এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মোগল সরাই অভিযান 

    Angsuman Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৮৫ বার পঠিত
  • অনেকদিন পর দূর থেকে ভেসে আসা চেনা সুরে রহমতের গলার আওয়াজ পেয়েই বুঝলাম ও ঠিক আমার বাড়ি আসবে ৷ রহমত মানে কাবুলিওয়ালা নয়, সে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের বাসিন্দা। তার পেশা পুরোনা বইখাতা, কাগজ, লোহালক্কড় বাড়ি বাড়ি থেকে কিনে মহাজনের কাছে বিক্রি করা। কোন বাড়ি থেকে বই বা পত্রিকা পেলেই ও আগে আমার কাছে নিয়ে আসে, আমিও বেছেবুছে কিনে নিই। সংগ্রহযোগ্য হলে রেখে দিই বা পড়া হয়ে গেলে পরের বার আবার ওকেই কম দামে বিক্রি করে দিই। ভাবতে ভাবতেই দরজার কাছে এসে ডাক দিল- দাদা কিছু বই পত্তর এনেছি গো।

    দরজা খুলে দেখি মাথার ঝাঁকাটা সামনে নামিয়ে রেখেছে। বলল - কটা বই আছে নেবে? দেখলাম বেশ কিছু সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা রয়েছে ওর ঝাঁকায়। বললাম- দিয়ে যাও সব, সামনের মাসে এস।

    রহমতকে দাম মিটিয়ে পত্রিকাগুলো নিয়ে বসলাম, একটু নেড়ে চেড়ে দেখব বলে। কয়েকটা ভাল ভাল সংখ্যা রয়েছে, সেগুলো আলাদা করে রাখলাম। একটা পত্রিকার মাঝে দেখি একটা চটি খাতা রয়েছে। মলাটে নাম লেখা রয়েছে "গঞ্জিকা প্রসাদ চাড্ডি"। এরকম কারো নাম হয়? কে জানে। পাতা ওলটালাম, দেবনাগরী হরফ ঘেঁষা বাংলা হাতের লেখায় একটা গল্প গোছের কিছু লেখা আছে। উৎসাহী হয়ে পড়তে শুরু করলাম। কী অদ্ভুত লেখা! আমি অন্তত কখনও এরকম বিষয় পড়িনি, আপনারা পড়েছেন কিনা জানিনা। লেখাটা বরং এখানে হুবহু টুকে দিই, আপনারাও তাহলে পড়তে পারবেন।   

    মোগল সরাই অভিযান
    -----------
    শ্রী গঞ্জিকা প্রসাদ চাড্ডি
    -------------

    মোগল বংশের প্রতিষ্ঠাতা বাবর খুব ভালো করেই জানতেন যে ইব্রাহিম লোদি কন্দহরের মত পাথুরে রুক্ষ স্থানের মানুষ হওয়ায় জলে খুব একটা সচ্ছন্দ নন। তাই যুদ্ধটাকে তিনি টেনে আনলেন পানিপথে। পানিপথের পানিতে হাপুস হুপুস করে ইব্রাহিম লোদি ক্লান্ত, অবসন্ন হয়ে পড়লেন ও যুদ্ধে পরাস্ত হলেন। বাবরের সৈনরা তাঁকে হত্যা করল। মৃত্যুর পূর্বে ইব্রাহিম লোদি বলে গেলেন - হে পামর বাবর, আজ তুমি আমাকে হত্যা করে ক্ষমতাচ্যূত করলে বটে কিন্তু জেনে রেখ একদিন আমারই বংশোদ্ভূত কেউ তোমাদের ওপর এর প্রতিশোধ নেবে। 
    ইব্রাহিম লোদির অনুচর ও সন্তানরা তাঁকে যথাসম্ভব মর্যাদায় কবর দিয়ে আত্মরক্ষার জন্য দ্রুত সেখান থেকে পালাতে লাগলেন। বাবরের মোগলাই সৈন্যরা লোদির বংশধরদের দেখলেই হত্যা করছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকে মারা পড়লেও কেউ কেউ পালাতে সক্ষম হলেন, কেউবা অনেক কষ্টে কোন গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকলেন। যাঁরা লুকিয়ে থেকে গেলেন, তাঁরা মোগল সৈন্যদের হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের "লোদি" পদবী বদলে "গোদি" করে ফেললেন যাতে সহজেই কেউ সনাক্ত করতে না পারে। 

    এইভাবে বছরের পর বছর কেটে গেল। গোদি পরিবার বংশবিস্তার করে অনেক বড় হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ল। ক্রমশ তাঁরা ঐ অঞ্চলের মূল শ্রোতে এসে স্থানীয় ভাষা, পোষাক, সংষ্কৃতি, অপকৃতি ও ধর্ম গ্রহণ করে ফেললেন। বংশপরিচয় বা ঐতিহ্য কিছুই রইল না, কেবল মনের মধ্যে রয়ে গেল পূর্ব পুরুষ ইব্রাহিম লোদির মোগল বিদ্বেষ।

    পট পরিবর্তন হল। কয়েকশো বছর পর কলকাতার লালরতন সরকার হাসপাতালের ফ্রি বেডে মোগলদের শেষ বংশধর মারা যাবার পর মোগল বংশ সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেল। গোদি তথা লোদি বংশের কেউই মোগলদের নিজের হাতে প্রতিশোধ নেবার সুযোগ পেলেন না, কারণ গোদি বংশ ততদিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে, পেশা বদলে ফেলেছে। গোদিদের কেউ হয়েছেন শিল্পপতি কেউ গদিপতি, কেউ সরব কেউ নীরব, কেউ বসন্ত কেউ ললিত, কেউ চোর কেউ ডাকাত অথবা কেউ অতি সাধারণ খেটে খাওয়া ছাপোষা মানুষ। 

    লোদি তথা গোদি বংশের এক অতি সাধারণ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের ঘরে পুনর্জন্ম  নিলেন ইব্রাহিম লোদি। যদিও কেউ তাঁকে চিনতে পারল না। আদর করে তার নাম রাখা হল লরেনভাই। লরেনভাই খুব বুদ্ধিমান কিন্তু খুব দামাল ছেলে হয়ে উঠল।  ইস্কুলে যত না পড়াশোনা করে তার চেয়ে বেশি দুষ্টুমি করে। পাড়া প্রতিবেশীরা তার জ্বালায় অতিষ্ঠ। কখনো কারো গাছ থেকে নারকেল পেড়ে নেয়, ধোকলার মধ্যে ধুলোবালি ফেলে দেয়, কখনো বা কেউ পাপড়  ভেজে রেখেছে সেখানে গিয়ে দুমদাম হাত পা চালিয়ে সব গুঁড়ো গুঁড়ো করে দেয়। মাঝে মাঝেই ঘর থেকে টাকা পয়সা নিয়ে দুর দুরান্তে পালিয়ে যায় তারপর টাকা ফুরিয়ে গেলে আবার বাড়ি ফিরে আসে। 

    লরেনের দুষ্টুমির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে ও পড়াশোনায় একদম মন নেই দেখে তার বাবা অল্প বয়সেই তার বিয়ে দিয়ে দিলেন ও রেল স্টেশনে ঝিআরপিকে পয়সা দিয়ে একটা চায়ের দোকান খুললেন। আজ থেকে পঞ্চাশ পঞ্চান্ন বছর আগে তখন এক ভাঁড় চায়ের দাম ছিল দশ কি পনেরো পয়সা। কিন্তু বাবার অনুপস্থিতিতে লরেন সেই এক ভাঁড় চা দুই টাকায় বিক্রি করত। বেশি দাম নিয়ে তাই খদ্দেরদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই ঝগড়া ঝামেলা হত। একদিন পাশের এক মোগলাই পরটার দোকানের মালিক লরেন ও খরিদ্দারের ঝগড়ার মধ্যস্থতা করতে এসে খরিদ্দারের পক্ষ নেওয়ায় লরেন রেগে গিয়ে সেই দোকানের মালিককে মারধর করে দোকান ভেঙে সব মোগলাই পরোটা নষ্ট করে দিল। অনেক ক্ষতি হওয়ায় মোগলাই পরোটার দোকান বন্ধ হয়ে গেল। অনেকে বলেন যে এই ঘটনাই লরেনের জীবনের প্রথম মোগল সরাই অভিযান।

    গণ্ডগোলের সময় ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনে এক বয়স্ক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর পরনে ছিল বিশাল ঘেরওয়ালা, প্রায় মেয়েদের মিনি স্কার্টের মত খাকি হাফপ্যান্ট, সাদা জামা, মাথায় টুপি, কপালে তীলক। প্রথম থেকেই সমস্ত ঘটনা তিনি দেখছিলেন। গোলমাল কিছুটা স্থিত হবার পর তিনি লরেনকে আড়ালে ডাকলেন। অভিজ্ঞ দৃষ্টিতে তিনি বুঝেছিলেন যে এই ছেলেটির মধ্যে সম্ভবনা আছে, একে কাজে লাগাতে পারলে তাঁদের উদ্দেশ্য, আশ্রম তথা সংগঠনের যথেষ্ট উন্নতি হবে। 

    তিনি লরেনকে বললেন - বাবা আমার নাম ভীন ভয়াল ভূপাধ্যায়, আমরা জাতীয় একতা ভঙ্গ নামক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক। আমরাও তোমার মত মোগলাই বিরোধী, তা  পরোটা হোক বা ইতিহাস। ঐরকম আরও যা যা মোগলাই ব্যাপার স্যাপার আছে তা আমরা মুছে ফেলতে চাই। তুমি আমার সঙ্গে নাগপুরে আমাদের আশ্রমে চল। তোমাকে আমরা খুব ভালো করে তোমার মাথা ধুয়ে, শিখিয়ে পড়িয়ে মোগল সরাই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলব। আমরা সব মোগল ও মোগলাই মুছে দেব।

    কিশোর লরেন, ভূপাধ্যায়ের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বয়স্ক বাবা-মা, ছোট ছোট ভাই বোন, কচি বৌ, সব ফেলে এক কথায় তাঁর সঙ্গে নাগপুরের আশ্রমে চলে গেল। সেখানে তাকে কুস্তি শেখানো হল, কি করে পুরোনো সৌধ ভাঙা হয়, তা শেখানো হল, গুহার মধ্যে বসে ক্যামেরার সামনে ধ্যান করা শেখানো হল। লরেন নিজ গুণে সব শিক্ষা আয়ত্ত করল। কয়েক বছর পর এক রবিবারে লরেন দেহলী ইউনিভার্সিটি এসে একা একা পরীক্ষা দিয়ে এম এ পাশ করে তার সার্টিফিকেট কম্পিউটারে প্রিন্ট করে নিয়ে এল। যদিও অনেকে বলেন সেই সময় নাকি কম্পিউটারের প্রচলন হয়নি, তবে তাঁরা জানেন না যে কম্পিউটার আমাদের দেশে বৈদিক যুগেও ছিল। তৈমুর লং সেই কম্পিউটার চুরি করে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দেন। চুরি যাওয়া সেই কম্পিউটারের কিছু কিছু প্রোগ্রাম অগ্রদেশের তেজাস মহলের গুপ্ত কক্ষের দেয়ালে এখনো খোদাই করে লেখা আছে।

    গত শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাবরের তৈরি করা একটি উপাসনা গৃহ ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হল। নাগপুরের জাতীয় একতা ভঙ্গ আশ্রম থেকে লরেনকে সেখানে ইন্টার্নশিপ করতে পাঠান হল। যুবক লরেন খুবই দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেন। 

    আশ্রম কর্তৃপক্ষ খুশি হয়ে ভারত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সংস্থার বিজনেস কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান করে পাঠালেন। সেখানে অন্য কাজের সঙ্গে সঙ্গে মোগল সরানোর কাজও লরেনভাই শুরু করে দিলেন। যদিও মোগলরা তখন কেউই আর নেই, কিন্তু তাদের সমমানের গোষ্ঠী, স্মৃতি আঁকড়ানো সেকুরা রয়েছেন (বিজনেস কন্ট্রোল বিভাগে মাকুরা নেই)। পূর্ব জন্মের প্রতিশোধ স্পৃহা জাগিয়ে লরেনভাই তাঁদের ওপর যথেষ্ট শোধ নিতে শুরু করে দিলেন ও তাঁদের জীবন দুর্বিসহ করে তুললেন। নাগপুরের আশ্রম কর্তৃপক্ষ আরও খুশি হয়ে এবার লরেনভাইকে ভারত এন্টারপ্রাইজের সি ই ও করে দিলেন। 

    সি ই ও হয়ে লরেন ভারত এন্টারপ্রাইজের বেশ কিছু চালু মেশিন বিক্রি করে দিলেন, কোম্পানির ব্যালেন্স শিটে বিশাল লাভ দেখিয়ে দিলেন ও পুরো কোম্পানি জুড়ে মোগল সরাই অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা ছকে ফেললেন। এমন দক্ষ ভাবে সেই প্ল্যান করলেন যে কোম্পানির দুর্বল ক্যালেনডার সেকুমাকুরা আরও দুর্বল হয়ে চিঁ চিঁ করে মিহি সুরে ডাক দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করে উঠতে পারল না।

    এখনো পর্যন্ত সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভারত এন্টারপ্রাইজএর মোগল সরাই অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ হল কোম্পানির ইস্কুলে মোগল পর্ব, মুষল পর্ব, মান পর্ব বাদ দিয়ে লরেনভাইএর ছোটবেলার কাহিনী "বাল-লরেন" পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা ।

    *************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:9004:4cc4:7b48:***:*** | ০১ মে ২০২৩ ০০:৪২519241
  • devil
  • হিজি-বিজ-বিজ   | 2603:8000:a403:4186:dc16:89cf:fce8:***:*** | ০১ মে ২০২৩ ০৬:৫১519246
  • বামঐস্লামিক থেকে প্রবল ভাৱে অনুপ্রাণিত। তা হোক ,  এ দুঃসময়ে স্বাগত।
  • Angsuman Ghosh | ০১ মে ২০২৩ ০৮:০১519248
  • হিজি-বিজ-বিজ আপনার বক্তব্য একশো ভাগ সত্য। এখন তো অনুপ্রেরণাই সব। ধন্যবাদ।
  • Sobuj Chatterjee | ০১ মে ২০২৩ ০৮:৫০519249
  • অসাধারণ মেটাফর! ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন