তর্কগুগলে ম্যাপ দেখুন। ১৯৪৮ শে ইজরায়েলের সৃষ্টি মিশরের গায়ে খানিকটা যেখানে রাজধানী তেল আভিভ এবং হাইফা বন্দর, সিনাইয়ের বেদুইন অধ্যুষিত মরুভুমি এবং উলটো দিকে জর্ডন নদীর পশ্চিম পাড়ে খানিকটা, সিরিয়া এবং লেবানন ঘেঁষে। অনেকটা পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মত। কিন্তু ফারাক আছে। ক্যানন অফ ইজমেন্ট অনুসারে দুটো টুকরোর মধ্যে এক চিলতে সংযোগ স্থল।
কিন্তু ১৯৬২, ১৯৬৭ ৭১, ২০০৪ এর ম্যাপ দেখুন। প্রত্যেকটা আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের পর ইজ্রায়েল তার দখলীকৃত এলাকা বাড়িয়েই চলছে।
এখন প্যালেস্তাইনের আরবরা শ্রিঙ্ক হতে হতে পশ্চিম পাড়ে এক ছোট টুকরো--জেরুজালেমের কাছে রামাল্লা (পিএলও হেড কোয়ার্টার), বেথলেহেম ইত্যাদি এবং মিশর এবং ইজরায়েলের গা ঘেঁষে গাজা, যেখানে হামাসের ঘাঁটি।
এমনকি সিরিয়ার নিজস্ব এলাকা গোলান হাইটের পাহাড়েও অনেকটা জুড়ে ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণ।
এই এলাকার চারটে সময়ের আলাদা আলাদা ম্যাপগুলো এলসিএম অনায়াসে পোস্ট করতে পারবেন বলে আমার ধারণা।
সবচেয়ে বড় কথা আজ আরব মূলুকে প্যালেস্তাইনের কোন রাষ্ট্র নেই। নিজস্ব পুলিশ বা মিলিটারি নেই। সেসব ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। শুধু সিভিক দায়িত্ব আরবদের হাতে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই এলাকাটা আগে অটোমান সাম্রাজ্যের অঙ্গ ছিল। তারপর ইংরেজ নিয়ন্ত্রণে আসার আগে উত্তরে লেবানন, উত্তর পূবে সিরিয়া, পূবে জর্ডান এবং পশ্চিমে ইজিপ্টের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
ওরা ভেবেছিল যে ইংরেজ চলে গেলে ওরা আগের মত ভাগাভাগি করে নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই ওরা এই এলাকাকে ইউ এন ও'র কথামত ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ভাগাভাগির বিরোধিতা করল। আরবদের বোঝাল, আমরা আছি। তোমাদের জায়গা তোমাদেরই থাকবে।
এই হল, আমার হিসেবে, আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের পৃষ্ঠভূমি।
এখন আরব লীগ প্যালেস্তাইনিয়ান্দের লীপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। কেউ যুদ্ধে যেতে রাজি নয়।
হামাসের এই হামলা একটা মরিয়া প্রচেষ্টা। এর ফলে নেতানেয়াহুর হাত শক্ত হল। পরিণামে প্যালেস্তাইনের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে মনে হয়।
অবশ্য আমিই ইস্যুগুলো সব বুঝেছি এমন অহংকার বা মূর্খতা করি না।
বিকল্প ব্যাখ্যা শুনতে আগ্রহী।
এখন সবচেয়ে আগে এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার।