এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সময়ের হিসেব ও নতুন বছর

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫০৪ বার পঠিত
  • তোমরা বলছো, আমি দেখতে দেখতে ২০২৩ টা বসন্ত পেড়িয়ে এলাম। যদিও এখন শীতকাল, কিন্তু বয়সের সাথে বসন্ত'ই খাপ খায়। কারণ আর কিছুই নয়, প্রতি বসন্তে পৃথিবী নতুন সবুজে ভরপুর হয়ে ওঠে, নতুন প্রাণ সঞ্চারিত হয় পৃথিবীতে এবং আমাদের মননে। তাই বসন্তের সাথেই বয়সের ভাব, অন্য ঋতুর সাথে আড়ি। ২০২৩ তো তোমরা হিসেব কষে রাখার নিয়ম যবে থেকে শিখেছো সেই হিসেব অনুযায়ী।  আমার বয়স তার চেয়েও অনেক অনেক বেশী। তোমরা ২০২৩ বললে আমার মনে হয় কয়েক মিনিট। আমার জন্ম যবে হয়েছিল তবে তোমরা কেন, কোনো প্রাণই সঞ্চারিত হয়নি এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে। নিকষ কালো ব্রহ্মাণ্ডে প্রথমে এক অতি উচ্চ ঘনত্বের এবং উচ্চ তাপমাত্রার অতি ক্ষুদ্র বস্তুর সৃষ্টি হয়েছিল। সেই বস্তুটির বিস্ফোরণে সৃষ্টি হয় মহাবিশ্ব, বিভিন্ন নক্ষত্র, অনু, পরমাণু। সে প্রায় ১৩৭৫ কোটি বছর আগেকার কথা। ক্রমে ক্রমে সেই মহাবিশ্ব প্রসারিত হতে থাকে, নক্ষত্রের থেকে অন্য নক্ষত্রের দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরপরে সৃষ্টি হয় গ্রহাণু, গ্রহানুপুঞ্জ, গ্রহ, উপগ্রহ। তারপরেও বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুর মধ্যে সংঘর্ষ হতে হতে সূর্য নামক নক্ষত্রের চতুর্দিকে বর্তমানে যে গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, গ্রহানুপুঞ্জ ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের সার্বিক চেহারা তৈরী হয়। আর শুধু সূর্য নয়, সূর্যের মত লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র আছে এই মহাবিশ্বে। এবং তাদের চতুর্দিকেও বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, গ্রহানুপুঞ্জ ঘুরে বেড়ায়। সব গ্রহ, উপগ্রহই তখন উত্তপ্ত, যেনো আগুনের গোলা। সেসব লক্ষ, লক্ষ বছর ধরে ঠান্ডা হয়েছে। তারপরে তোমাদের পৃথিবীতে আবহাওয়া, জল, এককোষী প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। সেখানেও লক্ষ, লক্ষ বছর কেটে গিয়েছে। তারপরেও বিভিন্ন রকমের সংঘর্ষে গ্রহ, উপগ্রহের চেহারা পাল্টেছে, নতুন উপগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সেই এককোষী প্রাণী থেকে আবার লক্ষ, লক্ষ বছর ধরে বহুকোষী প্রাণী, উন্নত প্রাণীর আগমন ঘটেছে পৃথিবীতে। সেই উন্নত প্রাণীদের মধ্যে ছিল ডাইনোসর, ম্যামথ ইত্যাদি। তারা পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে কোটি, কোটি বছর। তারপরে তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপরে উন্নত প্রাণী বলতে বর্তমান মানুষের পূর্বপুরুষদের দেখা যায়। তারাও লক্ষ, লক্ষ বছর ধরে অভিযোজিত হয়ে বর্তমান মানুষের আদি পুরুষের (হোমো স্যপিয়েন্স) সৃষ্টি হয়। তারাও লক্ষ, লক্ষ বছর পরে, বুদ্ধিবৃত্তির উন্নতি হওয়ার পরে অনুভব করে যে, সময়টার একটা হিসেব রাখা প্রয়োজন। সেটা প্যালোলিথিক যুগ বা প্রাচীন প্রস্তর যুগ। সেই সময়ে মানুষ প্রথম ক্যালেন্ডার (আমাদের ধারণা অনুযায়ী যে ক্যালেন্ডার বুঝি সেটা নয়) তৈরী করে। যীশু খ্রীষ্টের জন্মের ১,০০,০০০ থেকে ৪০,০০০ বছর আগের সময়টাকে প্রস্তর যুগ বলে ধরা হয়। মানুষ তখন চন্দ্রমাস অনুযায়ী সময়ের বিন্যাস করেছিল। আমাদের পরিচিত রূপের ক্যালেন্ডার তৈরী হয়েছিল আরও হাজার হাজার বছর পরে। পরবর্তীতে বহুরকম ভাবে সময়ের হিসেব অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের ক্যালেন্ডার তৈরী করে মানুষ, যার মধ্যে একটির হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে ২০২৩ বছর শেষ হল। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমার বয়স ২০২৩ বছর। বিভিন্ন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমার বয়স ভিন্ন ভিন্ন।

