
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোনবিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন।
বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা বক্তব্য। এবং সে কারণেই এদের সঙ্গে বামদের জোট করা উচিত।
পশ্চিমবঙ্গে বিগত লোকসভা নির্বাচনে বামদের বিপর্যয় হয়েছে। বাম ঘরানার ভোটের একটি বৃহদংশ বিজেপিতে চলে গেছে, ভোটের হিসেবে। সে নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। কিন্তু বাম নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দ সজোরে এর জবাবে বলে এসেছেন, যে, ওভাবে বাম-ভোট বলে কিছু হয়না। ভোট কারো সম্পত্তি নয়। উল্টোদিকে, যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁদের বক্তব্য হল, ভোটের রাজনীতিতে "বিশ্বস্ত ভোট" বা "ভোট ব্যাঙ্ক" বলে একটি বস্তু অবশ্যই হয়। বামদের সেই বিশ্বস্ত ভোটই গেছে বিজেপির দিকে। তার কারণ, বাম পার্টির নেতারা প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব, তার সামান্য ভগ্নাংশও বিজেপির বিরুদ্ধে নন। তাঁদের মূল আক্রমণ সর্বদা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই লাইন মূলত আত্মঘাতী। এই লাইন কর্মী এবং সমর্থকদের "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র" লাইনে ভাবতে উৎসাহ জুগিয়েছে। একদা সমর্থকরা বিজেপিকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকর ভেবে ভোট দিয়েছেন। এবং তার ফলেই এই বিপর্যয়।
এর জবাবে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা, অন্তত আধা প্রকাশ্যে যেটা বলছেন, সেটাও এখানে প্রণিধানযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের হিসেব বেশ জটিল। সিপিআইএম এর যে সাধারণ ভিত্তি, তার মূল সুরই হল তৃণমূল বিরোধিতা। তৃণমূলের প্রতি নরম এরকম কোনো সিপিআইএম সমর্থক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যদি সমর্থকদের চিন্তার উল্টোদিকে গিয়ে পার্টির নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে গণভিত্তি যেটুকু আছে, সেটুকুও পার্টিকে ছেড়ে চলে যাবে। গণভিত্তি খুঁজে নেবে তৃণমূলের বিরোধী শক্তিকে, ভোট দেবে তাকেই। অর্থাৎ শক্তিশালী হবে বিজেপিই। বিজেপির পাল থেকে হাওয়া কাড়তেই তাই বামদের তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে হবে।
সমস্যা হল, এতদিন এই যুক্তিতে চলেও কিন্তু সিপিআইএম তার গণভিত্তি অটুট তো রাখতে পারেইনি। বরং তাতে বিপুল ধ্বস নেমেছে। তবুও এই লাইনটিই অনুসরণ করে যাওয়া হচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তার খুব বেশি বিরোধিতা আসেনি। সিপিআইম এর যেটুকু গণভিত্তি এখনও আছে, তারা বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধিতা করলে বাম ছেড়ে ডান দিকে চলে যাঅবে, এ আশঙ্কার আদৌ কি কোনো ভিত্তি আছে? নাকি আশু বিপদকে মাথায় রেখে সর্বাত্মক বিজেপি বিরোধিতা করলেই বামদের যেটুকু ভিত্তি আছে তা আরও শক্তপোক্ত হবে? এ নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হওয়া দরকার। বিহার নির্বাচনের পর বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনলেন দীপঙ্কর। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যাবে বিহারের অন্তিম ফলাফল। তারপর সমস্ত তাসই এসে যাবে টেবিলে। সেসব টেবিলের নিচে লুকিয়ে না ফেলে সমস্ত সম্ভাবনা, সমস্ত বিচার এবং সামগ্রিক বিতর্ক অবশ্যই প্রয়োজন।
sm | 2402:3a80:ab8:a3c:0:55:84ab:***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০২০ ২২:০২100223আমি কিচ্ছু টি বলবো না। পার্টি সমর্থক দের রক্ষা করা নেতা দের দায়িত্ব। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই করাও।ফ্রাইং প্যান আর ফায়ার প্লেস এর তুলনাই আসে না। লিডার দের একমাত্র দায়িত্ব হলো,নিজের পার্টিকে ভোট দিতে বলা। বিজেপি বা তিনোমুল্ চয়েস আসেই না।তাতে ভোট পার্সেন্টেজ হয় তো ত্রিশ শতাংশ থেকে কমে ১৮ -২০ শতাংশ হতে পারে।কিন্তু সাত পার্সেন্ট এ নেমে যাওয়া মানে সিরিয়াস গন্ডগোল আছে।
PT | 116.193.***.*** | ১৪ নভেম্বর ২০২০ ২২:১১100224অনেকে পারে, কিন্তু আমি হাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারিনা।
তবে তীব্র বামবিরোধীদের বাম দল নিয়ে এত দুশ্চিন্তা দেখলে, সত্যি বলছি, কান্না পায়!
কিন্তু ঘোষবাবুকে কারা জিতিয়ে এনেছিল, কাদের দিক-্নির্দেশে কেউ তার একটা ব্যাখ্যা দেবেন?
এই হিসেবটা দীপঙ্করবাবুর কাছে আছে?
sm | 2402:3a80:ab8:a3c:0:55:84ab:***:*** | ১৪ নভেম্বর ২০২০ ২২:২৩100228সরি,আমি তো লেভি দিই না।আমার রুদালি হবার অনুমতি নেই।
কে? | 2405:201:8800:9ff1:c486:69d6:7898:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০১:০৮100229ক্কে? ক্কে? দমদমের সিটে তপন শিকদারকে জিতিয়েছিল ক্কে? দলে দলে গিয়ে পদ্মফুলে ছাপ মেরেছিল ক্কে? এসবের দিকনির্দেশ দিয়েছিল ক্কে?
নির্ঘাত দীপঙ্করবাবু, আবার কে?
S | 2001:878:346:1cf9:446a:c4eb:4548:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০১:৫৫100230১৯৯৮ আর ১৯৯৯তে তপন শিকদার জিতেছিলেন। তখন তো তিনোরা বিজেপির জোট সঙ্গী।
PT | 116.193.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০৮:২৭100236উচ্চশিক্ষিত বাঙালীর অসত্যচর্চা (অথবা গুজবচর্চা) ও তিনোর উত্থান নিয়ে থিসিস লেখা হবে ভবিষ্যতে!
sm | 2402:3a80:ab8:a3c:0:55:84ab:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১০:১০100238একটা সময় ছিল যখন রাজ্য বিজেপি-র অন্যতম মুখ ছিলেন তপনবাবু। দলের রাজ্য সভাপতিও ছিলেন। জোটসঙ্গী তখন তৃণমূল, ১৯৯৮ এবং ৯৯ সালে পর পর দু’বার দমদম কেন্দ্র থেকে জিতে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তপনবাবু জেতার পর রাজ্যের তখনকার শাসকদল সিপিএমের অন্দরে ‘অন্তর্ঘাত তত্ত্ব’ প্রকাশ্যে আসে। এমনকী, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তাঁর অনুগামী সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতাদের জানিয়েছিলেন, জীবদ্দশায় তিনি দেখে যেতে চান দমদম পুনরুদ্ধার হয়েছে। পরের লোকসভা নির্বাচনে যদিও ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন সিপিএমের অমিতাভ নন্দী।
Comprising industrial pockets and trade hubs spread across seven assembly segments in North 24 Parganas district, Dum Dum is the only seat in Bengal that stood by BJP twice when the CPI (M) regime was at its peak. BJP’s Tapan Sikdar won it in 1998 and 1999. It is widely believed that it became possible because a large section of Left voters supported Sikdar.
নিন দেখুন দুটো নামী পত্রিকা কি সব রিপোর্ট করেছে!
PT | 116.193.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১০:২১100239"তপনবাবু জেতার পর রাজ্যের তখনকার শাসকদল সিপিএমের অন্দরে ‘অন্তর্ঘাত তত্ত্ব’ প্রকাশ্যে আসে।"
"উচ্চশিক্ষিত বঙ্গসমাজ, গুজবচর্চা ও তিনোমুলের উত্থান" নামক থিসিসের প্রথম চ্যাপ্টার।
sm | 2402:3a80:ab8:a3c:0:55:84ab:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১০:২৬100240যা আপনার অভিরুচি।যে ভাবে পারেন, বিশ্লেষণ করেন।
আপনি ধন্য, সুধন্য।
PT | 116.193.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১০:৫৯100241"The BJP, which had a minimal strength in the state until this poll, has also fared fairly well in several other constituencies where its nominees came second to the winning candidates, all belonging to the Left Front, leaving the main opposition Congress in the background.
The party's seat adjustment with the newly formed Trinamool Congress paid dividends, paving the way for a third force in the state's politics which has had polarised voting pattern since 1952." https://www.rediff.com/news/1998/mar/03benga.htm
এই খবর অনুযায়ী সেবার বিজেপি আরো অনেক কেন্দ্রেই ভালো ফল করেছিল।
এবার দমদমের সংখ্যাঃ
1991: cpm 46%; inc+bjp 52%
1996: cpm 47%; inc+bjp 52%
1998: cpm 40%; bjp 51%; inc 9%
1999; cpm 40%; bjp 52%; inc 7%
https://en.wikipedia.org/wiki/Dum_Dum_(Lok_Sabha_constituency)#General_election_1998
৬% এর মত ভোট cpm থেকে তিনো+বিজেপির দিকে গেছে বাকি সবটাই কংএর ভোট। এই নিয়ে এত মিথ্যাচার বা গুজব ছড়ানোর কোন প্রয়োজন আছে?
পবতে বিজেপির উত্থান তিনোর হাত ধরেই। সেটাকে হাজার মিথ্যা তত্ব দিয়ে ঢাকা যাবে না।
sm | 2402:3a80:ab8:a3c:0:55:84ab:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১১:১৫100242তিনোমুল এর হাত ধরে কি করে উত্থান হলো!? তিনোমুল তো বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলো। জোট সঙ্গীর ভোট তো বিজেপি পাবেই।তাও তিনোমুল মাত্র সেই বছরেই গঠিত হয়েছে। বমেদের ভোট সলিড ৭ শতাংশ কমেছে। সেটাই ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়েছে।
PT | 116.193.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১১:২৬100243আর পারিনা বাপু!
শুধু cpm এর ৬% ভোটে বিজেপি জেতেনি। কেননা তাদের মাত্র ৬-৭% মতন ভোট ছিল। তিনোরা কং এর ৪০% ভোট বিজেপিতে ট্রান্সফার করেছে। বিজেপি তিনো জোট না হলে ঐ সিটে বিজেপি জিতত কিনা সন্দেহ আছে।
sm | 42.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১১:৫২100245ধ্যুস কি যে বিশ্লেষণ করেন। ৯৮ -৯৯ তে তিনোমুল এর ঘোষিত জোট সঙ্গী হলো বিজেপি। তিনোমুল এর ভোট তো বিজেপি তে যাবেই।বাকি থাকে কংগ্রেস।কংগ্রেস এর ভোট বড় অংশ তো নতুন গঠিত তিনমুল তথা বিজেপি তে গেছেই।অবশিষ্ঠ কংগ্রেস এর কমিতেড ভোটার দের কিছু ভোট নিশ্চয় বিজেপি তে গেছে।এই জন্যই তো বলি ,কংগ্রেস এর সঙ্গে জোটে যাওয়া বামেদের উচিত না।কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস দেখুন।আপনি এই জোটের একনিষ্ঠ সমর্থক।--))
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছেনঃ বিজের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বামপন্থীদের তৃৃৃৃৃৃৃণমূলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে৷ সীতারাম ইয়েচুরী বলেছেন, "বিজেপি যে প্রধান শত্রু সে বিষয়ূ বিতর্ক নেই৷ কিন্তু তৃৃৃৃৃৃণমূলের সাথে না লড়ে বিজেপি কে ঠেকানো যাবে না৷ অর্থাৎ বিজেপি যে প্রধান শত্রু এবং তৃৃণমূলের সঙ্গেও বামেদের লড়তে হবে এ নিয়ে দীপঙ্করবাবু এবং ইয়েচুরী এক জায়গায়৷ পার্থক্য হল কৌশলে৷ অর্থাৎ বিজেপি আর তৃৃৃৃৃৃৃণমূলকে সমানভাবে আক্রমণ করা হবে, না কি বিজেপি কে বেশী, তৃৃৃণমূলকে কম আক্রমণ করা হবে৷
বিহার ভোটের কি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ভোটে পড়বে তা নিয়ে আলোচনা চলছে৷ তবে একটা প্রভাব তো দেখাই গেল৷ বিহারে লিবারেশন ১২টা আসনে না জিতলে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের মন্তব্য ন্যাশনাল মিডিয়ায় প্রচারিত হত না৷ বিমান বসু কে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে হত না, স্যোসাল মিডিয়ায় সিপিএম ও লিবারেশন সমর্থকদের মধ্যে বাগযুদ্ধও শুরু হত না৷
PT | 45.64.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১২:২৭100247"তিনোমুল এর ভোট তো বিজেপি তে যাবেই।"
৯৮ তে তিনোর ভোট মানে তো সেই ভোট তো কং এর ছিল। সেই ভোট বিজেপিকে ভেট দেওয়া পুণ্য কাজ হয়েছিল, কি বলেন? কিন্তু কোন ভবিষ্যতবাণী করে বসলেন না তো?
"এই জন্যই তো বলি ,কংগ্রেস এর সঙ্গে জোটে যাওয়া বামেদের উচিত না"
বামেদের নিয়ে এত চিন্তা কইরেন না। এই কংগ্রেস সেই কংগ্রেস নয়। এরা প্রায় এখন বিষ-্দাঁত তুলে নেওয়া নির্বিষ সাপ। দেখছেন না কেমন বিপ্লবী দীপঙ্কর দিব্যি এদের জোট্সঙ্গী হয়েছেন।
sm | 42.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১২:৩২100248সাত পার্সেন্ট যখন,তখন অতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লাভ কি? দু -এক টা ইলেকশন বিশ্রাম নিলেও হয়। লড়তে ই হবে ,এমন তো কোন কথা নেই।
PT | 45.64.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২০ ১২:৫৮100249বিজেপি পবতে ৭ থেকে ৪০% হয়েছে, তিনোদেরও একসময়ে খুঁজে বের করতে হ্ত। এখন তারা ক্ষমতায়। এইতো গত সপ্তাহেল বামেরা বিহারে ভাল ফল করল।
অত উতলা হলে চলে? হাল ছেড়োনা ব্ন্ধু......
PT | 203.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৩৯100608এবার তিনোদের বাঁচানোর জন্য আবাপ দীপংকরপন্থী হয়েছে!!
https://www.anandabazar.com/editorial/cpim-thinks-in-upcoming-assembly-election-bjp-is-the-main-opposition-1.1233277?ref=home-editorial-widget-stry-1
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 14.14.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৮:০২100623স্ট্রাইকের আগে দীপংকরের এই সব পর পর ইন্টারভিউ তার নিজের দলে র লোককেই ডিসট্রাক্ট করবে। স্ট্রাইকের প্রচারে মন দিলে কাজ দিত।
বিহারের উদা দেওয়া হচ্ছে, বিহারে তো লালুর বেটার দল নিজেই মহাগটবন্ধনের উদ্যোগী। এখানে তৃণমূল সেরকম উদ্যোগ নিয়েছে বা নিচ্ছে বলে খবর আছে? যে দলের গণভিত্তি কমবে নিশ্চিত তার সংগে জোট করায় কংগ্রেস বা দীপংকর এর আগ্রহ কেন এটাই আমি বুঝতে পারছি না। তৃণমূলের যেমন আগে বিজেপির সংগে যেতে আপত্তি ছিল না, পরেও থাকবে না কেন সেটাই প্রশ্ন? আর যাদের জয় প্রায় নিশ্চিত সেই তৃণমূলের সংগে দীপংকর আর কংগ্রেস নিজেরাই যাচ্ছেন না কেন এটা বোঝাও কঠিন। সবাই সিপিএম এর এত উপকার চাইছেন কেন , এমনকি স্ট্রাইকের ডাকের প্রচার না করে, এটাই পরিষ্কার না :-)))))))))))))))
আমি তো সিপিএম এর সংগে সমস্ত দলের সমস্ত জোট এই বিধান সভা ইলেকশনে ভেঙ্গে যাওয়ার পক্ষে। আশাকরি কংগ্রেস er ও অন্য বাম দল গুলির শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তাঁরা সকলেই হয় বিজেপি নয় তৃণমূলের সংগে জেতে পারেন। নিজেরাও নানা ফ্রন্ট করতে পারেন।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 14.14.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৮:১৬100624সত্যি ই মজার সাব টেক্স্ট টা হল, মুসলমান দের ভোট। এমনিতে রাষ্ট্রের কাছে, হিন্দু মেজরিটির একটা বড় অংশের কাছে গাল খাওয়া পাবলিক, নিজেদে,র চাকরি বাকরি নাই, ঢপের ধর্মগুরু গোছের লোকের প্রভাবের অন্ত নাই, ভুল ভাল পোলিটিকাল আর সামাজিক লিডারে ভর্তি দক্ষিন বংগ, কোথাও তৃণমূল, কোথাও কংগ্রেস, কোথাও ওয়েসি, কোথাও নীতিশ , কোথাও সমাজবাদী , কোথাও লেফ্ট কে ভোট দেন, তা সত্তএও তাদের সম্ভাব্য ভোটিং ব্লকের টেনসনে কত লোকে সেকুলারিজম এর বুলি না আওড়ে না পারে না ঃ-)))এটা সত্যি ই মজার, মুসলমান রা যে শুধু বেঁচে আছেন, এটাই তাঁদের রেজিসটান্স। মেন স্ট্রীম দল গুলি কে একটু সারা বছর অপমানিত হয়ে, প্রতিটি সমস্যার জন্য দোষী হয়ে, একটু আধটু টেনসন দিচ্ছেন, ভারতীয় গণতন্ত্রে এইটেই তাদের মেন কন্ট্রিবিউশন-)))))
সত্যি খারাপ লাগে বিজেপির কথা ভেবে চোদ্দো কোটি কে মুহুর্তে মেরে ফেলার কোন ভালো প্রযুক্তি এখনো কেউ বের করতে পারলো না। এক ইউহানে সিদ্ধহস্ত চীনেরা যদি পারে, ঐ অ্যাপ বেরোলে ব্যান করবেন না।:-)))) মমতার কত কাষ্ট ভাবুন, বিজেপির মন্ত্রী সভায় মন্ত্রী থাকা র মত ক্রেডিবিলিটি থাকা সত্তএও তাকে লোকে মুসলমান তোষণকারী বলে। কি কপাল :-))))
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 14.14.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৮:১৮100625আসলে দীপংকর জানেন, তাঁদের যেটুকু ভোট রয়েছে পশ্চিম বংগে সেটা তৃণমূল কিংবা বিজেপি তে যাবে, সিপিএম এর পক্ষে যাবে না, তাই এই ইনটারভিউ গুলো আনন্দবাজারে দিয়ে টি এম সির সংগে জোট করার দায় চাপাচ্ছেন সিপিএম এর ঘাড়ে। ভোটের নিয়ন্ত্রন নাই :-))
PT | 203.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৯:৫৯100627"আমি কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে বা তাদের ছাড় দিতে বলিনি! ...........বাংলায় তৃণমূল কৃষক ও শ্রমিকের কথা বলে ক্ষমতায় এল, তার পরে কী অবস্থা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে বামপন্থীরা অবশ্যই প্রধান বিরোধীপক্ষ। কিন্তু এই বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজ্যে ক্রমাগত বিজেপি বাড়ছে।"
https://www.anandabazar.com/editorial/exclusive-interview-of-cpiml-general-secretary-dipankar-bhattacharya-1.1233795?ref=home-more-news-stry-left-small-image-2
কি অন্ভুত confusing যুক্তিবিন্যাস!! মাস্টারমশাই কি দেখতে পাননি যে পবতে বিজেপিকে কিভাবে বাড়তে দিয়েছে তিনোরা? অথবা তিনোদের competitive soft communalism=ও তিনি দেখতে পাচ্ছেন না?
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 14.14.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২০ ১০:০৯100629হাত মেলাতে না বললে কি করে রেটোরিক বদলানো যায় বলাও মুশকিল। সৈকত ও দেখছি 'বস্তুত' বলছে। খুব ই সুক্ষ্ম ভাবনা চিন্তা দীপংকর দার :--)))))))))))))))
"বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন। "
PT | 203.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২০ ১০:২৭100698"বক্তব্যটা তো ভুল নয়! "
কিন্তু আন্দোলন তাঁর অনুপ্রেরণার লাইনেই হতে হবে!! দীপংকরের দিদিও equally confused অথবা ইচ্ছে করে confusion সৃষ্টি করছেন।
এমন বন্ধু সরকার ক্ষমতায় থাকলে বিজেপি তাকে সরাতে যাবে কোন কারণে?
বোধির মন্তব্যসমূহ পড়ে বোধিকে সাপোর্ট দিতে ইচ্ছে গেল, যে লেখার নিচে মন্তব্যের সেকশন তুলে দেয়াই ভাল।
rivu | 130.225.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩৮100713আমি ১০ পাতা কমেন্ট পড়ে উঠতে পারিনি, কিন্তু পিটি কি সিপিএম তৃণমূল জোট এর পক্ষে না বিপক্ষে? যদি এক কথায় বলে দেন তাহলে খুবই ভালো
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 42.***.*** | ২৭ নভেম্বর ২০২০ ২২:৫৯100716আচ্ছা শুভেন্দু অধিকারী কি সিপিএম এ যাচ্ছে? বলা য়ায় না, বিজেপি র সুবিধা করার জন্য তার সামনে তিন চারটি রাস্তা খোলা। এক তৃণমূল ছেড়ে বসে থাকা, আরেকটা হল বিজেপি তে জয়েন করা আরেকটা হল সিপিএম এ জয়েন করা, রাজ্য সম্পাদক হিসেবে। শেষটি ই করবে মনে হয়।এতেই বিজেপি র সবচেয়ে সুবিধা হবে।:---))))
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2402:3a80:a6d:c8d0:e283:7972:1785:***:*** | ২৮ নভেম্বর ২০২০ ০৫:২৯100720ধন্যবাদ তাপস:--)))) একটু পোলিটিকাল আ্যনালিসিস করে প্রবন্ধ লেখো, তোমার সুচিন্তিত পোলিটিকাল প্রবন্ধ সমগ্র বের করার জন্য আকুলি বিকুলি পড়ে গেছে কলেজ স্ট্রীটে , যার মধ্যে কিনা লিবারেশন পন্থী গুলিও থাকবে, চিন্তা কোরোনা এদিন দেখে আর মন্তব্য করতে না পেরে মরব। :---))))
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 2405:201:8008:c01e:150b:e0c4:59b1:***:*** | ২৮ নভেম্বর ২০২০ ১০:৫৫100725আমার মনে হয় ব্যাপার টা হলো যে সিপিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ব্যক্তিগত শত্রু মনে করে। একা মহিলা এত্তো বড় তরী ডুবিয়েছেন কিনা সিপিএম এর। তাই ওদের একটাই চাওয়া যে আগে TMC যাক তারপর না হয় বিজেপি কে নিয়ে ভাবা যাবে ।
অনেকেই দেখেছি TMC আর বিজেপি কে একসাথে বিজেমুল বলেন। দুটো দল কে এক গতে ফেলা টা মস্ত বোকামি।