এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কিছুক্ষণ : মিস্টার নকুলের সঙ্গে 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ আগস্ট ২০২৩ | ৫৫২ বার পঠিত
  • (১) 
    রোজকার অভ্যাসমতো সকালে বাগানে পায়চারি করছি এমন সময় দেখা   মিস্টার নেউল ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। নরম আলোয় মাখা সকালের এই সময়টা ওদেরও ব্যস্ততার সময় --এদিক সেদিক পরিক্রমা করে বেড়িয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের আহার্য টুকিটাকি সব খুঁজে নেবার তাড়া থাকে এই সময়ে।চলনে বলনে সেই ব্যস্ততার‌ই আভাস। মিস্টার নেউলকে সুপ্রভাতী সম্ভাষণ জানাতেই প্রত্যাভিবাদন ফিরে আসে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কানে ভেসে আসে আরও কিছু কচিকাঁচার মোলায়েম কন্ঠস্বর --গুড মর্নিং আঙ্কেল ! খানিকটা হতচকিত হয়ে নয়ন মেলে ধরতেই দেখি গোটা নেউল পরিবার‌ই আজকের প্রভাতী পদযাত্রায় সামিল হয়েছে। একদম সামনে মিসেস নেউল, তার পিছুপিছু ছোট্ট শরীরের ভার খুদে খুদে পায়ের ওপর চাপিয়ে দিব্যি দোদুলছন্দে হেলেদুলে চলেছে নবাগত তিন শাবক --টম,ডিক আর হ্যারি। পরনের হালকা বাদামী কোটে বেশ লাগছে তাদের। মিছিলের একদম শেষে সকলের দায়িত্ববান রাখ‌ওয়ালা হয়ে ভারিক্কি চলনে চলেছেন মিস্টার নেউল স্বয়ম্। নিজের লম্বা লাঙুলটিকে  তুলে ধরে মাঝে মাঝেই সহবাসী সহচরদের জানান দিচ্ছে -- এই যে এসে গেছি ভা‌ই । সকাল সকাল এমন পূর্ণতার আভাস মনটাকে ভরিয়ে দিল।

    (২)
    আজ থেকে তিন দশক আগে, সাবেক ভিটের মায়া কাটিয়ে যখন এখানে এসে নতুন করে বাসা বাঁধলাম তখন এই অঞ্চলের পরিবেশ অনেক অনেক সবুজ গাছগাছালিতে ভরা ছিল, দূরে দূরে  বেশ তফাতে থাকা হাতেগোনা বাড়িঘরের মাঝে মাঝে ফাঁকা জমি ছিল, বিকেল হলেই সেখানে পাড়ার ছেলেপিলেরা দঙ্গল বেঁধে নানান খেলায়--হাত ধরে গোল সারি,এলাটিন বেলাটিন স‌ই লো,কানা মাছি ভো ভো, রুমাল চুরি --মেতে উঠতো। সে এক হট্টমেলার ভরন্ত আসর! সেই সব দিনগুলো হারিয়ে যেতে খুব বেশি সময় অবশ্য লাগলো না। আমাদের মতো আরও অনেক অনেক পরিবার তাদের এপাশ ওপাশের ঠাঁই ছেড়ে এখানে এসে ধপাস করে থিতু হয়ে নতুন আস্তানা গাড়লো। ফাঁকা জমির গাছগাছালিরা কাটা পড়লো সবার আগে,আপন খেয়ালে পরমানন্দে বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড়, লতাগুল্ম সব রাতারাতি উজাড় হয়ে গেল। পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামীণ তকমা ঝেড়ে ফেলে গোটা অঞ্চল যেদিন মিউনিসিপ্যালিটির লাল, নীল খামের মধ্যে সেঁধিয়ে গেলো সেদিন থেকেই যেন জমির মলাট বদলে ফেলার ধুম লাগলো! ইট-বালি-সিমেন্ট-স্টোনচিপস্ আর সঙ্গে লোহার রডের তৈরি নানান ধরনের খাঁচায় বাঁধা পড়লো মানুষী পরিবারগুলো।আর এই অঞ্চলের সাবেক না-মানুষী অধিবাসীদের কী হলো? দু পেয়েদের আগ্রাসনের কাছে হেরে গিয়ে তারা এদিকে ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে বাধ্য হলো এক বুক দুঃখকে স্বীকার করে নিয়ে।

    (৩)
    এই দেখো ! অন্য কথায় মজে গিয়ে মিস্টার নেউল আর তার পরিবারের সাথে তোমাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই যে ভুলে গেছি। নেউল পরিবারের পাঁচ সদস্য‌ই এখন বাগানের দক্ষিণ পূর্ব কোণে থুক করে রাখা কাটাছাটা ঘাসপাতার তৈরি স্তূপের উপর উঠে মহানন্দে পোকামাকড় খুঁজে মুখে পুরছে। মা বাবা যেমন যেমন করছে টম-ডিক-হ্যারিও ঠিক তেমনি করে চলেছে। এমন এক কিন্ডারগার্টেন চলছে আমার বাগানে! ত‌ওবা,তওবা ! মিস্টার নেউল একটু ফাঁকা হতেই ব্যস্ত সাংবাদিকদের মতো তার মুখের সামনে বুম  বাগিয়ে ধরলাম গুরুর জন্য একটা এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার নেবার জন্য। এর পরের কথা মিস্টার নেউলের মুখেই শুনবো।

    (৪)
    বুম দেখেই আমার মতলব ঠাওর করে নিয়েছেন মিস্টার নেউল। মুখে সামান্য খুশির ঝিলিক এনে গলার স্বর বেশ গম্ভীর করে বলল--
    --  বলো কী জানতে চাও?
    --  না তেমন কিছু নয়, তুমি মানে আপনি যদি.....
    -- ওসব আপনি, আপনি বলতে হবে না। তুমিই ভালো ...
    -- আচ্ছা ঠিক আছে, তুমিই বলবো। না বলছিলাম কি তুমি যদি তোমাদের সম্পর্কে দু -একটা কথা গুরুর পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলো, তাহলে সবাই জানতে পারে তোমাদের কথা।
    -- জানা মানেই তো আমাদের নিকেশ করার ফন্দি আঁটতে শুরু করা। তবুও বলছি নেহাৎ তোমার কথা ভেবে। আমরা,মানে তোমার কথায় নেউলেরা এশিয়া আর আফ্রিকা মহাদেশে জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি। সারা অঞ্চল জুড়ে আমাদের চৌত্রিশ প্রজাতির জ্ঞাতিদের দেখা মেলে। হালকা ঘাসের তৃণভূমি আর খোলামেলা বন পরিবেশ‌ই আমাদের সবচেয়ে পছন্দের। খুব বেশি ঘন জঙ্গলে আমাদের পাবেনা কেননা সেখানে ভারী চেহারার দাদাদের দাপট অনেক বেশি। ঘন উজ্জ্বল বাদামি আর ধুসর লোমে ঢাকা আমাদের শরীর। লম্বায় আমরা তিন ফুটের মতো কিন্তু বাহারী লম্বা লেজের কারণে আমাদের আর একটু লম্বা দেখায়। খেয়েদেয়ে নাদুসনুদুস  সেয়ানা হয়ে উঠলে আমাদের ওজন হয় কেজি ছয়েক। ছোট ছোট পায়ে ছুটতে পারি ঘন্টায় প্রায় কুড়ি কিলোমিটার বেগে। আমরা হলাম অমনিভোরাস মানে সব্বভুক, ঠিক তোমাদের মতো। ঘাস,পাতা , পোকামাকড়,ফল সব খাই। এবার যেমন গোটা গরম কালটা তোমাদের এই বাগানের ঝরে পড়া আম খেয়ে কাটালাম আমরা সবাই। কি মিষ্টিগো আমগুলো ! কী নাম এদের?
