এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ওয়েস্ট-বেঙ্গল মেমোরান্ডামটা কী

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ আগস্ট ২০২৩ | ১০১০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ওয়েস্ট-বেঙ্গল মেমোরান্ডামটা কী, কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন। সংক্ষেপে লিখে দেওয়া যাক, কারণ বিগত চল্লিশ বছরের ঘটনাবলী নিয়ে কোনো বই-টই এখনও লেখা হয়নি। ইতিহাসবিদরা একটু লেটে চলেন।  

    জরুরি অবস্থার পর, ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট।  সেই সরকারের অন্যতম অ্যাজেন্ডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পুনরুদ্ধার। এবং রাজ্যের হাতে আরও বেশি ক্ষমতার দাবী। এই নিয়ে একটা  দাবীপত্র  প্রকাশ করা হয়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় জনতা সরকারের কাছে পাঠানোও হয়। সেই মূল চিঠিটা এখন পাওয়া শক্ত। তবে তার মূল দাবীদাওয়া গুলো ছিল মোটামুটি এরকমঃ
    ১। সংবিধানের ইউনিয়ন শব্দটা বদলে যুক্তরাষ্ট্র করতে হবে।
    ২। প্রতিরক্ষা, বিদেশ, মুদ্রা, যোগাযোগ ছাড়া কেন্দ্রের হাতে আর কিছু থাকবেনা। সবই রাজ্যের হাতে দিতে হবে।
    ৩। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ধারাগুলো তুলে দিতে হবে।
    ৪। কেন্দ্রের আয়ের ৭৫% যাবে রাজ্যের হাতে।
    ৫। রাজ্যসভার হাতে লোকসভার সমান ক্ষমতা দিতে হবে। 
    ৬। সমস্ত সর্বভারতীয় সার্ভিস তুলে দিতে হবে। কেবল কেন্দ্রীয় সার্ভিস থাকবে, আর রাজ্য। (সার্ভিস মানে আইপিএস, আইএএস ইত্যাদি)। ... ইত্যাদি প্রভৃতি। 

    এই নিয়ে হইচই হয়েছিল বিস্তর। অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র ছিলেন পুরো ব্যাপারটায় সবচেয়ে সরব। তাঁর লেখায় সময়টার একটা জ্যান্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। ওঁর পকেটে সংবিধানের একটা ছোটো সংস্করণ থাকত। প্রায় মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। এই নিয়ে তর্ক হলেই, পকেট থেকে বার করে দেখিয়ে দিতেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই, অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন। দিল্লিতে একটা মিটিং এ দেখা হবার পর, লাঠি তুলে বলেছিলেন, ছদ্ম রাগ সহ বলেছিলেন, তোমাদের কিচ্ছু দেবনা। এক কানাকড়িও না। অশোক মিত্র তৎক্ষণাৎ উত্তর দেন, তাহলে ডাকলেন কেন? মোরারজিরও হাজির-জবাব। তিনি বলেছিলেন, ওই যে, দেবনা, সেইটা বলার জন্য। 

    এইটা এইজন্য লিখলাম, যে, ব্যাপারটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে পেশ করা হয়েছিল এবং এগোনোও হচ্ছিল সেই সময়। মোরারজির অবস্থান আগের কেন্দ্রীয় সরকারের চেয়ে আলাদা কিছু ছিলনা। সেখানে দরবার করে বিশেষ কিছু জোটেনি। তারপর তো ইন্দিরা আবার ক্ষমতায় চলে আসেন। কিন্তু এই ঠেলার চোটে, ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথমবার,  বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন হয়েছিল, যার নাম শ্রীনগর কনক্লেভ। সেখান থেকেও এক গুচ্ছ অর্থনৈতিক দাবীদাওয়া পেশ করা হয়। বোধহয় তিরাশি সালে, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক পুনর্মুল্যায়নের জন্য তৈরি হয় সারকারিয়া কমিশন। তৈরি হয়, আন্তঃরাজ্য পর্ষদ।

    এর সবকটাই, শেষমেশ অশ্বডিম্ব প্রসব করে। ৭৭এর দাবীদাওয়ার ধারেকাছেও পৌঁছনো যায়নি। ৮৬ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গেও, আওয়াজটায় ভাঁটা পড়ে। স্থিতাবস্থার রাজনীতিকে হাওয়া দেওয়া হয়। অশোক মিত্রকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রী হন অসীম দাশগুপ্ত। কদিন পর থেকে "এই বেশ ভালো আছি" মোডে তিনি ঘাটতিশূন্য বাজেট পেশ করা শুরু করেন। ওই ৮৬ সালেই হয় বিখ্যাত হোপ এইট্টিসিক্স। কেন্দ্রীয় সম্প্রচারের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে বোম্বের পালে হাওয়া দেওয়া শুরু হয়। নব্বইয়ের দশকে গ্যাট-বিরোধী আন্দোলন হয় সজোরে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ধামাচাপা পড়ে যায়। তারপর মাশুল-সমীকরণ উঠে যায়, উদারীকরণের জোয়ার আসে। ততদিনে তৃণমূল জন্মে গেছে। সিপিএম-তৃণমূল কেশপুরে ফাটাফাটি করছে। ছোটো আংরিয়ায় ১০-১২ জন খুন হল ২০০১ সালে। মমতা একবার বাজপেয়ির সঙ্গে জোট করলেন, তারপর একবার কংগ্রেসের সঙ্গে। এইসব নানা রাজনৈতিক লোফালুফির মধ্যেও সব পক্ষই দিল্লীশ্বর  এবং জিএসটিতে বিশ্বাস অর্পণ করল।

    ২০০৫-৬ থেকে বুদ্ধবাবুর জমানা। বামফ্রন্ট সরকার দিশাহীনতার শিখরে পৌঁছল। যুক্তরাষ্ট্র-ফাষ্ট তখন অতীত, বাম ভাবধারার একটাই অর্থ, ভদ্দরলোকের ছেলে-মেয়েরা কেন চাকরি করতে বেঙ্গালুরু যাবে। কেন্দ্রের সঙ্গে এখন আর সংঘাত নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গকেই চিন বানানো হবে। এর মধ্যে মাতৃভাষায়-শিক্ষাদান যে ভুল ছিল, সেটা স্বীকার করে নেওয়া হল (বাদ গিয়েছিল, এখানে গুঁজে দিলাম)। বড় মিডিয়া, বামফ্রন্ট সরকারের ইতিহাসে প্রথমবার, মুখ্যমন্ত্রী-ভজনা শুরু করল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ চিন হলনা, বরং সোভিয়েত ইউনিয়নের গর্বাচেভের মতো বুদ্ধবাবু হেরে গেলেন, মমতাদেবী ক্ষমতায় এলেন ২০১১ সালে। আসার পর তিনি রিলিফের রাজনীতি শুরু করলেন। কন্যাশ্রী ইত্যাদি যা শুনতে পাই আমরা এখন। সে খুবই ভালো জিনিস, কিন্তু তাঁর পরিকল্পনাটা কী, বোঝা শিবের অসাধ্য। আদৌ আছে কিনা কেউ জানেনা। কখনও বাংলার মেয়ে হয়ে ভোটে দাঁড়ান, কখনও শাহরুক খানকে ব্র‌্যান্ড অ্যাম্বাসাডার বানান। পক্ষে-বিপক্ষে পরের কথা, যুক্তরাষ্ট্র অ্যাজেন্ডাটা নিয়ে তিনি আদৌ সচেতন কিনা, বোঝা দুষ্কর।

    ৭৭ এর মেমোরান্ডাম কিন্তু তামাদি হয়ে যায়নি। তাত্ত্বিকভাবে নকশাল, সিপিএম, সকল বর্ণের বামেদেরই ওটাকে সমর্থন করার কথা। কিন্তু যদি নাম-ধাম তুলে স্রেফ দাবীগুলো লিখে দেন, তাঁরা নাক সিঁটকে বলবেন, এ কী সংকীর্ণ প্রাদেশিক ব্যাপার। এর একটা কারণ হল, পড়াশুনো গোল্লায় গেছে। দুই, তাঁরা শহুরে মানুষ, হিন্দি-ইংরিজিতে সমস্যা কিছু পাননা। আর তিন, বাম ঘরানায় শাইনিং ভদ্দরলোকেদের আধিপত্য। ছেলেমেয়েরা কেন বেঙ্গালুরুতে যাবে, এই নিয়ে মিছিল ডাকলে নির্ঘাত তাঁরা ভিড় জমাবেন, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নয়। 

    আর তৃণমূলের অবস্থা আরও খারাপ। একে তো দলটা ৭৭ এ জন্মায়নি। তার উপর তাঁরা ভোটে জেতা ছাড়া আর ঠিক কী করবেন, এটাও স্থির করে উঠতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্র তো অনেক পরের কথা, বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হবে কবছর আগে যেন ঘোষণা হয়েছে, সে আর নড়েওনি চড়েওনি। একশদিনের টাকা আটকে দিলে যেকোনো দল আন্দোলন করে ফাটিয়ে দিত, ওইটাই ইস্যু হত। সেটাই করে উঠতে পারেননি, তো যুক্তরাষ্ট্র। ওর চেয়ে ডিজে বক্সে বলিউডি গান চালিয়ে নৃত্য করা অনেক বেশি জনমোহিনী কারবার।

    নির্ঘাত কিছু জিনিস বাদ গেল। কিন্তু প্রবন্ধ তো না, লেখার সময় যা মনে পড়ল, তাই ঢের।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.***.*** | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৭521984
  • লন্ডন থেকে এসে 
    ঢনঢন রাও
    বললেন, আংরেজি
    জলদি হটাও।
    বক্তৃতা দিয়ে শেষে
    আজ ভোর ছটাতে
    বিলাতে গেছেন ফিরে
    আংরেজি হটাতে।
  • দীপ | 42.***.*** | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪১521985
  • পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীদের বাংলাভাষার জন্য কান্নাকাটি দেখলে এই ছড়াটাই মনে পড়ে যায়!
  • সৃষ্টিছাড়া | 2405:201:8003:9f5a:91c5:f5f3:4b0f:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১১:৫৪521986
  • বেশ তো তাই হোক
    দেখা নয় নাই হোক
    ওমনি থাকবে মনে
    জানি না তাকে মা
  • দীপ | 42.***.*** | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০৬521987
  • মাতৃভাষার জন্য লড়াই করেছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ ভারত। আর পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা বাংলাভাষার জন্য কান্নাকাটি করে ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করেছেন,  মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গর্জন করে ছেলেমেয়েদের আমেরিকায় পাঠিয়েছেন!
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::48:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৮521991
  • চাড্ডিচোদা গান্ডুটার মাথায় স্রেফ শেষের প্যারাদুটো ঢুকেছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ওর বাপেদের বিলকুল পছন্দ নয় তাই হোয়াটস্যাপ ইউনি থেকে মেটেরিয়াল আসে নি। ফলে গান্ডু ওই লুপেই চক্কর কাটবে আর চাদ্দিক থেকে জঞ্জাল এনে ঢালবে।
    তা সৈ বর সাইটে আসিসই বা কেন রে চাড্ডিচো? মহাবিপ্লবীদের ফেসবুকে ফলো করে করে বেড়াসই বা কেন? স্ক্রিনশট নিয়ে চুগলিবাজি আর  অন্যের লেখার নীচে উঞ্চবৃত্তি করা ছাড়া নিজস্ব কিছু নেই। বিদ্যেয় কুলোলে নিজে সাইট বানা নিদেন একটা ব্লগ বানা ওয়ার্ডপ্রেসে। তারপর সেখানে জঞ্জাল জমা কর।
  • এলেবেলে | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৩521994
  • সৈকতবাবু ইত্যাদি, প্রভৃতির আড়ালে একটা জিনিস যে কেন ভুলে গেলেন, ঈশ্বরই জানেন। ওতে এ কথাও লেখা হয়েছিল --- Of the total revenue raised by the Centre from all sources, 75 per cent should be allocated to the states।
     
    কালকের আনন্দবাজারের উত্তর-সম্পাদকীয়তে এই প্রসঙ্গটা হালকাভাবে এসেছিল। কিন্তু যে রাজ্য এই দাবিসনদ কেন্দ্রের কাছে হাজির করে, সেই একই রাজ্য কি আজ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের ৭৫ শতাংশ ব্যয় করার কথা এমনকি কাগজে-কলমেও বলেছে? কিংবা তাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সরকার? সব টাকা খরচ হবে কলকাতার উন্নয়নে? আর বাকি জেলাগুলো আঙুল চুষবে বুঝি? বিকেন্দ্রীকরণ কি কেন্দ্র-রাজ্যের ব্যাপার নাকি সেটা জেলা হয়ে নিম্নবর্তী স্তরগুলোতেও হবে-টবে? 
  • এলেবেলে | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৪521995
  • সরি, আমারই ভুল হয়েছে। উনি ৪ নম্বর দাবিদাওয়ায় প্রসঙ্গটির উল্লেখ করেছেন। 
     
    বাকি বক্তব্য একই থাকছে।
  • | 2402:3a80:1983:f4d6:5819:b510:bc44:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২৩ ২০:০৭521996
  • টাকা যা আসবে মন্ত্রী আর তাদের শয্যাসঙ্গীদের দেশ বিদেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। ও নিয়ে ভেবে কী লাভ। অন্যরকম রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব? আম জনতার স্বার্থে আদর্শবাদী রাজনীতির জন্য প্রাণ বাজি রাখা হাজার পঞ্চাশ ছেলেপিলে যোগাড় করা সম্ভব তাদের উপযুক্ত ট্যাকটিকাল লিডারশিপ সহ?
  • মন্ত্রী আর তাদের শয্যাসঙ্গী | 192.139.***.*** | ০১ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪৫521998
    • | 2402:3a80:1983:f4d6:5819:b510:bc44:e9e6 | ০১ আগস্ট ২০২৩ ২০:০৭521996
    • টাকা যা আসবে ... 
     
    টাকাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকলে বেশি নিরাপদ থাকবে বলছেন?
    পঞ্চাশ হাজার ছেলেপিলে দিয়ে #সেবক বাহিনী তৈরি হবে?
  • Bratin Das | ০২ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৫৩522017
  • দেখুন মান্না দের গানের ভুল আমি সইতে পারি নে!! 
     
    বেশ তো তাই হোক
    দেখা নয় নাই হোক
    ওমনি ফুরাবে তাহা
    জানি না তা মানি না।. 
     
    ইত্যাদি। প্রভৃতি 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:২৬522039
  • এই লেখাটি ভালো লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন