এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্যালেস্তাইন - সোজা কথা 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮৭৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)
  • জিনিসটা কিন্তু সত্যি-সত্যিই হচ্ছে। আপনি-আমি যখন নিজের জীবন কাটাচ্ছি, পূর্ব গোলার্ধে লোকে যখন নাক ডাকিয়ে সুখনিদ্রায়, ইউরোপের লোকে যখন ডিনার সেরে মিষ্টি কী খাওয়া যায় ভাবছে, আমেরিকার লোক যখন মাইনে পাবে বলে আপিসে খাটাখাটনি করছে কিংবা বসকে তেল দিচ্ছে, ঠিক তখনই প্যালেস্তাইনের আস্ত হাসপাতাল কিন্তু বোমাবর্ষণে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। সত্যি-সত্যিই ওখানে জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, সত্যি সত্যিই রামাল্লা আর গাজায় ঘনঘন চলছে বোমা আর মিসাইল বর্ষণ, পশ্চিমী হিসেবেই হাজার তিনেক লোক ফৌত হয়ে গেছে এই কদিনে, সত্যি সত্যিই প্রতি পনেরো মিনিটে একজন করে প্যালেস্তানীয় শিশু মারা যাচ্ছে হামলায়। 

    জিনিসটা যেহেতু সত্যি সত্যিই হচ্ছে, তাই টিভি থেকে বেরিয়ে নিজেকে একবার ওদের জায়গায় বসিয়ে ভাবা যাক। এর কোনো একটার সামান্য ভগ্নাংশ হলেও আমি-আপনি বিচলিত হয়ে পড়ি। বিদ্যুৎ না থাকলে সরকারকে খিস্তি মারি, খাবারের অভাব হলে খাদ্য আন্দোলন হয়, ঠিক অথবা ভুল কোনো কারণে রোগীমৃত্যু হলে হাসপাতাল ভাঙচুর হয়। আইন-আদালত-থানা-পুলিশ হয়, তাতে সুবিচার না পেলে আমরা হই-হট্টগোল করি। এখানে সেসবের বালাই নেই। যিনিই রক্ষক তিনিই খাবার-জল-বিদ্যুৎ আটকে রাখেন ইচ্ছেমতো। দশকের পর দশক ধরে দিনের অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকেনা, শাসকের মর্জি। প্রভু যখন ইচ্ছে হামলা করেন, যাকে খুশি মারেন ও ধরেন। গত দুই দশকে কয়েক হাজার লোক এমনিই মারা গেছে এইভাবে। শুধু সাধারণ লোক না। পিএলওর অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরাফতকে আটকে রাখা হয়েছে, ঘটেছে রহস্যময় মৃত্যু। গোটা জনপদ অবরুদ্ধ। আর এই যে ক'হাজার মরল এই কদিনে, এই যে হাসপাতাল উড়ে গেল, কী ভাঙচুর করবেন? কার কাছে নালিশ করবেন? গোটা পৃথিবীর শান্তিরক্ষকরা যাদের পক্ষে, তারা তো বলেই দিয়েছে, আমরা বোম মারিনি, রকেট ছুঁড়তে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের হাসপাতাল উড়িয়ে দিয়েছে। এরপর শোনা যাবে, নিজেরাই বোমাবর্ষণ করেছে আর মিসাইল ছুঁড়েছে। নিজেরাই প্যালেস্তাইন দখল করে ইজরায়েলিদের হাতে তুলে দিয়েছে। ইয়াসের আরাফত যেমন নিজে নিজেই মরে গিয়েছিলেন। 

    এই অলীক জিনিসপত্র যখন সত্যিই হচ্ছে, তখন এটাও মনে রাখা যাক, যে, 'সব হিংসারই সমান নিন্দা' কখনও হয়নি। জালিয়ানওয়ালাবাগে হয়নি, হত্যাকারী সসম্মানে স্যালুট পেয়েছে, আর চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের নেতার হয়েছে ফাঁসি, মৃতদেহেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর সব আইনে 'আত্মরক্ষা' আর 'আক্রমণ'কে এক নজরে দেখা হয়না, কেবল দুনিয়ার বড়দাদের আইনে আক্রমণ জায়েজ, আত্মরক্ষা অপরাধ। গত কুড়ি বছর ধরে চলে আসা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় হিংসার প্রতিবাদ বিশেষ কেউ করেনি। তাঁদের একটু সুযোগ দেওয়া যেতে পারে, নিজেদের বদলে নেবার। কিন্তু তা যখন হচ্ছেনা, এই একুশে আইনে পৃথিবী যখন চলছে, তখন 'সব হিংসারই সমান নিন্দা' কথাটাই অবান্তর, অবাস্তব এবং আক্রমনকারীকে মদৎ দেওয়ার সামিল। বড়দা বুশ, এখনও এই গত পরশুও ইজরায়েলের কী করা উচিত, সে নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। এসব তো বন্ধ হবেনা, ইরাকের যুদ্ধাপরাধে আমেরিকার শাসকদের বিচার-টিচারও হবেনা। কিন্তু স্বনিয়ন্ত্রিত, সার্বভৌম প্যালেস্তাইনের কমে কোনো কিছু দাবী করা অর্থহীন। নতুন কিছু দাবী না, কিন্তু এই বক্তব্যটা স্পষ্ট করে না বলা মানেই, জিনিসটা ঘুলিয়ে দেওয়ার কাজে সাহায্য করা।