    অনেকক্ষণ পর কিছু বলার সুযোগ পেয়ে যেন বর্তে গেলাম। বেশ গদগদ হয়ে বললাম --
    -- এই ডানদিকেরটা মল্লিকা, আর বাঁ দিকেরটা হলো আম্রপালি। বাবা হাতে ধরে লাগিয়েছিলেন। আমরাও আগলে রেখেছি যত্ন করে।
    -- বেশ করেছো। গাছগাছালিদের আগলে না রাখলে আমরা থাকবো কোথায় ? ঐ দেখোনা সাহাবাবুদের অত্ত বড়ো বাগানটা কেমন ছারখার হয়ে গেলো কেবল শরিকি বিবাদে। কতো বড়ো আশ্রয় ছিল আমাদের সকলের! আজ গৃহহীন পরিযায়ী হয়ে এক ঠাঁই থেকে অন্য ঠাঁইয়ে ঘুরে ঘুরে মরছি ।একটা স্থায়ী আস্তানা না হলে চলে?
    -- ঠিক কথাই বলেছো মিস্টার নকুল, একদম ঠিক কথা বলেছো। আচ্ছা, একটা কথা জিজ্ঞেস করতে ভারি ইচ্ছে করছে। এই যে বনবাদাড়ে এতো ঘুরে বেড়া‌ও, তোমাদের সাপ-খোপের ভয় নেই?
    -- হা হা হা। আমিও মনে মনে ভাবছিলাম কখন তুমি এই প্রশ্নটা করবে। আসলে অহি,মানে সাপেরা হলো আমাদের জন্মশত্রু। মুখোমুখি হলে আমরা ওদের ছেড়ে কথা ক‌ইনা। লড়াই করে ওদের ঘায়েল করে তবে আমাদের স্বস্তি। আসলে আমাদের শরীরে একটা বিশেষ ধরনের প্রোটিন আছে যা অহিদের মারণ বিষের কামড় থেকে আমাদের রক্ষা করে। তবে ইঁদুর হলো নকুলদের সবচেয়ে প্রিয় শিকার। মুষিকদের দেখা পেলে খুব মজা হয়। গর্ত থেকে টেনে বের করে এনে ওদের সাবাড় করতে নকুলদের জুড়ি মেলা ভার। এই যে তোমার বাগানের ইঁদুর গুলোকে কেমন দাবিয়ে রেখেছি বলো! তোমার অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছি , এবার আমার দুটো প্রশ্নের জবাব দাও দেখি!  ফটাফট উত্তর দিতে হবে।
    -- প্রশ্ন? আ আ আমাকে?
    --হ্যা, হ্যা তোমাকে। তুমি ছাড়া এখানে আর কে আছে শুনি?  বলি রিক্কি টিক্কির নাম শুনেছো? কোথায় তাকে পেয়েছো বলতো?
    --ও ! রিক্কি টিক্কি ? আরে,ও হলো রুডিয়ার্ড কিপলিং সাহেবের লেখা দ্য জাঙ্গল বুক-এর এক অনবদ্য নকুল চরিত্র। ঠিক বলেছি কিনা?
    -- একদম ঠিক বলেছো। এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন। বলতো তোমাদের কোন দেবতার বাহন নকুল?
    এবার আমি সত্যি সত্যিই নির্বাক। এই প্রশ্নের উত্তর তো আমার জানা নেই। আমার অবস্থা তখন কাশেম বাবার মতো। মন্ত্র আউড়ে দরজা খুলে বাইরে আসতে না পেরে তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর কথা স্মরণ করছি । অনেক নাম হাতড়ে বেদম হয়ে যখন মিস্টার নকুলের স্মরণ নেবার জন্য চোখ মেলেছি ,দেখি আমার বাগানে ছেড়ে নকুলবাবু অন্য বাগানের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে। সেই থেকে নকুলবাহনের খোঁজে হেদিয়ে মরছি।আপনারা কেউ কি জানেন ?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sarmistha lahiri | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০৮:০১522325
  • সাহিত্যের চরিত্র রা যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জীবপ্রকৃতির কথা ব‍্যক্ত করেছেতা লেখকের রচনা শৈলী তে অনবদ‍্য রূপে ফুটে উঠেছে।সেই সাথে বর্তমানের সবচেয়ে মারাত্মক সমস‍্যা অপরিকল্পিত নগরায়ন সেই বিষয়টি ও এখানে অন‍্য মাত্রা পেয়েছে।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1e:97c8:8000::***:*** | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০৮:১০522326
  • সহজ ভাষ্যে গভীর ভাব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন