এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পরাণ বাগ্দী- ১০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ জুন ২০২২ | ৭০২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  •     
    সকাল নটার সময় মৌসুমীর মোবাইলে কলতানের একটা কল এল ।
    ----- ' হ্যালো স্যার ... বলুন ... '
    ----- ' হ্যা ... ঠিক আছিস তো ? তোকে এরকম একটা আনসেভারি রেসপনসিবিলিটি  দিয়ে আমি খুব আনইজি ফিল করছি । দেখ .... তোর তেমন অসুবিধে হলে ... ছেড়ে দে ... আমি অন্য কিছু ট্রাই করছি ... '  
    ----- ' না না ... স্যার ... আমি কাজটা যখন নিয়েছি ... শেষ করেই ছাড়ব ... আমারও তো গরজ আছে না ? একটা নীরিহ লোক এইভাবে... তাছাড়া মাঠে খেলতে নেমে গেছি ... এখন আমি ছাড়তে চাইলেও বসন্ত ছাড়তে চাইবে কি ? '
    ----- ' এই তো ... গোয়েন্দার সঙ্গে দুদিন মিশে তোরও গোয়েন্দা বুদ্ধি খুলে গেছে দেখছি । সাবাশ ... । তবে তুই সেফটি এবং সিকিউরিটির ব্যাপারে চিন্তা করিস না । তুই দেখতে পাস আর নাই পাস , অন্তত তিনজন তোর ওপর নজর রাখছে তুই বাড়ি থেকে বেরোবার পর থেকেই । তুই কোন টেনশান নিস না ... প্রোটেকশান আছে । '
    ----- ' ও আচ্ছা ... ' মৌসুমী উদাসীন গলায় বলল ।  ' ... এখন , নেক্সট মিটিং টা কবে  কোথায় হবে কিছুই তো ঠিক হল না ...কাল  বসন্তর বাবার ফোন এসে গেল ..... কি একটা বলল , বোধহয় কি সব ট্যাক্সের ব্যাপার ট্যাপার হবে , বসন্ত হন্তদন্ত হয়ে ছুটল ...'  
    ----- ' ভাল ... ' কলতান নির্বিকারভাবে বলল । 
    ----- ' ভাল .... মানে ? ' 
    ----- ' ভাল মানে ভাল । চাপে থাকলে তবেই তো হৃদয় দুর্বল হবে । আর .... দেখা সাক্ষাতের ব্যাপারে তোকে কোন উদ্যোগ নিতে হবে না । গাড়ি যে চালু হয়ে গেছে । বসন্ত মন্ডলই তোর সঙ্গে কনট্যাক্ট করবে । ও তো ডাঙায় তোলা মাছের মতো খাবি খাচ্ছে জলে গিয়ে পড়বার জন্য । তুই হচ্ছিস ওর জল , বুঝলি ... তোর ফোন নাম্বারটা আছে তো ওর কাছে ? '
    ----- ' হ্যা ... আছে ...'
    ----- ' তা'লে আর চিন্তা নেই । বসন্ত বার্তা এল বলে । আমি এখন লুকিয়ে পড়ছি তা'লে ... আর হ্যা ... বেরোবার আগে ডিভাইসটা লাগিয়ে নিস কিন্তু ....ওটাই কিন্তু মাছ ধরার জাল ... ওকে , বায় ... ' 
    ----- ' ও: ... আপনি পারেনও বটে ... ' মৌসুমী না হেসে পারল না  । 
    কলতানের কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে মিনিট পাঁচেক যেতে না যেতে মৌসুমীর ফোন বাজতে লাগল ‌। বসন্তের ডাক এল ...
    ----- ' হ্যা বল ... কাল তুমি ওভাবে চলে  এলে  ... মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল ...' গলায় যতটা সম্ভব গাঢ় মাধুরী রস ঢেলে বলল মৌসুমী। 
    তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হতে চলল ।   
     এহেন বিষণ্ণতা মাখা মাধুরীর বশে  মৌসুমী বিহনে ইতিমধ্যেই  গভীর সন্তাপ আক্রান্ত বসন্ত  তার আফশোস, অনুশোচনা এবং কাতরতা  প্রকাশে একেবারে লাগামছাড়া হয়ে গেল তার স্বাভাবিক স্টাইলে...   
    ----- ' আরে শালা ... কি বলব ... হারামি বাপটা ... জ্যান্ত শনি ... ঠিক টাইমে টাইমে কাঠি মারবে ... গলায় যেদিন চাকু চালিয়ে দেব বুঝবে শালা ... '
    মৌসুমীর সারা গা গোলাতে লাগল ।
    বসন্ত কথাগুলো বলে ফেলেই নিজের মারাত্মক ভুলটা বুঝতে পারল । সে অবিমৃশ্যকারিতাটা মেরামতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল প্রাণপণে । 
    ------' ও হো হো হো ... সরি সরি ...  আমাকে মাফ কর ... কিছু মনে করিস না ... ভাল লোকের সঙ্গে তো মেশবার সুযোগ পাইনি 
    কোনদিন ... আর কোনদিন বলব না এসব ... বিশ্বাস কর ... রাগের মাথায় মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে ... '  বসন্ত অতি কাতরভাবে তার অবাঞ্ছিত গোত্রের বাক্যপ্রয়োগের জন্য  বারংবার অনুতাপ জ্ঞাপন করতে লাগল ।  
    মৌসুমীর বুকের ভিতর এক কোনে কে যেন বিন্দু বিন্দু জল সিঞ্চন করতে লাগল । ভাবল, একটা পাষন্ড খুনীরও বুকের উষর ভূমির কোথাও একটা নির্জন বৃক্ষের শান্ত ছায়া থাকতে পারে । 
    সে শান্ত স্বরে বলল , ' ঠিক আছে আর কখনও এমন বোল না ... ' 
    ----- ' না না ... না না ...  না না ... '
    এর চেয়ে ব্যঞ্জনাপূর্ণ ভাষায় ভাবপ্রকাশের নিপুনতা বসন্তর আয়ত্বে নেই ।  
    ------  ' আজ তাহলে কোথায় ... মানে , আজ সময় হবে তো ? ওই আমতলার মাঠটা খুব ভালো লাগছিল কাল ...কি সুন্দর ... ' বসন্ত এলোমেলোভাবে তার বক্তব্য নিবেদন করতে থাকে । 
    ----- ' আচ্ছা আচ্ছা ... ঠিক আছে ... ওখানেই এস .... পাঁচটা নাগাদ ' সম্পূর্ণ পরিণত ভঙ্গীতে বলল মৌসুমী । তার ধাঁধা লাগতে লাগল,  তার বয়স কি নিমেষে আঠারো থেকে বেড়ে আঠাশ হয়ে গেল !  

         আজ আর সূর্যাস্ত দেখা যাবে না । আকাশ মেঘলা । সেই নারকোল গাছের সারির সামনে গিয়ে বসে পড়ল মৌসুমী । বসন্ত দাঁড়িয়ে আছে। 
    ----- ' কি হল ... বস ... '  
    বসন্ত বসল মৌসুমীর পাশে ।
    ------ ' তুই কিছু মনে করিসনি তো ? '
    মৌসুমী হেসে জিজ্ঞাসা করে , ' কি ... কি জন্য ? '
    ----- ' ওই যে ... ফোন করার সময় আজেবাজে কথা বলে ফেললাম রাগের মাথায় ... '
    ----- ' ও ঠিক আছে ... মাথা ঠান্ডা রাখ ... রাগ খুব খারাপ জিনিস ... রাগের মাথায় আমরা কত কি ঘটিয়ে ফেলি তার জন্য পরে আফশোস করতে হয় । 
    এ কথা শুনে বসন্ত কেমন চমকে উঠল ।
    বলল, ' হুঁ হুঁ ... তাই তো ... '
    মৌসুমীর জামার নীচে লাগানো যন্ত্রটা মৌসুমী চালু করেই রেখেছে । 
    বসন্তর পিঠে আলতো করে হাত রাখল মৌসুমী। ছোঁয়াটা পিঠ থেকে বসন্তর বুকের ভিতরে গিয়ে বসল হৃদয় অবশ করে দিয়ে ।
    ------ ' এখন কোন চিন্তা নেই ... আমি এসে গেছি ... তাই না ? '
    মৌসুমী এটা বোঝে বসন্তর রক্তকনিকায় পুরুষসুলভ উন্মাদনা যে কোন মুহুর্তে জেগে উঠতে পারে । সে জানে বিবশতার শীতল প্রলেপে সেটা জুড়িয়ে রাখতে হবে তাকে । যাতে বিশেষ কোনও শারীরিক উদ্যোগে ও সচেষ্ট না হয়। 
    সে বলল,  ' তোমাদের কতদিন ধরে দেখছি .... তোমাকে ছোটবেলায় কত কষ্ট করতে হয়েছে ... অনন্তকাকার বাড়িতে থাকতে .... কত কাজ করাতো তোমাদের দিয়ে ... এমনকি জেঠিমাকে দিয়েও । অনেক সময় খেতেও দিত না ... আমি তো তখন তোমাদের বাড়িতে 
    প্রায়ই যেতাম শাড়ি নিয়ে । দেখেছি সব .... খুব খারাপ লাগত ... কিন্তু কি করব ... মনে হত কিছু করি .... কিন্তু আমি কি বা করতে পারতাম ... ভাবতাম কিছু বলি ... কিন্তু মনে হত আমি কিছু বললে যদি আবার  ...'
    মৌসুমী লক্ষ্য রাখতে লাগল বসন্তর প্রতিক্রিয়ার দিকে ...
    ' ... মনে হত আমি কিছু বললে যদি আবার ... '
    মৌসুমীর উদ্দেশ্য সফল হল । ঢিলটা মৌচাকের ঠিক মাঝখানে লাগল । জ্বলন্ত ক্রোধে দিশাহারা মস্তিষ্কের মৌমাছিগুলো স্থান কাল উপস্থিত পাত্র (পাত্রী ) সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়ে ঝাঁক বেঁধে বেরিয়ে পড়ল ... '
    ------ ' সেই জন্যেই তো দিলাম ফিনিশ করে ...'
    মৌসুমী সুকৌশলে হালকা একটা খোঁচা দিল...
     ' ওমা ... তাই নাকি ! কি করে ? ' 
    ক্রোধের মৌমাছিরা বেরিয়ে পড়েছে । দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে অদৃশ্য শত্রু খুঁজতে লেগেছে ...
      '... শালা রাত বারোটার সময় বাগানে দাঁড়িয়ে হাওয়া খাচ্ছিল ... রোজই খেত... সেদিন তৈরি ছিলাম ... আমি গিয়ে জাপটে ধরলাম মুখটা চেপে ...আমার বাবার তৈরি হাত ... গলায় আড়াআড়ি চাকু টেনে দিল ... ওস্তাদ লোক ... কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার ...'
    বসন্তকে যেন ভূতে পেয়েছে । সে নিষ্পলকে সামনের দিকে তাকিয়ে যেন ঘটনার দৃশ্যপট চোখের সামনে দেখতে লাগল  ... চারিদিক নিস্তব্ধ । সন্ধে ঘনিয়ে আসছে । 
    মৌসুমী দীর্ঘ দিন ধরে বসন্তের অবচেতনের  এই ভুতুড়ে নিঃসরণের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইল না , যদিও তার ভীষণ ভয় করছিল বসন্ত যদি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে । এখানে তো সে একা । কলতান স্যার অবশ্য বলেছেন প্রোটেকশান আছে ... 
    সে যা থাকে কপালে , মৌসুমী এ সুযোগ নষ্ট করতে চাইল না । সে আগুনের কুন্ডে আবার একবার ফুঁ দিল ।
    ----- ' আঁ ... কি বলছ এ সব ... সত্যি নাকি ... তা'লে পরাণ বাগ্দী ? '
    ----- ' আমরা জানতাম পরাণ ভোরবেলায় বাগানে আসবে কাজ করতে ... আমরা তৈরি ছিলাম ... উপায় কি ? '
    মৌসুমী বিষ্ফারিত চোখে তাকিয়ে ছিল ঘোর লাগা বসন্ত মন্ডলের দিকে । মৌসুমী বুঝতে পারছিল কিছুক্ষণের মধ্যে এ ঘোর কেটে যাবে। 
    সে ঝট করে বলল, ' আর ছুরিটা ? '
    বসন্ত জবাব দিল , ' মাঝরাতে গিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিলাম ওই বড় পুকুরের জলে ... '
     এতক্ষণ ধরে যা ঘটল তার মৌসুমীর প্রত্যাশার বাইরে । তার মনে হল , সাইকোলজির বইয়ে পড়া কথাটা 'বিহেভিয়ারাল ডিসঅর্ডার ডিউ টু সাপ্রেসড গিল্ট কনসেন্স' বোধহয় একেই বলে । 

        বসন্ত কিন্তু সজ্ঞানেই আছে । সে এবার মৌসুমীর দিকে ফিরল । তার ঘোর কেটে গেছে এতক্ষণে ।  বিমর্ষভাবে বলল, ' এসব তোকে বলেই বললাম । তুই ছাড়া আমার আর কেই বা আছে ... তুই যেন কাউকে বলিস না এ সব কথা ... তাহলে আমাকে বাঁচতে দেবে না ... '
    বলে মৌসুমীর কোলে শুয়ে পড়ল । শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল । মৌসুমী তিন দিন ধরে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত । কিন্তু সে মানুষ তো বটে । সে বসন্তের কপালে হাত রাখল।  প্রথম এবং শেষবারের জন্য ।
    অন্ধকারে ছেয়ে গেছে মাঠঘাট । একটু পরে দুটো সাইকেল পাশাপাশি চলতে লাগল বাড়ির দিকে । ঝিঁঝিঁ ডাকছে একটানা । 

       বসন্ত যখন বাড়ি ঢুকল হৃদয় মন্ডল বারান্দায় বসে হিমসাগর আম খাচ্ছিল । এবারে আমের দর খুব চড়া । পঞ্চায়েতের এক সদস্য  ভোলানাথ বাউড়ি  এক ঝুড়ি আম পাঠিয়েছে । তেমন সোয়াদ নেই যেন । বসন্তকে দেখে বলল , ' সুশীল আর গোবিন্দ এসেছিল । কাল ওরা একটা মিটিং ডেকেছে বটতলার মোড়ে ‌ । আমাকে সভাপতি করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল।  আমি যাব বলেছি । তুইও থাকিস। ওই ..... ইলেকশানের ব্যাপারে আর কি ....'
    ----- ' কবে ? ' বসন্ত খোঁজ নেয় ।
    ----- ' বললাম তো কাল ... বিকেল চারটে থেকে ... ' 
    ----- ' আমি যেতে পারব না । সময় হবে না ।'
    বসন্ত বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল ।
    হৃদয় ভাবল , '  ছেলেটাকে মানুষ করতে পারলাম না ... সবই কপাল ... এ:  আমগুলোয় মোটে সোয়াদ নেই ... ছেলেটার কি যে ভবিষ্যৎ কে জানে ... সুশীল আর গোবিন্দকে বলতে হবে ছেলেটাকে বোঝাবার জন্য ... '  
      ( ক্রমশঃ )
    ************************************************************************************

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ১৮ জুন ২০২২ ১৩:৪২509135
  • নিরীহ, মণ্ডল
  • Anjan Banerjee | ১৮ জুন ২০২২ ১৪:১৮509137
  • কোন সন্দেহ নেই । টাইপো । 
  • Mousumi Banerjee | ১৮ জুন ২০২২ ১৫:৩০509140
  • পড়লাম।
  • PIJUS SARKAR | ১৮ জুন ২০২২ ১৭:৩৩509142
  • পড়লাম। বেশ ভালো
  • বিপ্লব রহমান | ০৩ জুলাই ২০২২ ০৬:১৭509590
  • স্বীকারোক্তি খুব সহজে হলো,  এতোটা কী বাস্তব? বুবি ট্র‍্যাপ! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন