বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন।
বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা বক্তব্য। এবং সে কারণেই এদের সঙ্গে বামদের জোট করা উচিত।
পশ্চিমবঙ্গে বিগত লোকসভা নির্বাচনে বামদের বিপর্যয় হয়েছে। বাম ঘরানার ভোটের একটি বৃহদংশ বিজেপিতে চলে গেছে, ভোটের হিসেবে। সে নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। কিন্তু বাম নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দ সজোরে এর জবাবে বলে এসেছেন, যে, ওভাবে বাম-ভোট বলে কিছু হয়না। ভোট কারো সম্পত্তি নয়। উল্টোদিকে, যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁদের বক্তব্য হল, ভোটের রাজনীতিতে "বিশ্বস্ত ভোট" বা "ভোট ব্যাঙ্ক" বলে একটি বস্তু অবশ্যই হয়। বামদের সেই বিশ্বস্ত ভোটই গেছে বিজেপির দিকে। তার কারণ, বাম পার্টির নেতারা প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব, তার সামান্য ভগ্নাংশও বিজেপির বিরুদ্ধে নন। তাঁদের মূল আক্রমণ সর্বদা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই লাইন মূলত আত্মঘাতী। এই লাইন কর্মী এবং সমর্থকদের "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র" লাইনে ভাবতে উৎসাহ জুগিয়েছে। একদা সমর্থকরা বিজেপিকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকর ভেবে ভোট দিয়েছেন। এবং তার ফলেই এই বিপর্যয়।
এর জবাবে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা, অন্তত আধা প্রকাশ্যে যেটা বলছেন, সেটাও এখানে প্রণিধানযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের হিসেব বেশ জটিল। সিপিআইএম এর যে সাধারণ ভিত্তি, তার মূল সুরই হল তৃণমূল বিরোধিতা। তৃণমূলের প্রতি নরম এরকম কোনো সিপিআইএম সমর্থক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যদি সমর্থকদের চিন্তার উল্টোদিকে গিয়ে পার্টির নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে গণভিত্তি যেটুকু আছে, সেটুকুও পার্টিকে ছেড়ে চলে যাবে। গণভিত্তি খুঁজে নেবে তৃণমূলের বিরোধী শক্তিকে, ভোট দেবে তাকেই। অর্থাৎ শক্তিশালী হবে বিজেপিই। বিজেপির পাল থেকে হাওয়া কাড়তেই তাই বামদের তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে হবে।
সমস্যা হল, এতদিন এই যুক্তিতে চলেও কিন্তু সিপিআইএম তার গণভিত্তি অটুট তো রাখতে পারেইনি। বরং তাতে বিপুল ধ্বস নেমেছে। তবুও এই লাইনটিই অনুসরণ করে যাওয়া হচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তার খুব বেশি বিরোধিতা আসেনি। সিপিআইম এর যেটুকু গণভিত্তি এখনও আছে, তারা বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধিতা করলে বাম ছেড়ে ডান দিকে চলে যাঅবে, এ আশঙ্কার আদৌ কি কোনো ভিত্তি আছে? নাকি আশু বিপদকে মাথায় রেখে সর্বাত্মক বিজেপি বিরোধিতা করলেই বামদের যেটুকু ভিত্তি আছে তা আরও শক্তপোক্ত হবে? এ নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হওয়া দরকার। বিহার নির্বাচনের পর বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনলেন দীপঙ্কর। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যাবে বিহারের অন্তিম ফলাফল। তারপর সমস্ত তাসই এসে যাবে টেবিলে। সেসব টেবিলের নিচে লুকিয়ে না ফেলে সমস্ত সম্ভাবনা, সমস্ত বিচার এবং সামগ্রিক বিতর্ক অবশ্যই প্রয়োজন।
মমতা ব্যানার্জি সিপিএম কে ব্যক্তিগত বন্ধু বা সেকুলারিজম এ লড়াই তে সম্ভাব্য সাথী মনে করেন এরকম কোনো বিশেষ এভিডেন্স আছে কি?
মমতা থার্ড ফ্রন্ট গড়ার সময় সমস্ত অ বিজেপি সেকুলার পার্টি কে যোগ দিতে বলেছিলেন।বামেরা,তথা সিপিএম প্রস্তাব গ্রহণ করে নি।
https://www.thestatesman.com/cities/cpm-slams-mamatas-third-front-initiative-1502604673.html/amp
@sm
ঐ প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন যখন প্রধান মন্ত্রী হওয়ার বাই চেপেছিল। সম্ভবতঃ কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে। খবরে লেখাই আছেঃ to forge of third front with the help of some regional parties!!! খোয়াব দেখার একটা মাত্রা থাকা উচিৎ।
@rivu
আগেও লিখেছিলাম। বিজেপিকে পব তে বাড়তে দেওয়া "ঐতিহাসিক ভুল " বলে মেনে নিলে তারপরে (আমি) ভেবে দেখব। তার সঙ্গে দখল কর নেওয়া পার্টি অফিস গুলো ফেরৎ দিতে হবে। দ্বিতীয় কাজটা আগে শুরু করতে হবে কেননা কিছু অফিস এখনই হনুমানদের দখলে চলে যেতে শুরু করেছে।
এই হনূমান দের তাড়াতে হলে ফুল ,কাস্তে হাতুড়ি ,আর হাত ।..সব গুলো কে এক জোট হতে হবে ।..হওয়া অসম্ভব কিছু না ।..কারণ এদের কারুর ই আদর্শ বলে বিশেষ কিছু নেই ।..শুধু পতাকার রং গুলো আলাদা !!অবশ্য যদি আমরা বিজেপি কে একটা প্রধান শত্রূ বলে মনে করি !!!!
আদর্শ বলে বিশেষ কিছু না থাকলে বিজেপিতে অসুবিধা কি?
আর যদি তার গুরুত্ব থাকে, সেটা যদি অতীতে কারো না থেকে থাকে সরকারি ভাবে, সেটা তো তৃণমূল এর। সেটাকে সৎসাহস বলা হবে না নীতিহীনতা বলা হবে সেটা তো দৃষ্টি ভঙ্গি র ব্যাপার।
রাজ্যে আজ সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক যদি কোনো দিন তিনো থেকে বেরিয়ে মিমে ঢোকে, ওরা আগে বিিজেপিির সাথে জোট করবে। এখন ওই দিকটা কি হবে তাই ভেবে দলিত নিিয়ে পড়েছে
তৃণ জোট করবে বিজেপির সাথে তখন
পিটিদা কি কেরালায় বিজেপির এই উত্থানের জন্য সিপিএম আর কংগ্রেসকে দায়ী করছেন? এটা একটু স্পষ্ট করুন আগে।
২০১৯ এ আরও বেড়েছে।
গত নির্বাচনে সিপিএমের ভোট শেয়ারের একটা মেজর অংশ বিজেপিতে যাওয়ার আগে বাংলায় বিজেপির উত্থানের চিত্র এর চেয়ে খুব আলাদা কিছু ছিল কি? অবশ্যই মমতার ভূমিকা আছে, বিশেষত পঞ্চায়েত ইলেকশনের মারধোর সন্ত্রাস একটা বড় কারণ। কিন্তু মমতাজ বেগম বলে যে 'তোষণকারী' আইডেনটিটিটা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, যেটায় সিপিএমের বড় নেতারাও ক্রমাগত তাল দিয়ে গেছে নিজেদের হিন্দু ভোট ধরে রাখার আশায়, তার একটা বড় অংশ বিজেপি এবং আইটিসেলের বানানো।
২০১৪, ২০১৬, আর ২০১৯ কেরল ইলেকশানে এলডিএফের ভোট শতাংশ কত?
দিদির আসল সমস্যা হল তিনি একটা হিসাব করেছিলেন যেটা মেলেনি। ভেবেছিলেন রাজ্যে বিজেপিকে বাড়তে দিলে মাইনরিটি ভোট সব তিনোর বাক্সে পড়বে, আর বাকী তিনোবিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাবে। প্রথমটা হলেও, পরেরটা হয়নি। সেই কারণেই তিনোদের এত রাগ বামেদের বিরুদ্ধে। বিজেপি জিতছে, কোথায় বিজেপির বিরোধীতা করবে। কিন্তু সেসব করতে গেলে আবার মোদি সিবিআই লেলিয়ে দেয়। তাই বক্তব্য হল তিনোরা তেমন কিছু করবে না, কিন্তু বামেরা ভোট বাড়িয়ে বিরোধী ভোট ভাগের ব্যবস্থা করে দিক।
বামেদের ভোট ২০১৪ আর ২০১৬তেও কমেছিল, বিজেপিতেও গেছিল। কিন্তু তখন এইসব কথা আসেনি, কারণ তখন তিনোরা জিতছে। কেউ ভাবেনি যে অদূর ভবিষ্যতে তাদেরকে চ্যালেন্জ দেওয়ার মতন কেউ আসবে।
বিজেপিকে রুখতে দিদির সঙ্গে জোট করাই যায়। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে যারা দিদিকে এবং দিদির পলিটিক্স ফলো করছে, তারা সবাই জানে যে তিনি সুযোগ পেলেই তলে তলে বিজেপির সাথে হাত মেলাবেন। এই মোদির আমলেই বহুবার, যখন রাজ্যসভায় বিজেপি মাইনরিটি ছিল, তিনোরা উল্টোদিকে ভোট না দিয়ে অনুপস্থিত থেকেছে। ফলে দিদি আবারও সেই কাজ করবেন না এবং রাজ্যে বিজেপিকে বাড়তে দেবেন না, এরকম সিওরিটি কেউ দিতে পারে না। সেই কারণেই রাজ্যে তিনোদের সাথে জোট করা নিয়ে অনেক সমস্যা। তাছাড়া দিদির দিক থেকেও এখনও সেরকম কোনও প্রস্তাব আসেনি।
আরে দিদি একাই একশো। সব তিনি একাই সামলে নেবেন। যেমন এদ্দিন সামলাচ্ছেন। মিছিমিছি বুজিরা বামেদের মাত্তর 7-% ভোট নিয়ে এতো বেকার চিন্তা করছেন। বাকি ৯৩% নিয়ে এতো চিন্তা নেই।
আর আফটার অল ডেমোক্রেসি তো আছে খাতায় কলমে, বাস্তবে যাই হোক। যদি তিনি ঠেকাতে না পারেন , বিজেপি তেনার থেকে বেশি ভোট পেয়েই যায় , তো পাবে। কি করার আছে আর -?
কেরালায় ঘটনা হল, জাতপাতের পলিটিক্স সেখানে নতুন না। কনজারভেটিভ দের মধ্যে ফ্রাসট্রেশন জেগেছে, যে সেখানে বাম , কংগ্রেস যেই আসুক, বিশুদ্ধ উচ্চবর্ণ সনাতন হিন্দু দের লাইফ স্টাইল এবং সামাজিক হেজেমনি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হচ্ছে, তাই তারা একটু জেগেছে, কিন্তু তাদের সামাজিক প্রভাব একেবারে রাজনীতি বদলে দেবার মত বেড়ে গেছে এটা বল কঠিন। বিজেপির কাছে কেরালা , বাংলা এগুলো আইডিওলোজিকাল ব্যাটল, প্রেস ও সেভাবেই দেখে, কিন্তু কেরালার জনজীবনে , কোস্টাল এলাকা হবার জন্য, যে স্বাভাবিক বিভিন্নতার সমাবেশ আছে, তাকে ঠ্যাকানো বিজেপির কম্ম না। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে, বাংলার সেকুলারিজম এর যে ঐতিহ্য সেটা কেরালার থেকে ভিন্ন। এবং এই স্থানিক বৈষিষ্ট গুলোকে মেটানোর চক্রান্ত বিজেপি করে থাকে, সুতরাং অকারণ তুলনা r কোন অর্থ হয় না।
মমতা নিজে এত মিথ্যে কথা বলেন বা বলেছেন, যে তাঁর সইত্যের ব্যাপারে কোন ক্রেডিবিলিটি নেই, কিন্তু মমতা সম্পর্কে মুসলমান তোষণকারী ইমেজ গড়ে তোলাটা একটা ডাঁহা মিথ্যা। তিনি মুসলমান এবং হিন্দু কনজারভেটিভ দের সংগে ওভার্ট রিলেশনশিপ তৈরী করেছেন, পাবলিক স্ফিয়ারে ব্যক্তিগত ভক্তিচর্চা করেছেন করে সেকুলার অফিসের স্যাঁকটিটি নষ্ট করেছেন সেটা বলাই যায়, কিন্তু মুসলমান তোষণ কিসুই করেন নি।
যেটা ঘটনা, সেটা মোটামুটি সংক্ষেপে এরকম। লোকে রেটোরিক চর্চায় সব ভুলে যায়, আর মমতার নিজের ন্যারেটিভ এ নানা সমস্যা থাকায় এগুলো বাড়ে।
সাচার কমিটির রিপোর্ট বেরোনোর পরে যে হই হই হয়, তাতে মমতা যে কোনো বিরোধী পোলিটিশিয়ান er মতই হই হই করেছিলেন পশ্চিম বংগে। সাচার কমিটির রিপোর্ট একদম পারফেক্ট ছিল। সরকারী চাকুরি তে জনসংখ্যার অনুপাতের তুলনায় মুসলমান দের সখ্যা কম ছিল। বিতর্ক দুটো ছিল। এবং সেটা বামেদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। সরকারী চাকরির সংখ্য যেখানে ধারাবাহিক ভাবে কেন্দ্র r পক্ষ থেকে কমানোর সমস্ত নীতি নেওয়া হয়েছে, তাতে এই হিসেবের গুরুত্তঅ কতটুকু, এই হিসেব কেই একমাত্র প্রতিনিধিত্ত্ব মূলক ধরা যায় কিনা, আর বুদ্ধ দুটি কথা বলেছিলেন, এক ভূমি সংস্কারে, জমির রেজিস্ট্রেশন e বা বর্গা রেজিস্ট্রেশনে কি মুসলমান দের বিরুদ্ধে বায়াস কেউ দেখাতে পারবে, আর একটা প্রসংগ এনেছিলেন, রংগনাথ মিশ্র কমিশন কিছু ইম্পর্টাট সার্ভে এবং থিয়োরীর কাজ রেফার করে দেখায় যে কাস্ট প্রথা , এবং মুসলমান সমাজের যে ব্লারিং বর্ডার, তাতে অনেক পেশা আছে যার জাতিগত o পেশাগত দারিদ্রের সমাধান হয় নি, তাদের কে শিডিউল ভিত্তিক পজিটিভ ডিসক্রিইনেশন এর অংশ করা যেতে পারে। তার সাংবিধানিক রেফারেন্স er কথা এনেছিলেন।
কিন্তু সিদ্দিকুল্লা সহ অনেক পোলিটিকাল ইসলাম এর নেতার তাতে তর সয় নি, তারা সরাসরি ধর্ম ভিত্তিক সংরক্ষন চান, সেটা ভারতের সংবিধানে সম্ভব না , অন্তত সংবিধান সংক্রান্ত ডিসকোর্সের তখনকার চেহারায়। মমতাকে যদি দোষ দিতে হয়, যেট বলা দরকার, উনি মুসলমান রক্ষন শীল নেতৃত্তএর সংগে সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাদের সামাজিক প্রভাব কে নিয়ে কাজে লাগাতে চান এবং প্রশাসনিক ডিস্টান্সিং অনেক পরে করেছেন। এবং আরো মজার হল, সাচার কমিটির পরে আরো এত গুলো বছর চলে গেছে, চাকুরি ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু র প্রতিনিধিত্ত বাড়লো কিনা (শিক্ষা-উচ্চশিক্ষার ইনডাইরেক্ট সুফল হিসেবে ) তার কোন মেজারমেন্ট করান নি, সম্ভবত তাতে উল্টে অন্য বিভাগের গাফিলতি সামনে এসে পড়বে বলে, তাতে আদৌ রক্ষন শীলেরা কোন আপত্তি ও করেন নি এটাই মজার।
মোয়াজ্জিম দের ভাতা ঘোষণা কর ম্যানেজ দিতে গিয়ে মমতাকে প্রচুর হিন্দু জনগোষ্ঠী কে এটা ওটা দিতে হয়েছে। মজাট হল, কোন রীতি নীতির বালাই তো মমতার আখেন না, তাই কোন বিষয়ের ই কোন স্থায়ী সমাধান, তিনি করেন নি, কোন ভিসন আছে কিনা কোন এভিডেন্স ও নেই। যিনি সারাজীবন প্রচুর ডেট (Rin) করেছে বলে বামফ্রন্ট ke সমালোচনা করেছেন, তিনি নিজে স্থায়ী পদের সংখ্যাও কমিয়েছেন, ধার ও প্রচুর করেছেন, ইন ফ্যাক্ট একটা স্টাইল অফ গভরনেন্স তৈরী করেছেন, যেখানে অস্থায়ী , অ্যাড হক দেওয়া থোয়ার ভিত্তিতে সুবিধা বন্টন ও ক্লায়েন্টেল তৈরী করা যায়, যারা কোন প্রশাসনিক নীতির ভিত্তি নেই, কারণ আর কিছুই না, কোন স্কিম কত দিন ফান্ডিং করা যাবে, কোন সাংবিধানিক অধিকার কে প্রতিষ্ঠা করা যাবে তাই নিয়ে কোন নীতি নেই। এবং এটা করতে গিয়েই, তার সমর্থন অর্জনের এই বিচিত্র পদ্ধতি সংগত ভাবেই সমালোচিত। বিজেপি শুধু এই টুকু সমালোচনা করলে কারো কিছু বলার ছিল না, কিন্তু মমতা থাকলে, পশ্চিম বংগ বাংলা দেশ হয়ে যাবে বলার যে সাম্প্রদায়িকতা সেটা শুধু তাদের রাজনীতিতেই আছে, সে আর বিচিত্র কি। বিজেপি র তোলা রেটোরিক একেবারেই ফাল্তু। কিন্তু মমতার আচরণ , তাঁর রাজনিতিক দুরদর্শীতার সমস্যা, তাদের রেটোরিকের সুবিধে করে দিয়েছে ও দিচ্ছে। এতটাই দিচ্ছে যে মমতা ও বিজেপি দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন কারণে ভোলাতে চাইছেন যে তাঁরা বহুপথ অতীতে একসংগে চলেছেন, ভবিষ্যাতেও চলতেই পারেন, এই টান পোড়েনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সামাজিক ভাবে দুর্বল অংশের মুসলমান রা। সামাজিক ডিসক্রিমিনেশন তো যরকম ছিল সেরকম থাকছেই, উল্টে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে প্রগতির কোন রাস্তা খোলা থাকছে না, তার উপরে বড় বড় অর্থনৈতিক সংকট।
বোধিসত্ত্ব
মুসলমান সংরক্ষনশীল দের পক্ষে গোটা দেশ জুড়েই এটা আংশিক প্র্যাগমাটিক সলিউশন বলে দেখা হতেই পারে, যে ভাই বিজেপির সংগে নানা ভাবে ডিলে আসি। স্থানীয় রাজ্যভিত্তিক দল এর মাধ্যমে আসার সীমাবদ্ধতা হল, তাতে নেগোশিয়েটিং পার্টনার বেশি। অতএব কেন্দ্রীয় নেগোশিয়েটিং পার্টনার তৈরী করো। ইত্যাদি। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে মুসলমান দের আলাদা জাতীয় স্তরের পার্টি নেই, পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন o নেই, পার্টি ও নেই, এবং সেটাই পার্টিশনের ইতিহাসের পরে ভবিতব্য বলে সকলে ধরে নিয়েছে। ওয়েইসি কে ডেঞ্জার হিসেবে দেখা যেতে পারে, কিন্তু আসলে আমার এই কেজরিওয়াল তত্তএ অসুবিধে আছে। মুসলমান রা মুসলমান দের ক্ষতি করছেন, এই রেটোরিকে সামাজিক কর্নারিং বাড়ে। সাধারণ ভাবে এটাও বোঝা দরকার, মুসলমান রা নানা জায়্গায় নান লোক কে ভোট দেন, এক রাজ্যের মধ্যেও নানা ডিস্ট্রিবিউশন থাকে এই বেসিক সত্যটাকে অস্বীকার করে এই সব রেটোরিক চলছে, তার মোকাবিলা না করলে, নাগরিক হিসেবে মুসলমান দের সম্মান বাড়বে না, সেকুলার ইনটেলেকচুয়াল দের এই দিক টা সম্পর্কে বোঝ উচিত।
কেরালায় বিজেপির উত্থানের জন্য সিপিএম কংগ্রেস কেউই দায়ী নয়। দায়ী তিনোমুল। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকলেই বুঝে যেতেন।
"মমতা নিজে এত মিথ্যে কথা বলেন বা বলেছেন, যে তাঁর সইত্যের ব্যাপারে কোন ক্রেডিবিলিটি নেই, কিন্তু মমতা সম্পর্কে মুসলমান তোষণকারী ইমেজ গড়ে তোলাটা একটা ডাঁহা মিথ্যা।" এর থেকে বড় মিথ্যা এতো তাত্ত্বিক ভাবে ২ ০ ১ ১ সালের পরে প: ব : এ কোনো বুদ্ধিজীবি /দুর্বুদ্ধিজীবী কেউ ই বলেন নি । বোধি বাবুকে শুভেচ্ছা:)
", কিন্তু মমতা সম্পর্কে মুসলমান তোষণকারী ইমেজ গড়ে তোলাটা একটা ডাঁহা মিথ্যা।----- কিন্তু মুসলমান তোষণ কিসুই করেন নি" এর থেকে বড় মিথ্যা এতো তাত্ত্বিক ভাবে ২ ০ ১ ১ সালের পরে প: ব : এ কোনো বুদ্ধিজীবি /দুর্বুদ্ধিজীবী কেউ ই বলেন নি । বোধি বাবুকে শুভেচ্ছা:)
@@kerala
আংশিক সত্য বলেছেন। যেখানে যেখানে বিজেপি দুর্বল, তিনোদের মত রাজ্যভিত্তিক দলগুলই সেইসব রাজ্যে বিজেপিকে বহন করে নিয়ে আসছে।
পবঃ তিনো
ত্রিপুরাঃ তিনো ও Indigenous Peoples Front of Tripura (IPFT)
মহারাষ্ট্রঃ শিবসেনা
অন্ধ্রঃ তেলেগু দেশম
তেলেঙ্গনাঃ TRS -ও তিনো ও দেশমের মতই পেন্ডুলাম রাজনীতি করে; আর AIMIM শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি কার স্বার্থরক্ষা করছে কে জানে!!
উপঃ ওখানকার পিসী-ভাইপোরা কখন বিজেপির সঙ্গে তারা বোধহয় নিজেরাও জানেনা।
তামিলনাদুঃ "AIADMK-BJP alliance to continue for 2021 elections, say Palaniswami, Panneerselvam"
কেরালাঃ Bharath Dharma Jana Sena (BDJS)+Kerala Congress (Nationalist) (KCN)+Kerala Vikas Congress (KVC)+Bharathiya Karma Sena (BKS)+Socialist Janata Dal+Kerala People's Party (KPP)+Pravasi Nivasi Party+Secular National Dravida Party+Praja Socilaist Party+National Democratic Party (Secular);
কেরালার পিসেমশাইঃ Former Congress leader PC George joins Kerala NDA in big boost for BJP ইনি কালে কালে তিনোর মত হবেন কিনা দেখতে হবে।
এরা ১-২% করেও যদি ভোট কাটে তাহলে তার পরিণতি কি হবে?
@Kerala
"পিটিদা কি কেরালায় বিজেপির এই উত্থানের জন্য সিপিএম আর কংগ্রেসকে দায়ী করছেন? এটা একটু স্পষ্ট করুন আগে।"
দায়ী করা যেতেই পারে কিন্তু সাধারণ যুক্তি বলে যে কেরালায় বিজেপির উত্থান কংগ্রেস-্সিপিএম দুদলের পক্ষেই চরম ক্ষতিকারক। বোধি বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমি শুধু একটা কথা যোগ করিঃ সারা দেশের আপিং কেরালার কাউকে নেশাগ্রস্ত করবে না এটা ভাবা বাতুলতা। আর কিছু আসল ইস্যু না থাক সাবরীমালা তো আছেই!!
এইসব খুচরো ঘটনার কোনটাই অটলদাকে কালীঘাটের মাসীমার মালপো খাওয়ানোর, কিম্বা বারংবার বিজেপির মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী হওয়া এবং ২০১১-র পরে RSS-কে রাজ্যে বাড়তে দেওয়ার সঙ্গে তুলনীয় নয়। "Speaking to The Hindu, the organisational secretary of the VPP, Tarak Das Sarkar, an RSS pracharak, said, “All of our schools received State government affiliation after 2011 (when TMC came to power in Bengal).”"
আর হেইডা ভুইল্যা z-আবেন না বন্ধুঃ
The Trinamul Congress chief, who is still without a portfolio, was seeking the Sangh’s support in her fight against communist “terror”. “If you (the RSS) give us just 1 per cent support, we will be able to fight red terror,” she told the assembled RSS brass, including H.V. Seshadri, Mohan Bhagwat and Madan Das Devi.
“I have never got to meet so many RSS leaders, though I have met some individually. You people are true patriots. I know you love the country, you care for even small, remote areas of the country,” she added.
এইসব অমৃতভাষ্য বাবরি ধ্বংস ও গুজরাট দাঙ্গার পরে উচ্চারিত!!
জিও দিদি ! নরেন মোদি, অমিত শাদের মুখের ওপর পশ্চিমবঙ্গে আরেসেসের স্কুলগুলো বন্ধ করার নোটিশ দিয়ে দিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে এমন ভাবেই রুখে দারান - আমরা আছি ।
@খুচরো
পুরো খবরটি পড়েছেন তো? এটি ২০১৮-র খবর। অর্থাৎ কিনা প্রায় ৭ বছর ধরে সরকারী দাক্ষিণ্যে স্কুলগুলি চালু ছিল।
তারপর?
"Chatterjee told the Assembly that the department, besides, these 125 schools, were keeping an eye on 493 others." অর্থাৎ বাকিগুলো চালু আছে।
তারপর?
স্কুলগুলো নাকি কোর্টে যাবে বলেছিল। তার কি হল কে জানে!! সেই খবরটাও একটু খুঁজে জানিয়ে দেবেন।
আরো একটা খবর খুঁজে পেলাম। এটা খায় না মাথায় মাখে জানিনা। তবে গন্ধটা সন্দেহজনক আর কাটমানি নিয়ে ব্যস্ত দলের বুদ্ধির বাইরে।
"the growth of Ekal Abhiyan in West Bengal has not been stymied by the administrations non-cooperation. According to the FTS’s own numbers, from 3,573 schools in December 2018, the FTS was running over 4,600 schools as of August 2020.
https://caravanmagazine.in/politics/ekal-vidyalaya-abhiyan-rss-fts-vhp-hindutva-west-bengal-trinamool-bjp
প্রদীপের নিচেই যেমন অন্ধকার থাকে, তেমনি সিপিআইএম যতই আড়ে-বহরে বেড়েছে ততই সে সেই পৌরাণিক জলচর জীবটির মতো হয়েছে, যে নিজেই নিজের শরীরের অংশ ভক্ষণ করত। এক অদ্ভুত আত্মধ্বংসী দর্শনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়ে, ক্রমাগত মধ্যবিত্ততোষ সিদ্ধান্ত নিতে নিতে, সম্ভাব্য সমস্ত রকম দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করে, এমনকী নেতৃত্বের মাঝারি স্তরে সেই দুর্নীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে দলটি জনবিচ্ছিন্ন হতে থাকে। বাংলায় আবার দমবন্ধ পরিবেশ ফিরতে থাকে। এ যেন সেই উলটো রথের কাহিনি। কিন্তু এই আলংকারিক ভাষায় বললে হয়তো বাংলার বড়ো তরফের কমিউনিস্ট পার্টিটির রাজনৈতিক ইতিহাসের বিচারে ভুল থেকে যাবে। তাই বলা দরকার আদর্শচ্যুত হতে হতে দলটির রাজনৈতিক দর্শন বলে আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না। ছিল শুধু গ্রাস করার মানসিকতা। ছিল শিকল দিয়ে বাঁধার ক্ষমতা। মানুষ যে শিকলের নিগড় ২০১১-র নির্বাচনে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। সামাজিক পরিস্থিতি এমনই চূড়ান্ত আধিপত্যবাদী হয়ে উঠেছিল যে তার পরের নির্বাচনগুলোতেও মানুষ ব্যাপক দুর্নীতির ইস্যুকেও উপেক্ষা করছেন। বামফ্রন্টের শেষের কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলাকীর্ণ অংশে তথাকথিত মাওবাদীদের সশস্ত্র রাজনীতির বাড়াবাড়ি, কিংবা নিবিড় শিল্পায়নের ডাকও তখন তাদের রক্ষণভাগকে আর শক্তিশালী করতে পারেনি। বাংলার শেষ কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী তাই অনুভব করতে পারেননি শিল্পায়ন তথা উন্নয়ন আসলে সেই মানুষগুলোর সম্মতির উপর নির্ভর করে যারা এর প্রত্যক্ষ প্রভাবে জীবন যাপন করেন। বাংলার কমিউনিস্টরা ততদিনে আসলে বাংলায় এক নতুন শ্রেণির জন্ম দিয়ে ফেলেছেন, যাঁরা ভুলে গেছেন গণআন্দোলনের দিন কিংবা গ্রামে-গঞ্জে, কলে-কারখানায় ব্যরিকেড গড়ে তোলার দিন। ক্ষমতার অলীক স্বর্গে বাস করতে করতে হাঁটতে ভুলে গেছিলেন বাস্তবের রাস্তায়।
হ্যাঁ এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। সিপিআইএম পৌরাণিক জলচর। তাই এই পার্টির সমর্থন কেনো চাইছেন মমতা বা লিবারেশন সেটা বুঝিনি। সিপিএম er ট্রান্সফর্মেশনে এঁদের লাভ?
আর যদি না চেয়ে থাকেন, তাইলে আর এই টই বেড়ে লাভ?