    এবং আরও একটা জিনিস সত্যিই হচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার, প্যালেস্তাইনের স্বপক্ষে রাস্তায় ঢল নেমেছে। আমেরিকার প্রতিটি শহরে মিছিল। ইউরোপে বিক্ষোভ। আরব দেশের কথা বাদই থাক। শাসকরা যতই বড়দাদের ল্যাজ ধরে ঝুলুন, জনমতের একটা চাপ থাকেই। বহুপ্রতীক্ষিত সৌদি-ইজরায়েল বোঝাপড়া হওয়া আর বোধহয় সম্ভব না। আমেরিকার টিভিও সোচ্চারে ইজরায়েল যা করেছে ঠিক করেছে, বলতে পারছেননা। বাইডেন দৌড়চ্ছেন ইজরায়েলে। পরিস্থিতি আর ২০০৩ এর বুশের আমলের নেই, যে, 'ওয়েপনস অফ মাস ডেসট্রাকশন' এর গুল দিয়ে একটা যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়া যাবে। সময় কীকরে যেন একটা বদলাচ্ছে। আরাফত, পিএলও, সব্বাইকে গুম করে দেওয়া গেছে, কিন্তু প্যালেস্তাইনকে যায়নি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • upal mukhopadhyay | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২:১৫524743
  • প্যালেস্তাইন জিন্দাবাদ ।
  • | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩১524744
  • Robert Fisk, the reputed British journalist, who covered the war said in his book Pity The Nation that most of the victims were Muslims and on the edge of Sabra, the Muslim cemetery was so crowded with dead bodies from the Israeli raids that corpses were being buried thirty feet deep in mass graves, one on top of the other. The bodies in decay were disgusting. The smell of human remains in 100 degrees of heat was nauseating and it contradicted our most deeply held values – love, beauty, gentleness, health, cleanliness, hygiene and life. Both physically and mentally that stench was the manifestation of our fear and revulsion.When we first walked down the stairs of the Sidon elementary school, where refugees from Tire found shelter and were bombed by the Israelis, we faced the smell of those men, women and children killed. Why did they die here? How could such an abomination have taken place?
    He added "as if the carnage by air raids were not enough the Jews began using the US supplied destructive cluster bombs against West Beirut where the mournful exodus of citizens continued. No food was allowed in and the Israeli troops even grabbed baskets of food from Muslim women and threw them into the ditch.
     
    Describing the Israeli cruelty even in hospitals Dr. Amal Shamma of the Beirut Hospital said "after the Zionists fired phosphorus shells in West Beirut on 29 July, I had to take the babies and put them in buckets of water to put out the flames. When I took them out half an hour later, they were still burning. Even in the mortuary, they smouldered for hours".
     
    -West Beirut, 29 July 1982
  • ইসলামিক জিহাদ | 72.52.***.*** | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৩524747
  • গোটা পৃথিবীর শান্তিরক্ষকরা যাদের পক্ষে, তারা তো বলেই দিয়েছে, আমরা বোম মারিনি, রকেট ছুঁড়তে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের হাসপাতাল উড়িয়ে দিয়েছে  
  • বিপ্লব রহমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২১524748
  • ফিলিস্তিনে গণহত্যা কোনোভাবেই  মেনে নেয়া যায় না। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ে চিন্তার অবকাশ আছে। বিশেষত: তারা জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করে স্বাধীন ফিলিস্তিন আন্দোলনকে ভেতর থেকে দুর্বল করে ফেলেছে! 
     
  • Joshita | 194.56.***.*** | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৭524751
  • "ফিলিস্তিনে গণহত্যা কোনোভাবেই  মেনে নেয়া যায় না। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ে চিন্তার অবকাশ আছে। বিশেষত: তারা জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করে স্বাধীন ফিলিস্তিন আন্দোলনকে ভেতর থেকে দুর্বল করে ফেলেছে! "
     
    এর অর্থ কী বিপ্লববাবু?
  • বিপ্লব রহমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১৫524753
  •   @যোষিতা,  ভুলভাল বকে থাকলে শুধরে দেবেন।  কিন্তু মন্তব্য করে এর মানে ব্যাখ্যা করা বাহুল্য। 
     
    ধরে নিচ্ছি, মন্তব্যের পাশাপাশি ভিডিও ক্লিপটি হয়তো  দেখেননি। ওই সংবাদ বিশ্লেষণটির স্ক্রিপ্টও পড়তে পারেন। আপনাকে ধন্যবাদ 
     