    ঘাবড়ে গেলে তো? আসলে ধর্মের একটা ব্রহ্মত্ব আছে। ব্রহ্ম কথার অর্থ হল, "জগতের মাঝে ও জগৎ ছাড়িয়ে বিস্তৃত সত্যের অব্যয় রূপ"। অর্থাৎ প্রতিটি ধর্মেই বলা হয় এই মহাবিশ্ব তাদের ঈশ্বর বা আরাধ্যই সৃষ্টি করেছেন, অন্য কেউ নন। তিনিই অব্যয়। অন্যভাবে বললে, প্রতিটি ধর্মই অব্যয়, ইউনিক। আবার ক্যালেন্ডারের কথা ধরলেও প্রতিটি ক্যালেন্ডারের ধার্মিক আর ক্ষমতাগত রূপ আছে। ধর্মের নিজস্ব ক্যালেন্ডার আছে। আবার ক্ষমতারও (শাসন-ক্ষমতা) নিজস্ব ক্যালেন্ডার আছে। সার্বজনীন পুজোর মত কোন সার্বজনীন ক্যালেন্ডার নেই পৃথিবীতে। অর্থাৎ ক্যালেন্ডারও সেই অব্যয়, ইউনিক।

    আবার এই মহাবিশ্ব, পৃথিবী সবই অব্যয়, ইউনিক। তাহলে মহাবিশ্বের, পৃথিবীর ক্যালেন্ডার কোথায়? আমার শুধু ওই ২০২৩ বছরের হিসেব রেখে তোমরা মানুষেরা কি প্রমাণ করতে চাইছ? ১৩৭৫ কোটি বছরের হিসেব কই? আমার জীবনের কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের হিসেব রেখে মাতামাতি করছো, নাচানাচি করছো? কত ক্যালেন্ডার সময়ের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তার হিসেব রাখো? তোমাদের এই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারও যে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে না, তার গ্যারান্টি কোথায়? মহাবিশ্বের জন্ম থেকেই কি ৬০ সেকেন্ডে ১ মিনিট, ৬০ মিনিটে ১ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টায় একদিন আর ৩৬৫ দিনে ১ বছর ছিল? সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর একবার ঘোরা, ঘুরতে মোট সময় লাগা ইত্যাদি নিয়েই তো এই ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড সময়কালের পরিমাণ করা হয়। তাহলে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কথা মাথায় রেখে বলতে হয়, নিশ্চয়ই আগের হিসেবের সাথে বর্তমান হিসেবের পার্থক্য আছে। আমার ১৩৭৫ কোটি বছরের হিসেব কষে যেদিন ক্যালেন্ডার বানাতে পারবে আর মহাবিশ্বের প্রসারণের হিসেব কষে মিনিট-সেকেন্ড আর বছর-দিনের হিসেব বানাতে পারবে সেদিন নতুন বছর নিয়ে নাচানাচি করলে আমি মেনে নেব।

    ওপরের ছবিটিতে মহাবিশ্বের সৃষ্টির প্রথম থেকে আজ অব্দির পরিবর্তনকে এবং প্রসারিত হওয়ার বিষয়টিকে ছবির সাহায্যে বোঝানো হয়েছে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1cd1:565e:6515:b5b5:72c6:***:*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫১527277
  • লেখাটায় কয়েকটা ভুল চোখে পড়ল, আশা ​​​​​​​করি ​​​​​​​সংশোধন ​​​​​​​করে ​​​​​​​দিলে ​​​​​​​লেখক ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​মনে ​​​​​​​করবেন ​​​​​​​না। 
     
    "নিকষ কালো ব্রহ্মাণ্ডে প্রথমে এক অতি উচ্চ ঘনত্বের এবং উচ্চ তাপমাত্রার অতি ক্ষুদ্র বস্তুর সৃষ্টি হয়েছিল"
     
    সাধারনভাবে বিগ ব্যাং মডেল আমাদের ইউনিভার্সের এক্সপ্যানশান আর আজকের অবস্থার নানা দিক ব্যখ্যা করতে পারলেও, এই মডেল জন্মের মুহূর্তকে (আরও সঠিকভাবে বললে, প্ল্যাংক টাইমের আগের সময়কে) ব্যখ্যা করতে পারে না। তার কারন সেই সময়ের যে থিওরেটিকাল ফ্রেমওয়ার্ক দরকার, অর্থাত কোয়ান্টাইজড গ্র‌্যাভিটি, তা আমরা এখনও বানাতে পারিনি। কাজেই শুরুর সময়টা আমরা জানিনা, যদিও আমাদের বেশ কিছু হাইপোথিসিস আছে। 
     
    তার মধ্যে একটা হাইপোথিসিস হলো, কোয়ান্টাম ফোমে প্ল্যাংক স্কেল ফ্লাকচুয়েশানের ফলে স্পেসটাইমের জন্ম হয় আর আমাদের ইউনিভার্সের জন্ম হয়। ম্যাথামেটিক্স, ফিজিকাল ল গুলো, কজালিটি ইত্যাদির কখন জন্ম হয় তা এই হাইপোথিসিসে ব্যাখ্যা করা যায় না। 
     
    শুরুতে ইউনিভার্স কোন বস্তু ছিল না, নিকষ কালো ইত্যাদিও ছিল না, বরং হাই ভ্যাকুয়াম স্টেট এনার্জি আর লো এনট্রোপি বিশিষ্ট, অতি উচ্চ কার্ভেচারের একটা স্পেসটাইম পয়েন্ট ছিল। এই পয়েন্ট বা এই ইউনিভার্স জন্মের মুহূর্ত থেকেই ইনফাইনাইট ছিল, যদিও কার্ভেচার প্রায় ইনফাইনাইটলি হাই হওয়ার জন্য তার "আয়তন" খুব কম ছিল, অর্থাত এই ইউনিভার্সের ভেতরের প্রতিটা পয়েন্টের ডিসট্যান্স মেট্রিক খুব কম ছিল। জন্মানোর কয়েক প্ল্যাংক টাইম পরে যখন 10-36 s অতিবাহিত হয়েছে তখন ইনফ্লেশান ইরা শুরু হয়, যখন ঐ ইনিশিয়াল পয়েন্টলাইক ইউনিভার্স আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে এক্সপ্যান্ড করে আর এই ইরার শেষে তার সাইজ 1078 গুন বেড়ে প্রায় এক মিলিমিটার ডায়ামিটারের হয়ে যায়। ইনফ্লেশান এরা শেষ হয় 10-32 s পর আর তখন ফেস চেঞ্জের ফলে পুরো ইউনিভার্সে অতি উচ্চ ঘনত্বের এবং উচ্চ তাপমাত্রার জন্ম হয়। তারপর থেকে ইউনিভার্স আলোর চেয়ে কম বেগে এক্সপ্যান্ড করতে শুরু করে, আরও ফেস চেঞ্জ হয়, চারটে ফোর্সের ছাড়াছাড়ি হয়, ইত্যাদি।  
     
    "সেই বস্তুটির বিস্ফোরণে সৃষ্টি হয় মহাবিশ্ব, বিভিন্ন নক্ষত্র, অনু, পরমাণু"
     
    কোথাও কোন বিস্ফোরণ হয়নি। ইউনিভার্সের প্রতিটা পয়েন্টে এক্সপ্যান্সান হয়েছিল, প্রথমে আলোর চেয়ে দ্রুতগতিতে (ইনফ্লেশান) আর তার পর আলোর চেয়ে কম গতিতে। অণু, পরমাণু, নক্ষত্র ইত্যাদি অনেক পর এসেছিল। 
     
    "সে প্রায় ১৩৭৫ কোটি বছর আগেকার কথা"
     
    ১৩.৭৫ কোটি 
     
    "ক্রমে ক্রমে সেই মহাবিশ্ব প্রসারিত হতে থাকে, নক্ষত্রের থেকে অন্য নক্ষত্রের দূরত্ব বাড়তে থাকে"
     
    নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রের দূরত্ব কখনো বাড়েনি। ইউনিভার্স এক্সপ্যান্ড করছে কারন ক্রমাগত স্পেসটাইম তৈরি হচ্ছে সেই জায়গায় যেখানে গ্র‌্যাভিটি খুব কম, অর্থাত কার্ভেচার প্রায় ফ্ল্যাট। এরকম জায়াগা হলো গ্যালাক্সিদের বা গ্যালকটিক ক্লাস্টারদের মাঝখানে যে স্পেসটাইম সেখানটা। এই উইক গ্র‌্যাভিটি রেজিমে ক্রমাগত স্পেসটাইম তৈরি হচ্ছে আর তার ফলে গ্যালাক্সি আর গ্যালাকটিক ক্লাস্টারগুলো দূরে সরে সরে যাচ্ছে। 
     
    "সেসব লক্ষ, লক্ষ বছর ধরে ঠান্ডা হয়েছে"
     
    কোটি কোটি বছর। 
     
    ছবিটায় এক্সপ্যানশান স্ট্রেট লাইন দিয়ে দেখানো হয়েছে। লাইনগুলো কার্ভড হবে, কারন পাঁচ কোটি বছর আগে থেকে  ইউনিভার্সের এক্সপ্যান্সান অ্যাক্সিলারেট করতে শুরু করেছে, এখনও সেই অ্যাক্সিলারেশান থামেনি। 
     
     
  • Surajit Dasgupta | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫১527284
  • ধন্যবাদ আপনাকে। মহাবিশ্ব সৃষ্টির মতামত অনেক। তবুও একটা মত লিখেছি মাত্র। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নিশ্চয়ই ভুল-ভ্রান্তি থাকবে। ফলে কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে নিশ্চয়ই পরবর্তীতে সুবিধা হয় এবং নিজেরও জ্ঞান বাড়ে। আবারও আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
  • dc | 2401:4900:1cd1:565e:6515:b5b5:72c6:***:*** | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩527286
  • সুরজিৎবাবুকে ধন্যবাদ। হ্যাঁ, মহাবিশ্ব সৃষ্টির আরও কিছু মতামত আছে। এর মধ্যে একটা হলো পেনরোজ ও অন্যদের প্রোপোজ করা কনফর্মাল সাইক্লিক কসমোলজি। এই হাইপোথিসিস অনুসারে, বহু ট্রিলিয়ন বছর পর আমাদের ইউনিভার্সের সমস্ত ম্যাটার ডিকে করে এনার্জিতে পরিণত হবে আর পুরো ইউনিভার্সটা একটা সম্পূর্ণ শূণ্য, লো এনট্রোপি স্টেটে ফিরে যাবে, তখন ডিসট্যান্স মেট্রিকের শূণ্য আর ইনফাইনাইট অবস্থার মধ্যে কোন তফাত থাকবে না, তখন আবার একটা সিঙ্গুলারিটির ভেতর থেকে বিগ ব্যাং হয়ে পরের ইউনিভার্সের জন্ম হবে। আমাদের আগেও এইভাবে ইনফাইনাইট ইউনিভার্সের জন্ম হয়েছে, আমাদের পরেও হবে। 
  • Surajit Dasgupta | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৪527287
  • আপনি তো আমার নাম দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু আপনার নাম আমি দেখতে বা জানতে পারছি না। তাই নাম না লিখেই আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন এবং সমৃদ্ধ করবেন আশা রাখি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন