@Atoz
হাঃ-হাঃ-হাঃ-হাঃ! আমার প্রিয় চরিত্র হচ্ছে আগাথার Mr Satterthwaite। আমি নেত্র বলতে দেখাটাই পছন্দ করি। :-)
রঞ্জনবাবু, আপনার থেকে দুটো বিষয়ে বিস্তারে জানতে চাইছি। এক, ফ্রিবি কি সত্যিই ফ্যাক্টর হয়ে উঠল এই ভোটে? এই ফ্রিবি থাকা স্বত্ত্বেও আট মাস আগের লোকসভার ভোটে বিজেপি দিল্লিতে সবক'টা সিট পেল কেন? দুই, ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জারদের মৃত্যু ও দিল্লি সরকারি পরিবহণের আর্থিক হাল নিয়ে এই অধমকে আপনি যদি দু'পহা দেন।
সবাইকে বলছি । মেরুকরণ একদিনে হয়নি। অনেকগুলো অর্ধসত্য এবং গুল্প বহুবার শুনতে শুনতে ধীরে ধীরে আমাদের মানসে শেকড় গেড়ে বসেছে। এনিয়ে ফ্যাসিবাদ, ভুমন্ডলীকরণ, কর্পোরেটরাজ বলে বুকনি ঝাড়লে সেটা হবে দীক্ষিতদের মধ্যে বিদ্যে ফলানো। দরকার আম জনতার মধ্যে ডায়লগের মাধ্যমে এইসব ফলস ন্যারেটিভের বেলুন ফাটানো এবং দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে এইসব গুল্প এবং আর্থিক নীতিগুলো কীভাবে জড়িয়ে আছে সেটা এক্সপোজ করা।
যেমন, ১ লাখে লাখে শরণার্থী এবং 'অনুপ্রবেশকারী'। যেটা নিয়ে মাত্র কথা হয়েছে।
গুল্প ২ ঃ কেজরিওয়াল ফ্রীবিজ দিয়ে জিতেছে, ফলে খেটে খাওয়া মানুষের আত্মসম্মান বিক্রি হচ্ছে। আম্মাদের ট্যাক্সের পয়সায়--। এটা নিয়ে কিছু বলা দরকার।
প্রথমতঃ ২০০ ইউনিটি অব্দি বিজলি এবং ১০০০ লিটার অব্দি জল ফ্রি, এর বেশী উঠলে অবশ্যই বিল আসবে। দ্বিতীয়তঃ এসব করেও কেজরির এবছর সারপ্লাস বাজেট, যদিও পাঁচবছর আগে ছিল ত্রিশহাজার কোটি টাকা, এবারে ৬০ হাজার কোটি ।কারণ ওরা রেভিনিউ কালেকশন বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ এটা ভুল প্রচার এবং মধ্যবিত্তের মিথ্যে অহংকার যে আমরা ট্যাক্সো দিই আর সেই পয়সায় গরীবের মোচ্ছব হয় । আমরা দিই ইনকাম ট্যাক্স এবং অল্প কিছু ডায়রেক্ট ট্যাক্স--প্রপার্টি গিফট ক্যাপিটাল গেইন ইত্যাদি। কিন্তু সমস্ত গরীব মানুষ দেয় ইনডায়রেক্ট ট্যাক্স, বিভিন্ন উপভোগ বস্তু এবং পরিষেবা ক্রয়ের মাধ্যমে। খাবারদাবার ্ বাস ট্রেনের টিকেট, ওষুধ পত্তর, বাড়িভাড়া, জামাকাপড়, সাবান তেল, সিনেমার টিকেট ইত্যাদি।
আর সরকারের সমস্ত রেভিনিউয়ের ১৬ থেকে ২০ % আসে আয়কর থেকে, বাকসে৮০% ইনডায়রেক্ট ট্যাক্স (জিএসটি ইত্যাদি)। কাজেই এটা বাজে কথা যে গরীবেরা সরকারের বোঝা, মুফতখোর!! এই বাজে কথাটা মিডিয়ায় খুব চলছে। এখানে বাঙালী মধ্যবিত্তের দেখি সেই আস্ফালন! কেজরি ওসব পার্টির ফান্ড বা নিজের পকেট থেকে দিক। আমাদের পয়সায় চলবে না । হুঁ হুঁ বাবা!
অথচ মোদিসরকারের উজ্বলা যোজনা, কৃষকদের আকাউন্টে ডায়রেক্ট ৬০০০ ট্রান্সফার, আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় গরীবের ফ্রি চিকিৎসা এবং ২ টাকা দরে চাল -- সবই একই ব্র্যাকেটে পড়ে ।
এসবই ওয়েলফেয়ার গভর্ন্মেন্টের অবশ্য কর্তব্য। নর্থ ইউরোপের দেশগুলোর নাগরিকদের দেওয়া ওয়েলফেয়ার পরিষেবা দেখুন। এগুলোর ফলে আম্মাদের সমাজের একটা দুর্বল অংশ সম্মানের সংগে বাঁচে এবং সমাজের জন্যে প্রোডাক্টিভ হয় । তাতে নীট যোগফলে সবার লাভ।