এদিকে আমদাবাদ ভারতের সর্বোচ্চ আক্রান্ত ৫ টা শহরের মধ্যে আছে। বোম্বে প্রথম, তারপর দিল্লি তারপরেই আমদাবাদ।। বোম্বেতে ত নাকি তাবলিগিরা ছড়িয়েছে। আমদাবাদে ফেব্রুয়ারীতে ট্রাম্পকে দেখতে যে লাখ না কোটি লোক জমা হয়েছিল তাদের কিথা আর কোন নিউজ চ্যানেল বলছে না।
আমেরিকায় প্রতিবছর 25 লাখ মতন লোক মারা যান।ভারতে 60 লাখ মতোন।
এবার করোনা কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে ,বাকি রোগ গুলোর চিকিৎসায় যদি কম গুরুত্ব দেওয়া হয়,তাতে মুশকিল! এর কারণ বহুবিধ।
স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনা যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন। অন্য রোগের চিকিৎসার প্রযোরিটি কমে যাচ্ছে।বহু অপারেশন স্থগিত থাকছে।বহু লোক রোগ ভোগ চেপে রাখছেন।হাসপাতালে যেতে চাইছেন না। ভারতের মতন দেশে,ডটস,hiv, ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্যকর্মী স্বল্পতা হেতু ব্যাহত হচ্ছে।
এক কথায় করোনা আতঙ্ক,একটা সুসংহত হেলথ সিস্টেম কে নাম্ব করে দিয়েছে।এটা কিন্তু উন্নত দেশ গুলো ও প্রতিমুহূর্তে বুঝতে পারছে।
কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও আছে।
চায়নায় ইউহান থেকে রোগ ছড়ালেও অন্যান্য প্রদেশ গুলোতে সেরকম ভাবে ছড়িয়ে পড়ে নি কেন? তাহলে কি কঠোর লক ডাউন ইমপ্লিমেন্ট করেছিল?
ইউহানে কোভিড এর ফ্যাটালিটি বা ঘাতক রোলের কথা চায়না ভালই জানতো। তা,সত্বেও নিজের উদ্যোগে ইওরোপ,আমেরিকা বা সবকনটিনেন্ট গুলোতে যুহান থেকে পর্যটক বাইরে যেতে বাঁধা দে নি কেন?কঠোর লকডাউন চললে তো ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
হু নামক সংস্থাও বা হাত গুটিয়ে ছিলো কেন?
সে তো এই মার্কেটে ধরুন না যখন লোকে করোনা থেকে কীভাবে বাচবে , দেশের আর সারা বিশ্বের ওপর অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব , চাকরী থাকবে না যাবে, কোন দেশ ভ্যাকসিনের ওপর কাজ করছে আর সেটা কত টা এগোলো সেটা এইসব নিয়ে আলোচনা করছে; তখন কেউ কেউ সরকার থেকে অনুদান পাওয়া 1000 $ ডলার দিয়ে কোন শেয়ার কিনবে সেটা আলোচনা করছে। আপনি কী করবেন বলুন ?
এখানে যে যা আলোচনা করতে চায় সেটা নিয়েই আলোচনা হয়। এটাই গুরুর USP .আপনার ভালো লাগলে আপনি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নাহলে ইগনোর করবেন। কিন্তু আলোচনা থেমে থাকবে না।
কিছু কনফিউশন দূর করার চেষ্টা করি।
করোনা পজিটিভ ডেথ আর করোনার জন্যই মৃত্যু আলাদা জিনিস।এপিডেমিক এর সময়ে ব্যাপার টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ।একজন বৃদ্ধ রেসিডেনসিয়াল হোম বাস করেন।প্রশাসন খবর পেলো অসুস্থ।হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই মৃত্যু।
এরকম ঘটনা আকছার ঘটছে।ওই বৃদ্ধ হয়তো মেটাষ্টাটিক ক্যান্সারে ভুগছিলেন।কিন্তু রেকর্ড দেখা গেলো উনি করোনা পজিটিভ।হতে পারে এসিম্পটম্যাটিক কেরিয়ার বা মিনিমাম সিম্পটমস হয়েছিল।ওনার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেও হলো করোনার জন্য মৃত্যু।কিন্তু আসলে মৃত্যুর কারণ ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার।
এক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট ভুল লেখা হলো।অর্থাৎ ডেথ কাউন্ট ডিউ টু করোনা বেড়ে গেলো।ইতালি তে বা ব্রিটেনে এমন কেস বহু হয়েছে।আমেরিকা তেও তাই।
আবার অন্য দিকে নার্সিং হোমে অনেক বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে,যারা শ্বাস কষ্টে ভুগলেও রিপোর্ট করেন নি। এসব ক্ষেত্রেও মৃত ব্যক্তির স্যাম্পল (ব্লাড বা লালারস) পরীক্ষা গারে পরীক্ষা করে, তবে মৃত্যুর কারণ সংশোধন করা যায়।
এপিডেমিক এর সময় ব্যাপক হারে পোস্ট মর্টেম সম্ভব নয়।
কিন্তু পরিসংখ্যান খুব জরুরী।প্রথমত এই কোভিড এর ফ্যাটালিটি কি রকম ভালোভাবে জানা। ফর একাডেমিক পার পাস!ভবিষ্যতে গবেষণায় সাহায্য করবে।
আর একটা কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা দরকার।কারণ কতোটা গুরুত্ব দেবো।
একদিকে রয়েছে লক ডাউন হেতু আর্থিক ক্ষতি অন্য দিকে কোভিড এর জন্য প্রচুর মৃত্যু।
ভারতের মতো দেশে মাস দু ই লকডাউন চললে,বহু লোক অনাহারে,অর্ধাহারে থাকবে।কোটি কোটি লোক জব হারাবে।এর সুদূর প্রসারী এফেক্ট কম নয়। সুতরাং করোনা কে কেউ ডাউন প্লে করছে না।কিন্তু পাল একদিকে টেনে ধরতে গিয়ে যেন নৌকই ডুবে না যায়।
ইয়েশ
আপাতত মরালমেসো ও মাসীগণ এই মিমটা নিয়ে নিদারুণ ক্ষেপে কুরুখেত্তর কচ্ছেন