকে ট্যাগ, ইত্যাদি।
কমেন্টসে দেখলাম পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতা, অলোক সিংহ, "মহেশ"-এর শেষ লাইনের উপর ভিত্তি করে আঁকা একটি চমৎকার কার্টুন নিয়ে গালিগালাজ করছেন। আপত্তি কেন, উত্তর দিতে না পেরে অন্য লোকেদের মা, বোন ইত্যাদিকে স্মরণ করছেন। আরেকজন দেখলাম - বেশ বয়স ভদ্রলোকের, একটি মেয়ে আছে অন্তত বছর দশেকের - লিখছেন হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণরা নাকি অত্যাচার করে, এই সমস্ত বিষয়ে লেখা হয় বলে মোল্লারা আনন্দ পাচ্ছে। তাঁর ওয়ালে গিয়ে দেখে আসলাম উনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন - মোদীজি যেন ইজরায়েল, আমেরিকা ও জাপানের সাথে হাত মিলিয়ে চীনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
এঁদেরকে খোরাক করা যেতেই পারে, কিন্তু খোরাকের মেজাজ নেই আজকাল। আপনার, আমার আশেপাশে, আমাদের বন্ধুমহলে, আমাদের পরিবারে, আমাদের প্রিয়জনদের মধ্যে, এরকম মানুষেরাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অলোক সিংহদের মতন "যুব" নেতাদের পায়ের তলায় মাটি এঁরাই দিয়েছেন। "মহেশ" সাম্প্রদায়িক, শিবরাম দালাল, আরও কত কিছু এঁদের হাত ধরেই হয়েছে।
আর যাই হোক, বাঙালির - বিশেষ করে উচ্চবর্ণের সংস্কৃতি-মনস্ক বাঙালির - "কালচার" গব্বটা এবার একটু ছাড়া উচিত। এর চাষ আপনারাই করেছেন। কাল আপনার পরবর্তী প্রজন্ম এই একই ভাষায় কথা বলবে।"
#পয়সা
তর্কটা ঠিক কি নিয়ে হচ্ছে?শ্রমিক রা রেল লাইন ধরে কেন হাঁটছে?
রেল লাইন ধরেই তো হাঁটবে।কারণ হাই ওয়ে দিয়ে হাঁটতে গেলে,পুলিশ তাড়া করছে। সাইড ওয়ে দিয়ে রাত্রিরে হাঁটতে গেলে পথ হারাবার সম্ভাবনা।
তাই রেল লাইন ধরে হাঁটা।আর রাত্রিরে হাঁটছে,কারণ সূর্যের তাপ টা নেই।সিম্পল লজিক।
মোদ্দা কথা হলো,কেন শ্রমিকরা নিজ রাজ্যে ফিরে যেতে চাইছে?
কারণ ভিন রাজ্যে রেশন পাচ্ছে না।
দুই,বাড়ি ওয়ালা হুমকি দিচ্ছে।আর টাকার তাগাদা দিচ্ছে।বা,তাড়িয়ে দিয়েছে।
তিন,কাজ নেই। হাতে টাকা পৌসা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।সরকারি সাহায্য অপ্রতুল।
কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছেন,শ্রমিক দের বেতন দিয়ে দিতে।কিন্তু মালিকেরা কর্ণপাত করে নি।যেমন করে নি ,বাড়ির মালিকেরা।
যদি সরকার প্রথম থেকে আশ্বাস দিতো,বাড়ির মালিক বা ঠিকাদার দের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেবে,তাহলে এতো ক্যাওস হতো না।
সারা লক ডাউন পিরিয়ডে ধীরে ধীরে স্পেশ্যাল ট্রেন চালু রেখে,এঁদের ফিরিয়ে আনলেও পরিস্থিতি এতো জটিল হতো না।
কোন অজ্ঞাত কারণে রেল কতৃপক্ষের ব্যস্ততা ছিল কিছু রেল কোচ কে আই সোলেশন সেন্টার করে তোলা।
এর চেয়ে কতকগুলো মেক শিফট কোভিড হাসপাতাল বানিয়ে রাখলে পারতো।এই ছ সপ্তাহে কতগুলি মেকশিফট হাসপাতাল বানানো হয়ে ছে,সেটা আপাতত জানালেই চলবে। বা,কতো ভেন্টিলেটর ইনস্টল করা হয়েছে।
আরে A-Z এতো ছেলে আর মেয়ে নিয়ে পড়লেন কেন?
মানুষে আর কি করবে?প্রকৃতি ব্যালান্স করে দেবে।দেখুন করোনা তে মেয়েদের সেরে ওঠার সম্ভাবনা ছেলেদের থেকে বেশি!