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩১524754
  • একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইহুদীদের হোম ল্যান্ড বানালো আর ভারতীয় মুসলমানদের। এক দিকে ফিলিস্তানিরা বাস্তুহারা হল অন্য দিকে পাকিস্তানে থাকা হিন্দু রা বাস্তুহারা হল। কয়েক দশক পার করেও ওদিকের মুসলমানরা মেনে নেয় নি আর এদিকের হিন্দুরা মেনেই নিয়েছে। ফিলিস্তানীরা মেনে না নিয়ে কখন বিমান ছিনতাই করছে কখন অলিম্পিকে হামলা করছে বা কোন উৎসব অনুষ্ঠানে ঢুকে খুন করছে। যত এসব করবে তত শেষ হবে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কিংবা ভিয়েতনামের লড়াইয়ে এই ধরণের কিছু দেখা যায় নি। শান্তির ধর্ম আসল গোলমেলে। মার্কসবাদীরা এসব সমর্থন করে কি করে ভাবি।
     
  • hospital blast | 209.58.***.*** | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৫৬524755
  • Biden, in Israel, says hospital blast appears to be caused by 'the other team'
     
     
    Palestinian officials blamed an Israeli air strike for the blast, which they said had killed as many as 500 people. Israel said the blast was caused by a failed rocket launch by the Palestinian Islamic Jihad militant group, which denied blame.
     
    Speaking alongside Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu, Biden said: "I was deeply saddened and outraged by the explosion of the hospital in Gaza yesterday, and based on what I've seen, it appears as though it was done by the other team, not you."
     
    PRABIRJIT SARKAR | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৩১
    এই দেখুন আপনার তালিকায় এইটাও জুড়ে নিন। তবে এসব অপ্রিয় সত্য বলবেন না। আল্লা হু আকবর বলুন !
  • বিপ্লব রহমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৬524757
  • এই খোপে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আল জাজিরায় দেয়া চমস্কির একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সূত্র রেখে যাই। 
    আগ্রহীর পড়ে দেখতে পারেন। 
    ~
    ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিরোধ আগে দেখা যায়নি
     https://www.prothomalo.com/world/usa/46xmfy7qyj 
  • তর্ক  | 165.225.***.*** | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪৮524761
  • রাশিয়া ইউক্রেনে যা করছে তা কি সাপোর্ট করা যায়? 
    ইস্রায়েল যা করছে তা কি সাপোর্ট করা যায়? এই মূহুর্তে গাজায় এত ক্ষয়ক্ষতির পরে করা কি সম্ভব? 
     
    এই দুটো পরিস্থিতির তুলনা করা যায়? প্যালেস্টাইনকে সাপোর্ট করা গেলে রাশিয়াকেও নিশ্চয়ই করা যায়।  কিন্তু এই তর্কটা এখন করতে ইচ্ছে করছে না। 
     
    বক্তব্যটা ছিল, ইস্রায়েন প্রধানমন্ত্রি ইজ্ঝাক রাবিন নিজের দেশে খুন হয়েছিল আরাফাতের সাথে শান্তিচুক্তি করে। দুনিয়াভরা, এবং ইস্রায়েলের মধ্যেও অনেক ক্ষোভ চরমপন্থী প্রধানমন্ত্রি নেতান্যহুর বিরুদ্ধে। কিন্তু ৭ই অক্টোবর কি হয়েছিল? সেই দিন খবর ফলো করার পরিস্থিতিতে ছিলেন কি? 
    ইস্রায়েলের আছে এক আয়রন ডোম - যা মূহুর্তের মধ্যে আকাশে ক্ষেপনাস্ত্র শনাক্ত করে রেডার লাগান মিসাইল ছেড়ে সেগুলো ধ্বংস করে দেয়। অনেক দেশেরই এই টেকনলজি খুব পছন্দ, কিন্তু এরা বেচবে না - যদি শেষ পর্যন্ত হামাসের হাতে পাকেচক্রে চলে যায়!   তো, সেই আয়রন ডোম টপকে এবারে প্যালেস্টাইন ধ্বংসাত্মক রকেট পাঠায়, এদিকে মেশিনগান আর পিস্তল নিয়ে চেকপয়েন্ট টপকে ইস্রায়েলের ভেতরে ঢোকে।  রকেট ফাটিয়ে অনেককে মারা গেল, তার্পর বন্দুক হাতে সাধারন লোকের মধ্যে গিয়ে যুদ্ধ করতে গেলে যা হয়, আরো একগুচ্ছ! ইয়াম কিপুর যুদ্ধের পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে উত্সবের সময় এই অ্যাটাক। অ্যানেকডোটাল ঘটনা - ভিডিও নেটে দেখেছি - নোহা সঙ্গীত উতসবে হাজার দু-তিন লোক এসেছে, সেখানে হামাস ঢুকে আলটপকা গুলি চালাচ্ছে। একজন মাটিতে শুয়ে ছিল মড়ার ভান করে, একটু ঘাড় ফেরাতেই গুলি খেল। এখনও পর্যন্ত ১৪০০ র মত ইস্রায়েলি মারা গেছে, হাজার তিনেক আহত। ১৫০+ লোককে হামাস পণবন্দি করে নিয়ে গেছে, তার মধ্যে ৩০ টা দেশের নাগরিক রয়েছে (ভারত এই ত্রিশের মধ্যে নেই, যদ্দূর জানি।)
    তো, ইস্রায়েলের কিনা বিস্তর ক্ষমতা, এই আক্রমণ কিভাবে তারা ঘটতে দিল? রাশিয়ান সংবাদ মাধ্যমে (রাশিয়া টুডে) হামাসের বৈদেশিক মুখপাত্র আলি বারাকার বক্তব্যই শুনে নিন -  
    “In the past couple of years, Hamas has adopted a ‘rational’ approach. It did not go into any war, and did not join the Islamic Jihad in its recent battle. We made them think that Hamas was busy with governing Gaza, and that it wanted to focus on the 2.5 million Palestinians there, and has abandoned the resistance altogether. All the while, under the table, Hamas was preparing for this big attack.”
     
    খেয়াল রাখতে হবে ২০০৫ থেকে প্যালেস্টাইনের হাতে গাজার শাসন্ভার আর হামাস সেটি হাতে নিয়েছে ২০০৭ থেকে।
     
    এবার ইস্রায়েল কি করবে? মানে, আপনি হলে কি করতেন যদি পাশের বাড়ির গরীব প্রতিবেশির ছেলে আপনার ঘরে ঢুকে আপনার বাচ্ছা গুলি করে মারে? 
         
    যুদ্ধে তো কিছুই অন্যায্য নয়, কিন্তু দুপক্ষের অ্যাকান্টেবিলিটিও থাকা উচিত সাধারণ পাঠকের জন্যে।  ইস্রায়েল হোমোজিনিয়াস এন্টিটি নয়, প্যালেস্তাইনও।  
     
    ও হ্যাঁ, তালেগোলে সেইদিন (৭ই অক্টোবর ) সকালের খবরটাও অগ্রাহ্য করা ঠিক নয়!  
  • Ranjan Roy | ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:০৪524792
  • @তর্ক
     
    ১ "এই দুটো পরিস্থিতির তুলনা করা যায়? প্যালেস্টাইনকে সাপোর্ট করা গেলে রাশিয়াকেও নিশ্চয়ই করা যায়"।
    -- না, করা যায় না। বরং ইউক্রেনকে সাপোর্ট করলে প্যালেস্তাইনীদের সাপোর্ট করা যায়। কারণ ওরা নিজেদের জমিতে দাঁড়িয়ে ঘর হারানোর বিরুদ্ধে বাইরে থেকে এসে দখল করতে চাওয়া শক্তির( রাশিয়া/ইজরায়েল) বিরুদ্ধে লড়ছে।
    "খেয়াল রাখতে হবে ২০০৫ থেকে প্যালেস্টাইনের হাতে গাজার শাসন্ভার আর হামাস সেটি হাতে নিয়েছে ২০০৭ থেকে"।
    --একদম সত্যি কথা। তাহলে ইজরায়েল একেবারে উলটো দিকে  জেরুজালেমের পাশে রামাল্লা  এবং বেথলেহেমে হামলা করছে কেন?
    সেখানে তো হামাস নেই, বরং পিএলও'র হেড কোয়ার্টার। ওরা ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করছে না এবং হামাসের রণনীতির বিরোধী, তবে?

     "এবার ইস্রায়েল কি করবে? মানে, আপনি হলে কি করতেন যদি পাশের বাড়ির গরীব প্রতিবেশির ছেলে আপনার ঘরে ঢুকে আপনার বাচ্ছা গুলি করে মারে"? 
    --পালটা মারবে। কিন্তু তাহলে হামাসের এলাকা গাজা ছাড়াও পিএলও'র এলাকা জেরুজালেমের পাশে রামাল্লা  এবং বেথলেহেমে হামলা করছে কেন? 
         
  • তর্ক | 165.225.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৬524799
  • রঞ্জনদার জন্যেঃ 
    ১। হ্যাঁ ঐটে মারাত্মক টাইপো। বলার ছিল, রাশিয়াকে সাপোর্ট করলে ইস্রায়েলকে করা যাবে না কেন? রাশিয়াও তো দোষের বিশেষ করছে না - ঘাড়ের কাছে বিদেশি শত্রুর হেলিপ্যাড রানওয়ে থাকবে আর সিঁতিয়ে বসে থাকব, সেও খুব স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি নয়! 
    ২ আর ৩ এর তো একই উত্তর হবে - ডেটারেন্ট। 
     
    এই ইস্রায়েল প্যালেস্তাইন চক্রান্তে কেবল ঐ দুই পক্ষের তরফ থেকে দেখলে - মানে, অন্য সব জিওপলিটিকাল গল্প বাদ দিলে - যা বুঝলাম, একদল একশ বছরের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে, আরেক দল তিনহাজার বছরের হারান জমি চায়।  তো, খেলা হবে! 
  • Ranjan Roy | ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪০524813
  • তর্ক
     আপনার সঙ্গে অনেকখানি সহমত।
     এই ইতিহাসের চাকা পেছনে ঘোরানোর জেদটাই অবাস্তব। একটা অন্যায়ের বদলা আরেকটা অন্যায় দিয়ে হয় না। সময়ের চাকা পেছনে ঘোরানো যায় না। 
     মানুষের বেঁচে থাকা এবং সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
     নইলে এই অন্তহীন হনযজ্ঞের শেষে হাতে থাকে পেনসিল। মহাভারতের শেষের মত।
     
    দরকার আলোচনায় বসা এবং একটা প্র্যাক্টিক্যাল মধ্যপন্থা বের করা।
      পাকিস্তানের অস্ত্বিত্বও বিলুপ্ত হবে না এবং যাঁরা পাকিস্তানে নাগিয়ে এদেশেই প্রায় ৭৫ বছর ধরে রয়েছেন -তাদের কথায় কথায় পাকিস্তানে যাও বলে দাঁত খিঁচোনোরও কোন মানে হয় না।
  • Amit | 163.116.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ০০:০৩524815
  • ইয়ে রঞ্জন -দা ,
     
    আপনি যে লিখলেন "দরকার আলোচনায় বসা এবং একটা প্র্যাক্টিক্যাল মধ্যপন্থা বের করা। পাকিস্তানের অস্ত্বিত্বও বিলুপ্ত হবে না".
     
    পাকিস্তানের  ইজরায়েল এর অস্ত্বিত্বও বিলুপ্ত হবে না- এটাতেও আপনি একমত তো ? তাহলে দ্যাখেন আরব স্টেট্ গুলোকে ও যদি বোঝাতে পারেন  টু স্টেট্ থিওরী মেনে কমপ্লিট ডিসারমানেন্ট করতে  ? 
     
    "সময়ের চাকা পেছনে ঘোরানো যায় না।"- এইটাও দ্যাখেন না এরদোগান কেও যদি বোঝাতে পারেন। হাগিয়া সোফিয়া তো মসজিদ হয়ে গেলো আবার। 
     
    অথবা বাংলাদেশ কেও বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন। ১৯৭১ এ স্বাধীন হয়ে ৭২ তে প্রথম কনস্টিটিশন ড্রাফটে সেক্যুলার ছিল। তারপর ১৯৮৮ e আর্টিকল ২এ এনে ইসলাম কে রাষ্ট্রধর্ম করা হলো। সেক্যুলারিজম মায়ের ভোগে। 
     
    চাকা গড়গড়িয়ে পেছনে গেলো। তাই না ? 
     
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৩৪524820
  • আপনাদেরই বোঝাতে পারছি না তো এরডোগান আর হামাস! 
    অবশ্যই আজকে পুরোপুরি ইজরায়েলকে খারিজ করে পেছনে ফেরা যায় না।
     আর আমি আপনি বোঝাবার কে?
      পিএলও আরাফাত বুঝেছিল বলেই নরওয়ের দৌত্যে সন্ধি হয়ে একটা কাজ চালানোর ব্যবস্থা হয়েছিল।
     চুক্তি সই হয়েছিল আমেরিকায়, বিল ক্লিন্টনের সামনে।
     
    কিন্তু ইজরায়েল সবকিছু মেনে নিল কি?
    তাহলে আজ আর হামাসের বাড়বাড়ন্ত হত না। 
    আপনি একটু নেতানেয়াহুকে বোঝান না!
     
    ইতিহাসের চাকা সরলরেখায় গড়গড়িয়ে চলে না। এগোয় পেছোয়, সাময়িক পেছনেও হটে,  কিন্তু কখনই আর ঠিক আগের পুনরাবৃত্তি হয় না। 
  • Amit | 163.116.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ০০:৪৪524821
  • সেটা কি করে হবে ? কালচক্র তো আর জেরক্স মেশিন নয়। তবে সাময়িক ​​​​​​​পেছনে ​​​​​​​যায় ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​মেনে ​​​​​​​নিলেন বলে থ্যাংকু। ​​​​​​​তাও তো ​​​​​​​আইসিস তালিবান ​​​​​​​​​​​​​​অব্দি ​​​​​​​যাইনি ​​​​​​​ভাগ্যিস। তাহলে ​​​​​​​পেছোতে ​​​​​​​পেছোতে ​​​​​​​প্রায় ​​​​​​​গাছে ​​​​​​​ফিরতে ​​​​​​​হতো। 
     
    আপনার ​​​​​​​লেভেলের ​​​​​​​লোক ​​​​​​​যদি ​​​​​​​বোঝাতে ​​​​​​​না ​​​​​​​পারেন , আমার ​​​​​​​মতো ​​​​​​​ক্ষুদ্র ​​​​​​​লোককে ​​​​​​​আবার ​​​​​​​বলছেন নেতানেয়াহুকে ​​​​​​​বোঝাতে ? 
  • lcm | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৬524843
  • lcm | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪৬524844
  • lcm | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:১৬524845
  • অমিত,

    বাংলাদেশের আবার ফিরিয়ে এনেছে, টাইমলাইন দেখলে -

    ১৯৭১ - বাংলাদেশের কনস্টিটিউশনে সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা) আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। (as "neutrality of religion" under Bangladeshi law.)

    ১৯৭৭ - জিয়াউর রহমান এর আন্ডারে দেশে মার্শাল ল জারি হয় এবং সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার এই আইন সরিয়ে দেওয়া হয়।

    ১৯৮৮ - প্রেসিডেন্ট এরশাদ এর সময় বাংলাদেশের পার্লামেন্ট ইসলাম কে জাতীয় ধর্ম হিসেবে ঘোষনা করে।

    ২০১০ - বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে ১৯৭৭ সালে যেভাবে কনস্টিটিউশন থেকে সেকুলারিজম সরিয়ে দেওয়া সেটা বেআইনি ছিল, কারণ সেটা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা ঠিক করা হয় নি, এবং দেশে তখন মার্শাল ল চালু ছিল। কোর্ট ১৯৭১ এর ধর্মনিরপেক্ষতার আইন পুনরায় বহাল (reisntate) করেন।

    এখন সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আইন এবং ইসলাম স্টেট রিলিজিয়ন - দুটোই বহাল আছে। (The principle of secularity now co-exists with the state religion)

    বাংলাদেশের কন্স্টিটিউশনে প্রিঅ্যাম্বল অনুযায়ী -
    "... the high ideals of nationalism, socialism, democracy and secularism ... ... shall be the fundamental principles of the Constitution... "
     
  • তর্ক  | 165.225.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১১524854
  • আরেব্বাস। এইটাই তো খুঁজছিলাম কাল! 
    লসাগু ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৬
     
    ধন্যবাদ। 
  • তর্ক | 165.225.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩২524856
  • যে প্রশ্ন এখনও আছে (এমন নয় যে ভীষণ খুঁজে ফেলেছি), ১৯৪৬ ছবিতে যে জায়গাটা প্যালেস্টাইন, তারপর থেকে ইস্রায়েল বলে চিহ্নিত, 
    অ) সে জায়গার পুরোটার নাম কি প্যালেস্টাইন ছিল ১৯৪৬ বা তার আগে? বৃটিশ, অটোমান তো বুঝলাম; বলতে চাইছি ধরণীর ঐ অংশটুকু কি কোন নিজস্ব স্থানীয় শাসন ছিল, তাকে প্যালেস্তাইন বলা হত - এরকম কোন ব্যাপার ছিল না ঐ জায়গা সবসময় অন্য বড় স্থানীয় শাসনের অধীনস্ত ছিল? 
    আ) ঐ পুরো জায়গাটাই কি ইস্রায়েলকে দেওয়া হয়েছিল? বলতে চাইছি, নৈতিক্ভাবে তাদের দাবি কি রাশিয়ার মত - ঘরের পাশে শত্রু বসে থাকলে অস্তিত্ব বিপন্ন- এরকম? না কি, ঐ জায়গা তো পুরোটাই আমাদের দেওয়া ছিল, সুতরাং সীমানা বাড়ান আমাদের হক - এরকম? 
     
    মনে হচ্ছে আপনাদের রিসার্চ বিস্তর, তাই প্রশ্নগুলো করলাম।       
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৩৯524858
  • আরও আছে।
    যখন গত বছর বাংলাদেশে অনেকগুলো দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে হামলা হল, তখন বাংলাদেশ সরকার হামলাকারীদের পাশে এখনও দাঁড়ায়নি এবং অনেক প্যান্ডেলে স্থানীয় ভিন্ন ধর্মের লোকজন পাহারায় দাঁড়িয়েছেন।
      ঢাকার উগ্রবাদী হামলায় এবং তার আগেও সংখ্যালঘুদের কোতল করার অপরাধে বেশ কিছু অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
    ভারতে? এখনও অনায়াসে নাথুরাম  গডসে বন্দনা করা হয়। তার গান্ধীহত্যার জাস্টিফিকেশন দেওয়া হয়।
    বিলকিস বানোর চোখের সামনে পরিবারের কয়েকজনকে হত্যা করা হল, গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণ করা হল। তার তিনবছরের বাচ্চাকে পাথরে আছড়ে মেরে ফেলা হল।
    হত্যাকারীরা ছাড়া পেলে তাদের ফুল মিষ্টি দিয়ে সমবর্ধনা দেয়া হল। বলা হল এঁরা উচ্চ সংস্কারী ব্রাহ্মণ।
    এর পরেও তালিবান অব্দি যাওয়ার দরকার আছে?
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:০৩524862
  • তর্ক
    গুগলে ম্যাপ দেখুন। ১৯৪৮ শে ইজরায়েলের সৃষ্টি মিশরের গায়ে খানিকটা যেখানে রাজধানী তেল আভিভ এবং হাইফা বন্দর, সিনাইয়ের বেদুইন অধ্যুষিত মরুভুমি এবং উলটো দিকে জর্ডন নদীর পশ্চিম পাড়ে খানিকটা, সিরিয়া এবং লেবানন  ঘেঁষে। অনেকটা পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মত। কিন্তু ফারাক আছে। ক্যানন অফ ইজমেন্ট অনুসারে দুটো টুকরোর মধ্যে এক চিলতে সংযোগ স্থল।
    কিন্তু ১৯৬২, ১৯৬৭ ৭১, ২০০৪ এর ম্যাপ দেখুন। প্রত্যেকটা আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের পর ইজ্রায়েল তার দখলীকৃত এলাকা বাড়িয়েই চলছে। 
    এখন প্যালেস্তাইনের আরবরা শ্রিঙ্ক হতে হতে পশ্চিম পাড়ে এক ছোট টুকরো--জেরুজালেমের কাছে রামাল্লা (পিএলও হেড কোয়ার্টার), বেথলেহেম ইত্যাদি এবং মিশর  এবং ইজরায়েলের গা ঘেঁষে গাজা, যেখানে হামাসের ঘাঁটি।
    এমনকি সিরিয়ার নিজস্ব এলাকা গোলান হাইটের পাহাড়েও অনেকটা জুড়ে ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণ।
    এই এলাকার চারটে সময়ের আলাদা আলাদা ম্যাপগুলো এলসিএম অনায়াসে পোস্ট করতে পারবেন বলে আমার ধারণা।
     
    সবচেয়ে বড় কথা আজ আরব মূলুকে প্যালেস্তাইনের কোন রাষ্ট্র নেই। নিজস্ব পুলিশ বা মিলিটারি নেই। সেসব ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। শুধু সিভিক দায়িত্ব আরবদের হাতে।
     
    মধ্যপ্রাচ্যের এই এলাকাটা আগে  অটোমান সাম্রাজ্যের অঙ্গ ছিল। তারপর ইংরেজ নিয়ন্ত্রণে আসার আগে উত্তরে  লেবানন, উত্তর পূবে সিরিয়া, পূবে জর্ডান এবং পশ্চিমে ইজিপ্টের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
    ওরা ভেবেছিল যে ইংরেজ চলে গেলে ওরা আগের মত ভাগাভাগি করে নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই ওরা এই এলাকাকে ইউ এন ও'র কথামত  ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ভাগাভাগির বিরোধিতা করল। আরবদের বোঝাল, আমরা আছি। তোমাদের জায়গা তোমাদেরই থাকবে। 
    এই হল, আমার হিসেবে, আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের পৃষ্ঠভূমি।
    এখন আরব লীগ প্যালেস্তাইনিয়ান্দের লীপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। কেউ যুদ্ধে যেতে রাজি নয়।
    হামাসের এই হামলা একটা মরিয়া প্রচেষ্টা। এর ফলে নেতানেয়াহুর হাত শক্ত হল। পরিণামে প্যালেস্তাইনের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে মনে হয়। 
    অবশ্য আমিই ইস্যুগুলো সব বুঝেছি এমন অহংকার বা মূর্খতা করি না।
     বিকল্প ব্যাখ্যা শুনতে আগ্রহী।
    এখন সবচেয়ে আগে এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া দরকার।
  • তর্ক | 165.225.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৩১524865
  • আচ্ছা। বুঝলাম। ধন্যযোগ। 
  • হামাস | 65.49.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪৪524867
  • কিন্তু ১৯৬২, ১৯৬৭ ৭১, ২০০৪ এর ম্যাপ দেখুন। প্রত্যেকটা আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের পর ইজ্রায়েল তার দখলীকৃত এলাকা বাড়িয়েই চলছে - তার কারন আছে। ইজরায়েল জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন আরব দেশ আর মিশরের সাথে লড়াই করছে। ১৯৪৮তে প্রথম আরব যুদ্ধ, ১৯৫৬তে সুয়েজ যুদ্ধ, ১৬৬৭তে ছদিনের যুদ্ধ, ১৯৭০এ ওয়ার অফ attrition, ১৯৭৩এ Yom Kippur war। এই যুদ্ধগুলোর যেকোনটায় হেরে গেলে দেশটা উবে যেতো। যে দেশের চতুর্দিকে শত্রু সেই দেশের বাঁচার একমাত্র উপায় জমি দখল করা যাতে শত্রুরা সেখান দিয়ে আবার আক্রমন করতে পারে না।   
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:dcbb:fc91:a64e:***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২২524870
  • বিডেন, ইউকের গর্বিত হিন্দু এত গর্বিত ইহুদী সাজছে কেন, একেবারে হলোকাস্টের সাথে তুলনা করে ইহুদীদের হয়ে ঝাপিয়ে পড়ছে কেন ? যুদ্ধজাহাজও তো পাঠিয়েছে পড়লাম। অন্য আরব দেশগুলোকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে তারা যুদ্ধে যুক্ত হয়ে না পড়ে ? কিন্তু তারা পড়বেই বা কেন ? প্যালেস্টাইন নিয়ে তাদের মধ্যেও তো কনফ্লিক্ট আছে।

    নাকি একদিকে সাপোর্ট দেবে, ইস্রায়েল কিছুটা অবধি গাজা ধ্বংস করবে, ক্রোধ প্রশমনের সময় দেবে আর অন্যদিকে গাজায় অল্প অল্প সাহায্যও পাঠাবে ?
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২৮524871
  • এই যুক্তিতে যেকোন দেশের তার প্রতিবেশির সঙ্গে ঝগড়া লাগলে সেই দেশের ভেতর ঢুকে পড়া উচিত।
    এই যুক্তিতে পুতিন উক্রাইনে ধ্বংস লীলা চালিয়ে যাচ্ছেন। 
    এই যুক্তিতে ভারতের পাকিস্তানে বা চিনে ঢুকে পড়া উচিত। 
     
    না। একটা সীমা একটা সামঞ্জস্য রাখা দরকার। 
    সভ্যসমাজে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো মানা দরকার। নইলে জোর যার, মুলুক তার হবে।
     
     
    সরি এলসিএম,
     
    আপনি সব দরকারি ম্যাপ এবং ডেটা আগেই দিয়ে দিয়েছেন।
    আমি মিস্‌ করেছিলাম। 
  • তর্কের বাইরে  | 165.225.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫২524876
  • প্যালেস্তাইন কি ও কেন আরেকটু জান্তে হল - ধোঁয়াশা কাটিয়ে যা ​​​​​​​বুঝালামঃ 
     
    উইকি বলছে হেরডোটাস প্যালেস্টাইন নাম ব্যবহার করেছেন, সিরিয়ার ডিস্ট্রিক্ট ছিল সেটি , হিব্রু বাইবেল/ তোরা তেও 'প্যালেস্টাইন' বলেছে, অ্যারিস্টটল, রোমান আমল, মিশরিয় শাসন ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে নামটা দীর্ঘদিনের এবং চালু। 
     
    ইস্রায়েল নামটা অবশ্য অত চালু ছিল না! তবে সেও হিব্রু বাইবেল/ তোরা তে পাওয়া যায়। রাজা ডেভিড, সলোমনের আমলে চালু ছিল - প্রায় হাজার তিনেক বছরের গল্প। প্রায় একই জায়্গাকে ল্যান্ড ওফ ইস্রায়েল বলা হয়েছে। তবে সেকালের ইস্রায়েলে, এবং/বা  প্যালেস্টাইনে, ইহুদিদেরই সংখ্যাধিক্য ছিল। পরে, রোমান রাজারা - পেগান ও ক্রিশ্চিয়ান - মেরে ধরে তাদের তাড়ান।  
    মনে হয় ঐ 'ল্যান্ড ওফ ইস্রায়েল' আরবে ইসলাম আসার আগে থেকেই বলা বন্ধ হয়ে গেছে।  বেন গুড়িয়ান - ইস্রায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী - ইস্রায়েল নাম্টি পছন্দ করেন ও আইনসভায় পাশ করান হয়।
     
    ব্যাপার হল, ঐটুকু জায়্গায় দুটো আলাদা জাতিগোষ্ঠি - ইহুদি ও আরব - দুদলেরই নিজস্ব দীর্ঘমেয়াদি ইতিহাস আছে। আরব ও ইসলাম বিগত প্রায় হাজার দেরেক বছরে সমার্থক হয়ে বিষয় এখন আরো জটিল। 
     
    প্রেক্ষিত তো এই।  
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:dcbb:fc91:a64e:***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫৭524878
  • অবশ্য আগের প্রশ্নটার উত্তরও জানা। নিজের দেশের পলিটিক্সের জন্যই। বিডেন, শুনাক দু'জনেরই ভোট আসছে, শুনাকের দল তো এখন বিভিন্ন ইলেকশনে হারছে টারছে, বিডেনও লাইন করছে যাতে রিপাবলিকানরা এই ঘটনা নিয়ে ওনাকে দুর্বল না বানিয়ে ফেলতে পারে। ফলে নানারকমের কথা, অর্থসাহায্য ইত্যাদি।

    কিন্তু এও দেখলাম ইউএস গভঃ এর একজন পদত্যাগ করেছে ইস্রায়েলকে এত সাহায্য করা নিয়ে। বোঝা যায়
    যে ইস্রায়েলকে পুরো সাপোর্টটা স্মুথ নয়। যা ঘটছে, সব শক্তিধর রাষ্ট্র এবং তাদের বড় খোকারা ক্রমাগত সুযোগ খুঁজছে কীভাবে অন্য জায়গার ঝামেলা নিজের স্বার্থে লাগায়। ভারতেও তাই, অন্য টইগুলোতে ১৪০০ বছর নিয়ে ঢপবাজির পোস্টগুলো পড়ে সেটা বোঝা যায়।
  • জোর যার, মুলুক তার | 65.49.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০৪524879
  • একটা সীমা একটা সামঞ্জস্য রাখা দরকার - তাহলে ইজিপ্ট, সিরিয়া, অন্য আরব দেশগুলো বারবার ইজরায়েলের ওপর অতর্কিতে হামলা করেছে কেন? কেন লাগাতার প্রচার করেছে যে ইসরায়েলকে শেষ না করে ছাড়বে না? আর ইসরায়েল যেখানে জানে যে যুদ্ধে হেরে গেলে খেলা শেষ সেখানে কেন জমি দখল করবে না? 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন