এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মহাপরিনির্বাণ

    Naresh Jana লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৪১০ বার পঠিত
  • মহাপরিনির্বাণ 
    .............,.......................

    রাজগেহ, পাটলিপুত্ত, বৈশালী হয়ে ভোগনগরার পথে পা বাড়ালেন মহাকারুণিক। লক্ষ্য অতি দ্রুত পাবা তে পৌঁছানো। পাবা ও কুশিনর তখন মল্লের দুটি মহানগরী। মল্ল, ষোড়শ মহাজনপদের একটি। মল্লদের বরাবরের অনুযোগ ছিল যে তথাগত তাদের সময় দেননা। তথাগতের প্রিয় জায়গা অবশ্যই রাজগেহ, ইদানিং এই রাজগেহতে বর্ষাবাস  কাটাতে ভালোবাসেন তিনি। দ্বিতীয় প্রিয় জায়গা বৈশালী। আম্রপালি এখানেই তাঁর হাজার একরের আমবাগানটি মহাস্থবিরকে নিবেদন করেছেন গ্রীষ্মাবাসের জন্য। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা গোতমী আর যশোধরার প্রবজ্যার পর তাঁদের একান্ত অনুরোধে এই বৈশালীতেই খোলা হয়েছে প্রথম মহিলা বিহার। কিছুদিন আগেই করুনাময় বুদ্ধ গেছিলেন রাজগেহ, এক কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানে। কথা ছিল আরও কয়েকটি দিন অতিবাহিত করে গ্রীষ্মাবাসের জন্য ফিরবেন বৈশালীতে। কিন্তু সে সময় তো এখনও আসেনি। এখনও বাসন্তী আবেশ পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি! বৈশাখ শুরু হতে যায় কিন্তু উত্তরে চির বসন্তের দেশ কপিলাবস্তুর দিকে মুখ করে এখনও যে মাঝে মধ্যে ডেকে ওঠে লিচ্ছবি জনপদবধূর আম্রকাননে  থেকে যাওয়া মাঘ নিশীথের কোকিল। শেষ মধুস্বরটি বৈশালী না ছেড়ে যাওয়া অবধি করুণাঘন বৈশালীতে ফেরেননা। পরভৃতের দল এই গণরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়ার পরই বৈশালীর মৃত্তিকা স্পর্শ করেন শাক্যকুলতিলক। অন্ততঃ এতদিন তেমনটাই তো রেওয়াজ ছিল। তবে? এই অসময়ে লোকনায়ক বৈশালীতে কেন? চঞ্চল হয় লিচ্ছবি জনপদ।

    যে কুটনৈতিক নিষ্পত্তিকরণে শাক্যসিংহ রাজগেহ গিয়েছিলেন তা বড়ই জটিল। পাটলিপুত্ত বন্দরের পত্তন হওয়ার পর থেকেই জলসংকট শুরু হয়েছে বৈশালীতে। একশ শতাংশ কৃষি নির্ভর বৈশালীর চাষবাস সংকটে। শুধু তাই নয়, মগধের আওতাধীন পাটলিপুত্তের জলবানিজ্য পথ বেশিরভাগই দখল করে রাখছে বৈদেশিক বনিকরা। ফলে বিপদে পড়েছে জলশিকারজীবী বৈশালীর মৎস্যজীবীরা। বজ্জিদের পরামর্শ ছিল লিচ্ছবিরা মগধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুক, তারা সহায়তা করবে। বজ্জিদের পরামর্শ গ্রহণ করা হবে কিনা তা জানতে গণপরিষদ আহুত হয়েছিল। অভিষেক পুষ্করিনীর চারপাশে সমবেত হয়েছিলেন লিচ্ছবি অভিজাতরা। সেই গণমন্ত্রনা সভারও তাই রায়। সংবাদটি পাওয়া মাত্র আম্রপালি শরণাগতের পা ছুঁয়ে উঠে দাঁড়ালেন, চক্ষু দুটি ছলছল। হে ভগবন, আবারও যুদ্ধ? আম্রপালি বৈশালী নগরকন্যা কিন্তু তাঁর প্রিয়তম পুরুষকার যে মগধ নৃপতি বিম্বিসার। তাঁর ডান হাত কামড়ালেও লাগে, বাঁ হাত কামড়ালেও! সযত্নে তাঁর চিবুকটি তুলে ধরেন মহাজ্ঞানী। স্মিত হেসে পার্থ বলেন, শুধুই মগধ আর বৈশালীতেই তোমার প্রেম! তোমার প্রেম এত সীমিত! তুমি কাশী, কোশল, অঙ্গ, অবন্তী আদি ষোড়শ মহাজনপদের জন্য কাঁদতে পারোনা? আম্রপালি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ে গেলেন অমিতাভ-র পায়ে। এ কথা বৈশালীর জানা। বৈশালী এও অবগত হয়েছে যে তারপরই তথাগতের উদ্যোগে জল মীমাংসা হল। মহা রক্তপাত থেকে আপাতত রক্ষা পেয়েছে দুই জনপদ। তবে আজ এই অসময়ে বৈশালীতে কেন গোতমীপুত্র? তবে কি বুদ্ধদৌত্য প্রত্যাখান করেছেন বিম্বিসার। বুক দুর দুর করে বৈশালীর, খবর রটেছে, বুদ্ধদ্বেষী কুমার অজাতশত্রু ক্রমশঃ দখল নিচ্ছেন রাজক্ষমতার। প্রাসাদে বিম্বিসারের রাশ আলগা হচ্ছে। অজাতশত্রু বজ্জিদের নির্বংশ করতে চান।

    প্রিয়দর্শীর শ্রেষ্ঠ সখা তথা অগ্রণী শিষ্য ভিক্ষু আনন্দও বড় গম্ভীর। সচরাচর তাঁর কাছ থেকেই মহাপরিব্রাজকের হাল হকিকত কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যেত কিন্তু আজ তিনিও কেমন যেন দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ। ক্ষেমা, উগ্গলবন্নারাও তেমন কোনও সন্দেশ বের করতে পারলেননা। রাত ক্রমশ গভীর হয়। সহসা মহিলা বিহার থেকে এক করুন আর্তনাদ ভেসে এলো যেন? কার গলা যশোধরা? নাকি..না, আর একদন্ডও নয়।  "দ্রুত পা চালাও আনন্দ!" লোকপ্রিয়র জলদ গম্ভীর গলা আনন্দকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে। কিন্তু একী! বৈশালীর সীমান্তে ওরা কারা? পথ আঁকড়ে শুয়ে আছে কয়েকটি মানুষ, অন্ধকারে চোখ জ্বলে হরিণ শাবকের, যেতে নাহি দেবো। করুনাঘন সবাইকে বুঝিয়ে সরিয়ে দিলেন, নাছোড়বান্দা হরিণ শাবক টি তাঁর চীবরখন্ড কামড়ে ধরে ছিল। দীপংকর অন্ধকার হাতড়েই সবুজ মুথা মাখা ঘাস তুলে দিলেন তার মুখে। মল্ল ডাকছে.. আর দেরি নয়।

    গাঢ় তমসাচ্ছন্ন নিশি। ক্লান্তি টেনে ধরে পা দুটো। আর তো হাঁটা যায়না,আশি বছর বয়স! বৃষ্টি ধরে এসেছে। এক ঘন আম্রবনে আশ্রয় নিল পুরো দল। ওদিকে কামার গৃহস্থ চুন্দের ঘুম ভেঙে যায়। অবিশ্রান্ত ধারাপাতের পর কী এক আশ্চর্য্য পদ্মগন্ধ ছেয়ে আছে চরাচর! আশেপাশে কোথাও দিঘী নেই। পদ্ম তো দূরের কথা শ্যাপলাই নেই যোজন ত্রিসীমানায়। তবে? এত পদ্মবাস কেন? গৃহিণীকে না জাগিয়ে আর্গল খুলে বেরিয়ে আসে চুন্দ। তার পা আপনা আপনি হেঁটে যায় আম্রকাননের দিকে। দেখে, ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় বিশ্রামরত এক মহাযোগী। এলাকার নাম পাবা।

    রাতভোর সেই চরন দুটি ধরেই কাটিয়ে দিয়েছিলো চুন্দ। ভোরের দিকে কুন্ঠিত স্পর্ধায় অনুরোধ করেছিলেন তার বাড়িতে চাট্টি অন্ন খেয়ে যেতে হবে।‌স্মিত হেসে প্রশ্রয় দিয়েছেন পরম করুনাময়। সকাল সকাল গৃহিণীকে সেই আনন্দ সংবাদটি দিয়েই জোগাড়ে লেগে পড়েছে চুন্দ। অন্ন আর নানা পদের সাথে রয়েছে শুকর-মাদ্দভ। বেশ বেলা করে আহার প্রস্তুত হ'ল।  আনন্দ সহ সকল শিষ্যদের নিয়ে আহারে বসলেন তথাগত। চুন্দকে প্রশ্ন করলেন, আমাকে ওই শুকর-মাদ্দভ সহ যা যা নরম ও শক্ত খাবার পরিবেশন করেছো সব্বাইকে তাই দিয়েছো তো? চুন্দ বললেন, হ্যাঁ ভগবান! তোমাদেরও তাই রয়েছে? হ্যাঁ ভগবান। আমার জন্য কোনও পৃথক ব্যবস্থা নেই তো? না ভগবান। বেশ! তৃপ্তি করেই খেলেন সম্বুদ্ধ।

    ঘন্টা খানেক পরই কেমন একটা শূল বেদনা টের পেলেন সুগত। আনন্দকে ডাকলেন। চলো, কুশীনর চলো! কুশীনর যে অনেক পথ প্রভু, এই অবস্থায়? আনন্দ কিন্তু কিন্তু করেন। দ্বিতীয় মল্লপদে আমাকে যে যেতে হবেই আনন্দ। অমিতাভ চুন্দকে ডাকলেন। বললেন, যা কিছু অবশিষ্ট খাবার সব মাটিতে পুঁতে দাও। কোনও ভিক্ষু, ব্রাহ্মন, সন্ন্যাসী,গৃহী কেউ যেন ওই খাবারের সন্ধান না পায় আর কাউকে বোলো না তুমি আমাদের খাইছিলে। কেন ভগবান, কোনও কী ভুল করেছি আমি? ভগবান সেই আশ্চর্য্য হাসিটি হাসলেন। চুন্দ বুঝলো ভগবান তৃপ্ত হয়েছেন।

    কুশিনর ৬ যোজন পথ! ওই খানে না পৌঁছালে সবাই যে চুন্দকেই দুষবে। চলো আনন্দ চলো। বাঃ! এই নদীটির নাম কী আনন্দ? কী সুন্দর কাকচক্ষু জল। আমাকে একটু জল খাওয়াও আনন্দ। আনন্দ কিন্তু বুঝতে পারেন বিষ যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যাওয়া ঢাকার জন্য ভগবন ক্রমাগত কথা বলে যাচ্ছেন। আনন্দ বললেন, নদীর নাম কাকুত্থা। জল খেলেন মহাভিক্ষু। তারপর আবার হাঁটা। অবশেষে একটা মহা শাল বৃক্ষ পাওয়া গেল। ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা শুরু হয়েছে তখন। আমাকে এবার একটু শোয়াও আনন্দ। অর্হৎ সম্যকসম্বুদ্ধকে এবার শোয়ানো হল। সেই সময় মল্ল ও পুক্কুস নামে দুই জনজাতির দুটি মানুষ কুশিনারা থেকে পাবা যাচ্ছিলেন। তারা এসে দাঁড়ালো। বুদ্ধ বললেন, এসো আমার বুকের দু'দিকটা একটু মালিশ করে দাও বাবারা। দু'জনে দুদিক মালিশ করছেন কিন্তু তাঁদের দুচোখ বেয়ে নদী নামছে! লোকশ্রেষ্ঠ হাসতে হাসতে বললেন, কাঁদছো কেন? প্রভু, এই কী তোমার কথা রাখা? তুমি তোমার কৈশোর যৌবন কপিলা বস্তু, মগধ, বৈশালী অবন্তী আদি জনপদকে দিয়ে আমাদের শুধু দেহ দিতেই এলে? আমরা কী এতই অভাগা প্রভূ! অনোমদর্শী মৃদু হাসলেন, আমি যে তোমাদের এখানে চিরকালের জন্য থাকতে এলাম! আকাশে বৈশাখী পূর্ণিমার গোটা চাঁদ ঢল ঢল করছে! আনন্দ কেঁদে উঠলেন। একমাত্র তিনিই যে জানতেন সিদ্ধার্থের জন্ম, সিদ্ধি ও মহাপরিনির্বাণ বৈশাখী পূর্ণিমাতেই! অবিরল জোৎস্না তখন গলে গলে পড়ছিল দুটি আধবোজা চোখে।

    কপিরাইট @নরেশ জানা
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam Basu | ২৮ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৫529900
  • অপূর্ব!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন